জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম ও দাম কত টাকা জেনে নিন

সম্মানিত পাঠক, আশা করি আপনি অনেক ভালো আছেন। আপনাকে টেকনিক্যাল কেয়ার বিডি -তে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্টে আমি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তর কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্টটি শুরু করে দেয়া যাক।

জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম

গত কয়েকবছর আগেও জ্বর একটি মারাত্মক রোগ হিসেবে পরিচিত মনে হলেও বর্তমানে জ্বরকে আমরা আর রোগ বলে পাত্তাই দেইনা। কারণ জ্বরের জন্য এখন তৈরি হয়ছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ এবং এন্টিবায়োটিক। তবে হ্যাঁ জ্বরকে পুরোপুরি সাধারণ ভাবে নিলে চলবে না।

কারণ জ্বর মূলত এখন বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে বড় বড় রোগের লক্ষণ হিসেবেও শরীরে জ্বর হয়ে থাকে। তাই আমাদের সকলের উচিত সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এবং রোগ সম্পর্কে সচেতন থাকা। পরিষ্কার থাকলে নানা প্রকার রোগ থেকেও মুক্ত থাকা যায়।

জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম ও দাম সম্পর্কে জানতে চান অনেকেই। সাধারণত জ্বর প্রায় প্রত্যেক মানুষের হয়ে থাকে। তবে এই জ্বর কখনো কখনো অনেক ভয়ের কারণ হয়ে দাড়ায়। শরীরে জ্বরের মাত্রা বেশি পরিমাণে দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত একজন ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। তবে অল্প জ্বর বা স্বাভাবিক তাপমাত্রা সাধারণত প্রাথমিক ভাবেই চিকিৎসা দিয়ে ভালো করা যায়।

যদি জ্বর এর পরিমাণ বেশি দেখা যায় তবে সেই বিষয়টি অনেক চিন্তার কারণ হয়ে যায়। তাই অতিসত্বর বেশি মাত্রায় জ্বরের সময়য় ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা অত্যাবশ্যক। তবে জ্বরের মাত্রা বেশি হলে ডাক্তাররা যে ঔষধগুলো রোগীদেরকে দিয়ে থাকেন। সেই সকল ঔষধ বা জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট গুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করতে যাচ্ছি। সুতরাং আজকে আমাদের আলোচনার মূল বিষয় হচ্ছে জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম

(toc) #title=(এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা পড়ুন)

এন্টিবায়োটিক কি ও কাকে বলে?

এন্টিবায়োটিক কি

অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল ড্রাগ হল এমন এক ধরণের ঔষধ যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। এই ঔষধ মানুষ কিংবা পশুর দেহে প্রয়োগ করা হলে এটি শরীরের ব্যাকটেরিয়া গুলোকে মেরে ফেলে কিংবা এদের বংশবিস্তার রোধের মাধ্যমে রোগ নিরাময় বা ভালো করে।

অনেক সময় দেখা যায় ডাক্তার রোগীকে উচ্চ জ্বরের জন্য এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন। যাদের শরীরে দীর্ঘ দিন যাবত অল্প অল্প জ্বর থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ের ঔষধ খেয়েও জ্বর ভালো হয়না। তাদের শরীরে জ্বর ভালো করার জন্য সর্বশেষ চিকিৎসা হিসেবে ডাক্তাররা এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট প্রদান করেন।

তবে হ্যাঁ উচ্চ জ্বরের জন্য রোগীকে জ্বরের জন্য কোন এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট প্রদান করেন তা নিয়েই আমাদের আজকে এই আলোচনায় বলবো। অর্থাৎ আপনি আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম। এই বিষয়ে জানতে লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন:

জ্বরের ট্যাবলেট এর নাম

নিম্নে কয়েকটি জ্বরের ট্যাবলেটের নাম উল্লেখ করা হল:

  • নাপা - Napa
  • নাপা এক্সটেন্ড - Napa Extend
  • নাপা এক্সট্রা - Napa Extra
  • ফাস্ট - fast
  • ফাস্ট প্লাস - fast plus
  • এইস - Ace
  • এইস প্লাস - Ace plus
  • Excel
  • Excel Plus

অ্যান্টিবায়োটিক সতর্কতা: শুধুমাত্র বি,এম,ডি,সি রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন মোতাবেক অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন, ব্যাবহার অথবা বিক্রি করতে হবে। রেজিস্টার্ড ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন মোতাবেক অ্যান্টিবায়োটিকের সম্পূর্ণ কোর্স সম্পন্ন করতে হবে এবং নির্দেশিত মাত্রার ঔষধ, নিদিষ্ট দিন পর্যন্ত সেবন করতে হবে। ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ সেবন করিবেন না।(alert-error)

জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম

জ্বরের জন্য সবচেয়ে ভালো এবং দ্রুত কাজ করে এমন কয়েকটি এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

  • এরিথ্রোমাইসিন (Erythromycin)
  • এজিথ্রোমাইসিন (Azithromycin)
  • অ্যামোক্সিসিলিন (Amoxicillin)
  • সেফিক্সিম (Cefixime)
  • ডক্সিসাইক্লিন (Doxycycline)
  • সেফট্রিয়াক্সন (Ceftriaxone)
  • সিপ্রোফ্লোক্সাসিন (Ciprofloxacin)
  • Bactin 500 mg
  • cibact 500 mg
  • Quinox 500 mg
  • Neofloxin 500 mg
  • Floxabid 500 mg
  • Flontin 500 mg
  • Ciprox 500 mg
  • Cipro-A 500 mg
  • Beuflox 500 mg

এগুলো হল জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট। এসকল ঔষধ খাওয়ার পর আপনার জ্বর ভালো করতে খুব বেশি সময় লাগবে না। অর্থাৎ জ্বরের এই এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট গুলো গ্রহণ করার কিছুক্ষণের মাঝে আপনার জ্বর কমতে শুরু করবে এবং শরীরের দুর্বলতা ভালো হয় যাবে।

জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

যদি আপনি সাধারণের ঔষধের মতো এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করতে চান তবে অবশ্যই এটি আপনার জন্য ভুল সিদ্ধান্ত হবে স্বাস্থ্যের জন্যে। কারণ আপনি যদি অবশ্যই জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট খেতে চান তবে আপনাকে কিছু নিয়ম অনুসরণ করে জ্বরের এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে। কেননা যদি আপনি ইচ্ছেমতো কোনো নিয়ম না অনুসরণ করে জ্বরের এন্টিবায়োটিক সেবন করেন তবে এটি আপনার স্বাস্থ্যহানি করবে। কারণ এন্টিবায়োটিক ঔষধের শক্তি বেশি হয়ে থাকে যা দ্রুত রোগ প্রতিরোধ করে এবং সঠিক নিয়ম না অনুসরণ করলে পার্শ্ববর্তীক্রিয়া দেখা দেয়।

জ্বর যদি ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্টি হয়, তবে আমাদের এন্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন হয়। তবে হ্যাঁ এন্টিবায়োটিক কতদিন ধরে ব্যবহার করতে হবে তার একটি একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। প্রত্যেক এন্টিবায়োটিক এর একটি নির্দিষ্ট কোর্স আছে। আপনাকে অবশ্যই এন্টিবায়োটিক এর কোর্স পূরণ করতে হবে।

ডাক্তাররা বয়স ভেদে এবং শারীরিক অবস্থা ভেদে সাধারণত কোর্স নির্ধারণ করে দেন। সাধারণত এন্টিবায়োটিক ঔষধের কোর্স ছয় থেকে সাতটি ট্যাবলেটে নির্ধারণ হয়ে থাকে। এন্টিবায়োটিক এর ধরণ অনুযায়ী কোর্সের মাত্রা আলাদা আলাদা হতে পারে। সুতরাং এন্টিবায়োটিক সেবন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপ্নন হবেন। নিচে কিছু জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট সেবনের কিছু পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়েছে।

বিভিন্ন ঔষধ সেবন করার যেমন আছে নিয়ম ঠিক এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট সেবনের ও আছে কিছু নিয়ম। যেগুলো অবশ্যই অনুসরণ করা উচিত, কারণ প্রতিটি ঔষধের কোন না কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। তাই ঔষধ নিজের ইচ্ছে মতো বা অনিয়মিত সেবন করার কারনে আপনার শরীরে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখাতে দিতে পারে। এমন কি সবচেয়ে বড় ঝুকিতে পরতে পারেন।

তাই সকলের উচিত সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট গুলো খাওয়া। চলুন জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধ গুলোর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিচে জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট গ্রহণের নিয়মসমূহ উল্লেখ করা হলো:

১। এজিথ্রোমাইসিন (Azithromycin): এই ট্যাবলেটটি প্রতিদিন ১ বার করে মোট সাতদিন খেতে হবে।

২। এরিথ্রোমাইসিন (Erythromycin): বাচ্চা বা অপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে 50mg করে প্রদান করতে হবে এবং দিনে ৪ বার। মনে রাখবেন এই এন্টিবায়োটিক ঔষধ একটি শিশুকে সাতদিনের বেশি সময় ধরে খাওয়ানো উচিত না। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য প্রতিদিন একটি ট্যাবলেট খেলে হয়ে যাবে।

৩। ডক্সিসাইক্লিন (Doxycycline): একজন অপ্রাপ্ত বা শিশু বাচ্চার জন্য এই ট্যাবলেটটি ব্যবহার করা উচিত না। এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য দিকে একটি ক্যাপসুল খেলে হয়ে যাবে।

৪। অ্যামোক্সিসিলিন (Amoxicillin): দিনে ৩-৪ বার মোট সাত দিন।

৫। সেফিক্সিম (Cefixime): কমপক্ষে প্রতিদিনে এক থেকে দুই বার মোট সাত দিন।

উপরোক্ত বিষয়গুলো হল কিছু সাধারন নিয়ম। যে নিয়মগুলো আপনি অনুসরণ করে আপনাকে জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট গুলো খেতে হবে। আমার মনে হয় এই সকল নিয়ম মেনে চলা খুব বেশি কঠিন কাজ নয় বরং আপনি খুবি সহজে এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে জ্বরের এন্টিবায়োটিক সেবন করতে পারবেন। যেহেতু এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে তাই আপনাকে সকল নিয়ম মেনে জ্বরের এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে।

আরো পড়ুন: অ্যাপোলো হাসপাতাল কলকাতা ডাক্তার লিস্ট

বয়স্কদের জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম

১। এরিথ্রোমাইসিন (Erythromycin):

প্রাপ্ত বয়স্ক: ১-২ গ্রাম প্রতিদিন বিভাজিত মাত্রায় সেব্য।

শিশু: ৩০-৫০ মি.গ্রা./কেজি/দিন

বিভিন্ন কারণে ঔষধের মাত্রার তারতম্য হতে পারে। ডাক্তার যেভাবে পরামর্শ দিবেন বা দিয়েছেন ঠিক সেভাবে ঔষধ গ্রহণ করুন। আপনার প্রেসক্রিপশনের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।

জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম স্কয়ার

জ্বর হলে ডাক্তাররা স্কয়ার কোম্পানির নিম্নোক্ত তিনটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তা হল:

  • সেফ-৩
  • Zimex 250 mg
  • Zimex 500 mg
  • জিম্যাক্স ৫০০
  • সিপ্রোসিন ৫০০

জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম

সাধারণত শরীর ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে সর্দি সমস্যা দেখা দেয়। আবার শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে তাপমাত্রার বৃদ্ধি পেলে তখন জ্বর হয়। এছাড়াও কাশির সমস্যা দেখা যায় গলাতে কিছু প্রবেশ করার ফলে। তবে হ্যাঁ এসকল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি ফার্মেসিতে বিভিন্ন ঔষধ আপনি পেয়ে যাবেন।

তবে আমরা লেখার এই অংশে উল্লেখ করেছি জ্বর সর্দি কাশির অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম। যে ট্যাবলেট গুলো খেলে আপনি উপরোক্ত সমস্যাগুলো থেকে অতি দ্রুততার সাথে সমাধান পেয়ে যাবেন। সুতরাং এই ট্যাবলেটগুলোর নাম জেনে রাখা আপনার জন্য অনেক ভালো হবে। নিচে কয়েকটি জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম উল্লেখ করা হলো।

  • AZ 250 mg
  • AZ 500 mg
  • Azin 500mg
  • Adiz 500 mg
  • Zimex 250 mg
  • Zimex 500 mg
  • Azin 250 mg
  • Adiz 250 mg

বাচ্চাদের জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম

ছোট এবং বড় সকলের জন্য জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধ আছে। তবে হ্যাঁ ছোটদের জন্য আলাদা এন্টিবায়োটিক ওষুধ রয়েছে। যেগুলো ডাক্তাররা প্রদান করে থাকেন। তবে হ্যাঁ আপনার পরিচিত কারোর বাচ্চা বা নিজের কোনো বেবির অনেক বেশি জ্বর হয়ে থাকে তবে তার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ আপনি কিনতে পারবেন। তবে বাচ্চাদের জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধ কোনটি ক্রয় করবেন সেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ গুলোর নাম আমরা এখানে উল্লেখ করেছি। সেই সাথে কোন ঔষধ কিভাবে গ্রহণ করবে তাঁর সংক্ষিপ্ত ধারণা তুলে ধরবো। বাচ্চাদের জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • Adiz 500 mg
  • Azin 250 mg
  • Azin 500mg
  • Zimex 250 mg
  • ওডাজিথ সিরাপ (Odazyth)
  • জিম্যাক্স সিরাপ (Zimax)
  • এ সি ই সিরাপ (Ace)
  • রেনোভা (Renova)
  • ভেরিক্সিম (Verixim)
  • Azin 15 ml
  • Azin 30 ml
  • Azin 50 ml
  • AZ 20 ml
  • AZ 35 ml
  • AZ 50 ml
  • Adiz 15 ml
  • Adiz 35 ml
  • Adiz 50 ml
  • AZ 250 mg
  • AZ 500 mg

উপরোক্ত ঔষধগুলো বাচ্চাদের খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই ভালো একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন এবং প্রয়োজন উপদেশগুলো গ্রহণ করে বাঁচাকে ঔষধগুলো সেবন করান।

আরো পড়ুন: এলার্জির ঔষধ এর নাম | এলার্জি ঔষধ এর নাম

বাচ্চাদের জ্বরের এন্টিবায়োটিক খাওয়ার নিয়ম

1. Adiz 500 mg: শিশুদের জন্য মাত্ৰা: ৬ মাস বা তার বেশি বয়সের শিশুদের জন্য Azithromycin প্রতিদিন ১০ মি.গ্রা. প্রতি কেজি ওজন হিসাবে দিতে হবে পর পর তিন দিন। বিকল্প মাত্রা হিসেবে প্রথম দিনে ১০ মি.গ্রা. প্রতি কেজি ওজন হিসেবে এবং পরবর্তী চারদিন ৫ মি.গ্রা. প্রতি কেজি ওজন হিসেবেও Azithromycin দেয়া যেতে পারে। ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এজিথ্রোমাইসিন ব্যবহারে নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বিভিন্ন কারনে ঔষধের মাত্রার তারতম্য হতে পারে। ডাক্তার যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন ঠিক সেভাবে ঔষধ গ্রহন করুন। আপনার প্রেসক্রিপশনের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।

কাশির ট্যাবলেট এর নাম

  • Brolyt 4mg
  • Sedno 5mg
  • Encilor 10mg
  • Acorex 15mg
  • Ascorel SR 50mg
  • Ambrox 75 SR
  • Keto A 100
  • Fexo 120
  • Axodin 180

সর্দির ঔষধ এর নাম

  • Ace +
  • Napa Extend
  • Antibiotic
  • Deslor
  • Fexo 60
  • Flamex 400
  • Histalex
  • Histachine
  • Metril
  • Neocilor

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়

অনেকেই আছেন যারা তাদের শরীরে জ্বর হলেও তার ডাক্তারের কাছে যেতে চান না সেক্ষেত্রে তারা জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় জানতে চান এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে জ্বর কমানোর চেষ্টা করে থাকেন। কিভাবে আপনি জ্বরকে ঘর উপায়ে ভালো করবেন তা নিয়ে এই অংশে আলোচনা করেছি। অতএব নিচে কিছু প্রয়োজনীয় পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়েছে, যে পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার জ্বর ভালো করতে পারবেন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে জ্বর কমানোর উপায়গুলো উল্লেখ করা হলো।

  • মধু
  • আদা পিছে খেতে পারেন
  • জ্বর কমাতে আদা চা করে খেতে পারেন
  • ভিটামিন
  • তুলসী পাতা
  • দারচিনি
  • ধনে বীজ
  • তরল খাবার
  • বিশ্রাম নিতে হবে
  • জ্বর কমাতে মাথায় পানি পট্টি দিতে পারেন

উপরোউক্ত উপাদানগুলো সেবন করলে এবং নিয়ম অনুসরণ করলে আপনি আপনার জ্বর এক নিমিষেই ভালো করতে পারবেন।

আরো পড়ুন: হিজামা: হিজামা কি - হিজামার উপকারিতা ও অপকারিতা

এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

দেখা যায় অনেকেই কোন নিয়ম না অনুসরণ করেই কিংবা ডাক্তারের কোন প্রকার পরামর্শ না মেনেই এন্টিবায়োটিক ঔষধ খেয়ে থাকেন। যার ফলে এন্টিবায়োটিক ঔষধ গুলো শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। সুতরাং ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কখনোই এন্টিবায়োটিক সেবন করা উচিত নয়। চলুন জেনে নেই এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার ফলে শরীরে কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

  1. মাথা ব্যথা
  2. মাথা ঘোরা
  3. পেটে ব্যথা
  4. ডায়রিয়া
  5. ত্বকের লাবণ্য হারানো
  6. বমি হওয়া বা বমি ভাব
  7. স্বাদের পরিবর্তন
  8. কোষ্ঠকাঠিন্য

উপরোক্ত লক্ষণ গুলো ব্যতীত আরো বিভিন্ন লক্ষণ এন্টিবায়োটিক সেবন করার ফলে দেখা দিতে পারে।

আরো পড়ুন: টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ট্যাবলেট

জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর দাম কত

একেক জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট দাম একেক রকক হয়ে থাকে। তবে জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেটগুলো সাধারণত সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫ টাকা বা এরবেশি পর্যন্ত ও হয়ে থাকে।সাসপেনশন আকারে কিছু ঔষধ আছে যেগুলোর ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। যেমন ধরুন একটি ট্যাবলেট রোমাইসিন এন্টিবায়োটিক এর দাম মাত্র ৩৫ টাকা। এছাড়া এই মূল্যে আরো অনেকগুলো এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট কিনতে পাওয়া যায়।

জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয়

আমাদের প্রতেকের শরীরে অনেক ব্যাকটেরিয়া আছে যেগুলোর কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া এবং কিছু আছে অপকারী। তবে হ্যাঁ এন্টিবায়োটিক ঔষধগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করার কারণে আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে।

এন্টিবায়োটিক ওষুধ অতিরিক্ত সেবনের ফলে শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স সৃষ্টি হয়, যার কারনে যে অ্যান্টিবায়োটিক গুলি প্রয়োজনের সময়তেও কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এন্টিবায়োটিক ঔষধ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সেবন করার কারণে গ‍্যাস্ট্রো সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, এছাড়াও লিভার এবং কিডনি ড্যামেজ করে দিতে পারে।

আরো পড়ুন:

চিকেন পক্স হলে কি গোসল করা যাবে

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়

আলকুশি পাউডার খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

লেখকের সর্বশেষ কথা

আজকে আমি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম সহ বিভিন্ন ঔষধ নিয়ে আলোচনা করলাম। আজকের আর্টিকেল সম্পর্কিত আপনার আরো কোনো বিষয়ে জানার থাকলে অথবা আমাদেরকে জানাতে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আশা করি আজকের এই লেখা থেকে জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। লেখাটি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার পরিচিত জনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ 

পোষ্ট ক্যাটাগরি: