থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয় | থাইরয়েড কমানোর উপায়

অনেকেই জানতে চান থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়। বাংলাদেশে প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তাই এই অসুখ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মানুষ জন, তার মধ্যে আক্রান্তের বেশিরভাগ সংখ্যা নারীদের এবং হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত বেশি।

শরীরের মধ্যে গলার কাছে প্রজাপতি আকৃতির একটি গ্রন্থি রয়েছে, এই গ্রন্থি থেকেই বের হয় থাইরয়েড হরমোন। এই থাইরয়েড হরমোন শরীরে বিপাকক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে।

আমাদের আজকের এই পোস্টে, আপনারা জানতে পারবেন থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়, থাইরয়েড কি কারনে হয়, থাইরয়েড কমানোর উপায়, থাইরয়েড হলে বাচ্চা হয় কিনা, পুরুষদের থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয় এবং থাইরয়েড নিয়ে অন্যান্য কিছু বিষয় ও তথ্য। তো পুরো পোস্টটি পড়ে জেনে নিন থাইরয়েড সংক্রান্ত সকল তথ্য। আসুন প্রথমেই জেনে নেই, থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়?

(toc) #title=(সুচিপত্র)

থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়

থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়

থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়? মূলত হরমোনের ঘাটতিই থাইরয়েড যা সাধারণত আয়োডিনের অভাব থেকে হয়ে থাকে। আমাদের শরীরের জন্য থাইরয়েড হরমোনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। এই নির্দিষ্ট মাত্রা থেকে কম বা বেশি হরমোন উৎপাদিত হলেই শরীরের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে।

শরীরে থাইরয়েড হরমোন কম উৎপন্ন হলে তাকে বলা হয় হাইপোথাইরয়েডিজম এবং বেশি উৎপন্ন হলে তাকে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম। আপনার শরীরে থাইরয়েডের সমস্যা আছে কিনা তা কিছু লক্ষণের মাধ্যমে প্রকাশ পাবেন, থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়, যেমনঃ

  • হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যাওয়া/ওজন কমে যাওয়া
  • ক্লান্তি
  • অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা
  • চুল পড়া
  • শরীরের পেশির জয়েন্টে দুর্বলতা ও যন্ত্রণা
  • ঘনঘন যেকোন কিছু ভুলে যাওয়া
  • মনে রাখতে না পারা
  • ঋতুস্রাবের সমস্যা
  • অবসন্নতা

শরীরে থাইরয়েডের এই সমস্যাগুলো দেখা দিলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। থাইরয়েড সমস্যার সম্মুখীন হলে এই লক্ষণ গুলো লক্ষ্য করতে পারবেন। থাইরয়েডের সমস্যা দুই ধরনের হাইপারথাইরয়েডিজম ও হাইপোথাইরয়েডিজম।

আরো পড়ুনঃ কি খেলে থাইরয়েড ভালো হয় - থাইরয়েড কি খেলে ভালো হয়

হাইপারথাইরয়েডিজম এর লক্ষণগুলি হলো

শরীরে বেশি থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন হলে শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়া প্রবাহিত হতে থাকে। বেশি থাইরয়েড উৎপাদন হলে একে বলে হাইপারথাইরয়েডিজম। এ অবস্থায় শরীর খুব দ্রুত শক্তি ব্যবহার করে যার ফলে:

  • শরীরে ক্লান্তি অনুভূত হয়
  • হৃদস্পন্দনের হার বেড়ে যায়
  • দ্রুত ওজন কমে যায় এবং মানুষ নার্ভাস হয়ে পড়ে
  • ঠান্ডা তাপমাত্রা সহ্য হয় না
  • ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়
  • ঘুমাতে সমস্যা হওয়া
  • উদ্বেগ, বিরক্তি এবং স্নায়ুদৌর্বল্য অনুভব করা
  • বৃদ্ধি পাওয়া থাইরয়েড গ্রন্থি অথবা গলগন্ড
  • মহিলাদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিকের অভিজ্ঞতা বা আপনার মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যাওয়া
  • দৃষ্টি সমস্যা বা চোখের জ্বালা
  • পেশী দুর্বলতা এবং কম্পন থাকা
  • তাপের প্রতি সংবেদনশীল বোধ করা

উপসর্গ দেখা যায় এই হাইপারথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত হলে।

আরো পড়ুনঃ ঘুমের ওষুধ এর নাম | ঘুমের ঔষধের নাম কি

হাইপোথাইরয়েডিজম এর লক্ষণগুলো হলো

হাইপোথাইরয়েডিজম হচ্ছে শরীরে থাইরয়েড গ্রন্থি যখন খুব কম থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন করে, মূলত এটাই হাইপোথাইরয়েডিজম। তখন শরীরে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যেমন:

  • ওজন বেড়ে যায়
  • ডিপ্রেশনে থাকবেন
  • গলার কন্ঠ বদলে যাবে
  • কোষ্ঠকাঠিন্য হবে
  • মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিকের সমস্যা দেখা দিবে
  • ক্লান্ত বোধ (ক্লান্তি)
  • বিস্মৃতি অনুভব হওয়া
  • মহিলাদের ঘন ঘন এবং বেশী পরিমাণে মাসিক হওয়া
  • কর্কশ কণ্ঠস্বর
  • শুষ্ক ও মোটা চুল থাকা
  • ঠান্ডা তাপমাত্রায় অসহিষ্ণুতা অনুভব করা।
  • প্রচুর ঘুম হবে তারপরও মনে হবে ঘুমের ঘাটতি রয়েছে

উপসর্গ দেখা যায় হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত হলে। অবশ্যই শরীরে অস্বাভাবিক কিছু লক্ষণ দেখলে তা অবহেলা করা ঠিক নয়, ঠিক সময়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া ভালো।

আরো পড়ুনঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির সাপ্লিমেন্ট

থাইরয়েড কি কারণে হয়

আমাদের শরীরে থাইরয়েড এর সমস্যা গুলো মূলত আয়োডিনেরই অভাবেই হয়ে থাকে এবং আরো কিছু কারণও রয়েছে যা শরীরে থাইরয়েড সমস্যার আশঙ্কা জন্মায়।

  • গলায় সার্জারি হয়ে থাকলে থাইরয়েড হওয়ার আশঙ্কা থাকে
  • জেনেটিক কারণে থাইরয়েড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
  • থাইরয়েড সমস্যার জন্য কেউ রেডিও আয়োডিন থেরাপি নিয়ে থাকলে

বাংলাদেশে মূলত এই চারটি কারণেই বেশি লোকজন থাইরয়েড সমস্যায় আক্রান্ত হন।

জেনেটিক বলতে বাবা, দাদা, মা, ভাই এমন কি পূর্বপুরুষের মধ্যে কারো যদি এ সমস্যা হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনার জেনেটিক লিংকেজ থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে এবং সাধারণ কোন ইনফেকশনের জন্য, ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসেরও জন্য হতে পারে। শরীরের থাইরয়েড প্রদাহ হলে হঠাৎ করে গলার ভিতর ব্যাথা অনুভব করবেন, প্রচন্ড ঘেমে যাবেন, শরীরে কাঁপুনি দেখা দিবে এগুলোই হচ্ছে থাইরয়েড প্রদাহের মূল উপসর্গ।

আরো পড়ুনঃ ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা

থাইরয়েড কমানোর উপায়

খাদ্যের মধ্যে কিছু পরিবর্তন আনলে থাইরয়েডের সমস্যা পুরোপুরি দূর না করলেও, তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। শরীরের থাইরয়েড প্রতিস্থাপন থেরাপি কতটা ভাল মতন শোষণ করতে পারে তার উপরে প্রভাব ফেলে। খাদ্যের মধ্যে হচ্ছে আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার (দুধ, ডিম, পনির, লবণ)। খাবারগুলো আবার অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা এতে করে হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে ক্ষতির কারণ হয়ে যেতে পারে।

সেলেনিয়াম, সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে, বাদামি চাল, ডিম, মুরগি, ওটমিল, টুনা এই খাবারগুলো মূলত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ। এবং যেগুলো প্রাকৃতিক ভাবে থাইরয়েড কোষে পাওয়া যায়, থাইরয়েড হরমোনের সংশ্লেষণে ভূমিকা রাখে।

জিংক, জিংক সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে, মুরগি, কুমড়ার বীজ, দই, শস্য এই খাবারগুলো। আবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া কারণ শরীরের বিপাক নিয়ন্ত্রণে থাইরয়েড গ্রন্থি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

ভিটামিন ডি এর অভাবে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে, একমাত্র সূর্যের আলোতে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি প্রস্তুত করে দিতে পারে। তাই দিনে কমপক্ষে যে কোনভাবে ১৫ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকতে পারেন। এতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং শরীরে ভিটামিন ডি প্রস্তুত সহ ক্যালসিয়ামের শোষণ হবে।

  • প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এড়িয়ে চলুন: প্রক্রিয়াজাত খাবার গুলোতে অনেক রাসায়নিক উপাদান থাকে যা থাইরয়েড হরমোন তৈরীকে প্রভাবিত করতে পারে। যেকোনো ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করবে। কারণ এই সকল খাবারে লবণ, চিনি এবং তেলের পরিমাণ বেশি থাকে। যা ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • ক্রুসীফেরাস সব্জি: থাইরয়েড থাকলে বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি আর পালংশাক একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে কেননা এই শাকসব্জিতে গয়ট্রোজেন থাকে যা থাইরয়েড গ্রন্থির আয়োডিন শোষণে বাধা প্রদান করে এবং হাইপারথাইরয়েডিজমকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
  • সোয়া পন্য এড়িয়ে চলুন: সোয়া খাওয়া সীমিত করুন কেননা এটি থাইরয়েড হরমোন তৈরীকে বাধাগ্রস্থ করে। তাই সয়াবিন, সয়ার দুধ, টফুর মতো খাবার পরিমাণ মতো খাওয়াই ভালো।
  • মানসিক চাপ কম করুন: থাইরয়েড রোগ সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ব্যাধিতে মানসিক চাপের অবদান হচ্ছে অন্যতম প্রধান। সেজন্য সক্রিয় হোন, ধ্যান করুন, নিয়মিত যোগ ব্যায়াম চেষ্টা করুন এবং যথেষ্ট পরিমাণ ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
  • ধূমপান বন্ধ করুন: ধূমপান করার সময়ে নির্গত টক্সিন থাইরয়েড গ্রন্থিকে বেশি সংবেদনশীল করে তুলতে পারে যা থাইরয়েড রোগের কারণ হতে পারে।

থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয়না?

যে নারীরা থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত থাকেন তাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, থাইরয়েড হলে কি বাচ্চা হয় না? থাইরয়েডে আক্রান্ত হয়ে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই, এখন উন্নত প্রযুক্তিতে রয়েছে সুচিকিৎসা, যার মাধ্যমে আপনি সুস্থ হয়ে বাচ্চা প্রসবও করতে পারবেন। তবে বিশেষ করে প্রসবের সময় ও সন্তান ধারণের সময় এর প্রভাব বেশি পরিলক্ষিত হয়। তাই সন্তান ধারণের সময় বা সন্তান প্রসবের সময় বিশেষভাবে সতর্ক থাকা উচিত।

নয়তো গর্ভপাত নষ্ট হতে পারে, প্রতিবন্ধী সন্তান, মৃ-ত সন্তান প্রসব, অকালের সন্তান প্রসব এসবের ঝুঁকি থেকে যায়। থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা যেহেতু দুই ধরনের, তাই কম মাত্রার থাইরয়েড হরমোনের রোগীর ক্ষেত্রে ডিম্বানুর গঠন ও পরিপক্কতার সমস্যার কারণে গর্ভধারণের সমস্যা হতে পারে। তাই হরমোনের মাত্রা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে না এনে গর্ভধারণ করা উচিত হবে না। এজন্য সুচিকিৎসার প্রয়োজন, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভধারণ করবেন।

কি খেলে থাইরয়েড ভালো হয়

আমাদের শরীরের ভালো কার্যকারিতার জন্য থাইরয়েড অপরিহার্য। তবে থাইরয়েড যখন কম বা বেশি হরমোন উৎপন্ন করে ফেলে তখন শরীরে দেখা দিতে পারেন নানান সমস্যার। ওষুধ ছাড়াও কিছু খাদ্যভাসে মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে থাইরয়েড। যেমনঃ

  • আমলকিঃ আমলকিতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যার ফলে স্বাভাবিক মাত্রায় থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • নারকেলঃ থাইরয়েড রোগীদের খাবারের মধ্যে অন্যতম খাবার হচ্ছে ডাব বা নারকেল। নারিকেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে চেইন ফ্যাটি এসিড এবং চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড রয়েছে যা অলস বিপাককে উন্নত করতে সহায়তা করে।
  • কুমড়োর বীজঃ কুমড়োর বীজে রয়েছে জিংক, জিংক শরীরের অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজগুলোকে শোষণ করতে সাহায্য করে। থাইরয়েড হরমোন সংশ্লেষণ করে ভারসাম্যকে উন্নত করে।

পুরুষের থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয়

শরীরে থাইরয়েড নামক সমস্যাটি খুবই জটিল সমস্যা। থাইরয়েড সমস্যাটি মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি হলেও তার পাশাপাশি পুরুষদের ক্ষেত্রেও রয়েছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণত হাইপোথাইরয়েডে আক্রান্ত হন বেশি। থাইরয়েড হরমোন টেসটিসের উপর নানাভাবে প্রভাব খাটায়। এই হরমোন নানা কোষের উপর কাজ করে, যথা জার্ম সেল, লেয়ডিগ, সেরটোলি সেল।

  • শরীরের স্পার্ময়ের গুনগত মান খারাপ হয়
  • থাইরয়েড হরমোন শরীরে কম পরিমাণে থাকলে শারীরিক মিলনে অনীহা থাকে
  • ওজন হঠাৎ করে বেড়ে বা কমে যায়
  • কাজ করতে ভালো লাগেনা সব সময় শরীর ক্লান্ত লাগে
  • ঘুম হয়না
  • চুল পড়ে যায় এবং ইরেকটাইল ডিসংফাংশনও হতে পারে

পুরুষের শরীরে হাইপোথাইরয়েড ধরা পরার সাথে সাথেই চিকিৎসা করানো জরুরী, চেষ্টায় থাকতে হবে যেন হরমোন স্বাভাবিক স্তরে চলে আসে। ঠিক সময়ে এর চিকিৎসা না করালে, বন্ধ্যাত্ব আসতে পারে। থাইরয়েডে আক্রান্ত হলে অহেতুক দুশ্চিন্তা না করে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত।

আরো পড়ুনঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির হোমিও ঔষধ

থাইরয়েড হলে কি কি সমস্যা হয় নিয়ে সর্বশেষ

মনে রাখবেন, থাইরয়েড অসুখের কথা নিয়ে মানুষের মধ্যে খুব একটা জানাশোনা নেই। তাই শরীরে এর কোন লক্ষণ অনুভব করতে পারলে অবহেলা না করে, সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিন। ভালো চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। খুব সহজেই থাইরয়েডের হরমোনজনিত অসুখের চিকিৎসা করানো সম্ভব।

এই পুরো পোষ্টের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করেছি থাইরয়েড হরমোনজনিত সমস্যার সকল তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে, আশা করি ভালো ভাবে জানতে পেরেছেন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এবং থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা নিয়ে কোন কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন,আমরা সর্বদাই উত্তর দিতে প্রস্তুত। ভালো থাকবেন,ধন্যবাদ।

এই লেখায় আপনার মতামত দিন

0Comments

Post a Comment (0)