কিভাবে বুঝব দোয়া কবুল হয়েছে

কিভাবে বুঝব দোয়া কবুল হয়েছে — খালেস দিলে দোয়া করবেন। দোয়ার কবুল হওয়ার যে শর্ত রয়েছে তা পুরণ করে যদি দোয়া করেন তাহলে আল্লাহ্‌ নিশ্চয়ই দোয়া কবুল করবেন। আল্লাহ্‌ বান্দার দোয়া কবুল করেন সেটা আল্লাহ্‌ নিজেই অঙ্গীকার করেছে। তা আমাদের উচিত হচ্ছে দোয়া করে যাওয়া আর এটা ভেবে নেওয়া যে আল্লাহ্‌ নিশ্চয়ই আমাদের দোয়া কবুল করবেন। 

কিভাবে বুঝব দোয়া কবুল হয়েছে

কখনো এটা বলা যাবেনা যে আল্লাহ্‌ আমার দোয়া কবুল করেন না। হাদিসে আছে- নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ উদাসীন অন্তরের দোয়া কবুল করেন না। আরেকটা হাদিসে আছে- দোয়ার ব্যাপারে তাড়াহুড়োকারীর দোয়া আল্লাহ্‌ কবুল করেন না। অনেকেই অভিযোগ করেন আল্লাহর কাছে এতো দোয়া করি আল্লাহ দোয়া কেনো কবুল করেন না? এখন আমি কিভাবে বুঝব দোয়া কবুল হয়েছে। প্রিয় পাঠক দোয়া কবুল হওয়ার চলুন জেনে নেই কেন বা কোন কারণে দোয়া কবুল হয়না।

আসুন জেনে নেই দোয়া কবুল না হওয়ার ৫টি কারণঃ কিছু পাপ আছে যা বান্দার মাঝে উপস্থিত থাকলে তার দোয়া কবুল হওয়ার জন্য বাঁধা হয়ে যায়। তাই খেয়াল রাখতে হবে, এই পাপগুলো এড়িয়ে চলতে হবে, যদি কেউ চায় তার দোয়া কবুল করা হোক। দোয়া কবুলের অন্তরায় সমূহঃ

পেজ সূচীপত্রঃ

১। হারাম খাদ্য, হারাম পানীয় ও হারাম বস্ত্র

কেউ হারাম কোনো খাবার খেলে বা কারো খাবার হারাম টাকায় কেনা হলে, পোশাক হারাম বা হারাম টাকায় কেনা হলে আল্লাহ ঐ অবস্থায় তার দোয়া কবুল করেন না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “হে মানব সকল! আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র বস্তু ছাড়া কোনো কিছু গ্রহণ করেন না। তিনি এ ব্যাপারে মুমিনদের সে নির্দেশই দিয়েছেন যে নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন রাসুলদেরকে। আল্লাহ বলেছেন, “হে রাসুলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু হতে আহার কর ও সৎকর্ম কর, তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত।” 

আর আল্লাহ (মুমিনদেরকে উদ্দেশ্য) করে বলেছেন, “হে মুমিনগণ! তোমাদের আমি যেসব পবিত্র বস্তু দিয়েছি, তা হতে আহার কর।” একথা বলার পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এমন এক ব্যক্তির কথা বললেন, যে ব্যক্তি দীর্ঘ সফর করে মাথার চুলগুলোকে এলোমেলো করেছে এবং পদযুগল ধুলায় ধূসরিত করেছে। অতঃপর আকাশের দিকে হাত তুলে দোয়া করে, হে আমার প্রভু! হে আমার প্রভু! কিন্তু তার খাদ্য হারাম, তার পোশাক হারাম, তার শরীর গঠিত হয়েছে হারাম দিয়ে, কিভাবে তার দোয়া কবুল করা হবে?” সহীহ মুসলিম।

আরো পড়ুনঃ আলহাজ্ব নামের অর্থ কি - আলহাজ্ব মানে কি

২। সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ বর্জন করা

মানুষকে ভালো কাজের দিকে আহবান না করলে বা খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে না বললে অর্থাৎ দাওয়াতে (ধর্মের প্রতি) অবহেলা করলে তার দোয়া আল্লাহ কবুল করেন না। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমরা অবশ্যই সৎকাজের আদেশ করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে। আর যদি তোমরা তা না করো, আল্লাহ তোমাদের প্রতি শাস্তি নাযিল করবেন অতঃপর তোমরা দোয়া করবে, কিন্তু তিনি তা কবুল করবেন না।” তিরমিজী, শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।

৩। দোয়া কবুলে তাড়াহুড়ো করা

অনেকে কিছুদিন দোয়া করার পরে আল্লাহর বিশেষ কোনো হেকমত অনুযায়ী দোয়া কবুল হতে দেরী হলে তাড়াহুড়া করে বা হতাশ হয়ে পড়ে। অভিযোগ করা শুরু করে দেয়, কই এতো দোয়া করলাম, আল্লাহ দোয়া কবুল করেন না। আল্লাহ মনে হয় আমাদের কথা শুনেন না। (নাউযুবিল্লাহ! নাফরমানী ও কুফুরী কথা)। এমন কথা বলার শাস্তিস্বরূপ সত্যিই আল্লাহ তার দোয়া আর কবুল করেন না। এইজন্য ধৈর্য ধরে দোয়া করে যেতে হবে। 

মনে রাখতে হবে জাকারিয়া (আঃ) অনেক বছর দোয়া করার পরে তাঁর দোয়া কবুল হয়েছিলো, তিনি পুত্র সন্তান পেয়েছিলেন একেবারে বৃদ্ধ বয়সে। তিনি ছিলেন আল্লাহর নবী, আর আমরা নিশ্চয়ই তাঁর থেকে উত্তম না। এইজন্য অবস্থা যাইহোক, ধৈর্য ধরতে হবে ও মৃ- ত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহর কাছে আশা রেখে দুয়া করে যেতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “বান্দার দোয়া সর্বদা কবুল করা হয়, যদি সে দোয়াতে পাপ অথবা আত্মীয়তার সম্পর্কের ছিন্ন করার কথা না বলে এবং তাড়াহুড়ো না করে। জিজ্ঞেস করা হল হে আল্লাহর রাসুল! তাড়াহুড়ো বলতে কি বুঝায়?

তিনি বললেন, দোয়াতে তাড়াহুড়া হল, প্রার্থনাকারী বলে আমিতো দোয়া করলাম কিন্তু কবুল হতে দেখলাম না। ফলে সে নিরাশ হয় ও ক্লান্ত হয়ে দোয়া করা ছেড়ে দেয়।” সহীহ মুসলিম। দোয়াতে এ ধরনের তাড়াহুড়া করা আল্লাহ অপছন্দ করেন। যেমন তিনি বলেছেন, “আর মানুষ অকল্যাণের দোয়া করে, যেভাবে সে কল্যাণের দোয়া করে, তবে মানুষ তো অতিমাত্রায় ত্বরা প্রিয়।” আল ইসরাঃ ১১।

তবে দোয়ার ভিতরে এ কথা বলা নিষেধ নয় যে, হে আল্লাহ এটা আমাকে খুব তাড়াতাড়ি দিয়ে দাও। দেয়াতে তাড়াহুড়া করার অর্থ হল, দোয়া করে কেন এখনো দোয়া কবুল হলো না, এমন ভাবনা নিয়ে ক্লান্ত হয়ে দ য়া করা ছেড়ে দেয়া।

আরো পড়ুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম | তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম

৪। অন্তরের উদাসীনতা

মুখে দোয়া করে আর যদি দোয়ার প্রতি অন্তর উদাসীন থাকে, তাহলে দোয়া কবুল হয় না। অর্থাৎ যে দোয়া করে সে শুধু মুখে মুখে দোয়া করে, কিন্তু দোয়া কবুল হবে এমন দৃঢ় আশা, বিশ্বাস বা আল্লাহর প্রতি আস্থা নাই (নাউযুবিল্লাহ)! যেমন হাদীসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “দ,য়া কবুল হবে এই দৃঢ় বিশ্বাস রেখে তোমরা দোয়া করবে এবং জেনে রাখ আল্লাহ কোনো উদাসীন অন্তরের প্রার্থনা কবুল করেন না।” তিরমিজী, হাকেম, হাদীস সহীহ, সিলসিলাহ সহীহাহঃ ৫৯৪।

অতএব দোয়ায় যা কিছু বলা হবে, তার প্রতি অন্তরের একনিষ্ঠ ভাব থাকতে হবে। মুখে যা বলা হল, মন তার কিছুই বুঝল না। আবার অন্তর বুঝল ঠিকই, কিন্তু তার কথার প্রতি একাগ্রতা ছিল না, মনে ছিল অন্য চিন্তা-ভাবনা। তাহলে এ দোয়াকে বলা হবে উদাসীন অন্তরের প্রার্থনা। যা আল্লাহ কবুল করেন না।

৫। ব্যক্তিত্বের এক বিশেষ ধরনের দুর্বলতা

কিছু চারিত্রিক ত্রুটির কারণেও দোয়া কবুল করা হয়না। যেমন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তিন ব্যক্তি এমন যে তাদের দোয়া কবুল করা হয় না।

১. যে ব্যক্তির অধীনে দুশ্চরিত্রা নারী আছে কিন্তু সে তাকে তালাক দেয় না ২. যে ব্যক্তি অন্য লোকের কাছে তার পাওনা আছে কিন্তু সে তার স্বাক্ষী রাখেনি ৩. যে ব্যক্তি নির্বোধ ব্যক্তিকে সম্পদ দিয়ে দেয় অথচ আল্লাহ বলেন, “তোমরা নির্বোধ লোকদেরকে তোমাদের সম্পদ দিও না।” হাকেম ও তাহাবী, হাদীস সহীহ, সহীহুল জামিঃ ৩০৭৫। উপরোক্ত বিষয়গুলো যদি আপনার মাঝে যদি থাকে তাহলে এখন থেকে পরিহার করুন ইনশাআল্লাহ আপনার সকল দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন। প্রিয় পাঠক এবার চলুন জেনে নেই দোয়া কবুল হওয়ার কি কি শর্ত রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ মাহে রমজান ২০২২ | রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২২

কিভাবে বুঝব দোয়া কবুল হয়েছে

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করব দোয়া কবুল হওয়ার লক্ষণ অর্থাৎ কিভাবে বুঝবেন যে আপনার দোয়া কবুল হয়েছে এবং দোয়া কবুল হওয়ার শর্ত গুলো কি কি। এছাড়াও কিভাবে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয় ও দোয়া করার আদব এই বিষয়গুলি সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে দেখবেন। আশাকরি এই আর্টিকেলটি থেকে আপনারা উপকৃত হবেন। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক আমাদের আজকের আলোচনা। 

বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করুন — দোয়া করার শুরুতে প্রথমে কয়েকবার ইস্তেগফার পাঠ করে নিবেন। কারণ আমরা গুনাগার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গুনাহ করে থাকি তাই অবশ্যই দোয়া করার শুরুতে কয়েকবার ইস্তেগফার পাঠ করে নিবেন। 

আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা করুন  এরপর হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা করবেন, দোয়া করার আগে এবং পরে অবশ্যই দরুদ শরীফ পড়বেন। কারণ দরুদ শরীফ সবসময় কবুল করা হয় সুতরাং আপনি যদি দোয়ার আগে এবং পরে দরুদ শরীফ পড়েন তাহলে এর মাঝখানে থাকা অর্থাৎ এর মাঝখানে আপনি যা দোয়া করবেন ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা তা কবুল করবেন।

মনোযোগ সহকারে মনোবল রেখে দোয়া করুন  এরপর হচ্ছে খুব মনোযোগ সহকারে আল্লাহর দিকে সম্পূর্ণ মনোবল রেখে দোয়া করবেন এবং মনে এই বিশ্বাস রাখবেন যে আপনার দোয়া কবুল হয়েছে। কবুল হওয়ার নিয়তে সব সময় দোয়া করবেন। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা কবুল হওয়ার পূর্ণ আস্থা নিয়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করো। তোমরা জেনে রাখবে যে, আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয়ই অমনোযোগী ও অসাড় মনের দোয়া কবুল করেন না। হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে তিরমিজি শরীফের ৩৪৭৯ নম্বর হাদিসে।

এই হাদীস থেকে আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারলাম যে, আমরা যখনই দোয়া করব মনোযোগী হয়ে কবুল হওয়ার বিশ্বাস নিয়ে দোয়া করব। কারণ বোখারী শরীফের ৭৪০৫ নাম্বার হাদিস বর্ণিত হয়েছে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন আমি সেরকমই যেরকম বান্দা আমার প্রতি ধারণা করে। 

আরো পড়ুনঃ জুম্মা মোবারক স্ট্যাটাস | জুম্মা মোবারক স্ট্যাটাস বাংলা

সুতরাং আল্লাহ তালার উপর পূর্ণ আস্থা রেখেই কবুল হওয়ার নিয়তে নিজের সমস্ত চাওয়া গুলো চাইবো আর বলবো হে আল্লাহ একজন ভিক্ষুক যখন এক বাড়িতে যায় সেই বাড়িতে ভিক্ষা না পেলে সে অন্য বাড়িতে যায়, সে বাড়িতে যদি সে ভিক্ষা না পায় তাহলে সে আরেক বাড়িতে যায়। এভাবে সেই ভিক্ষুক কয়েকবার বাড়িতে ঘুরতে থাকে। কিন্ত আপনি ছাড়া আমার চাওয়ার কোন জায়গা নেই এবং আমার যাওয়ারও কোনো রাস্তা নেই। সুতরাং আপনি আমাকে ফিরিয়ে দিয়েন না হে প্রিয় মালিক। এইভাবে আপনারা দোয়ার করবেন। 

এরপর আজকের মূল বিষয়ে অর্থাৎ দোয়া কবুল হওয়ার লক্ষণ। একদিন হযরত মালেক বিন দিনার রহমাতুল্লাহি কে অনার সাথিরা প্রশ্ন করলেন আমরা দোয়া করি কিন্ত বুঝতে পারিনা আমাদের দোয়া কবুল হয়েছে কিনা, কিভাবে বুঝব আমাদের দোয়া কবুল হয়েছে। তখন মালেক বিন দিনার রহমাতুল্লাহি আলাইহি উত্তর দিলেনঃ

কিভাবে বুঝব দোয়া কবুল হয়েছে

১। যখন দোয়া করার সময় আপনার মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি হবে এবং অন্তরের গভীরতা থেকে দোয়ার শব্দগুলো বের হবে ২। দোয়া করার সময় আল্লাহর ভয়ে শরীরের লোমগুলো দাঁড়িয়ে যাবে ৩। দুচোখ থেকে অশ্রু ঝরে ঝরে পড়বে ৪। আর আল্লাহর কাছে চাওয়ার সময় আগ্রহ সৃষ্টি হবে ৫। দোয়া করার সময় নিজের মাঝে অনুভূত হবে এবং দোয়া করতে ভালো লাগবে তাহলে বুঝে নিবেন আপনার দোয়া কবুল হয়েছে। 

অনেকেই দোয়া করার সময় অমনোযোগী থাকেন, অন্তর থেকে দোয়া আসে না রুটিন মাফিক কোনো মতে দোয়া করেন। সে দোয়া করার সময় আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন যে, আপনি কিভাবে দোয়া করেছেন, কতটা উদারতা হয়ে দোয়া করেছেন, কতটা গভীর থেকে দোয়া করেছেন। একটু ভেবে দেখুন তাহলে আপনি নিজেই উত্তর পাবেন। 

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চোখের পানি ছেড়ে কেঁদে কেঁদে দোয়া করো, যদি চোখে পানি না আসে তাহলে কান্নার ভান করো। কারণ আল্লাহ তায়ালার কাছে বান্দার চোখের পানি খুবই পছন্দ। দোয়া কবুল হওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে যেমনঃ হালাল খাবার খেতে হবে, হালাল উপার্জন করতে হবে, হারামকে ত্যাগ করতে হবে, গুনাহ থেকে বিরত থাকতে হবে। 

আপনি একদিকে পাপে লিপ্ত রইলেন অপরদিকে দোয়া করতে থাকলেন বিষয়টা একটু ভেবে দেখুন কেমন দাড়ালো। তেলের সাথে পানি মেশালে গাড়ি কি বেশি দূর যেতে পারে নিশ্চয়ই না, তেমনি ভাবে পাপের সাথে লিপ্ত থাকে দোয়া করলে সে দোয়াও কিন্তু বেশি যায়না আসমানে উঠেনা। অনেকে বোন আছেন যারা ফেসবুকে ছবি দেন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম গুলোতেও ছবি দেন। আপনারা একে তো পর্দা করেন না আল্লাহর ফরজ বিধান মানেন না তার উপর নিজেদের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে ছেলেদের দেখার সুযোগ করে দিয়ে 24 ঘন্টার পাপের মাঝে রয়েছেন। 

তো এবার আপনি একটু ভেবে দেখুন একদিকে আপনি পাপ করছেন অন্যদিকে দোয়া করেছেন এতে কি হতে পারে। বান্দা যখন দোয়া করেন তখন সেই দোয়ার বদলে আল্লাহ তায়ালা তিনটি প্রতিদানের একটি দিয়ে থাকেন ১। দুনিয়াতে তার তার চাওয়া পূরণ করে দেন, দ্বিতীয়ত হচ্ছে সেই দোয়ার বদলে যে কোন বিপদ থেকে হেফাজত করেন এবং তৃতীয়তঃ সেই দোয়ার বদলে আল্লাহ তায়ালা আখিরাতের অ্যাকাউন্টে তার জন্য সওয়াব রেখে দেন। 

তো যেসব ভাই ও বোনেরা পাপে লিপ্ত রয়েছেন আপনারা একটু ভেবে দেখুন তো, আপনার এই পাপের পরিমাণ নেকি কি আপনার আছে। আপনার দোয়ার বদলে হতে পারে আল্লাহ তায়ালা সেজন্যই আখিরাতের অ্যাকাউন্টে নেকি রেখে দিচ্ছেন। কারণ আল্লাহই ভালো জানেন কিসে আপনার কল্যাণ আর কিসে আপনার অকল্যাণ। 

সতরাং সবসময় নিজেকে পাপ থেকে বিরত রাখবেন। এছাড়াও সবসময় বাবা মাকে খুশি রাখার চেষ্টা করবেন তাদেরকে কোন রকম কষ্ট দিবেন না এবং সর্বদা দান সদকা করার বেশি বেশি চেষ্টা করবেন। প্রিয় পাঠক আশাকরি এই পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করে জানাবেন।

আরো পড়ুনঃ ইসলামের ইতিহাস | ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি

পোষ্ট ক্যাটাগরি: