গুগল অ্যাডসেন্স কি? গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়

গুগল অ্যাডসেন্স কি? গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় — যারা টুকটাক ব্লগিং করেন অথবা ব্লগিং করার চেষ্টা করছেন তাদের সকলেই গুগল অ্যাডসেন্স এর কথা শুনেছেন। ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল, অ্যাপস অথবা একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকলে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম যায় সেটাও জানেন। অনেকেই আছেন যাদের ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল আছে তারা নিজেও একটা অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট পাওয়ার আশা করেন।

গুগল অ্যাডসেন্স কি গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার উপায়

আমি এই আর্টিকেলে ইউটিউব চ্যানেলের অ্যাডসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো কথা বলবোনা, আমি কথা বলবো কিভাবে ব্লগে সহজে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে। ইন্টারনেটে গুগল অ্যাডসেন্স টাইপ করে সার্চ করলেই আপনি দেখতে পারবেন বিভিন্ন ধরনের তথ্য! আবার অনেকেই বলেন গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়াটা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার অথবা আবার কেউ বলেন গুগল অ্যাডসেন্স পেলেও সেই একাউন্ট রক্ষা করাটা কঠিন। এছাড়াও অনেকেই পরামর্শ দিয়ে থাকেন গুগল অ্যাডসেন্স এর বিকল্প কিছু খোঁজার! তাছাড়া অনেকেই আছেন যারা হতাশ হয়ে গুগল অ্যাডসেন্স এর নাম করণ করছে সোনার হরিণ! যেমন- আমাদের দেশে সরকারি চাকরিকে বলা হয় সোনার হরিণ।

সত্যি বলতে কি আমি নিজেরও প্রথমে এধরনের ধারণা করছিলাম ইন্টারনেট থেকে তথ্যে পাওয়া ওপর ভিত্তি করে। আমি নিজেই অনেক বিকল্প পন্থা খুঁজেছি! এমনকি আমাজনের CPM অ্যাড বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পর্যন্ত ব্যাবহার করছি। যদিওবা সেগুলো পাওয়াটা গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার চেয়ে কোন অংশে কম না! অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে ভিন্ন বিষয় তাই এটা নিয়ে আমি এই পোস্টে আলোচনা করবোনা।

এছাড়াও আরও কত যে অ্যাড নেটওয়ার্কে চেষ্টা করছি তার সকল নাম গুলো আমার সঠিক স্মরণ নেই! অনেক ভালো মন্দ অ্যাড নেটওয়ার্কে চেষ্টা করেছি! শেষ পর্যন্ত দেখা যায় সেখানে একটার চেয়ে আরেকটার একেক ধরনের কঠিন শর্ত! বিভিন্ন ফোরামেও এই অ্যাড নেটওয়ার্ক গুলোর রিভিউ দেখেছি পড়েছি! শেষ পর্যন্ত ঘুরে ফিরে সকলেই স্বীকার করে গুগল অ্যাডসেন্স হচ্ছে সবদিক থেকে সুবিধাজনক ও ভালো এবং বিশ্বস্ত!

এখন অনেকেই হয়তোবা বলবেন গুগল অ্যাডসেন্স ভালো সে তো আমরা সবাই শুনেছি। ভালো বলেই তো আমার ওয়েবসাইটের জন্য সবার প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট চাই! গুগল অ্যাডসেন্স না পাওয়ার কারণেই তো এদিকে সেদিকে বিভিন্ন অ্যাড নেটওয়ার্কের জন্য চেষ্টা করি। তাই পারলে আপনি নতুন কিছু আমাদেরকে জানান যাতে করে সহজে গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট পাওয়া যায়। এসকল কথা শুনতে শুনতে ক্লান্ত ও হতাশ!

উত্তরঃ জ্বী ভাই আমি আপনার কথা মানছি। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে অবশ্যই আপনি নতুন কিছু জানতে পারবেন যা সচরাচর কেউ আপনাকে বলেনা। তবে আমি আগেই বলে নেই যদিওবা আমার এই ওয়েবসাইটে আপনি নিজেই গুগল অ্যাডসেন্স দেখতে পাচ্ছেন তবুও আমি কোন বিশেষজ্ঞ না বরং নিজেই এখনো বিভিন্ন বিষয়ে শিখে যাচ্ছি। তবে আমি এটুকু বলতে পারি গুগল অ্যাডসেন্স সফলভাবে চালাতে হলে এসকল বিষয়ে গুগলের সকল নীতিমালা গুলোকে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে। কাজেই আপনি বিভ্রান্ত হতে না চাইলে নির্ভরযোগ্য জায়গা থেকেই সঠিক তথ্য জানার প্রয়োজন হবে। 

আরও পড়ুনঃ কিভাবে সহজে দ্রুত ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রভাল পাবেন

তাহলে গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে সঠিক তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে?

আসলে গুগল অ্যাডসেন্স হেল্প লাইন অর্থাৎ অ্যাডসেন্স সাপোর্ট সেন্টারে অ্যাডসেন্স সম্পর্কে সকল তথ্যই উল্লেখ করা আছে। সরাসরি সেখানে আপনি জেনে নিলে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্যটি পেয়ে যাবেন। তবে হ্যাঁ সকল লেখা গুলো পড়তে আপনার অনেক সময়ের প্রয়োজন হবে। আর সেখানে সকল প্রশ্নের সরাসরি উত্তর অবশ্যই পাওয়া যায়না। আপনার অ্যাডসেন্স সম্বন্ধে এমন অনেক ধরনের প্রশ্নই আসে যেগুলোর উত্তর সরাসরি সেখানে উল্লেখ করা নেই। যেসকল প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর সেখানে নেই সেসকল বিষয়ে আপনি অ্যাডসেন্স হেল ফোরামে যখন খুশি, যতখুশি প্রশ্ন করতে পারবেন। সেখানে থাকা কোনো এক্সপার্ট এসে খুব দ্রুত আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিবে।

আমাদের এই ওয়েবসাইটে কোন অনুমাননির্ভর তথ্য প্রদান করা হয়না বরং আমাদের ব্লগে গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে উপকারী বিষয়গুলো আপনাদের সামনে শেয়ার করা হয়েছে। তোহ চলুন কিছু প্রশ্নোত্তরের আলোকে গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে জেনে নেই। গুগল অ্যাডসেন্স কি? গুগল এডসেন্স পাওয়ার সহজ উপায়? গুগল অ্যাডসেন্স নীতিমালা।

গুগল অ্যাডসেন্স কি? কিভাবে অ্যাডসেন্স থেকে আয় করা যায়?

গুগল অ্যাডসেন্স হচ্ছে গুগলের অ্যাড নেটওয়ার্ক প্রোগ্রাম। Google Ads যার পুর্ণনাম হচ্ছে Google Adwords। গুগল অ্যাডওয়ার্ডসের মাধ্যমে গুগল বিভিন্ন কোম্পানির কাছে থেকে যেসকল অ্যাড (ডিসপ্লে অ্যাড) পায় সেগুলো অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে পাবলিশারদের প্রদান করে থাকে। পাবলিশারগণ তাদের ওয়েবসাইটে উক্ত অ্যাডগুলোকে প্রচার করলে এখান থেকে গুগলের যে ইনকাম হয় সেখান থেকে ৬৮% তারা ওয়েবসাইটের মালিকদেরকে দিয়ে থাকে। ওয়েবসাইট বাদেও এই বিজ্ঞাপনগুলো ইউটিউব চ্যানেল ও মোবাইল অ্যাপসে প্রদর্শন করা যায়। তবে তার জন্য ভিন্ন ভিন্ন শর্ত ও নিয়মাবলী প্রযোজ্য। উল্লেখ্য যে গুগল অ্যাডসেন্স হচ্ছে গুগলের ইনকামের সবথেকে বড় উৎস।

আরও পড়ুনঃ অনলাইন থেকে আয় করার সহজ উপায়

ব্লগার ব্লগে বাংলা কনটেন্টে কি গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়া যায়?

জ্বী ব্লগারে বাংলা কন্টেন্টে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়া যায়। আমি নিজেই এটার জলজ্যান্ত উহদারণ! আর এই আর্টিকেলের মূল আলোচনা এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই। ব্লগারে অর্থাৎ Blogspot Subdomain ব্লগেও খুবই সহজে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়া যায়। এটাকে বলা হয় হোস্টেড অ্যাডসেন্স। এমন বাধ্যবাধকতা নাই যে আগে কোন ধরনের টপ লেভেল ডোমেইন যেমন-.com .net .org .info এগুলো নিয়েই শুরু করতে হবে বা ডোমেইন হোস্টিং কিনে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট শুরু করতে হবে।

আমি প্রথমে এই ব্লগ ওয়েবসাইটের অ্যাডসেন্সের জন্য অ্যাপ্লিকেশান করছি আর আপ্রুভ হয়েছে। টেকনিক্যাল কেয়ার বিডি ব্লগ তখন ছিল Blogger Subdomain ব্লগার সাব ডোমেইনে। পরবর্তীতে এখানে কাস্টম ডোমেইন সেট করা হয় এবং অ্যাডসেন্স একাউন্টটি হোস্টেড অ্যাডসেন্স থেকে আপগ্রেড করে নন হোস্টেড অ্যাডসেন্স করা হয়।

ওয়েবসাইটে বাংলা আর্টিকেলে গুগল অ্যাডসেন্স দেয় এটা হচ্ছে বর্তমান সময়ে পুরনো খবর। ২০১৭ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর মাস থেকে গুগল গুগল অ্যাডসেন্স বাংলা কন্টেন্ট ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স পাবলিশার একাউন্ট দেয়া শুরু করেছে।

কিভাবে অ্যাডসেন্স একাউন্ট পাওয়ার জন্য অ্যাপ্লিকেশন করতে হয়?

গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট পাওয়ার জন্য আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই আগে যাচাই করে নিন যে, আপনার সাইটটি গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্যে উপযোগি কি-না। যদি আপনি নিশ্চিত হয়ে থাকেন যে আপনার ওয়েবসাইটি গুগল অ্যাডসেন্স এর প্রোগ্রাম পলিসি এবং টার্মস আন্ড কন্ডিশন সম্পূূূর্ণরূপে অনুসরন করে সাইটটি প্রস্তুত করা হয়েছে তাহলে নির্দিষ্ট ফ্রমটি পূরণ করে সাইন আপ করুন।

তবে যদি আপনি ব্লগার ব্লগে ব্লগস্পট সাব ডোমেইন থেকে হোস্টেড অ্যাকাউন্টের জন্যে আবেদন করতে চান তবে এই ফ্রমের মাধ্যমে আবেদন করা যাবেনা। সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার ব্লগার ব্লগ সাইট থেকে আবেদন করার প্রয়োজন হবে।

আরও পড়ুনঃ ব্লগারদের জন্য ২৫টি প্রয়োজনীয় ব্লগিং টুলস

গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্য অ্যাপ্লিকেশন করার পূর্বে ব্লগের বয়স কতদিন হতে হবে? 

এই ধরনের প্রশ্ন নিয়েই অনেকের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়! কেউ বলে অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য ব্লগের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ছয়মাস আবার কেউবা বলে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য ওয়েবসাইটের বয়স ছয়মাস হওয়ার প্রয়োজন নেই! ব্লগে ভালো মানের কন্টেন্ট হলে ৩-৪ মাসের মধ্যে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়া সম্ভব হয়! তাহলে কে কার কথা বিশ্বাস করবে? এক্ষেত্রে আমি আপনাকে বলবো আমার নিজের অভিজ্ঞতার সব কথা! 

আমি প্রথমে আমার এই টেকনিক্যাল কেয়ার বিডি ওয়েবসাইটের বয়স ৬ মাস পূর্ণ হওয়ার পূর্বে গুগল অ্যাডসেন্স জন্য আবেদন করেছিলাম! তারপর গুগল সেই আবেদনটি রিজেক্ট করে আমাকে ই-মেইল করেছিলো। সেই আবেদন রিজেক্ট হওয়ার যে কারণ উল্লেখ হয়েছিলো তার একটিতে স্পষ্টভাবে বলা ছিল যে, ওয়েবসাইটের বয়স মিনিমাম ৬ মাস হতে হবে গুগল অ্যাডসেন্স পেতে হলে। তোহ আপনি নিজেই দেখুন গুগল কি বলে এই সম্পর্কেঃ

গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার সহজ উপায়

গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টের জন্য আবেদন করার আগে ব্লগে কতটি পোস্ট থাকতে হবে? 

এই প্রশ্নটি নিয়েও চরম বিভ্রান্তিকর অবস্থার দেখতে পারবেন গুগলে সার্চ করলে! কেউ বলে গুগল অ্যাডসেন্স এর আবেদন করার জন্য ব্লগে ২৫ থেকে ৩০ টি পোস্ট আবার কেউবা বলে ওয়েবসাইট গুগল অ্যাডসেন্স এর আবেদন করার জন্য ৫০ টির বেশি পোস্ট থাকতে হবে এছাড়াও কেউবা বলে ১০০ টির বেশি আর্টিকেল থাকতে হবে ওয়েবসাইট! এক্ষেত্রে আমি আপনাকে শুধুমাত্র আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলবো। 

আমার এই ওয়েবসাইটটি যখন গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্য আপ্রুভ হয় সেসময় আর্টিকেল ছিল মাত্র ২২ টি! অবশ্য ২০টির চেয়েও কম আর্টিকেলে কেউ গুগল অ্যাডসেন্স পেয়ে থাকলে আমার তা জানা নেই। কাজেই যারা নতুন তাদের ঘাবড়ানোর কোনো কারণ নেই! ওয়েবসাইটে ২০ টির বেশি আর্টিকেল লেখার পরেই গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে থাকুন। একবার যদি আপনার আবেদন আপ্রুভ না হয় তবে বারবার আবেদন করলে কোন ধরনের সমস্যা নেই। তবে হ্যাঁ আপনার ব্লগের আর্টিকেলগুলো যেন অবশ্যই অবশ্যই ইউনিক হয়। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে অর্থাৎ ব্লগে পোস্টের মধ্যে কপি পেষ্ট আর্টিকেল চলবেনা।

ব্লগে আর্টিকেলের আকার মিনিমান কত ওয়ার্ডের হতে হবে? 

কেউ বলে ব্লগে আর্টিকেলের শব্দ সংখ্যা হতে ৫০০ আবার কেউবা বলে আর্টিকেলে শব্দ সংখ্যা হতে হবে ১০০০! আমার ওয়েবসাইটর ২০ টি আর্টিকেলের বেশ কয়েকটি লেখাই ছিল মাত্র ১০-১২ লাইনের! তারপরও আমার সাইটে গুগল অ্যাডসেন্স আপ্রুভ হয়েছে। তবে হ্যাঁ আর্টিকেলের মান যতবেশি ভালো হবে, লেখা যতবেশি তথ্যবহুল হবে, কন্টেন্টের আকার যত বড় হবে তত তাড়াতাড়ি গুগল অ্যাডসেন্স আপ্রুভ হবে। কিন্তু মনে রাখবেন আর্টিকেলের আকার বড় করতে গিয়ে সেখানে অর্থহীন বাক্য দিয়ে কন্টেন্ট ভরিয়ে ফেলা উচিত হবেনা।

আরও পড়ুনঃ ব্লগারে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

লেখার মান কেমন হতে হবে? কপি পেস্ট করা যাবে?

ওয়েবসাইটে কন্টেন্টের মাঝে কপি পেস্ট করা যাবেনা তা গুগল স্পস্ট উল্লেখে করেছে! আমিও আপনার ওয়েবসাইটে কন্টেন্টের মাঝে কোন কপি পেস্ট পোস্ট করিনি। যত কন্টেন্ট পাবলিশ করেছি তার সকল কিছু আমার নিজ থেকেই লেখা। তবে হ্যাঁ তারমানে এই না যে, ইন্টারনেট থেকে কোন ধরনের তথ্য নেয়া যাবেনা। প্রয়োজনীয় যেকোন তথ্য ইন্টারনেট থেকে কালেক্ট করে নিজের ভাষায় লিখতে পারবেন।

শুধু একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়েই লিখতে হবে? নাকি একাধিক বিষয় নিয়েও ব্লগে লেখা যাবে?

আমার এই ওয়েবসাইটে আপনি দেখতে পাচ্ছেন বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট করা হয়েছে। অবশ্যই ব্লগে একাধিক টপিকস এবং একাধিক কি-ওয়ার্ড ওপরে কন্টেন্ট লেখা যাবে। তবে কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো ওয়েবসাইটে কোনোভাবে লেখা যাবেনা, যদি সেই বিষয়গুলো ওয়েবসাইটে লিখেন তবে গুগল অ্যাডসেন্স আপ্রুভ হবেনা।

কোন ব্লগার থিম ব্যবহার করলে ভালো হবে?

বর্তমানে আমার ওয়েবসাইটে যে ব্লগার থিমটি দেখতে পাচ্ছেন এটা আমি গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার আগে থেকে ব্যবহার করছি। কাজেই ব্লগারে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য নিজের ইচ্ছামত যেকোন ব্লগার থিম ব্যবহার করা যাবে। এতে কোন ধরনের বিধিনিষেধ নেই তবে হ্যাঁ ওয়েবসাইটের নেভিগেশন হতে হবে ইউজার ফ্রেন্ডলি সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

ওয়েবসাইটে Privacy Policy, Contact, About ইত্যাদি দেয়া কি জরুরি?

গুগল এই ৩টি বিষয় স্পষ্টভাবেই ব্যবহার করতে বলছে ওয়েবসাইট। তবে গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করার সময়ে আমার ওয়েবসাইট এগুলোর কিছুই ছিলনা। গুগল অ্যাডসেন্স আপ্রুভ হয়ে যাওয়ার পরে আমি এই সকল রেখেছি। তবে ব্লগে বিশেষ করে প্রাইভেসি পলিসি অবশ্যই রাখতে হবে। এই সম্পর্কে গুগল যা বলছেঃ

গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার সহজ উপায়

গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন

মনে রাখবেন গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক। গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে উল্লেখ করা অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন করার পূর্বে পেমেন্টের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার সংযুক্ত করা যায়না। অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে প্রথম ১০ ডলার পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাডসেন্স পাবলিশারের অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশানের জন্য একটি পিন নাম্বার জেনারেট করতে হয়। তারপর পিন নাম্বারটি বাই পোস্টে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টের মালিকের দেয়া ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়ে দেয় গুগল।

চিঠি পাওয়ার পরে নির্দিষ্ট নিয়মে পিন নাম্বারটি বসিয়ে নিজের ঠিকানাকে ভেরিফাই করতে হয় গুগল অ্যাডসেন্স পাবলিশারকে। প্রথমবার কোন কারণে গুগল থেকে চিঠি না পেলেও ঘাবরানোর কিছু নেই। সর্বোচ্চ গুগল থেকে ৩ বার চিঠি পাঠানো হয়। তারপরেও যদি না পৌঁছায় তবুও ভয়ের কিছু নেই।সেক্ষেত্রে নিজের এনআইডি কার্ড এর স্ক্যান কপি বা ব্যাংক স্টেটমেন্টের কপি ব্যবহার করে অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশান করা যায়।

আরও পড়ুনঃ ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায় জেনে নিন

ব্লগারে গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ টিপস

গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য ব্লগে কখনো ভায়োলেন্স প্রকাশিত হয় এমন কোন ইমেজ রাখা যাবেনা আর কোন ড্রা-গ-স নিয়ে ওয়েবসাইটে আলোচনা করা যাবেনা। এছাড়াও ওয়েবসাইটে এমন কোন মুভি ইমেজ ব্যবহার করা যাবেনা যেগুলোতে অস্ত্র অথবা বিস্ফোরণের দৃশ্য আছে! আমার ওয়েবসাইটে জেমস বন্ড মুভির একটি দৃশ্যের ছবি শেয়ার করছিলাম যেখানে মূলত নায়ক একটি অ-স্ত্র হাতে নিয়ে দৌড়াচ্ছে। গুগল অ্যাডসেন্স আপ্রুভ করার পূর্বে সেজন্য গুগল আমাকে সতর্ক করে ই-মেইল করছিল। তারপর সেই ছবিটি ডিলিট করে দেয়ার পরেই গুগল অ্যাডসেন্স আপ্রুভ করেছিল গুগল। 

এই আর্টিকেলে সামান্য পরিসরে সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর জানিয়ে দিলাম। উপরোক্ত প্রশ্নগুলো আমার নিজের কাছে উদয় হয়েছিল। প্রশ্নোত্তর গুলো উত্তর আপনি ভালোভাবে অনুসরণ করলে খুবই তাড়াতাড়ি ও সহজেই পেয়ে যাবেন আপনার স্বপ্নের গুগল অ্যাডসেন্স। গুগল অ্যাডসেন্স তাদের প্রোগ্রাম পলিসি এবং টার্মস আন্ড কন্ডিশন এর বিষয়ে খুবি সিরিয়াস। কাজেই গুগল আদসেনে অ্যাকাউন্ট পাওয়ার জন্যে এবং গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট টিকে রাখার জন্য উপরোক্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে ফলো করে চলার কোন বিকল্প পথ নেই।

কাদের জন্য গুগল অ্যাডসেন্স উপযুক্ত নয়?

১। যারা ওয়েবসাইট তৈরি করে সঠিক পরিকল্পনা করার পূর্বে দ্রুত টাকা ইনকাম করতে চায়।
২। যাদের মধ্যে ধৈর্য্যের অভাব রয়েছে।
৩। লেখালেখির প্রতি জাদের আগ্রহ কম। অন্যের লেখাকে কপি করার প্রবনতা রয়েছে।
৪। ওয়েবসাইট শুধুমাত্র ফেসবুক ভিজিটর এর ওপর নির্ভরশীল।
৫। SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে অরগানিক ভিজিট আনার কোন পরিকল্পনা নেই যাদের।
৬। অনেকেই মনে করে একটি গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থাকা মানেই মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম হতে থাকবে।
৭। প্রচুর পড়াশুনা করার আগ্রহ এবং ধৈর্য্য যাদের নেই।

একেকজনের মনে একেক ধরনের প্রশ্ন থাকবেই। প্রশ্ন করার আসলে কোন শেষ নাই। গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে কারও কোন প্রশ্ন থাকলে সেটা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। যদি আমার উত্তর জানা থাকে তাহলে অল্প সময়ের মাঝেই আমি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। নতুন নতুন পোস্ট পাওয়ার জন্য নিয়মিত টেকনিক্যাল কেয়ার বিডি ব্লগে চোখ রাখুন।

আরও পড়ুনঃ ই-সিম কি ( E-SIM Card ) জেনে নিন

পোষ্ট ক্যাটাগরি: