রুটি খাওয়ার উপকারিতা | রাতে রুটি খাওয়ার উপকারিতা

রুটি খাওয়ার উপকারিতা | রাতে রুটি খাওয়ার উপকারিতা — রুটি খাওয়ার উপকারিতা জানলে অনেকেই হয়তোবা ভাতের বদলে রুটি এই খাবেন এখন থেকে। চলুন জেনে নেই রুটি খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি। আমাদের বাংলাদেশ এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আছে যেখানে রুটি খাওয়ার প্রচলন বেশ আছে। তবে কিছু কিছু যায়গায় শুধুমাত্র রুটিই খেয়ে থাকে সেই অঞ্চলের মানুষ ভাত খায়না। আর বিশেষ করে গমের তৈরি রুটিতে রয়েছে অনেক উপকারিতা। 

রুটি খাওয়ার উপকারিতা

গবেষণায় দেখা গেছে যে, গমের মাঝে আছে থায়ামিন, আয়রন, ভিটামিন v6 এছাড়াও বিভিন্ন উপকারি উপাদান আছে। তাই এই গমের রুটি যদি দিনে ২ থেকে ৩ বার করে খেতে পারেন তাহলে শরীরে পেশিকে শক্ত করে তুলতে পারবেন, অঙ্গে থাকা পেশি বৃদ্ধি পায় তখনি যখন প্রোটিনের চাহিদা মিটে। আর রুটিতে রয়েছে যে পরিমাণে প্রোটিন তা শরীরের ভিতরের অংশের যে বিশেষ ঘাটতি আছে তা পূরণ করতে সক্ষম। 

রুটি পেশি গঠনে সাহায্য করে। তাইতো বলা যায় শক্তপোক্ত হতে চাইলে নিয়মিত ৩ টা করে রুটি খান। গমের রুটি খাওয়ার কারণে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দূর করে। গমের বানানো রুটিতে আছে প্রছুর পরিমাণ ভিটামিন v1, v2, v3, v6, v9 এবং ভিটামিন-ই। যা শরীরের ভিতরে বিশেষ ভিটামিনের ঘাটতির অভাব পূরণ করে। আর এইসব গুলা ভিটামিন শরীর গঠনে ভূমিকা রাখে তা বলার উপায় রাখেনা। 

নিয়মিত গমের রুটি খাওয়ার ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইভারের মাত্রা এতো বৃদ্ধি পায় যার ফলে শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ হয়না। তবে বাইরের রুটিতে কিন্তু তেমন কোনো উপকার পাবেন না যেটা গমের রুটিতে পাবেন। এছাড়াও গমের রুটিতে থাকা ভিটামিন e, ফাইভার যা শরীরে ক্যান্সার সেলুলার জন্ম নিতে দেয়না। সেই সাথে টিউমারের মতো রোগ হয়না শরীরে কিংবা এই রোগ শরীরের ধারের কাছেও ঘেষতে দেয়না। 

এছাড়াও গমের তৈরি রুটি খেলে শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠে। শরীরের প্রোটিনের অভাব, ভিটামিনের অভাব কমায় সাথে পেটের রোগ কমাতে ফাইভারের প্রয়োজন হয় বলেই চলে। তাই ডায়েটে রুটি খাওয়া উচিত। 

শরীরে ক্লান্তি দূর করে। যদি সারাদিন অনেক ক্লান্তি থাকে কাজ করে তাহলে দুপুরে লাঞ্চে রুটি খান। রুটিতে থাকা কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার যেগুলো শরীরে ক্লান্তি দূর করে নিমিষেই এনার্জি ঘাটতি পূরণ করে। আর যদি ওজন কমাতে চান তাহলে রাতে ভাতের বদলে রুটি খান। এতে করে ক্যালরি বাড়বে না। রুটি খেলে তাড়াতাড়ি হজম হয় এবং ওজন হ্রাস পায়।

আরও পড়ুনঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার তালিকা

রাতে রুটি খাওয়ার উপকারিতা | রুটি খাওয়ার উপকারিতা

ওজন কমায়ঃ রুটির মাঝে ক্যালোরির পরিমাণ থাকে খুবই কম, তাই রুটি খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়না আর শরীর থাকে ফিট।

চর্বি কমায়ঃ রুটির মাঝে যেহেতু ফ্যাট থাকেনা সেহেতু রুটি খাওয়ার কারণে ফ্যাট অর্থাৎ শরীরে চর্বির হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কমে এবং শরীরে চর্বি কমাতেও সহায়তা করে।

সুগারের মাত্রা ঠিক রাখেঃ রুটির মাঝে গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স নামের উপাদান কম থাকার কারণে রক্তে সুগারের পরিমাণ ঠিকঠাক থাকে। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই হেল্পফুল।

ভিটামিন ও খনিজঃ শরীর সঠিকভাবে গঠন করার জন্য যে সকল ভিটামিন এবং খনিজের প্রয়োজন হয় সেসকল পদার্থ সবই থাকে রুটিতে। তাই রুটি খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে ভিটামিন এবং খনিজের চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে।

অন্যান্য রোগের আশঙ্কা কমায়ঃ রুটি খাওয়ার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো মারাত্মক রোগের আশঙ্কাও হ্রাস পায় অনেক।

হজম ক্ষমতা বাড়ায়ঃ রুটিতে ফাইবার থাকে যা আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। যার কারণে বদহজম, বুক জ্বালার, গ্যাসের মতো শারীরিক সমস্যা থেকে খুবই সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

উপরোক্ত কথাগুলা থেকে জানতে পারলাম রুটি খাওয়ার বেশ উপকারিতা আছে। তাই ভাত কম খেয়ে রুটি খাওয়ার অভ্যাস করুন এতে করে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

আরও পড়ুনঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন কি | টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়

পোষ্ট ক্যাটাগরি:

এখানে আপনার মতামত দিন

0মন্তব্যসমূহ

আপনার মন্তব্য লিখুন (0)