বাংলাদেশের সেরা কীটনাশক কোম্পানির তালিকা ২০২৪: কৃষকদের পছন্দ

হাসিবুর
লিখেছেন -

আসসলামু আলাইকুম, আপনি হয়তো কীটনাশক কোম্পানির নাম বা কীটনাশক কোম্পানির নামের তালিকা লিখে গুগলে সার্চ করছেন। তাই গুগল থেকে পোস্টটি আপনার সামনে চলে আসছে। আজকে আমরা এখানে ২০২৪ সালের বাংলাদেশের সেরা কীটনাশক কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করলাম।

বাংলাদেশের বাজারে যেসকল কোম্পানি খুব নামের সাথে তাদের কীটনাশক বিক্রি করে আসছে আমরা মূলত তাদের সম্পর্কে লিখেছি। এখানে উল্লেখ করা ছাড়াও আরো অন্যান্য অনেক কোম্পানি আছে তারাও অনেক ভালোমানের কীটনাশক বিক্রি করে থাকেন। এখানে তুলে ধরা কোম্পানি আমি আমার নিজের মতো করে রাখছি কারণ আমার চোখে তাদের পণ্যের গুণগত মান অনেক ভালো মনে হয়েছে।

বাংলাদেশের সেরা কীটনাশক কোম্পানির তালিকা

বাংলাদেশের কৃষি খাতে কীটনাশক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও ফসলের সুরক্ষার জন্য কীটনাশকের ব্যবহার অপরিহার্য। বাংলাদেশে বেশ কিছু কীটনাশক কোম্পানি রয়েছে যারা উচ্চমানের পণ্য সরবরাহ করে কৃষকদের সাহায্য করছে। এই কোম্পানিগুলি বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক তৈরি ও বিতরণ করে যা ফসলের বিভিন্ন কীটপতঙ্গ ও রোগ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। নিচে বাংলাদেশের কীটনাশক কোম্পানির তালিকা দেয়া হলো, যারা বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

(toc) #title=(সুচিপত্র)

২০২৪ সালে বাংলাদেশে সবচেয়ে বিশ্বস্ত কীটনাশক কোম্পানির তালিকা

২০২৪ সালে বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো কীটনাশক কোম্পানির তালিকা নিম্নরূপ:

  • সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেড
  • এসিআই ক্রপ কেয়ার
  • ইনতেফা
  • বায়ার
  • অটো ক্রপ কেয়ার
  • করবেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড
  • সেমকো কর্পোরেশন লিমিটেড
  • হেকেম বাংলাদেশ লিমিটেড
  • ন্যাশনাল এগ্রি কেয়ার
  • স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড
  • মিমপেক্স এগ্রোকেমিক্যালস লিমিটেড
  • এমিন্যান্স কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড
  • ম্যাকডোনাল্ড বাংলাদেশ (প্রাঃ) লিমিটেড

এছাড়াও, আরও অনেক ছোট বড় কোম্পানি রয়েছে যারা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে কীটনাশক সরবরাহ করে।

১। সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেড

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পার্টনারশীপ এবং অধিগ্রহণের মাঝেই সিনজেনটা ৫০ বছরেরও অধিক সময়ের সমৃদ্ধ ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। সিনজেনটা এজি সুইজারল্যান্ডের বাসেল ভিত্তিক একটি কৃষি রসায়ন সংস্থা এবং বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কৃষি সংস্থা। ২০০০ সালে নোভার্টিস এগ্রো বিজনেস এবং অ্যাস্ট্রা জেনেকা এগ্রোকেমিক্যালস এক হয়ে সিনজেনটা প্রতিষ্ঠিত হয়।

কীটনাশক কোম্পানি সিনজেনটা

সিনজেনটা বাংলাদেশ-এর ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে সিবা-গেইগি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে, যা ১৯৭০ সালে সিবা এবং গেইগি একীভূত হওয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়।

পরবর্তীতে সিবা-গেইগি সানডোজের সাথে একীভূত হয়ে ১৯৯৬ সালে নোভার্টিস হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর ৪ বছর পর ২০০০ সালে নোভার্টিস এগ্রো বিজনেস এবং অ্যাস্ট্রা জেনেকা এগ্রোকেমিক্যালস আবার একীভূত হয়ে সিনজেনটা প্রতিষ্ঠা হয়।

বাংলাদেশের কৃষিপণ্য এবং কৃষি-সমস্যা সমাধানের কথা আসলেই সিনজেনটা বাংলাদেশ-এর নাম সবার আগে চলে আসে। এটি একটি যৌথ উদ্যোগের পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, যেখানে ৬০ শতাংশ শেয়ার সিনজেনটা এজি সুইজারল্যান্ডের এবং ৪০ শতাংশ শেয়ার বিসিআইসি (বাংলাদেশ কেমিক্যাল শিল্প কর্পোরেশন) এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের হাতে রয়েছে।

ঢাকার ধানমন্ডিতে সিনজেনটা বাংলাদেশ-এর প্রধান কার্যালয়। এছাড়াও সারাদেশে সিনজেনটা বাংলাদেশের তিনটি বিভাগীয় অফিস, এগারোটি আঞ্চলিক অফিস রয়েছে। সেই সাথে, চটগ্রামে একটি ফসল সুরক্ষা ফর্মুলেশন প্লান্ট, বগুড়ায় একটি বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্ট এবং বগুড়া, যশোর, গাজীপুর চট্টগ্রামে চারটি সাইট অফিস রয়েছে।

এছাড়াও বগুড়ায় একটি অত্যাধুনিক লার্নিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট সেন্টার রয়েছে, যেখানে সিনজেনটা-এর কর্মচারী, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ী, কৃষক, পেশাদার স্প্রে ম্যান এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে সিনজেনটা বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার উর্ধ্বমুখী চাহিদা মেটাতে টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছে। আর বাংলাদেশের কৃষকদের শস্য উৎপাদনে সহায়তা করার জন্য সিনজেনটা বাংলাদেশ সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আরও জানুন: সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশকের নাম

ক্ষুদ্র চাষীদের ফসলের ফলন, উৎপাদন ও গুণগত মান বাড়ানোর জন্য উচ্চমানের বীজ, রোপণ প্রযুক্তি এবং ফসল রক্ষা বিষয়ক সমাধান আনার মাধ্যমে চাষীদের জন্য বিভিন্ন উপযোগী অফার প্রতিনিয়ত দিয়ে আসছে। এছাড়াও সিনজেনটা বাংলাদেশ কীটনাশকের নিরাপদ প্রয়োগের কথা বিবেচনায় রেখে বেশকিছু প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করে থাকে।

যোগাযোগ

  • সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেড
  • ৫ম তলা, গ্রীণ রওশন আরা টাওয়ার
  • ৭৫৫ সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫, বাংলাদেশ
  • ফোন:  +৮৮ ০২ ৪৮১১৯৯১১-৩
  • ফাক্স:  +৮৮ ০২ ৯১৩৪২৬৩

২। এসিআই ক্রপ কেয়ার

এসিআই বাংলাদেশের অন্যতম সেরা কোম্পানি। এটি পূর্ব পাকিস্তান আমলে ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মিঃ এম আনিস উদ দৌলা এই সংস্থার মালিক। এটি বর্তমানে তিনটি বিভাগের সাথে কাজ করে। বিভাগগুলি ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্রাহক ব্র্যান্ড এবং কৃষি শিল্প সম্পর্কিত। কৃষি খাতের উন্নয়নের জন্য অবদান রেখে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এসিআই ক্রপ কেয়ার

বর্তমানে এসিআই গ্রুপের অধীনে এখন কোম্পানির সংখ্যা প্রায় ২৫টি। মানুষের ওষুধ, পশুর ওষুধ, সার, কীটনাশক, কৃষি পণ্য, ভোগ্যপণ্য, খাদ্যপণ্য, নিত্য ব্যবহার্য পণ্য, কৃষি ও বাণিজ্যিক যান, মোটরসাইকেল ইত্যাদি খাতে ব্যবসা রয়েছে তাদের।

আপনার ফসলের সমস্যার সমাধানের জন্য এসিআই ক্রপ কেয়ার এর কীটনাশক চোখ বুঝে কিনতে পারেন। কেননা তা যেকোনো পণ্য বাজারে ছাড়ার পূর্বে এ সি আই ক্রপ কেয়ার কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবে পণ্যটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা নিরীক্ষা ও যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে, এরপর মাঠ পর্যায়ে ট্রায়াল বা পরীক্ষা সফল হলেই বিক্রির জন্য বাজারজাত করা হয়। আরেকটি সুবিধা হল এই কোম্পানির কীটনাশকের দাম অনুযায়ী কাজ অনেক ভালো হয়।

আরও জানুন: ধানের মাজরা পোকা দমনের কীটনাশক

এ সি আই গ্রুপের মোট বার্ষিক পণ্য বিক্রি দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। ২০১৭–১৮ অর্থবছরে পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত এসিআই-এর দুই প্রতিষ্ঠানের বিক্রি ছিল ৬ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। এছাড়া এসিআই প্রায় ১০ হাজারের মতো কর্মীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।

যোগাযোগ

  • এ সি আই সেন্টার, ২৪৫ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮, বাংলাদেশ.
  • হেল্প লাইনঃ ০৯৬০-৬৬৬-৬৬৬৯
  • ইমেইল: info@acicropcare.com, ccph@aci-bd.com
  • ওয়েবসাইট: acicropcare.com

৩। ইনতেফা

ইনতেফা, বাংলাদেশের প্রথম সারির কৃষি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি অনন্য নাম। ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু তাদের। কৃষকের সেবায় ও কৃষির উন্নয়নে সুনামের সাথে মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করে ইতোমধ্যে কৃষকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে ইনতেফা।

ইনতেফা

কল্যাণে অঙ্গীকারাবদ্ধ এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশের কৃষক ভাইদের উন্নতির জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে ইনতেফা। আমাদের লক্ষ্য আধুনিক ও মানসম্পন্ন পরিবেশবান্ধব পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে কৃষক ভাইদের আশাতীত ফলন নিশ্চিত করা।

গুটিকয়েক নিবেদিত প্রাণ নিয়ে যাত্রা শুরু করে ইনতেফা পরিবারের সদস্য সংখ্যা আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয়শ’র উপরে। মাঠে-ঘাটে স্টকিস্ট, রিটেইলার ও চাষী ভাইদের অক্লান্ত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন প্রায় ৪৫০ জন বিক্রয় প্রতিনিধি। তাঁদের সর্বাক্ষণিক সহযোগীতা করে যাচ্ছেন প্যাকিং প্লান্ট ও সেলস সেন্টারের প্রায় ৮০ জন লজিস্টিকস কর্মী। সর্বোপরি সমস্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় নিবেদিত আছেন হেড অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ।

নিরবিচ্ছিন্নভাবে মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে সাভারের অদূরে আশুলিয়া-তে রয়েছে ইনতেফা-র প্যাকিং প্লান্ট। এখানে প্রায় ২০০ কর্মী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন মাঠ পর্যায়ে পণ্য সরবরাহ সচল রাখতে। প্যাকিং এ তাঁরা ব্যবহার করছেন আধুনিক স্বয়ংক্রিয় ও আধা-স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি।

আরও জানুন: ইনতেফা কীটনাশক তালিকা

পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে ইনতেফা বরাবরই আপসহীন। তাই অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরীতে পণ্য নিয়মিত যাচাই-বাছাই করে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা হয় ইনতেফা-র পণ্যের। আপনার ফসলের যেকোন সমস্যার সমাধানের জন্য নিশ্চিন্তে ইনতেফার পণ্য ক্রয় করতে পারেন।

যোগাযোগ

কর্পোরেট অফিস

  • গ্রীণ সাতমহল, ২০৬-২০৮, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ
  • মেইল; info@intefa.com.bd
  • ফোন: +880-2-222222518
  • ফাক্স: +880-2-8319469
  • ওয়েবসাইট: www.intefa.com.bd

রেজিস্টার্ড অফিস

৪৯১, ওয়্যারলেস রেলগেট, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ

হটলাইন নম্বর

  • +880-1308-979881 (কৃষি বিষয়ক সমস্যায়)
  • +880-1308-979882 (মৎস্য চাষের সমস্যায়)
  • +880-1308-979883 (ডিস্ট্রিবিউটরদের সহায়তায়)

যোগাযোগের সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা। সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্রবার) ও সরকারী ছুটি ব্যতীত

৪। বায়ার

বায়ার বাংলাদেশ (Bayer Bangladesh) একটি বিখ্যাত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি যা বিশ্বব্যাপী কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা এবং ভোগ্যপণ্য খাতে কাজ করে। বায়ার এজি (Bayer AG) কোম্পানির একটি শাখা হিসেবে, বায়ার বাংলাদেশ দেশটির কৃষি খাতে উদ্ভাবনী সেবা সরবরাহ করে থাকে।

বায়ার কোম্পানির কীটনাশক

বিশ্বব্যাপী, Bayer হল একটি লাইফ সায়েন্স কোম্পানী যার ১৫০ বছরেরও বেশি ইতিহাস এবং স্বাস্থ্যসেবা ও কৃষিক্ষেত্রে মূল দক্ষতা রয়েছে। বায়ারের উদ্ভাবনী পণ্যগুলির মাধ্যমে, আমরা আমাদের সময়ের কিছু প্রধান চ্যালেঞ্জের সমাধান খুঁজে পেতে অবদান রাখছি।

Bayer CropScience Limited Bangladesh হল বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (BCIC) এবং Bayer AG-এর মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ। বায়ার কর্তৃক এভেন্টিস ক্রপসায়েন্সের বিশ্বব্যাপী অধিগ্রহণের পর কোম্পানিটি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশে কাজ করছে। Bayer Bangladesh- এর সদর দপ্তর ঢাকা, এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম শহর এবং ১৫ মিলিয়নেরও বেশি লোকের বাসস্থানে অবস্থিত।

গত দুই দশক ধরে - Bayer এই অঞ্চলের ক্ষুদ্র কৃষকদের কৃষি উৎপাদনশীলতা এবং জীবিকা উন্নত করতে কৃষক এবং মূল স্টেকহোল্ডারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। বায়ার বাংলাদেশ দেশের ধান, ভুট্টা এবং সবজির জন্য উচ্চ মানের ফসল সুরক্ষা পণ্যের পাশাপাশি হাইব্রিড বীজের একটি প্রধান সরবরাহকারী।

আরও জানুন: বাংলাদেশের সেরা ১০ ঔষধ কোম্পানি ২০২৪

কোম্পানির প্রায় ১১০ জন কর্মচারী দেশে কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনের উন্নতির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মধ্যে ৭০ জন কর্মচারী নিবেদিতপ্রাণ কৃষিবিদ যারা কৃষকদের মিথস্ক্রিয়া (একে অপরের আচরণ দ্বারা প্রভাবিত হওয়া এবং আচরণগত বৈচিত্র্যের পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়াকে মিথস্ক্রিয়া বলে) এবং গ্রাহক পরিষেবা বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করেন।

যোগাযোগ

  • বায়ার ক্রপ সায়েন্স লিমিটেড
  • ঠিকানা: Bangladesh Masum Plaza (5th to 7th Floor), Plot # 13, Road # 15, Rabindra Sarani, Sector #3, Uttara, Dhaka-1230
  • ফোন: +8802-48954020, +880-2-48955403, +880 1841444135
  • ফাক্স: 48955403, 48955418, Dhaka, Bangladesh
  • মেইল: zahidul.islam@bayer.com, syedsarwar.moorshid@bayer.com
  • ওয়েবসাইট: bayer.com

৫। অটো ক্রপ কেয়ার

ফ্ল্যাগশিপ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অটো ক্রপ কেয়ার লিমিটেড, অটো ইকুইপমেন্ট লিমিটেড হিসাবে ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের শীর্ষ দুটি কৃষি কেমিক্যাল কোম্পানির একটি। এই কোম্পানিটি বাংলাদেশের ফসলের অংশের উপর দৃঢ় ফোকাস রেখে তাদের ব্যবসা শুরু করেছে।

অটো ক্রপ কেয়ার

ধীরে ধীরে, অটো ক্রপ কেয়ার লিমিটেড (ACC) এর বীজ এবং খামার যন্ত্রপাতি বিভাগের সাথে সম্মিলিত ভাবে এগ্রি কেয়ার পণ্যের বিস্তৃত পরিসর অফার করে বাংলাদেশের কৃষকদের একটি সম্পূর্ণ খামার সমাধান প্রদানের জন্য অনুসরণ করছে।

অটো ক্রপ কেয়ার লিমিটেড আমেরিকা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, সিঙ্গাপুর এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে ফসল সুরক্ষার কেমিক্যাল আমদানি করে, তাদের নিজস্ব ফর্মুলেশন এবং রিপ্যাকিং প্ল্যান্টে ছোট প্যাকিং করে এবং কৃষকদের পর্যায়ে বাজারজাত করে।

হার্বিসাইড, ছত্রাকনাশক, কীটনাশক, পিজিআর, মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস আমদানি ও বাজারজাত করে এবং অন্যদিকে এর বীজ বিভাগ বীজ উৎপাদন ও গুণ বৃদ্ধির পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল ধান, ভুট্টা এবং সবজির বীজ বাজারজাতকরণের সাথে জড়িত।

অটো ক্রপ কেয়ার সাধনা সমগ্র বাংলাদেশের কৃষকদের অগ্রগতি। সেজন্য তারা কৃষকদের ঘনিষ্ঠভাবে দেখে থাকে এবং তাদের এগিয়ে নিয়ে যায়। কোম্পানিটি ৫৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জনাব কাজী এএফএম জয়নুল আবেদিন, যিনি ১৯৬৫ সালে অটো ক্রপ কেয়ার কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকে, সারা দেশে ১২টি শাখা সহ একটি সত্যিকারের দেশব্যাপী সম্পূর্ণ কৃষি সমস্যা সমাধান ব্যান্ডে পরিণত হয়েছে।

আমরা বর্তমানে, প্রায় ৮০০০ জন লোকের কর্মীবাহিনী নিয়ে গ্রুপ QA নামে একটি একক ছাতার অধীনে বিতরণ এবং উৎপাদন ধরণের ব্যবসায় নিযুক্ত একটি বহু-বিষয়ক ব্যবসায়িক সংগঠন। অটো ক্রপ কেয়ারের কৃতিত্বেে জন্য, ফসল সুরক্ষা রাসায়নিক, হাইব্রিড বীজ, স্বয়ংচালিত খুচরা এবং আনুষাঙ্গিক, পাওয়ার টুলস এবং সরঞ্জাম, কৃষি যন্ত্রপাতি, তৈরি পোশাক এবং ভোক্তা আইটেমগুলির ক্ষেত্রে একটি সফল ট্র্যাক-রেকর্ড রয়েছে।

যোগাযোগ

  • NILUFAR HEIGHTS, B52 Kemal Ataturk Avenue, Banani, Dhaka 1213, Bangladesh
  • ফোন: ০৯৬১২ ১৩০১৩০
  • মেইল: info@accl.group-qa.com
  • ওয়েবসাইট: www.autocropcare.com

৬। করবেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড

বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর অর্থনীতি যেখানে সাধারণ জনসংখ্যার ৫০% কৃষিতে নিয়োজিত এবং দেশের জিডিপির ১৫%। ১৯৯৫ সালে, জমির প্রকৃতি ভিন্ন ছিল। সে সময়, কীটনাশক, বীজ এবং সারের মতো কৃষি পণ্যগুলি নিম্নমানের ছিল, যা টেকসই উপকরণ দিয়ে তৈরি ছিল না। তখনকার সময় এগুলো কৃষকদের কাছে সহজলভ্য ছিল না এবং ব্যয়বহুল ছিল। এছাড়াও এসকল পণ্য, প্রযুক্তি এবং উপকারিতা সম্পর্কে কৃষকদের জ্ঞানের অভাব ছিল।

কৃষকদের সাথে কথা বলে এবং এই বিষয়গুলো প্রথমে আবিষ্কার করার পর, করবেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড চালু করার সুযোগ দেখেছিল।  ১৯৯৫ সাল থেকে, করবেল কোম্পানির লক্ষ্য হল কৃষকদের উচ্চমানের, কম খরচে এবং টেকসই কৃষি পণ্য সরবরাহ করা যা সহজেই ক্রয় ও ব্যবহার করতে পারে। করবেল কোম্পানির দর্শন হল কৃষকদের ক্ষমতায়ন করা যাতে তারা ফসল ফলাতে এবং একটি সবুজ বাংলাদেশ অর্জনে সহায়তা করে।

করবেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কীটনাশক, সার, বীজ এবং জলজজাত পণ্যের মতো কৃষি-পণ্য আমদানি ও বিক্রয়ে বিশেষজ্ঞ। আপনার ফসলের যেকোন ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য করবেল এর কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন নিশ্চিন্তে।

করবেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড

করবেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড তার কার্যক্রমে উচ্চমানের পরিষেবা প্রদান করে এবং বিশ্বব্যাপী বিশাল গ্রাহক বেস গড়ে তুলেছে। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের সনদপত্র অর্জন করেছে যেমন ISO সার্টিফিকেশন।

করবেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি প্রদান করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

যোগাযোগ

  • সদর দপ্তর: ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ঠিকানা: 49, Old Airport Road, Tejgaon, S.R Tower (5th floor), Dhaka, Bangladesh
  • ফোন: +88 02 2222 46998, 02-9114613
  • মেইল: info@corbelbd.com
  • ওয়েবসাইট: www.corbelbd.com

৭। নাফকো গ্রুপ (সেমকো কর্পোরেশন লিমিটেড)

NAAFCO গ্রুপটি ১৯৮৪ সালে তার যাত্রা শুরু করে যার প্রতিষ্ঠাতা দূরদর্শী উদ্যোক্তা এবং প্রয়াত চেয়ারম্যান জনাব এম শামসুল হুদা। কৃষি ব্যবসায় তিন দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতার সাথে NAAFCO গ্রুপ ফসলের পুষ্টি, উদ্ভিদ সুরক্ষা, বীজ, মানব স্বাস্থ্য, পশু পুষ্টি ও স্বাস্থ্য, ভোক্তা পণ্য এবং পরিবেশের অন্যতম বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রতিটি ব্যবসায়িক ইউনিটের নিজস্ব প্রণয়ন এবং উৎপাদন সুবিধা রয়েছে এবং সমস্ত দেশব্যাপী বিতরণ, বিপণন এবং রসদ দ্বারা সমর্থিত। সেমকো কর্পোরেশন লিমিটেড নাফকো গ্রুপের একটি  প্রতিষ্ঠান।

সেমকো

৮। হেকেম (বাংলাদেশ) লিমিটেড

Haychem (Bangladesh) Limited (HBL) হল Hayleys Agriculture Holdings Ltd-এর একটি শতভাগ সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে নিবন্ধিত। বাংলাদেশে এর যাত্রা শুরু হয় ১ লা এপ্রিল ১৯৯৮ থেকে। Haychem বাংলাদেশ লিমিটেড ২০০৮ সাল থেকে কৃষি কেমিক্যালের নিজস্ব বিতরণ ব্যবসা শুরু করেছে।

এই অল্প সময়ের মধ্যে এটি বাংলাদেশী কৃষকদের মধ্যে একটি মর্যাদাপূর্ণ এবং মানসম্পন্ন কৃষি পণ্য সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে। এখন এর মার্কেট শেয়ার ৫% এর উপরে এবং দিন দিন বাড়ছে। HBL এর ভৌগলিকভাবে দেশের ৭০% এর বেশি উপস্থিতি রয়েছে এবং প্রায় ৬০০ ডিস্ট্রিবিউটর বজায় রেখেছে।

২০ বছর আগে যখন বাংলাদেশ তার কৃষি খাতের উন্নতির জন্য এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন একজন তরুণ কৃষিবিদ এসআইএইচএম মুসফিকুর রহমান কৃষি বিপ্লবে যোগ দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া থেকে তার এমবিএ শেষ করার পর, তিনি তার দেশকে সাহায্য করার উপায় খুঁজছিলেন। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার বিশ্বখ্যাত হেইলিস পিএলসিও কৃষি খাতে টেকসই উন্নতির জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ছিল যা উভয় দেশকে সাহায্য করবে।

আরও জানুন: কীটনাশকের নাম ও ব্যবহার pdf

যেহেতু তাদের লক্ষ্য ছিল একই হেইলিস মিঃ মুসফিককে তাদের বাংলাদেশী উদ্যোগের প্রথম কান্ট্রি ম্যানেজার নিযুক্ত করেন। মিঃ মুসফিকুর তার স্বপ্ন পূরণের জন্য হেইলিসের সাথে কাজ করার কথা বলেছিলেন; ২০ বছর পর যা এখন বাস্তবতা - হেকেম (বাংলাদেশ) লিমিটেড, আজকের বাংলাদেশী কৃষি সেক্টরের একটি প্রধান খেলোয়াড় এবং এটি তার শীর্ষ মানের পণ্যের জন্য বিখ্যাত।

অসুবিধা ছিল কিন্তু বিদেশী এবং স্থানীয় সহকর্মীদের সহায়তায় মিঃ মুসফিক হেকেমকে বাংলাদেশের কৃষি খাতে একটি বিশিষ্ট ব্র্যান্ড এবং অগ্রগামী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। হেকেম পরিবারের প্রত্যেক সদস্য একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যা কোম্পানির উদ্বোধনকে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং একই উদ্দেশ্য নিয়ে হেকেম শুধু কৃষি ব্যবসায় নয়, বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও এগিয়ে যাচ্ছে।

কীটনাশক কোম্পানি তালিকা

বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি পরিচিত কীটনাশক কোম্পানি রয়েছে যারা কৃষিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক প্রস্তুত ও বাজারজাত করে। নিচে কিছু প্রধান কীটনাশক কোম্পানির তালিকা দেওয়া হল:

ক্রমিক নং কোম্পানির নাম
১. সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেড
২. এসিআই ক্রপ কেয়ার
৩. অটো ক্রপ কেয়ার
৪. ইনতেফা
৫. বায়ার
৬. করবেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড
৭. হেকেম বাংলাদেশ লিমিটেড
৮. মিমপেক্স এগ্রোকেমিক্যালস লিমিটেড
৯. এমিন্যান্স কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড
১০. ম্যাকডোনাল্ড বাংলাদেশ (প্রাঃ) লিমিটেড
১১. ন্যাশনাল এগ্রি কেয়ার
১২. সেমকো কর্পোরেশন লিমিটেড
১৩. স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড

কীটনাশক কোম্পানির নামের তালিকা

কিছু পরিচিত কীটনাশক কোম্পানির নামের তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

  • Agritech
  • Auto Crop Care Limited
  • ACI Formulations Limited
  • Alpha Agro Limited
  • Bayer CropScience Limited
  • BASF Bangladesh Limited
  • Bangladesh Agricultural Industries
  • Corbel Chemical Industries Ltd.
  • Delco Agro Industries
  • Digital Crop Solution
  • Dhaka Crop Care
  • D.M Crop Care Ltd
  • Eon Agro Industries Limited
  • Eminence Chemical Industries Ltd
  • E H & Agrovet Limited
  • FMC Chemical International AG
  • Green Care Bangladesh
  • General Agro Chemicals Limited
  • GME Agro Limited
  • Gurpukur Corporation
  • Genetica
  • Hossain Enterprise C.C.Limited
  • Hazi Abdul Hakim Sawdagor
  • Intefa
  • Integrated Crop Care Bangladesh
  • Integrated Crop Solution Bangladesh
  • Indofil Bangladesh Industries Pvt. Ltd.
  • K S Agro Crop Care
  • Lark International
  • Larsen Chemical Industries (Pvt) Ltd.
  • Mamun Agro Products Limited
  • McDonald Bangladesh (Pvt) Limited
  • MAP Agro Industries Limited
  • Mimpex Agrochemicals Limited
  • Mosco Marketing Company
  • Marshal Agrovet Chemical Industries Ltd
  • Nokon Limited
  • Naafco (Private) Limited
  • Northern Crop Care Limited
  • Oroni International Limited
  • Orbit Agro Industry
  • Prime Ago Limited
  • Padma Agro Sprayers Co.
  • Roza Agro
  • Reximco Insecticides Limited
  • Raven Agro Chemicals Limited
  • Reximco Chemical Industries
  • Rajib Agro Chemicals Limited
  • SARK Bangladesh
  • Shetu Pesticides Ltd
  • Shetu Corporation Limited
  • Sea Trade Fertilizer Limited
  • Syngenta Bangladesh Limited
  • Square Pharmaceuticals Limited
  • Sun Seed Pesticides
  • Star Particle Board Mills Ltd
  • Sabir Fertilizer & Chemical Complex Ltd
  • Supreme Seed Company
  • Shochho Bangladesh
  • Siam Crop Care
  • Sadik Agrochemicals Co.
  • Surovi Agro Industries Ltd
  • Safi Agro
  • Sweet Agrovet Limited
  • The Limit Agroproducts Limited
  • Smart Agrovet
  • Valent Tech Limited

উপসংহার

উপরে উল্লেখ করা কোম্পানিগুলি তাদের গুণগত মানের পণ্য এবং সেবা প্রদানের মাধ্যমে কৃষকদের আস্থা অর্জন করেছে। তাদের উৎপাদিত কীটনাশকগুলি ফসলের ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে, যার ফলে ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হন। এছাড়া, এই কোম্পানিগুলি কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি এবং গবেষণার মাধ্যমে নতুন পণ্য উদ্ভাবন করে থাকে যা বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

সর্বোপরি, এই সেরা কীটনাশক কোম্পানিগুলির কার্যক্রম বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তাদের প্রচেষ্টা ও উদ্ভাবনগুলি কৃষকদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।

ব্লগ ক্যাটাগরি: