ব্লগারে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় | ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

আমরা ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করার পর যে যে বিষয়ে বেশি পরিমান গুরুত্ব দেই তা হচ্ছে ভিজিটর।ভিজিটর কে বলা হয়ে থাকে ওয়েবসাইট এর প্রাণ। একটি দেহ যেমন প্রাণ ছাড়া মৃত ঠিক তেমনি একটি ওয়েবসাইট ভিজিটর ছাড়া ব্লগ মৃত। আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে যদি কোন রকম ভিজিটর না থাকে তাহলে সেই ওয়েবসাইট এর কোন মূল্য নেই।

আমরা আজকে এমন কয়েকটি সেরা ব্লগার টিপস শেয়ার করবো যেগুলো আপনি সঠিকভাবে অনুসরণ করলে পরবর্তীতে আপনাকে আর ব্লগার ভিজিটর নিয়ে আসার জন্য চিন্তা করতে হবে না। ব্লগ সাইট কি। ব্লগে পোস্ট করার নিয়ম। 

ব্লগ বা যেকোন ওয়েবসাইটে অরগানিক বা ফ্রি ভিজিটর নেয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে ভালো মানের এসইও SEO করা। আমরা আজকের এই আর্টিকেলে জানবো কিভাবে আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে বেশি পরিমান ভিজিটর আনা যায় এবং সেই ভিজিটর গুলি আপনার ওয়েবসাইটে ধরে রাখার উপায়। তো আপনি যদি চান আপনার ওয়েবসাইটে বেশি পরিমান ভিজিটর দরকার তাহলে আপনি আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভাবে পড়ুন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাকঃ

ব্লগার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর সেরা টিপস 

আপনি নিম্নোক্ত প্রক্রিয়া গুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করলে আপনার ওয়েবসাইটে অরগানিক ফ্রি ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন। ওয়েবসাইটে ভিজিটর বিভিন্ন প্রক্রিয়া বিভিন্ন মাধ্যমে আনা যায়। 

নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করা/ ব্লগে পোস্ট করার নিয়ম

আর্টিকেল হলো একটি ওয়েবসাইট এর প্রাণ। কেননা এই আর্টিকেল এর উপর নির্ভর করে ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসবে। আর সেই জন্য আপনাকে এই ব্লগার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হবে সঠিক নিয়ম অনুযায়ী পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে বেশি পরিমান ভিজিটর পেতে চান এবং ব্লগার ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখার জন্য আপনাকে নিয়মিত ভাবে কাজ করতে হবে। ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়। 

এর কারন হচ্ছে আপনি যখন আপনার ব্লগার বা ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভাবে সঠিক সময় আর্টিকেল পাবলিশ করে যাবেন তখন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভাবে আসবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। 

আবার যদি আপনি সঠিক নিয়ম অনুযায়ী আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করতে না পারেন তাহলে আপনি দিন রাত যত রকম পরিশ্রম করে থাকেন না কেন ভালো ফলাফল আপনি পাবেন না। আর এই ভাবে নিয়ম ছাড়া কাজ করলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে পারবেন না এমনকি ভিজিটর ধরে রাখতে পারবেন না।

আরও পড়ুনঃ মোবাইল স্লো হলে ফাস্ট করার উপায় জেনে নিন

নিয়মিত বলতে আপনাকে একটি নিদিষ্ট সময় এবং নিদিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী ইউজার ফ্রেন্ডলি পোস্ট বা আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। ব্লগে পোস্ট করার নিয়ম। 

ব্লগে আর্টিকেল পাবলিশ করার সঠিক নিয়ম হচ্ছে, হয় আপনি প্রতিদিন একটি বা দুটি করে অথবা প্রতি সপ্তাহে একটি বা দুটি এবং প্রতি ১ মাসে একটি বা দুটি পোস্ট সঠিক সময় অনুযায়ী আর্টিকেল পাবলিশ করবেন। এই নিয়ম অনুযায়ী আপনি আপনার ব্লগার সাইটে পোস্ট করার পর আপনি লক্ষ্য করবেন আপনার ওয়েবসাইটে দিন দিন ভিজিটর বেড়েই চলবে এবং তা সেই নিয়ম অনুযায়ী যথাযথ ভাবে বাড়তেই থাকবে। বাংলা ব্লগ সাইট।

ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার জন্য আপনাকে অবশ্যই মানসম্মত আর্টিকেল বা পোস্ট পাবলিশ করতে হবে। এমন ভাবে আপনি লিখবেন যেন ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইট থেকে কিছু শিখতে পারে জানতে পারে। আর সেই সব পোস্ট গুলি এমন ভাবে লেখুন যাতে সেগুলি পাঠযোগ্য হয় এবং পোস্ট ধরনগুলি মানসম্মত হয়। মনে রাখবেন আর্টিকেল এর ধরন ভালো হবে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর এর অভাব হবে না। 

পাঠকদের কাছে আপনার ওয়েবসাইট কে তুলে ধরতে ভালো মানের লেখালেখি এবং আপনার ওয়েবসাইট এর গুনাবলি ওয়েবসাইট এর মূল্য তাদের সামনে তুলে ধরুন। আর এসব করলে আপনার ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক বা ভিজিটর এর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

আর হ্যা এই বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে ১ দিনে ৩-৪ টা পোস্ট করলেন কিন্তু ১ সপ্তাহে ১ টি পোস্ট করলেন সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর পাবেন না তাই এমন কাজ কখনও করবেন না।

কি-ওয়ার্ড বাছাই করা

আপনার ওয়েবসাইট এর আর্টিকেল থেকে বেশি পরিমান ভিজিটর তাহলে আপনাকে অবশ্যই সঠিক কি-ওয়ার্ড যাচাই করতে হবে। কেননা এই কি-ওয়ার্ড এর উপর নির্ভর করবে আপনার ওয়েবসাইট এর কন্টেন্টটি কতটা র‍্যাংক করবে আর আপনি গুগুল থেকে কত পরিমান ভিজিটর পাবেন। 

কি-ওয়ার্ড বাছাই করার জন্য আপনি কিভাবে বাছাই করবেন? ধরুন আপনি এমন এক্টি কি-ওয়ার্ড বাছাই করেছেন যে কি-ওয়ার্ড এর আগে অনেক বড় বড় ওয়েবসাইট ব্যবহার করেছেন। কিন্তু সেই সব ওয়েবসাইটকে টপকিয়ে কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটকে র‍্যাংক করাতে অনেক কঠিন ব্যাপার হয়ে দারাবে। আবার যদি আপনার ওয়েবসাইট বা কি-ওয়ার্ডটি র‍্যাংক করে তাতে সে সব ওয়েবসাইট এর তুলানয় কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটকে বেশি প্রাধান্য দিবে না। 

আবার এমন কি-ওয়ার্ড বাছাই করলেন যার সার্চ ভলিউম খুব একেবারেই নাই তাহলে কিন্তু আপনার ওয়েবসাইট র‍্যাংক এর সম্ভাবনা একদম কম নাই বললেই চলে। 

তাই জন্য আপনাকে এমন একটি কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে যেগুলির সার্চ ভলিউম আছে কিন্ত কম্পিটিটর খুব কম। আপনি কি-ওয়ার্ড রিসার্চ এর জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন পেইড ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। 

আকর্ষণীয় ছবি ব্যবহার করা

একটি ইমেজ/ছবি যেকোন ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বাড়াতে গুরুপ্তপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। যেমন আপনি যখন একটি ছবি/ইমেজ সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোন প্লাটফ্রমে আইক্যাচি ছবি সাথে আপনার ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক দেয়া থাকলে সেখানে ক্লিক করার পর আপনার ওয়েবসাইটে চলে আসবে। আর এইভাবে আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে অন্য সময়ের সাথে বেশি পরিমান ভিজিটর পেয়ে যাবেন। 

আর্টিকেল এর গুনগতমান বজায় রাখা

অনেক এই আছেন যারা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ব্লগার ওয়েবসাইটের পিছনে। একটি ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উন্নতম বিষয় হচ্ছে ভালো মানের কন্টেন্ট। আমাদের সকলের ওয়েবসাইটে সঠিক পরিমান ভিজিটর না বাড়ার কারন হচ্ছে আমরা আর্টিকেল বা পোস্ট গুলি লেখালেখি করি সেসব এর গুনগত মান কোয়ালিটি তেমন ভালো না। কন্টেন্ট গুলি পাঠকযোগ্য না যার ফলে ভিজিটররা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে খুব দ্রুত ওয়েবসাইট থেকে চলে যান। যার ফলে ওয়েবসাইট এর বাউন্স রেট বেড়ে যায়। আর বাউন্স রেট বেড়ে গেলে সেই ওয়েবসাইট কে রাঙ্কে আনতে সময় লাগে বা বড় করে তুলতে সম্ভবপর হয়ে উঠে না।

তাই আপনাকে আপনার ব্লগারে ভালোমানের কোয়ালিটি সম্পূর্ণ আর্টিকেল লেখার জন্য জোড় দিতে হবে। এর জন্য দরকার হইলে আপনি আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে কম পাবলিশ করবেন তবুও ভিজিটর দের জন্য ভালো মানের কন্টেন্ট দেয়ার চেষ্টা করবেন। ব্লগ তৈরি করে আয়। 

উহদারন সরূপ ১ সপ্তাহ ধরে অনেক বেশি সময় নিয়ে একটি ভালো মানের কন্টেন্ট তথ্যবহুল এবং মানসম্মত কন্টেন্ট লিখে আপনার ওয়েবসাইট পাবলিশ করলেন। আর এই তথ্যবহুল আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ১ সপ্তাহে ধরুন ২০০০ জন আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলো এবং তারা দেখতে পারলো যে আপনার এই কন্টেন্ট এর মধ্যে অনেক ভালো কিছু দেয়া আছে অনেক তথ্যবহুল মানসম্মত তথ্য দেয়া আছে। 

আর সেক্ষেত্রে আপনার সাইটে প্রবেশ করা ২০০০ এর মধ্যে ৮০% লোক আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট এর নাম মনে রাখবে এবং আপনার সাইটে প্রতিদিন প্রবেশ করবে যে প্রতিদিন আরও ভালো মানের কন্টেন্ট এই ওয়েবসাইটে দেয়া আছে কিনা। এর কারন হচ্ছে সেই ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভালো কিছু পেয়েছে এবং আরও ভালো কিছু পাওয়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছে। ব্লগ লিখে আয় করুন। 

আরও পড়ুনঃ Best Freelance Website to make Money Online

আবার অন্যদিকে আপনি যদি প্রতিদিন ৩-৪ টা করে কন্টেন্ট আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে থাকেন। আর সেগুলির যদি কোয়ালিটি গুনগত মান ভালো না হয় সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটে একদিনে ৫০০০ হাজার ভিজিটর প্রবেশ করলে আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য ভালো হবে না। এসব কন্টেন্ট পরবেই না বরং এসব আর্টিকেল দেখে ভিজিটর এর মনের মধ্যে খারাপ চিন্তা জন্ম নিবে এবং আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে বাজে ধারনা প্রকাশ করবে। 

কন্টেন্ট এর মান ভালো না হওয়ার কারনে আপনার ব্লগার ওয়েবসাইট এর নাম মনে রাখবে না এমনকি সাইটে তারা আর কোনদিন প্রবেশ করবে না। যার ফলে আপনার পেজ ভিউ অনেক কম হবে এবং বাউন্স রেট বেড়ে যাবে। যা একটা ওয়েবসাইট এর জন্য অনেক ক্ষতিকর। 

তাই আপনার জন্য আমার সাজেশন থাকবে ,ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বাড়ানোর জন্য আপনার ওয়েবসাইটে যতগুলি কন্টেন্ট লেখার চেষ্টা করবেন তার সব গুলি যেন মানসম্মত কোয়ালিটির হয়ে থাকে।

ওয়েবসাইট ফাস্ট লোডিং / ওয়েবসাইট দ্রুত লোড নেয়া

একটি প্রতিবেদনে জানা যায় যে একজন ভিজিটর একটা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য ৩ সেকেন্ড এর মতো সময় নিয়ে থাকে। এর মানে বুঝে নিন যদি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য ৩ সেকেন্ড এর কম সময় নেয় তাহলে ভিজিটর খুব সহজেই আপনার সাইটে প্রবেশ করবে। আবার যদি ৩ সেকেন্ড এর বেশি সময় নেন তাহলে তা অনেক সময় ভিজিটর দের কাছে অনেক সময় বিরক্ত হয়ে দাড়ায়। যার ফলাফল পরিশেষে আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে একটি ভিজিটর হারিয়ে ফেললেন। আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইট এর স্পিড কমিয়ে নিতে পারবেন। 

ব্লগ সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করুন

একটা ওয়েবসাইটকে রাঙ্কে নিয়ে আসতে অনেক বেশি সাহায্য করে সার্চ ইঞ্জিন। আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে সবচেয়ে বেশি পরিমান টার্গেটেড ভিজিটর নিয়ে আসতে সাহায্য করে সার্চ ইঞ্জিন। ওয়েব এর বিশাল জগতে রয়েছে বিশাল তথ্য ভান্ডার। আর এসকল তথ্য এর মাঝে ভিজিটর এর সকল নিদিষ্ট তথ্যকে খুজে পেতে সাহায্য করে সার্চ ইঞ্জিন। সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করার সময় কিছু কিছু তথ্য প্রথম পেজে দেখায়। এর কারন হচ্ছে সেই সাইট গুলি সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করা হয়েছিলো যার ফলে তা সামনে পেজে দেখায়। 

আর আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে পারেন তাহলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইটকে খুব সহজে ক্রল করতে পারবে এবং তা আপনার সাইট এর বিষয়বস্তু বুঝে ভিজিটর দের সামনে তুলে ধরবে। তো তাহলে এইবার নিজেই বুঝতে পারছেন যে সার্চ ব্লগার বা ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করার কি প্রয়োজন। আর যদি এসব কারনে আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিন এর প্রথম পেজে থাকে তাহলে আর আপনার ভিজিটর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে এমনকি আপনা ওয়েবসাইট এর ভিজিটর এর অভাব হবে না। 

আরও পড়ুনঃ 8 Ways You Can earn money from Home

সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইট সংযুক্ত করা থাকলে আপনার ওয়েবসাইটটি মানুষ খুব সহজেই খুজে পেতে পারে যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটে আর ভিজিটর এর অভাব হয় না। এই কাজটি আরও সহজ করার জন্য আপনাকে অনেক ভালো মানের কন্টেন্ট মানসম্মত আর্টিকেল লিখতে হবে এবং তা সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হবে। ভালো ভালো কিছু ব্লগ ওয়েবসাইট ও ফোরাম ওয়েবসাইট এর নাম। 

ব্লগার ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ/ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন

একটি ওয়েবসাইট বানানোর পূর্বে অবশ্যই এই বিষয়ের উপর খেয়াল রাখতে হবে তা হচ্ছে ওয়েবসাইট এর ডিজাইন রেস্পন্সিভ বা মোবাইল ডেস্কটপ ফ্রেন্ডলি কিনা। কেননা মোবাইল, ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, ট্যাবলেট এর ডিজাইন এক রকম হয় না। ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ ডিজাইন বলতে বোঝানো হয়েছে মোবাইল,ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ডেক্সটপে সমান ভাবে লোড হবে। যার ডাটা রিসিভ করতে কোন সমস্যা হবে না। ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর ক্ষেত্রে রেস্পন্সিভ ডিজাইন এর কোন বিকল্প নেই। কিভাবে ব্লগ সাইট বানাবো।

আর্টিকেল বেশি বেশি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করা

সোশ্যাল মিডিয়া সাইট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বর্তমান সময়ের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে। আপনার আর্টিকেলটি পাবলিশ করার পর আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে শেয়ার করতে পারেন এমনকি আপনার সোশ্যাল সাইট এর বিজনেস পেজ থেকে পেইড এর মাধ্যমে তা প্রোমোট বা ওয়েবসাইট বুস্ট করতে পারেন। 

আর সেখান থেকে আপনার পোস্ট যদি কোন সময় ভাইরাল হয়ে যায় সেখান থেকে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য ইউনিক ভিজিটর পেতে পারেন যারা প্রতিনিয়ত আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে। কিছু সোশ্যাল মিডিয়া সাইট যেমন; ফেসবুক, পিন্টারেস্ট, টুইটার, রেডডিট, টুইটার, লিঙ্কডিন ইত্যাদি। কিভাবে ব্লগ সাইট বানাবো।

আরও পড়ুনঃ বাউন্স রেট গুগল অ্যানালায়টিক্স কি জেনে নিন

ডাটা অ্যানালায়সিস করা

ওয়েবসাইট এর মূল একটি বিষয় হচ্ছে ডাটা অ্যানালায়সিস করা। এটির দারা বোঝা যায় যে আপনার ওয়েবসাইটে কোন তারিখে, কোন বয়সে, কোথায় থেকে কতজন ভিজিটর রয়েছে তা এখানে দেখা যায়। আর এখান থেকে ধারনা নিয়ে পরবর্তীতে আরও বেশি ভালো কন্টেন্ট লিখে ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বাড়িয়ে নেয়া যায়। এটির দারা যদি আপনার ভালো ভাবে বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আপনি গুগুল অ্যানালায়টিক্স ব্যবহার করতে পারবেন। ব্লগে পোস্ট করার নিয়ম। 

ব্লগ কমেন্ট

এখন যে পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো তা অন্ততও সুন্দর মাধ্যম ব্লগার বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসার জন্য। ব্লগার বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ব্লগ কমেন্ট। আপনি আপনার নিশ রিলেটেড ব্লগ পোস্ট খুজে সেই সাইটের কমেন্ট বক্সে গিয়ে আপনার ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক হাইপার লিঙ্ক করে দিতে হয়। 

আর এই পদ্ধতি ব্যবহার এর ফলে কেউ যদি আপনার ওয়েবসাইটে লিঙ্কে বা পোস্ট এর লিঙ্কে ভিজিট করে তাহলে সে সরাসরি আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। আর এখান থেকে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে অনেক বেশি পরিমান ভিজিটর পেয়ে যাবেন। ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়। 

গেস্ট পোস্ট

একটি ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বাড়ানোর ক্ষেত্রে গেস্ট পোস্ট অনেক বেশি গুরুপ্তপূর্ণ পালন করে থাকে। গেস্ট পোস্ট কিভাবে করবেন। গেস্ট করার জন্য আপনার ওয়েবসাইট রিলেটেড বা নিশ রিলেটেড যে ধরনের পোস্ট করেন, সেই ধরনের হাই ডোমেইন ও পেজ অথরিটির ব্লগ ওয়েবসাইট অলাইনে খুজে বের করতে হবে। এবং যেসব ওয়েবসাইট আপনাকে গেস্ট পোস্ট করার সুযোগ করে দিবে বা লিঙ্ক তৈরি করার সুযোগ করে দিবে তাদের থেকে লিঙ্ক নিতে হবে। 

আর এই পদ্ধতি অনুসরন করার কারনে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।এটি করার ফলে আপনার ওয়েবসাইট এর রাঙ্কিং বাড়বে, এমনকি ওয়েবসাইট এর ভালো একটি লিঙ্কবিল্ডিং তৈরি হবে।আপনার ওয়েবসাইটে গেস্ট পোস্ট এর মাধ্যমে ভালো ভিজিটর আনার জন্য আপনি পেইড গেস্ট পোস্ট ব্যবহার করতে পারেন। ব্লগারে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়। 

আরও পড়ুনঃ Most Profitable Blog Niches To in Start in 2020

ইন্টারনাল লিঙ্ক তৈরি করা

ওয়েবসাইট এর পোস্ট এর জন্য ইন্টারনাল লিঙ্ক খুব গুরুপ্তপূর্ণ বিষয়। মনে করুন আপনি একটি আর্টিকেল লিখতাছেন টেকনোলজি বিষয় নিয়ে কিন্তু এর আগে আপনার টেকনোলজি একটি পোস্ট লিখে রেখেছিলেন। আর এই ক্ষেত্রে আপনি চাইলে আপনার মেইল কন্টেট এর সাথে ট্যাগ হিসেবে আগের টেকনোলজি নিয়ে পোস্টটি লিঙ্ক আকারে দিতে পারেন। যার ফলে আপনার আগের কন্টেন্টটি পড়ার বা ভিজিট করার চান্স থাকে।  

ওয়েব পুশ নোটিফিকেশন

আপনি যদি চান আপনার ওয়েবসাইট এর ভিজিটর কে ধরে রাখবেন তাহলে আপনি ওয়েব পুশ নোটিফিকেশন ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহার করার ফলে ওয়েবসাইট এর আপডেট সঙ্গে সঙ্গে ভিজিটর দের কাছে চলে যাবে। এর জন্য আপনার ব্লগার ড্যাশবোডে গিয়ে Web Push Notification এর কোড ব্যবহার করতে হবে এছাড়া WordPress এর জন্য ড্যাশবোডে গিয়ে Web Push Notification প্লাগিন ইন্সটল করে নিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ How to define KPIs in Google Analytics

সর্বশেষ কথা, আপনি যদি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন এবং সেই সব নিয়ম অনুযায়ী আপনার ব্লগার বা ওয়েবসাইটে প্রয়োগ করেন তাহলে আশা করি আপনার ওয়েবসাইট এর ভিজিটর এর অভাব হবে না। আমি গ্রারান্টি দিয়ে বলতে পারি। এই পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটর বাড়বেই বারবে। 

আর যদি আর্টিকেলটি পড়তে অসুবিধা হয়ে থাকে তা অবশ্যই নিচের কমেন্ট বক্সে জানাবেন। 

পোষ্ট ক্যাটাগরি:

এখানে আপনার মতামত দিন

0মন্তব্যসমূহ

আপনার মন্তব্য লিখুন (0)