মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায় | মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়

ফ্রিল্যান্সিং কি | ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো | ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায় — আমরা এই বিষয়ে পূর্বে অন্য একটি পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করছি। সেই পোস্টে আপনারা অনেকেই কমেন্ট করেছেন যে, মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়? এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায়গুলো কি কি? আপনাদের এই বিষয়ে সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্যই মূলত আমাদের আজকের এই মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায় আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। এই আর্টিকেলে আমি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সকল বিষয়কে ধাপে ধাপে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায়

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার উপায়

যদি আপনার মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ থাকে। তবে আমাদের আজকের এই মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায় আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তবে আপনি এই আর্টিকেল পড়ার পরবর্তী দিন থেকে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অনেক অজানা বিষয় সম্বন্ধে জানতে পারবেন। 

সূচিপত্রঃ

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং করার পূর্বে আপনাকে সর্বপ্রথম জানতে হবে যে, ফ্রিল্যান্সিং মুলত কাকে বলে। কারণ আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত না ফ্রিল্যান্সিং কি এই সম্পর্কে জানতে পারবেন ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কি কি কাজ করা যায় সেটা পরবর্তী আলোচনা গুলোর মধ্যে আপনি কোনো কিছুই বুঝতে পারবেন না। আমরা দৈনন্দিন জীবনে আমরা যেমন বিভিন্ন রকমের কাজ করে থাকি এবং উক্ত কাজের বিনিময়ে অর্থ ইনকাম করে থাকি।

অনুরূপভাবে আপনি যখনি অনলাইনে কোনো একটি কাজ করবেন এবং উক্ত কাজের বিনিময়ে আপনি অনলাইন থেকে টাকা আয় করবেন ৷ অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য উক্ত কাজ করা শুরু করে টাকা আয় করা পর্যন্ত যেসকল প্রক্রিয়া গুলো রয়েছে। মূলত সেগুলোকেই বলা হয়ে থাকে ফ্রিল্যান্সিং। 

যেমনঃ কেউ অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে অনলাইন ভালোমানের টাকা ইনকাম করে। আবার কেউ ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করে। আবার অনলাইনে এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা শুধুমাত্র আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ করে অনলাইনের মাধ্যমে ভালো পরিমাণে অর্থ ইনকাম করে। হ্যাঁ মূলত এই ধরনের কাজ গুলোকেই বলে হয়ে থাকে ফ্রিল্যান্সিং।

মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়

আপনি যদি এই প্রশ্নটি কয়েক বছর পূর্বে করতেন। তবে এটির উত্তরে আমি বলতাম না! তখন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা ছিলো না। কিন্ত বর্তমান সময়ে যদি আপনি এই প্রশ্নটি করেন। তবে এটার উত্তরে আমি বলবো হ্যাঁ! বর্তমানে আপনি চাইলেই মোবাইল দিয়ে খুবই সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। কেননা এখন স্মার্টফোন গুলোতে অনেক উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। যার মাধ্যমে আপনি সহজেই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত অনেক কাজ করতে সহজেই করতে পারবেন।

এখন আপনি হয়তোবার আবার প্রশ্ন করতে পারেন যে, যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। তবে মানুষ কেনইবা কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ ব্যবহার করে? এবার বলি, যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর দিকে একটুখানি নজর দেন ৷ তবে আপনি এমন অনেক রকমের অনলাইন জব দেখতে পাবেন। তারমধ্যে বেশিরভাগ কাজগুলো আপনাকে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যাবহার করে করতে পারবেন। 

কিন্ত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে আবার এমন অনেক ধরনের অনলাইনে জব রয়েছে, যেগুলো শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন দিয়ে করা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করছে এমন অনেক মানুষের উদাহরন দিতে পারবো। যারা শুধুমাত্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং ও মোবাইল দিয়ে আউটসোর্সিং এর কাজ করে আর এই কাজগুলো করে একেক জন প্রত্যেকমাসে বেশ ভালো অংকের টাকা ইনকাম করছে। 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিলান্সিং করতে পারবেন কারা

আমি আগে থেকেই একটি কথা বলে আসছি ৷ যেটা হচ্ছে সকল মানুষের দারা কিন্ত সকল ধরনের কাজ করা সম্ভব না। বরং উপযুক্ত মানুষকে দারাই কোনো কাজকে সম্পূর্ণ করা সম্ভব। ঠিক তেমনি ভাবে যদি আপনি অনলাইনে টাকা আয় করতে চান মোবাইল দিয়ে। তবে আপনার মাঝে বেশ কয়েকটি গুণাবলী থাকার প্রয়োজন হবে। চলুন তাহলে জেনে নেই মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য কি কি গুণাবলী গুলো থাকা প্রয়োজন।

যেকোনো কাজ শেখার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ

অফলাইন হোক কিংবা সেটা অনলাইন হোক আপনি যেখানেই কোনো কাজ করেন না কেন। অবশ্যই আপনাকে সেই কাজ শেখার প্রতি আপনার যথেষ্ট পরিমাণে আগ্রহ রাখতে হবে। আপনি যদি কোনো কাজ শিখতে চান অথবা কোনো বিষয়ে কাজ করতে চান। তবে আপনার অবশ্যই অবশ্যই কাজ শেখার প্রতি আগ্রহ রাখার প্রয়োজন হবে।

আমাদের মাঝে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন। যারা কোনো কাজ না শিখে শুধুমাত্র টাকা ইনকাম করার পেছনে ছোটাছুটি করে। এই কাজটি করা কখনই ঠিক নয়, বরং আপনি যখন কোনো কাজের প্রতি ভালোভাবে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। তখন দেখবেন মানুষ আপনাকে নিজ থেকেই খুঁজে নিবে। তাই সর্বপ্রথম আপনাকে কোনো কাজ শেখার প্রতি যথেষ্ট পরিমাণে আগ্রহ রাখতে হবে। 

অযথা টাকা ইনকাম করার পিছনে ছোটাছুটি করলে শুধুমাত্র ব্যর্থতা ব্যতীত কোনো কিছুই আপনি পাবেন না। ফলে হতাশা ও দুশ্চিন্তাই থাকবেন। তাই আমি বলবো যেকোনো কাজ শেখার জন্য আগ্রহ ও ইচ্ছা রাখতে হবে। তবেই আপনি কেবলমাত্র সফল হতে পারবেন।

কখনো হতাশাগ্রস্থ হওয়া যাবেনা

আমরা যারা নতুন অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছি। তারা অনেকেই মনে করেন যে, অনলাইনে হয়তোবা কাজ করলে মনে হয় দ্রুত কোটিপতি হওয়া সম্ভব। মূলত বিষয়টি কিন্ত সে রকম না, যদি সেই রকম হতো। তবে বর্তমানে পৃথিবীতে কোনো গরিব ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যেতো না। সত্যি বলতে কি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করে কোটিপতি হওয়া সম্ভব ৷ কিন্তু আপনাকে সঠিক উপায়ে কাজ করে যেতে হবে। হয়তোবা দেখা যাবে আপনি শুরুর দিকে তেমন সফলতা নাও পেতে পারেন।

তাই বলে কিন্ত আপনাকে অনলাইন থেকে কোটি টাকা ইনকাম করার স্বপ্নকে ছেড়ে দিলে কিন্ত চলবে না। বরং আপনাকে প্রতিনিয়ত ধৈর্য সহকারে চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে। আপনি যখনি অক্লান্ত ও কঠোর পরিশ্রম করে সঠিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন৷ তখন আপনি কোনো একটি সময়ে গিয়ে সফলতা অর্জন করতে পারবেন ইনশা আল্লাহ। আর যদি আপনি আগেই হাল ছেড়ে দেন, তবে অনলাইনে আপনি অনেক কিছু দিলেও অনলাইন আপনাকে কিন্ত কোনো কিছুই দিতে পারবেনা।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায় আমরা সে বিষয়ে পূর্বে আলোচনা করেছি এবং কিছুক্ষণ পরে আবার আলোচনা করবো আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতিমাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায় সেটা জানার পূর্বে আমাদের জানতে হবে যে, আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চান। তবে এই কাজ করার জন্য আপনার কি কি প্রয়োজন হবে।

স্মার্ট ডিভাইস 

আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে সর্বপ্রথম আপনার প্রয়োজন হবে একটি ডিভাইস। সেই ডিভাইস হতে পারে ল্যাপটপ, ডেক্সটপ অথবা একটি ভালোমানের স্মার্টফোন। যে ডিভাইস ব্যাবহার করে আপনি কাজ করতে পারবেন এবং আপনার উক্ত কাজ করার বিনিময়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইন্টারনেট কানেকশন

অনলাইনে কাজ করার জন্য একটি ডিভাইসের পাশাপাশি আপনার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের দরকার হবে। যে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি না হলে আপনি অনলাইনে কাজ করতেই পারবেন না। সেটা হচ্ছে ইন্টারনেট কানেকশন। কেননা আপনি ততক্ষণ পর্যন্ত অনলাইনের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারবেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার কাছে ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে। যদি আপনার এই ২টি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস থাকে। তবে ধরে নিন আপনি অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করার জন্যে একেবারে ১০০% প্রস্তত। আর আপনি চাইলে এখন থেকেই অনলাইন জগতে টাকা ইনকাম করার জন্য পা রাখতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিলান্সিং কি কি কাজ করা যায়

যারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নতুন কাজ করতে আসেন। তাদের মাঝে প্রায় সবার মনে এই অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি প্রশ্নটি জেগে থাকে। আসলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সকল কাজের জন্য সমান ডিমান্ড আছে। আপনি এখন মূলত কোন কাজে প্রতি কি রকম দক্ষ সেটা সম্পূর্ন আপনার ওপরে নির্ভর করবে। যেমন, মার্কেটপ্লেসে এমন অনেক ধরনের কাজ আছে যেগুলো ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সবচেয়ে সহজ কাজ। অথচ আপনি এই সহজ কাজগুলো করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের প্রতি মাসে ইনকামের পরিমাণ দেখলে আপনি রিতীমতো হতবাক হয়ে যাবেন।

আবার আমার দেখা এমন অনেক মানুষ রয়েছে, যাদের কাছে কোনো ল্যাপটপ, ডেক্সটপ নাই। তারা শুধুমাত্র তাদের হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করে থাকে। আবার বর্তমান সময়েও একদল মানুষ দেখা যায়, যারা মনে করেন যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা একদম অসম্ভব ব্যাপার। আসলে বিষয়টি কিন্ত সত্যি না বরং এটা আংশিক সত্যি।

যেমনঃ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এমন বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে। যেগুলো আপনারা ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ ছাড়া করতে পারবেন না। আর এই কাজগুলো করার জন্য অবশ্যই আপনার ডেক্সটপ অথবা ল্যাপটপ অনেক ভালোমানের হওয়ার প্রয়োজন হবে। আবার ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এমন অনেক ধরনের কাজ আছে, যেগুলো আপনি স্মার্টফোনের মাধ্যমে করতে পারবেন। 

এই কাজগুলো করার জন্যে আপনার একটি ডেক্সটপ অথবা ল্যাপটপ থাকতেই হবে। আসলে বিষয়টা কিন্ত সে রকম না বরং এই কাজগুলো আপনারা মোবাইল দিয়ে সহজেই করতে পারবেন। তো চলুন জেনে নেই যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান অথবা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন। তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কি কি কাজ করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায়

আপনার যদি হাতে কোনো ল্যাপটপ কিংবা ডেক্সটপ না থাকে এবং যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে চান ৷ তাহলে আপনি মার্কেটপ্লেসে এমন অনেক ধরনের কাজ দেখতে পাবেন। যে কাজগুলো করে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের কাজ

নিজের কাজকে আরো বেশি সহজতর করার জন্যে বাস্তবিক জীবনে মানুষ যেমন পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রাখে। ঠিক তেমনি ভাবে বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমেও এমন অনেক কাজ পাওয়া যায় যেগুলো বলা হয় ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। আপনি মোবাইল দিয়ে এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজটি করে বেশ ভালো অংকের টাকা ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার মনে এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, বাস্তবিক জীবনে মানুষ তাদের প্রয়োজনে অ্যাসিস্ট্যান্ট রাখে তাদের অফিশিয়াল কাজকর্ম করে নেয়ার জন্যে। কিন্ত মানুষ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কি কাজে ব্যবহার করে থাকে? উত্তরে আমি বলি আপনি মনোযোগ সহকারে শুনুন, আমরা সকলেই অবশ্যই জেনে রাখবো যে, বর্তমানে আমরা প্রায় বেশিরভাগ মানুষ টেকনোলজি নির্ভর হয়ে পড়ছি। আর টেকনোলজির নির্ভর হওয়ার কারণে আমরা সম্পূর্ণভাবে অনলাইনের ওপরে নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছি।

তাই আমাদের দৈনন্দিন কাজের মতো এখন আমরা অনলাইনের মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে সম্পূর্ণ করে থাকি। যারা মূলত একটু বেশি ব্যস্ত মানুষ, যারা অনলাইনে খুব বেশি একটা সময় দিতে পারেন না। তারাই মূলত এই অনলাইনের কাজ গুলো করার জন্যে এক বা একাধিক মানুষকে তাদের প্রয়োজনে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে রেখে দেয়। 

আর আপনি এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের কাজ গুলো ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক বেশি পরিমাণে দেখতে পারবেন। যে কাজগুলো আপনি মোবাইল দিয়ে সহজেই করতে পারবেন এবং আপনি এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজের বিনিময়ে আপনি ভালো পরিমাণে টাকা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পাবেন। 

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ করে টাকা ইনকাম

ধরুন, আপনি একটি আইফোন ১২ প্রো মাক্স কিনতে চান। এখন কথা হচ্ছে আপনি কি কোনো দিক বিবেচনা না করেই হুটহাট করে একটা স্মার্টফোন কিনে নিবেন? উত্তর হবে নিশ্চয়ই না বরং আপনি নানা দিক বিচার বিবেচনা করার পরেই একটি স্মার্টফোন কিনবেন কি ঠিক বলছি না? 

যেমন, সর্বপ্রথম আপনি আগে আইফোন ১২ প্রো মাক্স এর ডিটেইলস গুলো সম্পর্কে জানার জন্যে তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করবেন৷ ফোনের কোয়ালিটি কেমন হবে, আইফোন ১২ প্রো মাক্স এর দাম কত, বর্তমানে মার্কেটে আপনার পছন্দের আইফোন ১২ প্রো মাক্স ফোনটি রয়েছে কি-না ইত্যাদি।

তো যখন আপনি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার জন্যে আইফোনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে মেসেজ করবেন৷ তখন সঙ্গে সঙ্গে আপনার প্রশ্নের উত্তর গুলো সেই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে থেকে জেনে নিতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, আপনি যে এই প্রশ্নের উত্তর গুলো সম্পর্কে জানতে পারলেন ৷ সেসকল প্রশ্নের উত্তর আপনাকে কে বললো? কোনো রোবোট কি আপনার এই প্রশ্নের উত্তর গুলো দিয়ে দিলো? 

উত্তর হবে না, বরং একজন মানুষ হাতে টাইপ করে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর গুলো দিয়ে দিয়েছে। আর যে ব্যক্তি আপনার এই কাজটি করছে, সে এই কাজটি করার বিনিময়ে আইফোন কোম্পানি থেকে ভালো অংকের টাকা নিয়ে থাকে। তো যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চান। তবে আপনি এই সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে এই কাজটি করেও বেশ মোটা অংকের টাকা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন। 

গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে টাকা ইনকাম

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক জনপ্রিয় কাজ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি কাজ হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। আপনি কি জানেন? একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার কাজ করে মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারে? যদি আপনি একজন ডিজাইনারের ইনকাম দেখেন তাহলে আমি নিশ্চিত আপনি রিতীমতো হতবাক হয়ে যাবেন।

1. Picsart
2. Pixlab 
3. Adobe Photoshop Touch 
4. Canva Pro
5. illustrator (Mobile Version)

এই অ্যাপগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের অ্যাপ আছে। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত অনেক ধরনের কাজ করতে পারবেন এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ

বর্তমানে সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যত রকমের কাজ আছে। তারমধ্যে সবথেকে সম্মান জনক পেশা হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং। যে কাজটি করে আপনি খুবই অল্প পরিশ্রমে অনেক বেশি পরিমাণে টাকা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আর সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে আপনি এই কাজটি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়েও সহজেই করতে পারবেন। 

কারণ, আর্টিকেল রাইটিং এই কাজের জন্যে আপনার স্মার্টফোনে শুধুমাত্র একটি টেক্সট এডিটর অ্যাপ থাকলেই হবে আর আপনি সেই অ্যাপের মাধ্যমে খুবই সহজেই কন্টেন্ট রাইটিংয়ের কাজ করতে পারবেন। আপনি যদি স্মার্টফোনের মাধ্যমে কন্টেন্ট রাইটিং করতে চান। তবে আপনি নিচে উল্লেখ করা অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। যেমনঃ

1. Google Docs

2. Wps Office 

3. Microsoft Office Word

এগুলো এই অ্যাপগুলো আপনি গুগল প্লে স্টোর থেকে অনেক ধরনের নোটপ্যাড অ্যাপ দেখতে পারবেন। আপনি আপনার সুবিধে মতো যেকোনো অ্যাপকে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি চাইলে ঘরে বসে আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট রাইটিং করে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারেন। কন্টেন্ট রাইটিং করার জন্য প্রথম মাসে বেতন হবে ৩০০০-৩৫০০ টাকা। এবং পরবর্তী মাস থেকে বেতন ৮০০০-১২০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। কটেন্ট রাইটিং করার জন্য বিস্তারিত জানতে ০১৬১১২৮০২৫৮ এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন। 

ওয়েব ডিজাইনের কাজ

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের আরো একটি ডিমান্ডেবল কাজ আছে। আর সেটা হচ্ছে ওয়েব ডিজাইনের কাজ। যে কাজটি করে আপনি খুবই সহজেই অনলাইন থেকে প্রচুর পরিমাণে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ একটা কথা মনে রাখবেন। সেটি হচ্ছে যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ওয়েব ডিজাইনের কাজ করতে চান। তাহলে আপনি শুধুমাত্র ব্যাসিক বিষয়গুলো সম্বন্ধে কাজ করতে পারবেন। যেমন, html, CSS। 

কিন্ত যদি আপনি প্রফেশনাল মানের ওয়েব ডিজাইনের কাজ করতে চান। তবে আপনার কাছে অবশ্যই একটি ডেক্সটপ বা ল্যাপটপের প্রয়োজন হবে। তো আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ওয়েব ডিজাইনের ব্যাসিক কাজগুলো করার জন্যে আপনি গুগল প্লে স্টোরে থেকে অনেকগুলো অ্যাপ দেখতে পারবেন। যেমন,

1. W3schools

2. FreeCodeCamp

3. Solo Learn

4. Programming Hero

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2021

আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চান। তবে সর্বপ্রথম আপনাকে যেকোনো একটি বিষয়ের উপরে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে ৷ আর দক্ষতা ও অভজ্ঞতা অর্জন করতে হলে সবার প্রথমে আপনাকে যেকোনো বিষয় সম্পর্কে শিখে নিতে হবে। তবে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তো আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কাজগুলো শিখতে চান। তবে আপনার সামনে এমন অনেক ধরনের পদ্ধতি চলে আসবে। যেমনঃ

ইউটিউবের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখা

বর্তমান সময়ে ইউটিউবে অনেক ধরনের চ্যানেল আছে। তবে এমন অনেক ধরনের চ্যানেল রয়েছে যেখানে খুবই সুন্দরভাবে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়ে থাকে। আপনি চাইলে সেই ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও গুলো দেখে দেখে ভালোভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিতে পারেন৷

ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে

বর্তমানে আপনি যে আর্টিকেলটি পড়ছেন। সেটা কিন্ত একটা ব্লগ থেকেই পড়ছেন। তো ইন্টারনেটে এমন অনেক ধরনের ব্লগ আছে। যেখান থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং বিষয় সম্পর্কিত কাজগুলো শিখে নিতে পারবেন সহজেই।

বিভিন্ন কোর্সের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শিখা

অনলাইন থেকে কোনো কাজ শেখার আরো একটি সহজ মাধ্যম রয়েছে। সেটি হচ্ছে কোর্সের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখা। তো আপনি চাইলে টাকা দিয়ে অথবা বিনামূল্যে কোর্সের মাধ্যমে এই কাজগুলো শিখে নিতে পারেন। 

কিভাবে ফ্রিলান্সিং কাজ পাবেন

তো এবার আছি মূল টপিকে। আপনাকে জানতে হবে যে, আপনি কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কাজ পাবেন। কেননা আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত না ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে পারবেন না। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি কোনো ধরনের টাকা আয় করতে পারবেন না। তো আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে চান। তবে আপনাকে নিচের ৩ ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে। যেমনঃ

ধাপ-১: সর্বপ্রথম আপনাকে খুঁজে নিতে হবে যে কোন কোন ওয়েবসাইটগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত কাজ করা হয়। যেমনঃ ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি।

ধাপ-২: তারপর সেই সকল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

ধাপ-৩: আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন। তারপর আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুঁজতে হবে। যে কাজগুলো করার বিনিময়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কি শিখলাম আমরা

আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। পাশাপাশি আপনি ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং করে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় সে বিষয়ে জানতে পারলাম। এগুলো ব্যতীত ফ্রিল্যান্সিংয়ে মোবাইল দিয়ে কি কি কাজ করা সম্ভব এবং কি কি বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় ও সর্বশেষ আমরা ফ্রিল্যান্সিং করার উপকারিতা সম্পর্কেও জানতে পারলাম। 

শেষ কথা

আমি আশা করি আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিংবা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় নিয়ে আলোচনা করা আর্টিকেলটি সঠিকভাবে সুন্দরভাবে বুঝতে পারছেন। তারপরেও আপনার যদি মনে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করা বিষয়ে আরো কোনো প্রশ্ন থাকে। তাহলে সেটা কমেন্টে জানিয়ে দিবেন। আমি সবসময় আপনার কমেন্টের অপেক্ষায় থাকবো।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: