অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ

হাসিবুর
লিখেছেন -

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ — মাসিক বা পিরিয়ড মেয়েদের জন্য অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনিয়মিত পিরিয়ড এর ফলে পড়তে হতে পারে নানা রকম সমস্যায়। মাতৃত্ব ধারণের জন্য পিরিয়ড সঠিক সময়ে হওয়া অনেক বেশী জরুরি। অনিয়মিত পিরিয়ড বা মাসিক এর কারণে ডিম্বাসয় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে, অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ, নিয়মিত না হওয়া ইত্যাদি সমস্যা গুলো দেখা যায়।

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ

অবিবাহিত অবস্থায় মেয়েদের যদি মাসিক বন্ধ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে করনীয় কি? মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় সকলেই অতিরিক্ত মানুষিক অবষাদে ভুগে থাকেন। মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া মানেই মা হতে পারবেন না বা ডিম্বাসয়ে কোনো রোগ বাসা বাধছে তেমন নয়। অনেক সময়ে অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে নানা কারণে মাসিক বন্ধ হতে পারে। অনিয়মিত পিরিয়ড এর লক্ষণ দেখা দিলে সরাসরি ডাক্তার এর পরামর্শ গ্রহণ করলে আবার স্বভাবিক প্রক্রিয়া তৈরি করা যায়।

আরো পড়ুনঃ কি খেলে চুল পড়া বন্ধ হয়

পেজ সূচীপত্রঃ অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ

সাধারণত ১৪-৪৬ বছর পর্যন্ত মেয়েদের ডিম্বাসয় কার্যক্ষমতা চালিয়ে যেতে পারে। এ সময় পর্যন্ত একটি মেয়ে চাইলে মা হতে পারে। এই সময়কাল এর মাঝে প্রতিমাসে ডিম্বানু তৈরি হতে থাকে। সেটা যদি শুক্রানুর সংস্পর্শে না আসে তখন সেটা রক্তস্রাবের মাধ্যমে বেড়িয়ে যায় যেটা সাধারণ ভাবে আমরা মাসিক বা পিরিয়ড বলি। 

হঠাৎ করে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে ডিম্বানু তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটায়। সাধারণ ভাবে যদি ডিম্বানুতে কোনো মারাত্বক সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেক্ষেত্রে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কিছু কারণ রয়েছে যেমনঃ অতিরিক্ত নেশাদ্রব্য পান করা। নেশা দ্রব্য গুলো ডিম্বানু তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটায় ফলে অনিয়মিত পিরিয়ড লক্ষ্য করা যায়। শরিরে অতিরিক্ত চর্বি জমে যাওয়া মাসিক বন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ এর মধ্যে একটি।

মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে। যেগুলো দেখা দিলে অনিয়মিত মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অতিরিক্ত মানুষিক চাপ বা উদ্দিপনা থাকলে ডিম্বানু তৈরিতে সমস্যা হয়। রাতে স্বাভাবিক ভাবে ঘুম না আসলে, যৌ- -নি পথ শুকিয়ে গেলে, শরিরে জ্বালা পোড়া শুরু হলে, শরিরে স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশী লোম গজানো শুরু করলে, ঘুমের সময় অতিরিক্ত ঘাম হলে ইত্যাদি বিষয় গুলোকে অবিবাহিত মেয়েদের পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়

মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে করণীয় কি

অনিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ড হওয়া মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। পিরিয়ড নিয়মিত হয়ে গেলে মাসিক বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কম। পুর্বে নিয়মিত হলেও হঠাৎ যাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাদের ডাক্তার পরামর্শ গ্রহণ করা অনেক বেশী জরুরি। পিরিয়ডের জন্য ০৩ টি জিনিস দরকারী তা হলো ডিম্বাশয়, জরায়ু বা পিটুইটারিতে কোনো প্রকার সমস্যা তৈরি না হওয়া।

এসব ক্ষেত্রে সমস্যা হলে কারণ নির্নয় করে সঠিক ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করলে পুনরায় মাসিকের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। আপনার যদি এ সকল কারণ ব্যাতিত মাসিক বন্ধ হয়ে যায় ও অনিয়মিত হয়ে থাকে তাহলে নিচের বিষয় গুলো অনুযায়ী লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করুনঃ 

১। পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার খাওয়া

অতিরিক্ত পুষ্টি অভাবে অনেক সময় পিরিয়ড হতে বিলম্ব হয়। শরিরে অতিরিক্ত চর্বি ও সমস্যার কারণ। পরিমাণ মত সব কিছু খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

২। পর্যাপ্ত পানি পান করা 

পানি শুন্যতা দেখা দিলে ডিম্বাসয় তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হ্রাস করে দেয়। যার ফলে এই মাসে পিরিয়ড হলেও পরের মাসে বিলম্ব হয়। অনেক সময় স্বাভাবিক ভাবেই কয়েক মাস ধরেও এই পর্যায় ক্রম চলতে থাকে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

৩। প্রোটিন জাতীয় খাবার

প্রতিদিন মাছ, ডিম, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি দেহে সুস্থতা বয়ে আনে। শারিরীক দুর্বলতা ও অসুস্থতা অনিয়মিত পিরিয়ড এর জন্য দায়ী। শরিরিক সুস্থতা নির্মিত হয় এমন সকল খাবার প্রতিদিন কার খাদ্যভ্যাসে যোগ করতে হবে। শরিরের রোগ প্রতিরোধ ও কার্যক্ষমতা কমে গেলে হঠাৎ মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

৪। নিয়মিত ঘুম 

অতিরিক্ত অনির্দা শরিরে নানা ধরণের সমস্যা তৈরি করে। অনির্দা এর কারণে অতিরিক্ত মানুষিক অবষাদ তৈরি হয়। অতিরিক্ত মানুষিক চাপ ও উদ্দিপনার কারণে শরিরের ডিম্বাণু সঠিক ভাবে কার্যক্রম করতে পারে না। যার ফলে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হওয়ার লক্ষন গুলো দেখা দেয়।

শেষ কথা

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বা পিরিয়ড সঠিক ভাবে হওয়া অনেক বেশী জরুরি। মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া গর্ভধারণ এর ক্ষেত্রে অনেক বেশী ঝুকিপূর্ণ। মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভধারণ করা অসম্ভব। প্রতিটি মেয়ে গর্ভধারণ এর উপযোগী তৈরিতে প্রতি মাসে মাসিক বা পিরিয়ড নানা মুখি সহায্য করে। অনিয়মিত মাসিক বা বন্ধ হয়ে গেলে দ্রুততার সাথে ডাক্তার পরামর্শ গ্রহন করতে হবে। 

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ লেখা সম্পর্কে আপনার কোনো প্রকার মতামত থাকলে অবশ্যই অবশ্যই জানিয়ে দিবেন। অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ব্লগ ক্যাটাগরি: