সার্ভে কি | সার্ভে করে ইনকাম | অনলাইন সার্ভে করে আয়

সার্ভে কি | সার্ভে করে আয় করার উপায় | অনলাইনে সার্ভে করে আয় — অনলাইন সার্ভে হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম যেখানে আপনি খুবই ছোট ছোট কিছু কাজ করে অনেক বেশি পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন। অবসর সময়গুলোতে অযথা ঘরে বসে না থেকে যদি আপনি সামান্য কিছু কাজের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তাহলে তো সেটা খারাপ হয়না সার্ভে করে টাকা ইনকাম করলে। অনলাইন সার্ভে করে আয় করার উপায় জানলে আপনি নিজেও ঘরে বসে প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।

সার্ভে কি

আমরা সকলেই জানি যে, অনলাইনে টাকা আয় করার অনেকগুলো পদ্ধতি আছে। অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং। তবে হ্যাঁ নিশ্চয় আপনি জেনে অবাক হবেন যে, বর্তমান সময়ে অনলাইন সার্ভে করে আয় করার চাহিদা আকাশচুম্বী। যেখানে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ তরুণ-তরুণী কাজ করছে এই অনলাইন সার্ভে সেক্টরে। শুধুমাত্র তাই না, আপনাকে এমন হাজার হাজার উদাহরণ দেওয়া যাবে। যারা শুধু অনলাইন সার্ভে সেক্টরে কাজ করে টাকা-পয়সাঁ, বাড়ি-গাড়ী নিজের জন্য একটা সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে।

আপনি যদি একজন ছাত্র/ছাত্রী হয়ে থাকেন অথবা বর্তমান বাজারে চাকরির অভাবে বেকার হয়ে ঘরে বসে আছেন। তবে আমি বলবো আপনার জন্য উপযুক্ত হবে অনলাইন সার্ভে সেক্টরে কাজ করুন। আপনি যদি এই অনলাইন সার্ভে সেক্টরে সঠিক ভাবে কাজ করতে পারেন। তবে আপনাকে আর পেছনের দিকে ফিরে তাকানোর প্রয়োজন হবেনা। আজকের পোস্টে আমরা সার্ভে কি? 

অনলাইন সার্ভে করে আয় করার উপায় এবং অনলাইন সার্ভে সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার করবো। আপনি যদি অনলাইন সার্ভে করে টাকা আয় করতে চান বা অনলাইন সার্ভে সেক্টরে নিজেকে নিযুক্ত করতে চান। তবে আজকের এই সার্ভে কি? সার্ভে করে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলটি অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। 

সার্ভে কি | সার্ভে কাকে বলে

সাধারণ ভাষায় কোন কিছু জরিপ করাকেই বলা হয়ে থাকে সার্ভে। এই জরিপ কিন্ত কোন একটি নিদিষ্ট বিষয়ের উপরে নির্ভর করে হয়না৷ অর্থাৎ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জরিপ করা হয়। জরিপ করার সময় তারা আপনার কাছে থেক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর চাইবে আর হ্যাঁ আপনাকে উক্ত প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিতে হবে। তবে হ্যাঁ আপনার মনে এখন নিশ্চয় প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এই জরিপগুলো আসলে কারা করে এবং কেনইবা আমাদের তথ্য নিয়ে টাকা প্রদান করে। এতে তাদের কি লাভ।

ঠিক আছে আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিচ্ছি। পৃথিবীর বড় বড় কোম্পানিগুলো থেকে এই সার্ভে করা হয়ে থাকে। তাদের কোম্পানির প্রোডাক্টগুলো ব্যাবহার করে মানুষ কতখানি সন্তুষ্ট। মূলত বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্যে এই সার্ভে করে থাকে। সার্ভে দুই ধরনের হতে পারে। একটি অনলাইন সার্ভে অন্যটি হচ্ছে অফলাইন সার্ভে। 

সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে, এই অনলাইন সার্ভে করার মাধ্যমে তাদের উৎপাদিত প্রোডাক্টগুলো কোন শ্রেণীর মানুষরা ব্যবহার করছে। আর কোন বয়সের মানুষ তাদের উৎপাদিত প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার করছে ইত্যাদি বিষয়াদি সম্পর্কে জানা যায়। এখন কথা হচ্ছে কে কে সার্ভে করতে পারবে?

আরও পড়ুনঃ গুগল থেকে টাকা ইনকাম | গুগল থেকে টাকা আয়

সবাই কি সার্ভে করতে পারবে

আপনার এই প্রশ্নের জবাবে আমি বলবো, যদি মনের মাঝে অদম্য মনোবল এবং ইচ্ছাশক্তি থাকে। তাহলে সকলেই সার্ভে করতে পারবে। তবে হ্যাঁ কিছু কিছু বিষয়াদি রয়েছে, যে বিষয়গুলো আপনার মাঝে থাকলে সার্ভে করতে সুবিধা হবে। যেমনঃ সার্ভে বা জরিপ করার জন্য আপনার তেমন কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হবে না। 

তবে হ্যাঁ আপনার মাঝে টুকটাক ইংরেজি জানা বোঝার মতো অভিজ্ঞতা রাখতে হবে। কারণ সার্ভেতে যেসকল প্রশ্নগুলো উল্লেখ করা থাকে। সেগুলো সম্পূর্ণ ইংরেজি ভাষাতে হয়ে থাকে। তাই সার্ভের কাজ করার জন্য আপনার একটু ইংরেজি জানা থাকলে কাজ করতে সুবিধে হবে।

আর হ্যাঁ আপনার যদি ইংরেজি তেমন না বুঝে থাকেন, তবে আপনি গুগলের সাহায্য নিতে পারেন অর্থাৎ গুগল অনুবাদক ব্যবহার করতে পারেন। গুগল অনুবাদকের সাহায্য আপনি যেকোনো ভাষাকে অন্য ভাষাতে ট্রান্সলেট করতে পারবেন। জেনে রাখা ভালো যে, সার্ভের বেশিরভাগ কাজগুলো মূলত আমেরিকার মানুষদের জন্য বেশি করা হয়ে থাকে। 

আর সেজন্য আপনাকে একজন আমেরিকার নাগরিকের নাম দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। অনলাইন সার্ভে করার জন্য আপনার মাঝে আরেকটি বিশেষ গুণ থাকার প্রয়োজন হবে। সেটা হচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটারে কাজ করার ধৈর্য। হ্যাঁ, এটি হচ্ছে অনলাইন সার্ভে করার গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট।

যদি আপনি অনলাইনে সার্ভেতে কাজ করতে ইচ্ছুক হোন। তবে আপনাকে উনেক বড় একটা সময় ব্যয় করার প্রয়োজন হবে। কেননা অনলাইন সার্ভেতে আপনি যতবেশি পরিমাণে সময় ব্যয় করবেন। এখানে আপনার টাকার পরিমাণ ঠিক ততবেশি বাড়তে থাকবে। যারা পার্টটাইম হিসাবে অনলাইন সার্ভে করতে ইচ্ছুক। তাদের জন্য এটি তেমন কোন বিশেষ সমস্যা না। কিন্তুু যদি আপনি অনলাইন সার্ভে করে নিজের জন্য একটা ভালো ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান। তবে আপনাকে প্রতিদিন ২৪ ঘন্টার মাঝে প্রায় ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর্যন্ত সময় ব্যয় করতে হবে। 

অনলাইন সার্ভে করার জন্যে আপনার মাঝে এই গুণটি থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। আর যদি আপনার মাঝে এই বিশেষ গুণ না থাকে তবে আপনি অনলাইন সার্ভে করে খুব বেশি পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন না। অনলাইন সার্ভে করে আয় করার উপায় সম্বন্ধে জানতে আজকের এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আর যদি না পরেন তাহলে আপনি অনলাইন সার্ভে সম্পর্কে কিছু বুঝতে পারবেন না। তো যাহোক, আপনি যদি অনলাইন সার্ভে করে আয় করতে চান। তবে আপনার মআঝে উপরোক্ত গুণাগুণ থাকা আবশ্যক। 

আরও পড়ুনঃ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেন কি | গুগলে ওয়েবসাইট র‍্যাংক করার উপায়

সার্ভে করার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে

আর ২য় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, আপনার হাতে একটা ডেক্সটপ/ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে এবং ভালোমানের ইন্টারনেট সংযোগ লাগবে। বলে রাখা ভালো, সার্ভের কাজগুলো একটু দ্রুততার সাথে করার প্রয়োজন হয়। আপনি যতবেশি দ্রুততার সাথে কাজ করতে পারবেন ঠিক আপনার ততবেশি পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।

অনলাইন সার্ভে করতে যা প্রয়োজন হবে

আপনাকে Residential IP এবং VPS কিনে নিতে হবে যার সর্বনিম্ন মূল্য ১০০০-৩০০০+ টাকা। ডেক্সটপ/ল্যাপটপ এবং স্মার্টফোন সঙ্গে ভালোমানের ইন্টারনেট সংযোগ লাগবে। ভেরিফাই আমেরিকার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ডেবিট কার্ড। আমেরিকা নাম্বার প্রয়োজন হবে ভেরিফিকেশন করার জন্যে। ইংরেজিতে ভালো কমিউনিকেশ করতে পারলে তাে কোনো কথায় নাই।

যদি আপনি মোটামুটি এই কয়েকটি জিনিসের ব্যাবস্থা করতে পারেন তবেই আপনি অনলাইন সার্ভে কাজ করতে পারবেন। অনলাইন সার্ভ কাজগুলো কম্পিউটার/ল্যাপটপের মাধ্যমে করতে পারলে খুবই ভালো। কেননা বড় পর্দায় চোখ রেখে মাউস ব্যাবহার খুবই দ্রুততার সাথে কাজ করা সম্ভব। এখন হয়তোবা আপনার মনে অবশ্যই প্রশ্ন জাগতে পারে যে, মোবাইল দিয়ে সার্ভে করা যায় কিনা। অর্থাৎ মোবাইল দিয়ে সার্ভে করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব কি-না।

আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আমি বলবো যে, হ্যাঁ আপনিও মোবাইল দিয়ে সার্ভে করতে পারবেন। কিন্ত কথা হচ্ছে সার্ভে করার জন্য অনেকগুলো টুলস ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। যেগুলাে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দ্রুততার সাথে করতে আপনার কাছে ভেজাল মনে হবে। তবে হ্যাঁ মোবাইল দিয়ে সার্ভে করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি মোবাইল দিয়ে অনলাইন সার্ভে করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে একটু বেশি পরিমাণে কষ্ট করার প্রয়োজন হবে! 

অনলাইন সার্ভে করে কত টাকা আয় করা যায়

অনলাইন জগতে কোন কাজ করে কত পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যায়। সেই সম্পর্কে ধারণা রাখাটা অনেক ভালো। কেননা আমাদের সকলের একটাই মূখ্য উদ্দেশ্য থাকে সেটা হচ্ছে, কোন কাজ করে কত টাকা ইনকাম করা যায়? আমার দেখা অনেকেই আছেন যারা অনলাইন সার্ভে সাইটে কাজ করে। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমি জানতে পারলাম যে, আপনি যদি প্রতিদিন ৬-৮ ঘন্টা করে সময় দিতে পারেন। তবে আপনি প্রতিমাসে ১৫,০০০ হাজার থেকে ৩০,০০০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এখন এই পরিমাণ টাকা ইনকাম সম্পূর্ণ আপনার উপরে নির্ভরশীল। আসলে আপনি কত ঘন্টা ধরে অনলাইন সার্ভে করতে পারবেন।

আপনি যদি ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে এই কাজটি পার্ট-টাইম জব হিসেবে কাজ করতে পারবেন। পড়াশুনার করার পাশাপাশি টাকা ইনকাম করতে পারলে সমস্যা কি বলুন। অন্ততপক্ষে নিজের চলার মতো টাকা ইনকাম করতে পারবেন অনলাইন সার্ভে করে। যদি আপনি অনলাইন সার্ভেকে ফুল টাইম জব হিসাবে নিয়ে কাজ করতে পারেন। তবে আমি বলবো আপনি নিশ্চিন্তে প্রতিমাসে ১৫০০০ হাজার টাকা থেকে ৩০,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আমি মনে করি, আপনার হাত খরচ চালানোর জন্য এই টাকায় যথেষ্ট।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশি app দিয়ে টাকা ইনকাম | টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে

কিভাবে অনলাইন সার্ভে শুরু করবেন

এতোক্ষণ পর্যন্ত যেসকল বিষয়ে কথাবার্তা বললাম, সার্ভে কি | অনলাইন সার্ভে কি এবং সার্ভে করার জন্য কি প্রয়োজন হয়। এছাড়াও অনলাইন সার্ভে করে কত টাকা আয় করা যায়। আশা করি আপনি সার্ভে সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। এখন কথা বলবো, কিভাবে আপনি সার্ভে শুরু করবেন। প্রিয় পাঠক চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই কিভাবে অনলাইন সার্ভে করে টাকা আয় করবেন।

জেনে রাখা ভালো, অনলাইন সার্ভে করার জন্য আপনার সর্বপ্রথম একটি 'ভার্চুয়াল আইপি' প্রয়োজন হবে। একটা বিষয় আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে যে, অনলাইন সার্ভে করার জন্য বাংলাদেশের আইপি Allow করেনা। তাই আপনি যেন বাংলাদেশে থাকার পরেও অনলাইন সার্ভে করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। সেজন্য আপনাকে ভার্চুয়াল আইপি (Virtual IP) কেনার প্রয়োজন হবে। আপনার মনে এখন প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আইপি আবার কি জিনিস, এটা খায় না মাথায় দেয়। আইপি দিয়ে কি কি করা যায়? তাইলে মনোযোগ দিয়ে পরের অংশটুকু পড়ে নিনঃ

আইপি কি? আইপি দিয়ে কি কাজ করা হয়

আপনি কি ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) সম্পর্কে জানেন? ভিপিএন এর কাজ কি সেই সম্পর্কে জানেন। কেমন হবে যখন আপনি বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজ। কিন্তুু আপনার লোকেশন দেখাবে আপনি আমেরিকা থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজ করছেন। কি আশ্চর্য ব্যাপার তাইনা? আমরা সবাই যখন ইন্টারনেট ব্রাউজ করি। তখন সকলের একটা করে পার্সোনাল আইপি এড্রেস রয়েছে। যার সাহায্য দেখা যায় আপনি মূলত কোন দেশ বা কোন জায়গা থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজ করছেন।

আপনারা অবশ্যই জেনে রাখবেন যে, বাংলাদেশ থেকে অনলাইন সার্ভে করা যায়না। তাই আপনাকে এমন একটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। যেখানে আপনার আইপি এড্রেসকে চেঞ্জ করা যায়। আর নিজের IP চেঞ্জ করার জন্য ভার্চুয়াল আইপির কোনো বিকল্প নেই। এখন নিশ্চয়, আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কিভাবে আপনি আপনার ফোনে আইপি এড্রেস চেঞ্জ করবেন।

এখানে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রথম দিকে আপনাকে ১০০০ হাজার টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করার প্রয়োজন হবে ভার্চুয়াল আইপি ক্রয় করার জন্য। আমাদের দেশে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে। যারা খুবই ভালোমানের আইপি প্রদান করে থাকে। আবার কিছু কিছু কোম্পানি রয়েছে, যারা আইপি ক্রয় করার জন্য ১০০০ হাজার টাকা করে নেয়। আবার কিছু কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা সর্বোচ্চ ২০০০ হাজার টাকা থেকে ৩৫০০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। টাকার পরিমাণ নিরভর করবে আপনি কোন ধরনের আইপি এড্রেস ব্যাবহার করবেন।

আরও পড়ুনঃ অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই

সার্ভে করে কিভাবে ইনকাম করবেন

যাহোক, প্রিয় পাঠক আপনি এই দীর্ঘ সময় ধরে অনলাইন সার্ভে সম্পর্কিত অনেক তথ্য জানতে ও বুঝতে পারলেন। যে অনলাইন সার্ভে কি বা সার্ভে করার জন্য কি কি প্রয়োজন। এতাক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি এখন মূল বিষয়ে চলে আসছেন। 

এখন আমরা দেখবো, কিভাবে অনলাইন সার্ভে করে আয় করা যায়। অনলাইন সার্ভে করার মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে সার্ভে ওয়েবসাইট গুলোকে খুঁজে নিতে হবে। যেসকল ওয়েবসাইট গুলোতে সার্ভে জব করা হয়ে থাকে এবং পাশাপাশি জানতে কোন ওয়েবসাইট গুলো থেকে বেশি পরিমাণে আয় করা যায়।

আপনি যদি গুগলে সার্ভে ওয়েবসাইট লিখে সার্চ করেন, তাহলে আপনি অনেকগুলো সার্ভে ওয়েবসাইট দেখতে পাবেন। কিন্ত হ্যাঁ এই কাজ করার ক্ষেত্রে সাবধান থাকুন। হুটহাট করে যেকোনো একটি ওয়েবসাইটে কাজ করে আপনার নিজের মহামূল্যবান সময় টুকু নষ্ট করবেন না। বর্তমানে মার্কেটে এমন অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে তারা আপনাকে দিয়ে কাজ করে নেয়ার পরে তারা আপনাকে কোন ধরনের পেমেন্ট করে না। তখন আপনার মহা মূল্যবান সময় এবং শ্রম সবই পানিতে চলে যাবে।

তবে হ্যাঁ, প্রিয় পাঠক এই বিষয়টি নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তা করার কোনো কিছু নেই। কারণ আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে বেশ কয়েকটি অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইটের সঙ্গে পরিচয় করে দিবো। যেসকল ওয়েবসাইট অনেক অনেক বেশি জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত। যে ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ করার পর আপনার টাকা হারানোর কোনো রকম ভয় থাকবে না। 

কোন ওয়েবসাইটে সার্ভে করা যায় | অনলাইনে সার্ভে করে আয়

আমরা আর্টিকেলে প্রথমেই বলছি যে, অনলাইন সার্ভে করার জন্য মার্কেটপ্লেসে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। আমরা অনেক রিসার্চ করে, কয়েকটি সেরা অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইটের নাম তালিকা করেছি। যে ওয়েবসাইট গুলো অনেক অনেক বেশি জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত। এই ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে পারবেন। অর্থ্যাৎ এই ওয়েবসাইট গুলোতে কোন রকম কাজের লিমিট করা নেই। আপনি আপনার ইচ্ছামত করে কাজ করতে পারবেন।

তবে রাত্রি বেলায় অনলাইনে সার্ভেতে কাজ করা ভালো, কারণ আমাদের দেশে যখন দিন আর সে সময় আমেরিকাতে রাত। তাই বাংলাদেশের সময় রাতের বেলায় কাজ করা লাগবে। যদি না করেন তবে সার্ভে ওয়েবসাইট গুলো বুঝতে পারবে আপনি অন্য কোনো কান্ট্রির মানুষ। আর সার্ভে ওয়েবসাইট গুলো বুঝতে পারলে আপনার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ হয় যাবে। তো আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই অনলাইন সার্ভে করার সেরা কিছু বিশ্বত ওয়েবসাইট সম্পর্কে। 

আরও পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম | মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়

১. Swagbucks | সার্ভে করে আয় করার উপায়

অনলাইন সার্ভে করার ওয়েবসাইট খুঁজতে আমি গুগলে এবং অন্যান্য জায়গায় অনেক রিসার্চ করেছি। রিসার্চ করার পর আমার দৃষ্টিকোণ থেকে Swagbucks হচ্ছে সবথেকে জনপ্রিয় একটি অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট। Swagbucks ওয়েবসাইটে প্রতিটি সার্ভে করার জন্যে আপনাকে সর্বনিম্ন 0.50 ডলার থেকে 5.00 ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটে প্রত্যেকটি সার্ভে করার জন্য আপনাকে সরবনিম্ন ১০ থেকে ২০ মিনিট অথবা সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা করে সময় ব্যয় করার প্রয়োজন হতে পারে।

Swagbucks ওয়েবসাইটের সবথেকে বড় সুবিধে হচ্ছে, এই অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট থেকে আপনি খুবই সামান্য পরিমাণে ডলার হওয়া মাত্র সেখান থেকে ডলার তুলা যায়। যেমনঃ আপনি যদি সামান্য কয়েকটি সার্ভে করার মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৫ ডলার আয় করতে পারেন। তবে আপনি সেই ৫ ডলার তুলতে পারবেন।

এছাড়াও এই অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট আরেকটি সুবিধে হচ্ছে এখান থেকে ডলার উইথড্র করার পরবর্তী ১ দিন থেকে ২ দিনের মধ্যে আপনি পেমেন্ট হাতে পেয়ে যাবেন। এই বিষয়টি আমার কাছে অনেক বেশি সুবিধার মনে হয়েছে। আপনি যদি Swagbucks ওয়েবসাইটে সার্ভে করে আয় করতে চান। তাহলে আপনাকে কয়েকটি বিষয়ের উপরে মাথায় রাখার প্রয়োজন হবে।

যেমনঃ নিয়ম অনুযায়ী এই Swagbucks ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র সেস্কল ব্যক্তিরা কাজ করতে পারবেন। যারা শুধুমাত্র কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, আমেরিকাতে বসবাস করে। কিন্তু হ্যাঁ আপনি তো বাংলাদেশের নাগরিক, তাই অনলাইন সার্ভে করার ওয়েবসাইট Swagbucks এ কাজ করার জন্য উপরোক্ত দেশগুলোর আইপি ব্যাবহার করতে হবে। তবেই আপনি Swagbucks ওয়েবসাইট সার্ভে করে আয় করতে পারবেন সহজেই। 

২. Pinecone Research | সার্ভে করে ইনকাম

অনলাইন সার্ভে করে সবথেকে বেশি পরিমাণে আয় করার জন্য সেরা ওয়েবসাইট হচ্ছে Pinecone Research। এই ওয়েবসাইটে প্রত্যেকটি সার্ভে করার জন্যে আপনি মোটামুটি ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ এই ওয়েবসাইটে কাজ করে বেশি পরিমাণে ডলার আয় করার জন্য আপনাকে পেইড মেম্বারশিপ নেয়ার প্রয়োজন হবে। কিন্ত এই পেইড মেম্বারশিপ প্যাকেজ এটার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। 

তবে আপনি যদি চান মোটামুটি ভালোমানের টাকা আয় করবেন তাহলে ফ্রি মেম্বারশিপ দিয়েও করতে পারবেন। কিন্ত হ্যাঁ Free Membership প্যাকেজে কাজের পরিমাণ কিছুটা কম থাকে। এই অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইটে একেকটি সার্ভে করার জন্য কমপক্ষে ২০-৩০ মিনিট পর্যন্ত সময় ব্যয় করার প্রয়োজন হবে। আর হ্যাঁ এই ওয়েবসাইটে আপনি কোনো ধরনের সাইন আপ বোনাস পাবেন না। 

আরও পড়ুনঃ অনলাইনের মাধ্যমে জমির মালিকানা যাচাই | অনলাইনের মাধ্যমে জমির পর্চা বের করার নিয়ম

৩. Inbox Dollars | অনলাইন সার্ভে করে আয়

অনলাইন জগতে সার্ভে করে আয় করার জন্য আরেকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে Inbox Dollars। আপনি এই ওয়েবসাইটে নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সঙ্গে সঙ্গে ৫ ডলার বোনাস হিসেবে পেয়ে যাবেন। অর্থ্যাৎ শুধুমাত্র আপনার জিমেইল আইডি ব্যাবহার করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন। আর তারা এই কাজ করার জন্য আপনাকে 5$ বোনাস হিসেবে দিবে। এই ওয়েবসাইটের আরেকটি সুবিধে হচ্ছে আপনি অনলাইন সার্ভে করার পাশাপাশি রেফার করেও টাকা আয় করতে পারবেন। আপনার যদি কোনো টিম থেকে থাকে। তবে এই রেফার পদ্ধতি ব্যাবহার করে আপনি প্রচুর পরিমাণে আয় করতে পারবেন।

কেননা আপনি যখন একজনকে রেফার করে এই অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট যুক্ত করবেন। তখন সেই রেফারকৃত ব্যক্তি যতদিন পর্যন্ত এই সাইটে অনলাইনে সার্ভে করে আয় করবে। ঠিক সেই পরিমাণের উপর ভিত্তি করে Inbox Dollars সার্ভে ওয়েবসাইট আপনাকে আলাদাভাবে আরো ৩০ পারসেন্ট করে বোনাস প্রদান করবে।

এছাড়াও আপনার যখন এই ওয়েবসাইটে ১০ ডলার আয় হবে ৷ আপনি তখন সেই ১০ ডলার উইথড্র করতে পারবেন। এছাড়াও Inbox Dollars অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট প্রতিটি সার্ভে করার জন্য আপনাকে সর্বনিম্ন ০.৫ ডলার থেকে ৫.০০ ডলার পর্যন্ত সার্ভে করে ইনকাম করতে পারবেন। inbox dollars অনলাইনে সার্ভে ওয়েবসাইট কাজ করার জন্য আপনার বয়সসীমা সর্বনিম্ন অবশ্যই ১৮ বছরের বেশি হতে হবে। আর আপনাকে অবশ্যই আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্যের মতো দেশের আইপি ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে।

৪. Survey Junkie | অনলাইন সার্ভে করে আয়

আপনি যদি অনলাইন সার্ভে সেক্টরে একদম নতুন হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার জন্য পারফেক্ট অনলাইন সার্ভে জব ওয়েবসাইট হচ্ছে Survey Junkie। এই ওয়েবসাইটে নতুনরা খুবই সহজেই কাজ করে প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন। এই অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইটে আপনি নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার সঙ্গে সঙ্গে ০.২৫$ ডলার আয়্য করতে পারবেন। 

এছাড়াও আপনি প্রতিটি সার্ভে করার জন্যে আপনি সর্বনিম্ন ০.২৫ ডলার থেকে আরো বেশি ডলার আয় করতে পারবেন। এই অনলাইনে সার্ভে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট Survey Junkie এর রুলস অনুযায়ী, এই সাইটে কাজ করার জন্য আপনার বয়সসীমা সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে হবে। আর হ্যাঁ এই ওয়েবসাইটে আপনি স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার/ল্যাপটপ ব্যাবহার করে কাজ করতে পারবেন।

সত্যি কথা বলতে আমি নিজেই এই ওয়েবসাইটে ২ থেকে ৩ মাস ধরে কাজ করেই চলছি। এই ওয়েবসাইট অনলাইন সার্ভে করার সময় একটা বিষয় আমার দারুন ভালো লাগছে। ভালো লাগার বিষয়টি হচ্ছে, এখানে যদি আপনি কোনো সার্ভে করার সময়ে যদি কোনো কারণে সংযোগ ডিসকানেক্ট হয়। অর্থাৎ যদি আপনি কোনো সার্ভে সম্পূর্ণভাবে শেষ না করতে পারেন। তাহলেও তারা কিন্ত আপনাকে সামান্য পরিমাণে ডলার প্রদান করবে। যে বিষয়টি আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগছে। 

আরও পড়ুনঃ android ফোনের জন্য এন্টিভাইরাস | এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর নাম

৫. My Points | অনলাইন সার্ভে করে আয়

আরো অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইটের মতো করে My Points এই অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা কোন অংশেই কম নয়। লাখ লাখ মানুষ এই অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইটটিতে কাজ করে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করছে। এই ওয়েবসাইটে আপনি সার্ভে করে যে টাকা আয় করবেন। সেইটা সরাসরি উক্ত টাকার পরিমাণ ডলারে যুক্ত হবেনা ৷ 

সর্বপ্রথম আপনাকে সার্ভে করার পরে আপনার আয় করা ডলারটি পয়েন্ট আকারে যুক্ত হবে। তারপরে ১০০ পয়েন্ট হলে তখন আপনার অ্যাকাউন্ট ১ ডলার যুক্ত হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রতিটি সার্ভে করার জন্য আপনার ৫-৩০ মিনিট পর্যন্ত সময় দিতে হবে। প্রত্যেকটি সার্ভে করার জন্য আপনআকে ০.৫০ ডলার থেকে ৩.০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। 

৬. Branded Surveys | সার্ভে করে ইনকাম

অনলাইন সার্ভের কাজ করেন অথচ Branded Surveys ওয়েবসাইটর নাম কখনো শুনেননি বা ব্যাবহার করেননি। এই রকম মানুষকে খুঁজে পাওয়া যাবে খুবই কম। পপুলারিটির দিক দিয়ে Branded Surveys কোন অংশেই কিন্ত কম নয়। এই ওয়েবসাইটে আপনি শুধুমাত্র ২০-৩০ মিনিট ধরে কাজ করে ২ ডলার থেকে ৩ ডলার পর্যন্ত সার্ভে করে ইনকাম করতে পারবেন। পূর্বের ওয়েবসাইটের মতো এই ওয়েবসাইটেও আপনি সরাসরি আপনার একাউন্টে ডলার আয় করতে পারবেন না। সর্বপ্রথম আপনার একাউন্টে Point আকারে জমা হতে থাকবে।

যখনি আপনি এই অনলাইনে সার্ভে ওয়েবসাইট থেকে ১০০ পয়েন্ট ইনকাম করবেন, তখন আপনার অ্যাকাউন্টে ১ ডলার জমা হবে। আর এই অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট থেকে ডলার উইথড্র করার জন্যে আপনার অ্যাকাউন্টে সর্বনিম্ন ১০ ডলার থাকতে হবে। আমরা ইন্টারনেট থেকে রিসার্চ করার পরে আমাদের কাছে উপরোক্ত কয়েকটি অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইটকে অনেক বেশি জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত মনে হয়েছে। 

আর এই সকল অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইটগুলো ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি বিশ্বত অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট রয়েছে। আপনি চাইলে এই সকল ওয়েবসাইট ব্যাবহার করার পাশাপাশি নিচে উল্লেখ করা জনপ্রিয় সার্ভে ওয়েবসাইটগুলো ব্যাবহার করে দেখতে পারেন। নিচে সেরা কয়েকটি সার্ভে ওয়েবসাইটের তালিকা দেয়া হলো। 

সেরা সার্ভে ওয়েবসাইটের তালিকা

আপনি গুগল অথবা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে সার্চ করলে হাজার হাজার অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট দেখতে পাবেন। কিন্ত হ্যাঁ ভুলেও আপনি সকল ওয়েবসাইটগুলোতে কাজ করে নিজের মূল্যবান সময়টুকু নষ্ট করবেন না। কেননা সকল ওয়েবসাইটে কাজ করা গেলেও সকলেই কিন্ত ১০০% পেমেন্ট করেনা। তো প্রিয় পাঠক উপরোক্ত ওয়েবসাইটগুলো ব্যতীত আরো বেশ কয়েকটি সার্ভে ওয়েবসাইট রয়েছে। যেগুলো তুলনা মূলক ভাবে অনেক বিশ্বস্ত ও তাদের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। এমন কয়েকটি অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইটের নাম নিচে দেওয়া হলোঃ 

1. Toluna 2. PrizeRebel 3. American Consumer Opinion 4. Harris Poll 5.Vindale Research 6. Opinion Outpost 7. E-Poll 8. MySurvey 9. SURVEYEAH 10. OneOpinion 11. ClixSense 12. Valued 13. Opinions 14. LifePoints 15. Surveytime 16. RewardSurvey

তবে আপনার একটা কথা মনে রাখার দরকার সেটা হচ্ছে আপনি আমার এই সার্ভে কি? সার্ভে করে আয় করার উপায় আর্টিকেলটি পরে অথবা অন্য কারো কথা শুনে হুটহাট করে কোনও অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করবেন না। অনলাইন সার্ভের কাজ শুরু করার পূর্বে অবশ্যই সেই সকল ওয়েবসাইট সম্পর্কে অনলাইনে রিভিউ দেখে নিবেন। তারপর কাজ শুরু করবেন। তাহলে আপনার আর কোনও ধরনের চিন্তা থাকবে না সার্ভে করে টাকা ইনকাম করতে। 

আরও পড়ুনঃ ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার উপায়

সার্ভে থেকে বেশি ইনকাম করার উপায়

এতক্ষণ পর্যন্ত আপনি জানতে পারলেন যে, সার্ভে করে ইনকাম বা অনলাইন সার্ভে করে আয় করা যায়। কিন্ত এখন কথা হচ্ছে আপনি কিভাবে এই অনলাইন সার্ভে জব করে বেশি পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন। সে বিষয়টি সম্পর্কে আপনার অবশ্যই জেনে নেয়া উচিত। কারণ সকল সেক্টরে কাজ করে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। তাই যদি আপনি শুধুমাত্র অনলাইন সার্ভে করে অনেক বেশি পরিমাণে টাকা আয় করতে চান। তবে আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। 

এখন কথা হচ্ছে আপনার মূলত কত টাকা ইনকাম করবেন সেটি সম্পূর্ণ আপনার নির্ভর করবে। সে সম্পর্কে আমি আপনাকে বলতে পারবো না। তবে আমি বলতে পারি যদি আপনি প্রতিদিন ৬ ঘন্টা থেকে ৮ ঘন্টা করে সময় ব্যয় করতে পারেন তাহলে কমপক্ষে ২০ ডলার থেকে ২৫ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। তার জন্য আমি আপনার সাথে কয়েকটি টিপস আন্ড ট্রিকস শেয়ার করবো সেগুলো আপনাকে অনুসরণ করতে হবে।

এই অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট গুলোতে আপনি রেফার করার জন্যে একটি অপশন দেখতে পারবেন। অর্থ্যাৎ আপনি যদি আপনার লিংক থেকে নতুন কোনো একটি ব্যক্তিকে এসকল ওয়েবসাইটে অ্যাড করতে পারেন। তবে আপনি কিন্ত বিনা পরিশ্রমেই অনেক পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে যদি আপনার কোনো টিম থাকে তাহলে আপনি এই রেফার করার সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে পারেন। আর আপনার যদি কোনও টিম না থাকে। তবে আপনার যে সকল বন্ধুবান্ধব রয়েছে। তাদেরকে এই অনলাইন সার্ভে সম্পর্কে জানিয়ে এই কাজগুলো করার জন্যে উৎসাহিত করুন।

প্রিয় পাঠক আরেকটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন সেটা হচ্ছে, আপনি কখনো একটি ওয়েবসাইটের উপরে কাজ করবেন না। অর্থাৎ আপনি শুধুমাত্র একটি অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইটের উপরে নির্ভরশীল থাকবেন না। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ থেকে ৫টি অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইটে কাজ করার চেষ্টা করুন। যদি আপনি প্রতিদিন ১০ ঘন্টা করে সময় দিয়ে কাজ করেন। 

তাহলে প্রতিটি ওয়েবসাইটে ২ ঘন্টা করে সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন। আর হ্যাঁ আরেকটি বিষয় মনে রাখবেন যে, অনলাইনে সার্ভে করে ইনকাম করার জন্য অনেক বেশি টাইম দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই অনলাইন সার্ভে শুরু করার পূর্বে আপনাকে এই বিষয়টি বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে। 

বাংলাদেশ থেকে সার্ভে করে আয় করার উপায়

আমরা উপরোক্ত আলোচনা যেসকল ওয়েবসাইট সম্পর্কে আলোচনা করছি। সেগুলোতে আপনি দেখতে পারবেন যে, এসকল অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট শুধুমাত্র উন্নত কান্ট্রির মানুষদের জন্য। অর্থাৎ যারা শুধুমাত্র আমেরিকা, যুক্তরাজ্য কিংবা কানাডার মতো উন্নত দেশের নাগরিক। 

শুধুমাত্র তাদের জন্যই এসকল অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট। অনলাইনে খুবই কম সংখ্যক ওয়েবসাইট রয়েছে। যেগুলোতে শুধু সারা বিশ্বের মানুষ সার্ভের কাজ করতে পারবে। এখন হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, বাংলাদেশ থেকে কি সার্ভে করা যায়? অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে সার্ভে করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। 

বাংলাদেশ থেকে সার্ভে করার জন্য আপনাকে এমন কয়েকটি কাজ করার প্রয়োজন হবে ৷ যে কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি বাংলাদেশ থেকে অনলাইন সার্ভের কাজ করতে পারবেন। কিন্ত আপনার আইপি এড্রেস দেখাবে যে, আপনি যুক্তরাজ্য, আমেরিকা অথবা কানাডা থেকে বসে সার্ভে করছেন। 

তো হ্যাঁ এই কাজটি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য দেশের আইপি কিনে ব্যাবহার করতে হবে। আর হ্যাঁ আপনার ক্রয়কৃত সেই আইপি হতে মানসম্মত। মানসম্মত আইপি আপনি এই কারনেই ব্যাবহার করবেন যাতে কোনো ভাবেই আপনি ধরা না পড়েন যে, আপনি আসলে বাংলাদেশ থেকে এই সার্ভে করছেন বা বাংলাদেশের আইপি থেকে যুক্ত আছেন।

আরও পড়ুনঃ সবচেয়ে সহজ জনপ্রিয় ১০ টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ

বাংলাদেশে বর্তমানে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে। যেগুলো কম দামে খুবই ভালো মানের আইপি প্রদান করে। আপনি এই সকল আইপি প্রভােইডার কোম্পানির কাছে থেকে মাসিক কিংবা বাৎসরিক ভাবে ভালোমানের আইপি কিনে ব্যাবহার করতে পারেন। আইপি ক্রয় করার পরে যখন আপনি অনলাইন সার্ভে করা শুরু করবেন। 

তখন আপনি ভালো করে চেক করে দেখবেন যে, আপনার ক্রয় করা আইপি আপনার টার্গেটেড লোকেশন দেখাচ্ছে কি-না। আর হ্যাঁ কোম্পানি অনুসারে আইপির দাম কম বেশি নিয়ে থাকে। কোনো কোম্পানি আইপির জন্য প্রতিমাসে ১০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়। আবার কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা মাসিক ৩০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে।

এখন হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, ভিপিএন ব্যাবহার করে তো নিজের আইপি অ্যাড্রেস চেঞ্জ করা করা যায় সহজেই। আমি কি ভিপিএন ব্যাবহার করে অনলাইন সার্ভে করতে পারবো কি-না। উত্তর হবে না। আপনি VPN (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) ব্যাবহার করে এসকল ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ করতে পাবেন না। 

কেননা এসকল অনালাইন সার্ভে ওয়েবসাইটগুলোতে এমন প্রোগ্রাম সেটাপ করা রয়েছে। যার সাহায্য খুবই সহজে ইউজার আইপি ডিটেক্ট করতে পারে। আর ভিপিএন ব্যাবহার করার কারণে আইপি একেক সময় একেক রকমের হয়ে থাকে ৷ তাই যদি আপনি ভিপিএন ব্যাবহার করে কাজ করেন ৷ তবে ওয়েবসাইট আপনাকে খুবই সহজেই ডিটেক্ট করতে পারবে।

কিভাবে সার্ভে থেকে পেমেন্ট পাবেন

অনলাইনে সার্ভে করে ইনকাম করার পর আপনার দরকার হবে আপনার আয় করা টাকা গুলো উত্তোলন করার। সেক্ষেত্রে প্রতিটি অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইটের পেমেন্ট মেথড বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। আপনাকে কোনো একটি ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে, উক্ত ওয়েবসাইটটি মূলত কি কি মাধ্যমে পেমেন্ট প্রদান করে।

অনেক সার্ভে ওয়েবসাইট রয়েছে যারা শুধু PayPal একাউন্টের মাধ্যমে পেমেন্ট প্রদান করে। আবার অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা শুধু মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট প্রদান করে। তবে হ্যাঁ বিষয়টি কিন্ত এরকম নয় যে, শুধুমাত্র আপনি PayPal অথবা MasterCard ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে টাকা উত্তোলন করা যাবেনা। এগুলো ব্যতীত আরো বেশ কয়েকটি পেমেন্ট মেথড রয়েছে যেমনঃ ব্যাংক ট্র্যান্সফার, গিফট কার্ড কিংবা কয়েনবেসের মাধ্যমেও পেমেন্ট প্রদান দিয়ে থাকে। 

বাংলাদেশ থেকে সার্ভে করার সমস্যা

আপনি যদি অন্যান্য কান্ট্রি থেকে অনলাইন সার্ভে করতে চান। তবে আপনার কোনো ধরনের সমস্যা হবেনা। কিন্ত আপনি যখন বাংলাদেশ থেকে কাজ করবেন তখন তাহলে আপনি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আর যেভাবেই হোক না কেন আপনাকে সেসকল সমস্যাগুলোর সঠিক সমাধান খুঁজতে হবে। সর্বপ্রথম যে সমস্যাটি সেটি হচ্ছে টাকা উত্তোলন সমস্যা। অর্থাৎ আপনি সার্ভে করে যে টাকাগুলো আয় করবেন ৷ 

সেই টাকাগুলো উত্তোলন করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে হতে পারে। কেননা এসকল ওয়েবসাইট গুলো মূলত পেপাল অথবা মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট দিয়ে থাকে। কিন্ত সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশে পেপাল সাপোর্ট করেনা। খুশির সংবাদ হচ্ছে আগামী মাস থেকে বাংলাদেশে পেপাল চালু হবে। আর আরেকটি সমস্যা হচ্ছে সকলের কাছে মাস্টার কার্ড ও থাকেনা। তো প্রিয় পাঠক এই পরিস্থিতিতে আপনাকে একটু বেশি সমস্যাতে পড়তে হবে।

প্রিয় পাঠক আপনার চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই। কেননা বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক কোম্পানি রয়েছে। যাদের মাধ্যমে আপনি আপনার ইনকাম করা টাকা তুলতে পারবেন। কিন্ত এই কাজটি করার জন্য তাদেরকে কিছু পরিমাণে ভ্যাট দিতে হবে। অনলাইন সার্ভে করার সময় আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাটি আপনারা প্রতিনিয়ত দেখতে পাবেন। সমস্যা হচ্ছে অ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে যাওয়া।

হ্যাঁ এটা স্বাভাবিক! অনলাইন সার্ভে করার সময়ে অ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে যাওয়ার সমস্যাটি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। হয়তোবা আপনি ৪ থেকে ৫ দিন সময় ধরে টাকা আয় করলেন এবং যখনি আপনি আপনার ইনকাম করা টাকা তুলতে যাবেন। ঠিক সেই সময় আপনার সার্ভে একাউন্টটি ব্যান হয়ে যেতে পারে। যদি এমনটি হয় তাহলে এতে করে আপনার শ্রম এবং সময় দুটোই পানিতে ভেসে যাবে। তবে হ্যাঁ অ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। আমি চেষ্টা করবো আরেকটি আর্টিকেলে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। ইনশাআল্লাহ। 

শেষ কথা

এতক্ষণ আমি সার্ভে সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে আমি সুস্পষ্ট ভাবে আলোচনা করলাম আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন। সর্বশেষ একটা কথাই বলবো যে, অনলাইন সার্ভে সেক্টরে কাজ করার মাধ্যমে আপনি আপনার জন্য একটি সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনার মাঝে কাজ করার জন্য ধৈর্য এবং কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। 

যে পদ্ধতিগুলো ব্যাবহার করার মাধ্যমে আপনারা এই অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইটগুলো ব্যাবহার করে প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন। অনলাইন থেকে টাকা আয় করার উপায় কিংবা অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আরও অনেক পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে আমাদের এই টেকনিক্যাল কেয়ার বিডি ওয়েবসাইট নিয়মিত ভাবে ভিজিট করুন। আর হ্যাঁ আর্টিকেলটির কোথাও কোনো বিষয়ে বুঝতে অসুবিধা হলে তা কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ

আরও পড়ুনঃ ভিসা কার্ড এবং মাস্টার কার্ডের মধ্যে পার্থক্য

পোষ্ট ক্যাটাগরি: