অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২২

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় - অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২২ — বর্তমান সময়ে আমরা কমবেশি সকলেই অনলাইন শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। আর এই অনলাইনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে টাকা ইনকাম করাকেই বলা হয় অনলাইনে ইনকাম। অনলাইনে ইনকাম এই শব্দটির সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি জানি। কিন্তু অনলাইনে ইনকাম করার সম্পর্কে সকলের ধারণার মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। অনেকেই আছেন যারা মনে করেন যে অনলাইনে ইনকাম বলতে আসলে কিছুই নাই। 

অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

পেজ সূচীপত্রঃ অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

আবার অনেকেই আছেন যারা ভাবেন যে, অনলাইনে ইনকাম করা অনেক কষ্টকর কিন্তু সেই তুলনাই পারিশ্রমিক অনেক কম। অনেকেই তো আবার বলেই ফেলে অনলাইনে ইনকাম মোবাইল দিয়ে সম্ভব নয়। আবার অনেকেই আছেন যারা হয়তোবা অনলাইনে ইনকাম করার জন্য ইনভেস্ট করেও কোনো কিছুই শিখতে পারেননি। যদি আপনারা এরকম ভেবে থাকেন তাহলে আমি বলবো আপনাদের এই সকল ধারণাই সবই ভুল। কেননা শুধু ছাত্রজীবনে নয়, সারা জীবনই অনলাইন থেকে আয় করে জীবন কাটিয়ে দেওয়া সম্ভব। অনেকেই অনলাইনে ইনকাম করে লাখপতি ও কোটিপতি হচ্ছেন।

আজকের এই আর্টিকেলে আপনারা যা জানতে পারবেনঃ অনলাইনে ইনকাম, অনলাইনে ইনকাম করার উপায়, অনলাইনে ইনকাম করার নিয়ম, অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায়, অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২২, অনলাইনে ইনকাম করার উপায় 2022, অনলাইনে ইনকাম করার সাইট, অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়, অনলাইনে আয় করার পদ্ধতি, অনলাইনে আয় করার সাইট, অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায় 2022 ইত্যাদি।

বর্তমানে অনেকের মাথায় একটা চিন্তা বিরাজ করে তা হচ্ছে অনলাইনে কি টাকা ইনকাম করা যায়। আমি আপনার এই প্রশ্নের জবাবে বলবো হ্যা, তবে হ্যাঁ আপনি আমার কথাই বা কেন বিশ্বাস করবেন? আপনি আশেপাশে খোঁজখবর নিয়ে দেখতে পারেন যেমনঃ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি এসকল ওয়েবসাইটে ঢুঁকে দেখুন আসলেই অনলাইনে ইনকাম করা যায়। ধরলাম আপনি বিশ্বাস করছেন অনলাইন ইনকাম করা যায় এবং আপনিও মনে প্রাণে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান। কিন্ত কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায় এই বিষয়টা আমরা অনেকেই জানিনা? বা অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আপনি জানেন না। 

চিন্তার কোনো কারণ নেই, আপনি একদম সঠিক ওয়েবসাইটে চলে আসছেন। আমরা আজকের এই পোস্টে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অনলাইনে ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে আপনার কাছে যেটা পছন্দ হয় বা ভালো লাগবে সেটার উপরে দক্ষতা অর্জন করে সহজে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য মনোযোগ সহকারে আমাদের আজকের এই অনলাইনে ইনকাম করার উপায় পোস্টটি ১০ মিনিট পড়ুন। অনলাইনে ইনকাম করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে এই পোস্টে।

আরো পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি

কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়

আসলেই অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব। অনলাইন বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা যায়। কিন্তু আমরা আজকের এই আর্টিকেলে শুধুমাত্র সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো নিয়ে আলোচনা করবো। অনলাইনে ইনকাম করা কিন্তু একদিনেই সম্ভব না। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য আপনার থাকতে হবে শ্রম, মনোবল, সততা এবং মেধা থাকতে হবে। এছাড়াও থাকতে হবে ইন্টারনেট সংযোগ, মোবাইল/ল্যাপটপ/ডেস্কটপ। 

তবে এটাও সত্যি যে সকল কাজই মোবাইল দিয়ে সম্ভবপর হবেনা কিছু কাজে ল্যাপটপ/ডেস্কটপ ব্যবহার অবশ্যই করতে হবে। তবে হ্যাঁ মোবাইল দিয়েও অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভবপর। অনলাইন জগতে একাত্বতার সঙ্গে কাজ করে গেলে আপনি সফলতা লাভ করবেন। আর অনলাইনে কাজ করার মাধ্যমে মাসে হাজার হাজার টাকার বেশিও ইনকাম করতে পারবেন। 

অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

অনলাইনে ইনকাম করার অনেকগুলো উপায় থাকলেও আমরা ২টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছি তাহলোঃ ১। অনলাইন ব্যবসা ২। ফ্রিল্যান্সিং। অনলাইনে ব্যবসা বলতে আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে কাজ করলেন। এখানে যেহেতু আপনি অন্যের কোনো কাজ করে দিয়ে ইনকাম করছেন না তাই এটি ফ্রিল্যান্সিংয়ের মধ্যে পড়েনা। তাহলে ব্লগিং, ইউটিউবিং এগুলো হচ্ছে অনলাইন ব্যবসা। 

কিন্ত যদি আপনি অন্যের ইউটিউব চ্যানেল, ব্লগে ইত্যাদিতে কাজ করে টাকা ইনকাম করেন তখন তাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা যাবে। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন ব্যবসা দুই ভাবেই টাকা ইনকাম করা যায় তাই আমরা ২টি ক্যাটাগরি থেকে কাজগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন জেনে নেই অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কেঃ

আরো পড়ুনঃ ইউটিউব থেকে আয় করার ৫টি উপায়

১। ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে অন্যতম। ডিজিটাল কনটেন্ট এবং প্রডাক্টের জগতে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রাডাক্ট বিক্রির বড় একটা অংশ নির্ভর করে মার্কেটিংয়ের উপর। এখন কথা হচ্ছে মার্কেটিং কি? কোনো প্রোডাক্টকে গ্রাহক কিংবা ভোক্তার কাছে উপস্থাপন বা প্রচার করার একটা পদ্ধতি হচ্ছে মার্কেটিং। যেটা দেখে গ্রাহকের মনে প্রোডাক্ট কেনার আগ্রহ জাগে। আদিম মার্কেটিং হচ্ছে ব্যানার কিংবা মাইকিং করে প্রোডাক্ট প্রচার।

তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রোডাক্ট প্রচার করা। ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে বিশাল বিস্তৃত বিষয়। ইমেইল মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটি ছোটো অংশমাত্র। এছাড়াও আরো আছে স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং,এসইও ইত্যাদি মিলিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং।

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটারের চাহিদা ব্যাপক। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য অনলাইনে প্রচুর রিসাের্স রয়েছে। আপনি চাইলেই ইউটিউব এবং গুগল থেকে বিনা খরচে খুবই সহজে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। একজন ডিজিটাল মার্কেটার প্রোডাক্ট প্রচার করে ২ ভাবে ইনকাম করে থাকে। প্রোডাক্ট প্রতি কমিশন নিয়ে কিংবা প্রজেক্ট প্রতি দর হিসাব করে। একজন ডিজিটাল মার্কেটার প্রতিমাসে অনেক টাকা অনলাইন থেকে ইনকাম করে থাকে।

কেননা বর্তমান সময়ে এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমরা অনেকটাই প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। তাই নিজেদের কেনাকাটাও অনলাইন থেকে করছি। সেক্ষেত্রে আপনি যদি হোন একজন সেলার তাহলে তো ইনকাম হবেই। অনেকেই দেখা যায় শুধুমাত্র একটি ফেসবুক পেজ খুলে প্রোডাক্ট বিক্রি করে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে। আর এখন তো ইনভেস্ট না করেও রিসেলিং করে ভালো পরিমাণে অনলাইনে থেকে ইনকাম করছে। সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই ধৈয্য থাকতে হবে এবং মার্কেটিং পলিসি বুঝতে ও জানতে হবে।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়

২। ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় 

ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতি বেশ পুরনো হলেও বর্তমান অনলাইনে ইনকাম করার জন্য এটি অনেক কার্যকরী একটা পদ্ধতি। অর্থাৎ অনলাইনে ইনকাম করার উপায় গুলোর মাঝে আমার মতে ব্লগিং হচ্ছে সেরা পদ্ধতি। ব্লগিং করে বর্তমানে বেশ মোটা অংকের টাকা প্রতিমাসেই ইনকাম করা যায়। তবে বর্তমান সময়ে ব্লগিং এর চেয়ে ইউটিউব থেকে বেশি পরিমাণে ইনকাম করা যাচ্ছে। 

কেননা মানুষ এখন আর্টিকেল পড়ার চেয়ে ভিডিও দেখতে অনেক বেশি পছন্দ করে। ব্লগিং হচ্ছে একটা প্যাশান। ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম করতে হলে আপনার প্রথমত দরকার হবে অনেক মেধা, শ্রম ও ধৈয্য। ব্লগিং করার জন্যে ভালো লেখালেখি করার স্কিল থাকতে হবে অথবা ব্লগিং করার জন্য লেখালেখির করার স্কিল থাকলে ব্লগিং ক্যারিয়ারে ভালো কিছু করা সম্ভব হবে।

ব্লগ হচ্ছে একটি নিউজ পেপারের মতো। এখানে আপনার জানা বিষয়টিকে লেখালেখি করবেন। সেই বিষয়টি সম্পর্কে যার জানা প্রয়োজন সেই আপনার লেখালেখি পড়বে। প্রিয় পাঠক আপনি এখন যে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে লেখাটি পড়ছেন এটিও কিন্ত একটি ব্লগ। প্রতিটি মানুষ কোন না কোন বিষয়ের উপরে বেশি জানাশোনা হয়ে থাকে। আপনিও যে বিষয়ের উপরে বেশী জানেন সেই বিষয়ের উপরে ব্লগিং শুরু করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন। 

ব্লগিং বিনামূল্যে এবং টাকা ইনভেস্ট করে দুটি পদ্ধতিতেই করা যায়। বিনামূল্যে বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে সাবডোমেইনের আওতায় বিনামূল্য ওয়েবসাইট খুলে লেখালেখি করতে পারেন। তবে হ্যাঁ বিনামূল্যে ওয়েবসাইট খুলে লেখালেখি করতে অনেক সময় ঝামেলা হয় এবং আর এতে আপনার অনেক সময় ব্যয় হবে।

আমি সাজেস্ট করবো টাকা খরচ করে ডোমেইন এবং হেস্টিং কিনে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করুন। ডোমেইন ও হোস্টিং কেনার জন্য আপনার ১০০০ হাজার টাকা থেকে ৩০০০ টাকার মতো খরচ পড়বে। এছাড়াও আপনারা চাইলে ব্লগারে কাস্টম ডোমেইন কিনে ব্লগার দিয়ে একটি ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। এতে আপনার খরচ হবে মাত্র ৮০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকার মতো।

ব্লগিং এ লেখালেখি করে যতবেশি ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আনতে পারবেন আপনার ততবেশি ইনকাম হবে। ব্লগিং এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ভিজিটরদের আকর্ষণ করা এবং ওয়েবসাইট বেশি বেশি ভিজিট করানো। এইবার চলুন জেনে নেই, ব্লগিং এ কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন। আপনার ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে কিংবা অন্যান্য অ্যাড নেটওয়ার্কের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। কেউ আপনার ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলেই আপনার অ্যাডসেন্সে ডলার জমা হতে থাকবে।

অর্থাৎ ব্লগার সাইটে গুগল অ্যাডসেন্স যোগ করে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে প্রতিমাসে ১০০ ডলার থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ইনকাম কত টাকা হবে তা ভিজিটর ও ভিজিটের লোকেশন এবং বিজ্ঞাপনের ক্লিকের উপর নির্ভর করবে। এক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয়ও হিসেবে থাকে যেমনঃ ভিজিটর কোন দেশের, তাদের ডিভাইস, অপারেটর, তাদের ইন্টারেস্ট বা আগ্রহ ইত্যাদি।

তারপর ব্লগারের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। আবার প্রিমিয়াম সাবস্কিপশনের মাধ্যমেও মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন ব্লগিং এর মাধ্যমে। এজন্য আপনার প্রয়োজন সামান্য ধৈয্য এবং ‍কাজ করার মানষিকতা। একটা কথা সবসময়ের জন্য মনে রাখবেন ধৈয্য ও শ্রম ব্যতীত অনলাইনে ইনকাম করার কোনো বিকল্প নেই। উপরোক্ত পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ থেকে ইনকাম করা যায়।

আরো পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করার সাইট

৩। কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

যদি আপনি কোনো টপিকের উপরে ভালোভাবে লেখালেখি পারেন তাহলে তা দিয়ে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি যদি গল্প, খবর, কবিতা লেখার শৌখিন হন, তাহলে কন্টেন্ট রাইটিং আপনার জন্য সেরা অপশন। কন্টেন্ট রাইটিং এই প্রতিভা থেকে আপনি লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারেন। কন্টেন্ট রাইটিং করতে হলে ভাষা, ব্যাকরণ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। এরপরে আপনি কনটেন্ট রাইটিং করে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

আপনি বাংলা বা ইংরেজি উভয় ভাষাতেই কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ খুঁজে পেতে পারেন। এই জন্য, আপনি একটি ব্লগের জন্য বিষয়বস্তু লেখার কাজ করতে পারেন। আপনাকে ফ্রেশ এবং ভালো কন্টেন্ট লিখতে হবে, হ্যাঁ একটু সময় লাগবে, তবে লেখার কারণে আপনি অনেক উপকৃত হবেন।

কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করার জন্য আপনার কোনো ইনভেস্টের প্রয়োজন নেই। অনলাইনে অনেক কোম্পানি বা ব্লগ পাবেন যারা কন্টেন্ট রাইটারদের নিয়োগ করে, যাদের কাছে আপনি পূর্বের কাজের ডেমো পাঠিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। আপনি যদি বাংলায় লেখালেখি করতে ভালো হন এবং টেক, অর্থ উপার্জন, ব্যবসা, অর্থ এবং ঋণ, শেয়ার বাজার সম্পর্কে বিষয়বস্তু লেখার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি আমাদের ব্লগের জন্য লেখালেখির কাজ করতে পারেন।

কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন? এই কাজ করে কত টাকা আয় করা যাবে সেটা আপনার দক্ষতা এবং কাজের উপরে নির্ভর করবে। তবে ইংলিশ আর্টিকেলে প্রতিটি কন্টেন্ট এর জন্য $৫ -$১০০+ ডলার আয় হয় লেখা কত বিশাল হবে অর্থাৎ শব্দসংখ্যার উপর ভিত্তি করে। যদি নতুন রাইটারও হয়ে থাকেন তবুও প্রতি ১০০ শব্দে ১ ডলার করে আয় করতে পারবেন। আর বাংলা ভাষায় আর্টিকেলের জন্য ৬০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ কোন app দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়

৪। ভিডিও এডিটিং করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

মানুষের ভাব প্রকাশ করার সবচেয়ে পাওয়ারফুল মাধ্যম হচ্ছে ভিডিও। ভালোমানের ভিডিও এডিটিং করার জন্যে ভালোমানের ভিডিও এডিটিং এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল কনটেন্টের মাঝে ভিডিওর জনপ্রিয়তা সর্বাধিক সেটা ইউটিউব দেখলেই সহজে বোঝা যায়। আজ ইউটিউব এতবেশি জনপ্রিতার মূল কারণ হচ্ছে ভিডিও। আমরা অনলাইন সহ অফলাইনে যত ভিডিও দেখি তার ৯৯.৯৯ শতাংশ এডিট করা। যদি ভিডিও এডিট না করা হয় তাহলে ভিডিওর কোয়ালিটি খারাপ হয়। নয়েজের কারণে শব্দ সঠিকভাবে শোনা যায়না তাছাড়া একটি ভিডিও একেবারে সম্পুর্ণ করা যায়না।

বিভিন্ন খন্ড অংশের জোড়া দিয়ে একটি পরিপূর্ণ ভিডিও, নাটক কিংবা চলচিত্র নির্মাণ করা হয়ে থাকে। তাই পরিপূর্ণ ভিডিও তৈরি করার জন্যে একজন দক্ষ ভিডিও এডিটরের প্রয়োজন হয়। বর্তমান সময়ে যেহেতু ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা ব্যাপক তাই এখনকার সময়ে একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটরের চাহিদা ব্যাপক। ভালোমানের ভিডিও এডিটিং শিখে আপনি এই সুযোগটাকে সহজেই কাজে লাগাতে পারেন। যদি আপনি একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হতে পারেন তাহলে ভবিষ্যৎতে এই কাজ করার মাধ্যমে আপনার টাকার অভাব হবেনা।

ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে প্রতিমাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবো? ভিডিও এডিটিং শিখে প্রতি মাসে কত টাকা ইনকাম করবেন সেটা আপনার অভিজ্ঞতার উপরে নির্ভর করবে। তবে হ্যাঁ আমি একটা আনুমানিক হিসেব দিয়ে বাখি, প্রজেক্ট প্রতি সর্বনিম্ন ৫ ডলার থেকে ১০০০ ডলারের বেশি ইনকাম করতে পারবেন খুবই সহজে। ভিডিও এডিটিং ভালোভাবে জানতে পারলে যেকোনো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে কাজ পেয়ে পারেন। তাছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট

৫। গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

অনলাইন জগতের কথা চিন্তা করলে একটি ওয়েবসাইটের লোগো থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপনের ব্যানার একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার করে থাকেন। এ থেকে বুঝতেই পারছেন বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা কেমন। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেতেই চলেছে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা বেশি হওয়ায় আপনাকে কাজ পাওয়ার জন্য খুববেশি কষ্ট করতে হবেনা। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা হবে যুগ উপযোগী সিদ্ধান্ত।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আপনি অনলাইন থেকে মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন। ক্লায়েন্টের জন্য ভিজিটিং কার্ড, বিভিন্ন ব্যানার, ওয়েবসাইটের লোগো, বইয়ের কভার ডিজাইন ইত্যাদি হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন। এই সকল কাজ করার মাধ্যমেও প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের মাসিক ইনকাম কমপক্ষে ৩০০০ হাজার ডলার থেকে ১০,০০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। 

আপনি এই কাজে যতবেশি দক্ষ এবং ভালোমানের কাজ ডেলিভারি দিতে পারবেন আপনার ডিমান্ড ততবেশি এবং ইনকাম বৃদ্ধি পেতে থাকবে। অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে বেশি বেশি অর্ডার পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও অফলাইনে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের ব্যাপক চাহিদা আছে।

৬। অ্যাপ ডেভেলপার হয়ে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যতীত ডিজিটাল যুগ চিন্তা করা যায়না। প্রত্যেকটি মানুষের হাতে হাতে এন্ড্রয়েড কিংবা আইওএস স্মার্টফোন রয়েছে। এসকল স্মার্টফোন অ্যাপ ব্যতীত সম্পূর্ণ অচল। আশা করি এই টুকু পড়েই বুঝতে পারলেন বর্তমানে কতবড় একটা মার্কেট তৈরি হয়েছে অ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য। এটা হচ্ছে আপনার সুন্দর ক্যারিয়ারের জন্যে বিশাল বড় সুযোগ। আপনি অ্যাপ ডেভেলপমেন্টকে সহজেই কাজে লাগাতে পারেন। অ্যাপ ডেভলপমেন্ট করে অনলাইন থেকে অনেক বেশী পরিমাণে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।

অ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য মার্কেটপ্লেস ২টি। এন্ড্রয়েডের জন্য গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল স্মার্টফোনের জন্য রয়েছে অ্যাপল স্টোর। আপনি যেকোনো একটি শিখে নিতে পারেন। তবে হ্যাঁ আপনি যে কাজ শিখবেন চেষ্টা করবেন সেটা ভালোভাবে শেখার কেননা ফ্রিল্যাসিং জগতে অদক্ষের কিন্ত ভাত নেই। আপওয়ার্ক, ফাইভার ফ্রিল্যান্সিং সাইটে গিয়ে দেখতে পারেন প্রতিটি অ্যাপ বানাতে কত বাজেট উল্লেখ করা থাকে। একটি অ্যাপ ডেভেলপ করে ১০০০ হাজার ডলার থেকে ৫০০০ হাজারের বেশি ডলার ইনকাম করে থাকেন।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

৭। ইউটিউব থেকে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

বর্তমান সময়ে অনলাইনে সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জনের পথে এগিয়ে আসে ইউটিউবের নাম। আজকাল ইউটিউবের মাধ্যমে কোটি কোটি আয় করছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ সবাই ইউটিউব থেকে আয় করতে চায়। YouTube হল ঘরে বসে অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম এবং আপনিও YouTube থেকে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

যাদের লেখালিখি ভালো লাগেনা তারা ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন ইউটিউব চ্যানেলের সাহায্যে। যদি আপনার মধ্যে কোনো সুপ্ত প্রতিভা থাকে এবং আপনি যদি ভিডিওর মাধ্যমে আপনার প্রতিভা প্রকাশ করতে পারেন। তবে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করাটা হবে আপনার জন্যে সহজ একটি মাধ্যম। 

ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার চ্যানেলে সর্বনিম্ন ১০০০ হাজার সাবস্ক্রাইব থাকতে হবে এবং প্রায় ৪০০০ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম হতে হবে। তবে নতুন ইউটিউবারদের জন্য এটি পূরণ করা অনেক বেশি কঠিন, আর আপনার আপলোড করা ভিডিওগুলো যদি দর্শকদের কাছে ভালো মনে হয় এবং প্রয়োজনীয় কোনো বিষয় থাকে তবে আপনার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব ও ওয়াচটাইম পূরণ হতে খুববেশি সময় লাগবে না।

অনেকেই আছেন যারা মনে করেন, শুধুমাত্র ইউটিউবে ফালতু ফানি ভিডিওগুলোতে দর্শকদের ভিউ বেশি হয়ে থাকে। যদিওবা তাদের এই কথাটি কিছু সময়ের জন্য সঠিক হলেও এসকল ভিডিও নিয়ে একজন ইউটিউবার খুব বেশিদিন টিকে থাকতে পারবেনা। তাই আমি সাজেস্ট করবো চ্যানেলে ভিউ এবং বেশি বেশি সাবস্ক্রাইব পাওয়ার জন্য একটু সময় লাগলেও আপনি ভালো এবং শিক্ষনীয় বিষয়গুলো নিয়ে ভিডিও পাবলিশ করুন। 

আর ভুলে করেও অন্যের আপলোড করা ভিডিও নিজের বলে চ্যানেলে পাবলিশ করবেন না যদি করেন তাহলে আপনার চ্যানেল বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।একইভাবে, আপনি আপনার নিজের চ্যানেল তৈরি করে এবং ভালো, নতুন সামগ্রী খুঁজে এবং ভিডিও আপলোড করে ভালো আয় করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে কিছুটা সময় দিতে হবে এবং ধৈর্য ধরতে হবে।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

৮। ওয়েব ডিজাইনার হয়ে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

বর্তমান সময়ে অনলাইনে কয়েক বিলিয়ন ওয়েবসাইট অ্যাক্টিভ আছে। এই সবগুলো ওয়েবসাইটের ডিজাইন কোনো না কোনো ওয়েব ডিজাইনার করেছেন। প্রত্যেকটি জিনিস ডিজিটালাইজ হওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ওয়েবসাইট বানানো হচ্ছে। তাছাড়া প্রত্যেকটি কোম্পানি তাদের নিজেদের জন্যে ওয়েবসাইট বানাচ্ছে। একবার ভাবুন তো বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন কাজের জন্যে কত চাহিদা বাড়ছে ওয়েব ডিজাইনারদের।

ওয়েব ডিজাইনারের কাজ কি? ওয়েব ডিজাইনারদের কাজ হচ্ছে কোনো ওয়েবসাইটের ফন্টসাইট অর্থাৎ সাইটের যে অংশটিকে আমরা দেখতে পাই সে অংশটুকু ডিজাইন করা। বর্তমানে যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে নিজের কাজের পোর্টফোলিও সহ একটি প্রোফাইল তৈরি করে কাজের জন্য বিট করুন। এক্ষেত্রে যদি বায়ার আপনাকে কাজটা দেয় তাহলে আপনি কাজটি করে দিবেন।

এছাড়াও অফলাইনে ওয়েব ডিজাইনারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। একজন ওয়েব ডিজাইনারের বেতন প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য মিনিমাম ৫০ ডলার থেকে ৫০০ ডলারের ডলার বেশী পেয়ে থাকেন। অনেক সময় তাদের কাজ ঘন্টাচুক্তি হয়ে থাকে যেমনঃ ঘন্টা প্রতি ৫০ ডলার। তবে হ্যাঁ ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার জন্য বা এই কাজ শেখার জন্যে অনেক ধৈয্যের প্রয়োজন হয়।

৯। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এই শব্দটি কিন্ত আমাদের কাছে তেমন বেশি পরিচিত নয়। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচিত না হলেও এই মার্কেটিং করার মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। চলুন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে সংক্ষেপ জেনে নেইঃ

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট একটা বিশেষ লিংকের মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়াই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বর্তমান সময়ে হাজার হাজার মার্কেটপ্লেসে প্রোডাক্ট বিক্রি হয়। এগুলোকে ইকমার্স বলা হয়ে থাকে। আবার এসকল ইকমার্স ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি সাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নামে একটি অপশন দেয়া থাকে। সেখানে আপনার একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং তাদের দেওয়া প্রোডাক্টের লিংক কপি করে আপনাকে শেয়ার করতে হবে।

আপনার শেয়ার করা লিংক থেকে যদি কোনো ব্যক্তি প্রোডাক্ট কিনে তবে আপনি সেখান থেকে আপনার কমিশনটি পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে প্রোডাক্টটির দাম বৃদ্ধি হবেনা। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্যে আপনাকে অবশ্যই এই ব্যাপারে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। এছাড়া একা একা শেখা সম্ভব নয়। বর্তমান সময়ে অনলাইন এবং অফলাইনে বিভিন্ন ইন্সটিটিউটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কোর্স করিয়ে থাকেন। সেখান থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে নিয়েও আপনি মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কি - ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

১০। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট গুলো অনেকবেশি পরিমাণে ব্যবহার করছে মানুষ। তবে হ্যাঁ এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো শুধুমাত্র চ্যাটিং করা, ভিডিও দেখার জন্য নয় কিংবা সময় অপচয় করার জন্যে নয়। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনিও প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন। যেমনঃ যদি আপনি ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার ফেসবুক পেজে ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে। 

এতে করে আপনি ঘরে বসে থেকে খুবই সহজে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কোম্পানির কাছে থেকে ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কেননা যেকোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রচার করার জন্যে স্যোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম খুবই জনপ্রিয়। তবে হ্যাঁ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর ফ্যান-ফলোয়ার তৈরি করা সহ তাঁদের ধরে রাখতে আপনার ধৈর্য থাকাটা জরুরি।

১১। এসইও স্পেশালিস্ট হয়ে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

অনলাইন জগতে যে ওয়েবসাইটের সার্চ র‌্যাংক যতবেশি ভালো সেই ওয়েবসাইটের ভিজিটর ততবেশি। আর ওয়েবসাইটে ভিজিটর যতবেশি হয় সেই ওয়েবসাইটের ইনকামও বেশি হয়। গুগলে ভালো র‌্যাংক পাওয়ার জন্যে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অর্থাৎ এসইও এর বিকল্প নেই। বর্তমান সময়ে এসইও এর চাহিদা আকাশচুম্বি। যদি একটি ওয়েবসাইটের এসইও ভালোভাবে না করালে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি পাবেনা।

এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) যেহেতু টেকনিক্যাল বিষয় তাই এটা শিখতে খানিকটা সময় লাগবে। কিন্তু হ্যাঁ এসইও এর কাজ শেখার পরে আপনার মার্কেটপ্লেসে কাজের অভাব হবেনা। এসইও শিখে আপনি সহজেই প্রতিমাসে মিনিমাম ৫০০ ডলার থেকে ৫০০০ হাজারের বেশি ডলার ইনকাম করতে পারবেন। আর যদি আপনি ভালো পারফমেন্স দেখাতে পারেন তাহলে ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি গুলো থেকে জবের অফার পেতে পারেন। আর হ্যাঁ এই কাজ করার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আপনাকে ভাবার প্রয়োজন নেই। বর্তমান সময়ে গুগল, ফেসবুক এর মতো বিশাল বিশাল কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন অনেকজন কাজ করছে।

আরো পড়ুনঃ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং - নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি

১২। অনলাইনে পাঠদানের মাধ্যমে ইনকাম 

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা পড়াশোনা করার পাশাপাশি শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত। এই শিক্ষকতার কারণে প্রতিমাসে একটা ইনকাম আমাদের হাতে চলে আসে। কিন্তু হ্যাঁ যুগের বিকাশে এই পড়াশোনা শুধুমাত্র অফলাইনেই আর সিমাবদ্ধ না বরং এটার বিস্তার এখন দুনিয়া জুড়ে। অনলাইনে ছাত্র ও ছাত্রীকে পাঠদান দিয়ে প্রতিমাসে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখন আমাদের দেশে অনেক অনলাইন ভিত্তিক স্কুল আছে আপনি উক্ত ওয়েবসাইট গুলোতে ভিজিট করে সেখান থেকে ধারণা নিয়ে আপনার পাঠদান শুরু করতে পারেন।

১৩। ফরেক্স ট্রেডিং করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

বর্তমান সময়ে ফরেক্স ট্রেডিং এর মাধ্যমেও অনলাইনে ইনকাম করা যায়। তবে হ্যাঁ ফরেক্স ট্রেডিং কিন্ত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। কেননা, এখানে লাভ হলেও অনেক বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে আবার লস হলেও অনেক বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে।

শেষ কথা - অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

আমাদের আজকের এই আর্টিকেল মাধ্যমে আমরা আপনাদের অনলাইনে ইনকাম করার উপায় বা অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২২ সম্পর্কে জানালাম। তাই আর আপনি বসে না থেকে আজ থেকেই শুরু করুন আপনার ইনকামের রাস্তা। মনে রাখবেন বসে থাকলেই আপনার ক্ষতি। যে দিন চলে যাচ্ছে সেদিন আর কখনও ফিরে পাবেন না। আর হ্যাঁ সবসময়ের জন্য এই মনোবল রাখুন আমি এই কাজটি করতে পারবো আমাকে এটা পারতেই হবে। তবে আপনি পৌঁছে যাবেন সফলতার দ্বারপ্রান্তে।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: