কি খেলে আলসার ভালো হয়

কি খেলে আলসার ভালো হয় - আজকের এই আর্টিকেলে কি খেলে আলসার ভালো হয় এগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনারা যারা জানেন না যে কি খেলে আলসার ভালো হয়, তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট এ কি খেলে আলসার ভালো হয় এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নিই কি খেলে আলসার ভালো হয়।

কি খেলে আলসার ভালো হয়

পেজ সূচিপত্রঃ কি খেলে আলসার ভালো হয়

আপনি যদি জানতে চান কি খেলে আলসার ভালো হয় তাহলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে চলুন দেরি না করে কি খেলে আলসার ভালো হয় এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ভূমিকাঃ কি খেলে আলসার ভালো হয়

আগে আমরা জানবো আলসার কি? আলসার হচ্ছে এক ধরনের ক্ষত বা ঘা। আমাদের পরিপাকতন্ত্রে মানে খাদ্য তৈরিতে এ আলসারের দেখা মিলে। আমাদের পরিপাকতন্ত্রে ক্ষত হলে মনে করবেন যে আলসার হয়েছে। আলসার কি কারনে হয় এটা আগে আমাদের জানা খুব জরুরী। পরিপাকতন্ত্রের বা খাদ্য থলিতে গ্যাস্টিকের পরিমাণ বেড়ে গেলে আমাদের আলসার হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ

এ আলসার একটি মারাত্মক রোগ সৃষ্টির কারণ। সময়মতো আমাদের চিকিৎসা না করলে আমাদের পরিপাকতন্ত্র থেকে বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং তা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব আলসার কি খেলে ভালো হয়, আলসারের খাবার তালিকা, গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীদের খাদ্য তালিকা। তাহলে চলুন আমরা জেনে নিই উক্ত বিষয় গুলোর সম্বন্ধে।

আলসার ভালো করার খাবার

উপরের আলোচনায় কি খেলে আলসার ভালো হয়? এ বিষয়টি সম্পর্কে জানা হয়েছে। আসলে আলসার এমন একটি রোগ যা ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি কিছু খাবার নিয়মিত খেলে আলসার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমাদের পরিপাকতন্ত্রে আলসার হওয়ার পর আমাদেরকে কিছু খাবার নিয়মিত খেতে হবে। এবং কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

আমরা যদি নিয়মিত শাকসবজি খায় তা হলে আমাদের পাকস্থলী তে ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাহলে চলুন জেনে নিই কি কি খেলে আলসার ভালো হয়।

গাজর - গাজরে আছে ভিটামিন এ । এবং আমাদের পাকস্থলীর বদ হজম করতে সাহায্য করে। আমরা যদি নিয়মিত গাজর খায় তাহলে আমাদের পাকস্থলী তে আলসারের হাত থেকে ঝুঁকি কমাবে।

মুলা - আমরা এটা আগে থেকেই জানি মুলা আমাদের শরীরের পাকস্থলীতে হজম করতে সাহায্য করে। এতে পাকস্থলীতে কোন ব্যাকটেরিয়া জন্মানো দূর করে। মুলা আমাদের শরীরের জন্য একটি কার্যকারী খাদ্য।

ফুলকপি - ফুলকপিতে আছে সালফোরাফেন নামে একটি উপাদান যা আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। গবেষণা করে দেখা গেছে যে প্রতিদিন দুইবার করে সাত দিন ফুলকপি তাহলে 78% আলসারের ঝুঁকি কমায়।

বাঁধাকপি - বাঁধাকপিতে আছে ভিটামিন ইউ। যা আমাদের শরীরের আলসারের ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই আমাদের বাঁধাকপি নিয়মিত খেলে আলসার ভালো হয়ে যাওয়ার 90 পারসেন্ট আলসার ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আপেল - আমরা দৈনন্দিন জীবনের প্রায় অনেকে আপেল খায়। কিন্তু আপেলের গুনাগুন কি তা আমরা জানিনা। আলসার রোগীদের জন্য আপেল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদেরকে প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে আলসার ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

মধু - এটি শুধু চেহারা উজ্জ্বল কাজের জন্য ব্যবহার করে তা নয়। এটি আলসারের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আমরা যদি নিয়মিত সকালবেলায় 1 থেকে 2 চামচ মধু খায় তাহলে আমাদের আলসার ভালো হয়েযা সম্ভাবনা থাকে

আলসারের খাবার তালিকা

পেটের আলসারের যদি ভয়াবহ আকার ধারণ করে তাহলে আপনি দ্রুত ডাক্তার দেখান। তবে আমাদের কিছু কিছু খাবার আছে সেগুলোর ডাক্তার খেতে মানা করে কারণ সেগুলো খেলে আলসার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। বা কারও আলসার হয়নি এমন কিছু খাবার খাওয়ার মাধ্যমে পাকস্থলীতে আলসারের লক্ষণ দেখা যায়।

কিছু কিছু খাবার গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ঝাল। এই ঝাল খেলে আলসার তৈরি করে তা নয়। কিন্তু আলসার আছে আলসার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও বেশি রয়েছে। আরেকটি খাবার হচ্ছে লাল মাংস লাল মাংস আমরা বলতে বুঝায় গরু খাসি এগুলোকে। আমাদের মাংস জাতীয় খাবার এসব খাবার আমাদের শরীরে পাকস্থলীতে হজম করতে বেশী সময় নাই।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায়

হজম করতে বেশি অ্যাসিড সাথে বের হয় এতে আলসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো হচ্ছে আলসারের জন্য বেশ উপযোগী খাবার এসব খাবারে আলসার একদম পুরোপুরি ভাবে ভালো না হলেও আলসারের ঝুঁকি কমাবে তাহলে চলুন জেনে নেই কি সেই খাবারগুলো।

কাঁচা পেঁপেঃ আমাদের শরীরে খাবারের  হজম করতে সাহায্য করে এ কাঁচা পেঁপে। আমাদের পরিপাকতন্ত্র যে গ্যাস্টিকের আলসার হয় সেটিও প্রায় ভালো হয়ে যায়। শুধু কাঁচা পেঁপে নয় পাকা পেঁপে গ্যাসের জন্য উপকারী এবং আলসার ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

নারিকেলঃ নারিকেলের থাকে এক বিশেষ ঔষধি গুনাগুন। নারিকেল পেটের আলসারের ভালো হওয়ার জন্য সাহায্য করে। নারিকেল এবং দুধ অথবা নারকেলের জল পান করলে পেটের আলসার নিরাময়ে সহায়তা করে। আপনি চাইলেও নারিকেলের তেল খেয়ে নিতে পারেন প্রতিদিন রাতে এক চা-চামচ নারিকেলের তেল ছেলে আলসার ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নারকেল তেল পেটে সহজে হজম হওয়ার কারণ রয়েছে।

মেথিঃ মিদে এক বিশেষ ঔষধি গুনাগুন থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী একটি খাদ্য এবং ঔষধ বলেও ধরা যায়। পেটের আলসারের নিরাময় সহায়তা করে। আপনি যদি মেথি পাতা সিদ্ধ করে খান তাহলে পেটের আলসার নিরাময়ে সাহায্য করে। এছাড়াও করে মেথি গুঁড়ো করে এক গ্লাস দুধের সাথে খেয়ে নিতে পারেন। আপনি যদি সাদ বাড়াতে চান মেথি সাথে দুই চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। 

বাঁধাকপিঃ বাঁধাকপিতে ভিটামিন ইউ থাকে যা আমাদের শরীরের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এটি রোগ নিরাময়ের জন্য খুব একটি কার্যকারী খাদ্য। বাঁধাকপি এবং আপনি যদি একসাথে কাঁচা খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনি আলসারের হাত থেকে আরাম পেতে পারেন।

গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীদের খাদ্য তালিকা

গ্যাসটিক এটি আমাদের একটি কমন রোগ। এটিকে একটি রোগ বলা যায় না কিন্তু এটি থেকে জীবনের বড় ঝুঁকি দিকে পড়তে হয়। কিছু কিছু বদভ্যাসের কারণে আমাদের এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে এবং গ্যাস থাকে আলসারের সমস্যা হয়। আমরা দৈনন্দিন জীবনে যে খাবারগুলো খায় সেগুলো আমাদের পাকস্থলী তে গিয়ে হজম হতে অনেক সময় লাগে খুব তাড়াতাড়ি হজম না হওয়ার কারণে আমাদের পাকস্থলীতে ব্যথা ক্ষত তৈরি করতে সাহায্য করে।

এতে আমাদের আলসার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় তাই আমাদেরকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে আমাদের পেট সবসময় ফাপা থাকে এবং পেট জ্বালাপোড়া করে গলা ব্যথা করে। ইত্যাদি শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে এই গ্যাস্টিকের কারণে। আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে তাহলে আমরা গ্যাস্টিকের হাত থেকে রক্ষা পাব।

আমরা যে সময় প্রতিদিন খাবার খায় আমাদের দেশ এই সময় প্রতিদিন খাবার পাওয়া যায় অভ্যাস করতে হবে। যেমন ধরেনঃ সকালে যে সময় ভাত খেলেন পরদিন কি সেই সময় খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এবং ভাজাপোড়া কম করে খেতে হবে। আপনারা অনেকেই ভাজাপোড়া খাবার আগে পানি খেয়ে নিন এটা কখনো করবেন না ভাজাপোড়া খাওয়ার আগে কোন পানি পান করবেন না।

আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়

ভাজাপোড়া হওয়ার পর সর্বনিম্ন 30 মিনিট পর পানি খেয়ে নিতে পারে। ভিটামিন সি যুক্ত ফল ও শাকসবজি ইত্যাদি বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। এই সকল খাবারে ভিটামিন থাকে যা আলসার ঘা শুকাতে সাহায্য করে। পরিমাণে পানি পান করা পেটে আলসারের ঝুঁকি কমায়। গ্যাস্ট্রিক আলসার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের খাদ্যাভাস গড়ে তুলতে হবে।

আমাদের খাদ্য নির্দিষ্ট সময় খাওয়া উচিত। পেট কখনো ফাঁকা রাখা উচিত নয় গ্যাস্ট্রিকের সম্ভাবনা থাকতে পারে। এসব কারণে যদি না ভালো হয়ে থাকে তাহলে আপনি দূরত্ব বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে জান।

শেষ কথাঃ কি খেলে আলসার ভালো হয়

আশা করি আপনাদের কি খেলে আলসার ভালো হয় উক্ত বিষয় সম্বন্ধে আলোচনা করতে পেরেছি। উপরিউক্ত নিয়মগুলো তে আপনাদের যদি আলসার ভালো না হয়ে থাকে তাহলে আপনি দূরত্ব বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। এবং চিকিৎসা নিন ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ গুলো নিয়মিত খান। আপনারা যারা কি খেলে ভালো হয় এসব সম্বন্ধে এখনো জানেন নি তারা এখনই উক্ত বিষয়গুলো জেনে নিন। ধন্যবাদ থাকার জন্য আমাদের সঙ্গে।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: