নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে জেনে নিন | পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয়

ল্যাপটপ কেনার সময় করণীয় - একটা সময় ছিলো ল্যাপটপ বিলাসিতার পণ্য। কিন্ত বর্তমান সময়ে সেই ল্যাপটপ আমাদের দৈন্দদিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার্য জিনিসে রুপান্তর হয়েছে। বর্তমান সময়ে মার্কেটে বিভিন্ন রকমের বিভিন্ন মানের বিভিন্ন কনফিগারেশনের ল্যাপটপ আছে। ল্যাপটপ বহন করার সুবিধা, নানান ধরনের ফিচার, উন্নত সকল প্রযুক্তির সংমিশ্রণ ইত্যাদি কারনেই ল্যাপটপ বর্তমানে অনেক বেশি জনপ্রিয়।

নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে জেনে নিন

বর্তমান সময় অনেকেই ডেস্কটপ কম্পিউটার এর চাইতে ল্যাপটপ ব্যবহারের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। ল্যাপটপ ব্যবহারের পিছনে অনেক কারণও রয়েছে। তবে হ্যাঁ ল্যাপটপ কিনতে গিয়ে অনেকেই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হোন বা ল্যাপটপ কেনার সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হন। তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করবো ল্যাপটপ কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে, কোন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ ভাল, আউটসোর্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভাল, নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে যে সকল বিষয়বস্তু মাথায় রাখতে হবে।

ল্যাপটপ কেনার আগে যা জানা জরুরি

১. ব্রান্ড | বেস্ট ল্যাপটপ ব্র্যান্ড

বর্তমানে মার্কেটে বিভিন্ন ব্রান্ড এর ল্যাপটপ পাওয়া যায়। তারমধ্যে হচ্ছে Asus, HP, Dell, Lenovo, Acer ইত্যাদি। যদি আপনি চান যে একটি ভালো ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কিনবেন তাহলে Asus অথবা Dell ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কিনতে পারেন। বর্তমানে ল্যাপটপের জগতে এই দুটিই ব্র্যান্ড অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং উন্নত মানের। আপনি যদি ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে HP ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কিনতে পারেন, তবে হ্যাঁ HP ল্যাপটপ এর পারফরমান্স বর্তমানে আর আগের মতো নেই তবে ল্যাপটপ কিন্ত ভালোই। এছাড়াও আপনি মোটামোটি ভালো কোয়ালিটি ব্র্যান্ড এর ল্যাপটপ ক্রয় করতে চাইলে নিতে পারেন Lenovo অথবা Acer। Lenovo এবং Acer এই দুটো ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের পারফর্মেন্সও খুবই ভালো। এই সকল ল্যাপটপ গুলোর মূল্য নির্ভর করবে ল্যাপটপের কনফিগারেশনের উপর।

২. সাইজ | ল্যাপটপ এর সাইজ

আপনি ল্যাপটপ ব্যবহার করে কি কি ধরনের কাজ করবেন, কি ধরনের ব্যবহার করার জন্য ল্যাপটপটি কিনতে ইচ্ছুক তার উপর ভিত্তি করেই মূলত আপনার ল্যাপটপের সাইজ ঠিক করে নিতে হবে। আপনি যদি এই কারনে ল্যাপটপ কিনতে চান যে, ল্যাপটপ সহজে বহন করতে পারবেন, তাহলে আপনার জন্য নোটবুক কেনা হবে বুদ্ধিমান লোকের কাজ। নোটবুক কেনার পূর্বে আপনাকে কিছু কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা বাঞ্ছনীয়। তা হচ্ছে নোটবুকের ওজন, নোটবুক কতটা হালকা ইত্যাদি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আবার নোটবুকের মধ্যে কিছু কিছু নোটবুক আছে যেগুলি আল্ট্রাবুক নামেও পরিচিত। এই সকল বহন করার জন্য সর্বাপেক্ষা উত্তম।

ল্যাপটপ এর স্ক্রিনের সাইজের ওপর নির্ভর করবে ল্যাপটপটির ওজন। ১১ ইঞ্চি থেকে ১২ ইঞ্চি ল্যাপটপ হচ্ছে সবচেয়ে হালকা বা সরু এই সকল ল্যাপটপের ওজন ১.১-১.৫ কেজি। আবার ১৩ ইঞ্চি থেকে ১৪ ইঞ্চি ল্যাপটপ এর বহন যোগ্যতা ও ব্যবহার যোগ্যতার জন্য উত্তম চয়েস। এই সকল ল্যাপটপ গুলোর ওজন ১.৮ কেজির থেকে কম হয়ে থাকে। যদি আপনি ল্যাপটপ বাড়িতে ব্যবহার করতে চান অথবা মাঝে মাঝে বাহিরে নিয়ে ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনার জন্য ১৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে বিশিষ্ট ল্যাপটপ কেনাটা উত্তম হবে।

আরও পড়ুনঃ ল্যাপটপ স্লো হওয়ার কারণ ও ল্যাপটপ ফাস্ট করার উপায়

ল্যাপটপের এই ধরনের স্ক্রীন সাইজের ওজন হয়ে থাকে সাধারনত ২.৫-৩ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর যদি আপনি এর থেকেও আরো বড় ডিসপ্লে বিশিষ্ট ল্যাপটপ ইউজ করতে চান তাহলে ১৭-১৮ ইঞ্চির ল্যাপটপ কিনতে পারেন।

৩. CPU বা প্রসেসর

প্রসেসর কে বলা হয় কম্পিউটারের মস্তিষ্ক। তাই আপনি যখন ল্যাপটপ কিনতে যাবেন সেই সময় কোন প্রসেসরটি ভালো হবে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মূলত সকল প্রকার ল্যাপটপের পারফরম্যান্স প্রসেসর এর উপরই নির্ভর করে। বর্তমান সময়ে মার্কেটে দুই ধরনের প্রসেসর আছে তাহলো Intel এবং AMD। টেকনোলজি গত দিক থেকেই AMD প্রসেসর বর্তমান সময়ে Intel প্রসেসর এর চেয়ে অনেক বেশিই এগিয়ে আছে।

বর্তমান সময়ে বাজেট সেগমেন্টে Intel প্রসেসর এর পাশাপাশি AMD প্রসেসর বেশ ভালো মানের প্রসেসর প্রদান করছে। আপনি চাইলে AMD অথবা Intel এর যেকোনো একটা প্রসেসর ব্যবহার করতে পারেন।

ইন্টেল প্রসেসর (Intel Prosessor) - বর্তমান সময়ে মার্কেটপ্লেসে Intel Core i সিরিজের প্রসেসর গুলো শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে। বর্তমান সময়ে (Intel Core i9) 10 Generation এর ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে। তবে এই সকল ল্যাপটপের দামটা কিন্ত আকাশ ছোঁয়া। তবে যদি আপনার বাজেট একটু বেশি হয় তাহলে আপনি Core i9 অথবা Core i7 প্রসেসরের ল্যাপটপ কিনতে পারেন। স্বাভাবিক ভাবে Core i9 এবং Core i7 প্রসেসর সম্বলিত ল্যাপটপ গুলো বেশ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাপটপ হয়ে থাকে।

মিড রেঞ্জের বাজেট ল্যাপটপ কিনতে চাইলে আপনি Core i5 প্রসেসর যুক্ত ল্যাপটপ গুলি নিতে পারেন। আর যদি বাজেটের পরিমাণ কম হয় তাহলে Core i3 প্রসেসরযুক্ত ল্যাপটপ গুলি কিনতে পারেন। তবে হ্যাঁ Core i3 প্রসেসর এর নিচের কোনো প্রসেসর যুক্ত ল্যাপটপ না কেনার চেষ্টা করা উত্তম হবে।

আরও পড়ুনঃ প্রসেসর কি | প্রসেসর কি কোনটা দরকার

এএমডি প্রসেসর (AMD Prosessor) - Intel প্রসেসরের পাশাপাশি বর্তমান সময়ে বাজারে AMD Ryzen সিরিজের প্রসেসরযুক্ত ল্যাপটপ গুলি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছ। আপনার বাজেটের পরিমাণ যদি বেশি হয় তাহল Ryzen 9 অথবা Ryzen 7 প্রসেসরের ল্যাপটপ কিনতে পারেন। আবার যদি মিড রেঞ্জের বাজেট ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে Ryzen 5 প্রসেসরযুক্ত ল্যাপটপ এবং লো বাজেট হলে Ryzen 3 প্রসেসরযুক্ত ল্যাপটপ কিনতে পারেন।

৪. জেনারেশন বা প্রজন্ম

জেনারেশন মানে হচ্ছে প্রজন্ম। ল্যাপটপের জেনারেশন দিয়ে সাধরণত বোঝানো হয় ল্যাপটপটি কোন প্রজন্মের। ল্যাপটপের নতুন জেনারেশন মানে হচ্ছে আরো বেশি নতুন নতুন ফিচারস এবং ভালো পারফরম্যান্স। ল্যাপটপ কেনার আগে ল্যাপটপ টি কোন প্রজন্মের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেননা ল্যাপটপের জেনারেশনের উপর নির্ভর করে ল্যাপটপ এর পারফরমান্স এবং অনেক কিছুই নির্ভর করে।

বর্তমান সময়ে মার্কেটে Intel প্রসেসর এর ক্ষেত্রে ৫ম জেনারেশন থেকে ১০ম জেনারেশন এর ল্যাপটপগুলো পাওয়া যায়। আর AMD প্রসেসর এর ক্ষেত্রে ৪র্থ জেনারেশন হচ্ছে রাইজেনের লেটেস্ট প্রসেসর, যেটাকে ৪০০০ সিরিজও বলা হয়। দেখা গেছে AMD এর ৪র্থ জেনারেশন এর ল্যাপটপ এর পারফরমান্স ইন্টেলের 10 জেনারেশন এর ল্যাপটপের চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে থাকে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে AMD Prosessor এর উন্নত আর্কিটেকচার।

ল্যাপটপ কেনার সময় সবসময় চেষ্টা করতে হবে লেটেস্ট জেনারেশন ল্যাপটপ গুলো কিনতে। আর যদি কোন কারণে শেষ প্রজন্মের ল্যাপটপ কেনা সম্ভবপর না হয় তাহলে চেষ্টা করতে হবে একধাপ নিচের জেনারেশন এর ল্যাপটপ কিনতে হবে।

আরও পড়ুনঃ কম্পিউটার ফাস্ট রাখার সহজ উপায় | উইন্ডোজকে ফাস্ট করার ১০টি সহজ উপায়

৫. র‌্যাম

র‍্যাম এর পূর্ণরুপ হচ্ছে Random Acces Memory। নতুন অথবা পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় র‌্যাম এর প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত। কেননা র‍্যাম ল্যাপটপের পারফরমান্সকে বাড়িয়ে দেয়। আর এই জন্যই আপনি যদি ল্যাপটপের স্মুথ পারফরম্যান্স চান তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাকে ৮ জিবি অথবা তার চেয়েও বেশি পরিমাণ র‌্যাম এর ল্যাপটপ নিতে হবে।

আবার আপনি যদি ল্যাপটপে গেমিং বা ভিডিও এডিটং করবেন এছাড়াও অনলাইনে আরও যাবতীয় কাজ করার চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তাহলে ল্যাপটপে ৮ জিবি থেকে ১৬ জিবি র‌্যামের প্রয়োজন হবে। এছাড়াও র‌্যামের ক্ষেত্রে DDR (Double Data Rate) ও বাস স্পিডের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রসেসর যেমন জেনারেশন রয়েছ ঠিক তেমনি র‌্যামের ক্ষেত্রে DDR4 হচ্ছে সর্বশেষ প্রযুক্তি। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন DDR4 র‌্যামযুক্ত ল্যাপটপ নিতে। আর বাস স্পিড বলতে বোঝায়, যত বেশি বাস স্পিডের র‌্যাম হবে তত বেশি ল্যাপটপে পারফরম্যান্স পাবেন।

৬. হার্ডড্রাইভ

ল্যাপটপ কিনার সময় হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ বা এইচডিডি এর পরিমাণ বেশি দেখে কেনা উচিত। যেন পরবর্তীতে দরকারি ফাইল সংরক্ষণের জন্য যায়গার অভাবে ভুগতে হয়না। ল্যাপটপ কেনার সময় চেষ্টা করবেন ১ টেরাবাইট থেকে ২ টেরাবাইটের হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ কিনতে। প্রচলিত হার্ডডিস্ক ড্রাইভ গুলো সময়ের সাথে সাথে ধীর গতির হয়ে যায়। তবে আপনার বাজেট যদি একটু বাড়াতে পারেন তাহলে হার্ডডিস্ক ড্রাইভ এর পরিবর্তে এসএসডি SSD স্টোরেজ কিনতে পারেন। 

ল্যাপটপে ভালো পারফরম্যান্স চাইলে অবশ্যই অবশ্যই এসএসডি স্টোরেজ লাগানো জরুরি। এছাড়াও বর্তমানে এসএসডি এর চাইতেও আরও ভালো একটি ড্রাইভ পাওয়া যায় সেটি হচ্ছে M.2। আপনি চাইলে একটি M.2 লাগাতে ভালো লাগাতে পারেন আপনার ল্যাপটপের পারফরমান্স বাড়িয়ে নেয়ার জন্য।

আরও পড়ুনঃ উইন্ডোজে স্লো ইন্টারনেট ফাস্ট করার উপায়

HDD হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ এর ক্ষেত্রে বাজারে ৫২০০ RPM থেকে ৭২০০ আরপিএম (Revolution per minute) স্পিড এর হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ পাওয়া যায়। একি ল্যাপটপ এর ভালো স্পীড পাওয়ার জন্য ৭২০০ আরপিএম থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে হ্যাঁ যারা সাধারন কাজের জন্য ল্যাপটপ ব্যবহার করতে চান তাদের জন্য ৫২০০ RPM এর হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ হলেই হবে।

৭. ডিসপ্লে কোয়ালিটি

ল্যাপটপ কেনার পূর্বে ডিসপ্লে এর কোয়ালিটি সম্পর্কে লক্ষ্য রাখা উচিত। কেননা ল্যাপটপ এর ডিসপ্লের দিকে তাকিয়েই আপনাকে আপনার সকল কাজ করতে হবে। ল্যাপটপ কেনার আগে জেনে নিতে হবে ল্যাপটপের ডিসপ্লে রেজুলেশন কত সেটা দেখে ল্যাপটপ কিনতে হবে।

আমি আপনাকে সাজেস্ট করবো ১০৮০পি অর্থাৎ Full HD Display যুক্ত ল্যাপটপ কিনতে। ফুল এইচডি রেজুলেশনের ডিসপ্লেতে সকল কাজের জন্য আদর্শ। যদি আপনি কোন কারণে Full HD Display না নিতে পারেন তাহলে অব্যশই অন্তত HD বা ৭২০পি রেজুলেশনের ল্যাপটপ কিনবেন। বাজেট ল্যাপটপ গুলিতে সাধারণত HD অর্থাৎ ৭২০পি ডিসপ্লে দেয়া থাকে।

৮. গ্রাফিক্স কার্ড

সকল ল্যাপটপ এই সাধারণত একটি বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা থাকে। আপনি যদি গেমিং করে, ভিডিও এডিটিং এর কাজ করেন, গ্রাফিক্সের কাজ করেন তাহলে অবশ্যই আপনার ল্যাপটপে গ্রাফিক্স কার্ডের প্রয়োজন হবে। তবে হ্যাঁ ল্যাপটপ এর মধ্যে কিছু কিছু পার্টস চেঞ্জ করা গেলেও গ্রাফিক্স কার্ড কিন্ত পরিবর্তন করা যায় না। তাই আপনার গ্রাফিক্স প্রয়োজন হলে ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড/এক্সটর্নাল কেনার আগে তা নিতে হবে। কেননা ল্যাপটপ তৈরি করার সময় গ্রাফিক্স কার্ড সহ/ছাড়া ভিন্ন ভিন্ন ভাবে তৈরি করা হয়।

আপনি যদি গ্রাফিক্স কার্ডের প্রয়োজন হয় তাহলে ডেস্কটপ এর মতো ল্যাপটে এনভিডিয়া অথবা AMD সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। এনভিডিয়ার গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করতে চাইলে জিটিএক্স অথবা আরটিএক্স সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ডগুলো ব্যবহার করতে পারেন। জিটিএক্স সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ডের মধ্যে জিটিএক্স ১০৫০ থেকে শুরু করে জিটিএক্স ১৬৬০ পর্যন্ত গ্রাফিক্স কার্ড আছে এবং আরটিএক্স সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ডের মধ্যে আরটিএক্স ২০৫০ থেকে শুরু করে আরটিএক্স ৩০৮০ পর্যন্ত গ্রাফিক্স কার্ড আছে। জিটিএক্স ল্যাপটপের তুলনায় আরটিএক্স সিরিজের ল্যাপটপের মূল্য তুলনামুলকভাবে অনেক বেশি।

আরও পড়ুনঃ কম্পিউটার নতুনের মতো রাখার উপায়

৯. ব্যাটারি | ল্যাপটপ ব্যাটারি সমস্যা

যদি আপনি বড় সাইজের ল্যাপটপ শুধুমাত্র বাড়িতেই ব্যবহার করার জন্য নিতে চান তাহলে আর আপনাকে ব্যাটারি নিয়ে বেশি ভাবা লাগবে না। কেননা বড় সাইজের ল্যাপটপ গুলোর মধ্যে ব্যাটারিও পাওয়ার ক্ষমতা দেয়া থাকে বেশি। কিন্তু আপনি যদি বাড়ির বাইরে ল্যাপটপ ব্যবহার করার জন্য কোন ল্যাপটপ নিতে চান তাহলে চেষ্টা করুন এমন ল্যাপটপ নিতে যেটা অনায়েসে ৭ থেকে ৮ ঘন্টার সময় ব্যাকআপ প্রদান করবে। ল্যাপটপ কেনার আগে ব্যাটারিতে দেয়া রেটিং দেখতে কিন্ত ভুলবেন না। ল্যাপটপ কেনার সময় চেষ্টা করবেন যে ৪৪Wh থেকে ৫০Wh এর মধ্যে থাকা ব্যাটারি সম্বলিত ল্যাপটপ গুলি কিনতে। তাহলে আপনি অনায়েসে ভালো পারফরম্যান্স পেয়ে যাবেন। ল্যাপটপের ব্যাটারি যত বড় হবে সেটা আপনাকে তত ভালো পারফরমান্স প্রদান করবে।

১০. কিবোর্ড | ল্যাপটপ কীবোর্ড সমস্যা

ল্যাপটপ কেনার সময় দেখে নিবেন যে কিবোর্ড গুলো ভালোভাবে কাজ করছে কিনা। কেননা ল্যাপটপে টাইপিং করার ক্ষেত্রে অনেক সময় সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। এর কারণ ল্যাপটপের কি-বোর্ড কী গুলোর মধ্যে পর্যাপ্ত ফাঁকা স্থান না থাকা। আপনি এমন ল্যাপটপ নিতে হবে হবে যেটাতে কম্ফোর্টেবল কি-বোর্ড আছে যাতে আপনি খুব সহজে টাইপিং করতে পারবেন। এছাড়াও ল্যাপটপের কি-বোর্ডে ব্যাকলিট কি রয়েছে কিনা সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি ব্যাকলিট থাকে তাহলে আপনার আর অন্ধকারে টাইপিং করতে কোন অসুবিধা হবে না।

১১. পোর্ট

ল্যাপটপ কেনার সময় ল্যাপটপটিতে কি কি পোর্ট আছে সেদিকে লক্ষ্য করতে হবে। খেয়াল করবেন যে ল্যাপটপে যেন একের অধিক ইউএসবি ৩.০ পোর্ট থাকে। বেশি পোর্ট থাকার কারনে বাড়তি কিছু সুবিধা পেয়ে যাবেন। USB ৩ তে USB ২ এর তুলনায় ১০ গুণ দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার করতে পারে। যার ফলে আপনার কোন ফাইল ট্রান্সফার করতে সময়ও অনেক কম লাগবে। আর ল্যাপটপ এ যদি ইউএসবি ৩.১ পোর্ট থাকে তাহলে তো আরও ভালো। ল্যাপটপের সাথে অন্যান্য সকল প্রয়োজনীয় পোর্ট রয়েছে কিনা সেটা ভালোভাবে দেখে নিবেন।

আরও পড়ুনঃ উইন্ডোজ ১০ প্রো vs উইন্ডোজ ১০ হোম এডিশন কোনটি ব্যাবহার করা উচিৎ

১২. ওয়াইফাই কানেকশন

ল্যাপটপ কেনার সময় দেখে নিন ল্যাপটপট টিতে কি ধরনের ওয়াইফাই কানেকশন সাপোর্ট করে। ল্যাপটপে ওয়াইফাই অ্যাডাপ্টর রয়েছে কিনা তা চেক করে নিন। ব্লুটুথের জন্য ব্লুটুথ ৩.o আছে কিনা যদিও এখন এটি পুরনো হয়ে গেছে। সেজন্য ব্লুটুথ ৪.o রয়েছে কিনা সেটা দেখে নিবেন।

শেষ কথা

আজকাল বাজারে ২৫ হাজার থেকে শুরু করে ৮-১০ লাখ টাকা মধ্যেও ল্যাপটপ আছে। আপনার বাজেট কেমন তার ওপর নির্ভর করবে যে আপনার কি রকম ল্যাপটপ চাই। তাই ল্যাপটপ কেনার সময় অবশ্যই অবশ্যই উপরের লিখিত বিষয়গুলো মাথায় রেখে ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করবেন। তাহলেই আপনি আপনার কাজের জন্য সঠিক ল্যাপটপটি কিনতে পারবেন। আপনার বাজেটের মধ্যে যে ল্যাপটপটিতে সবথেকে ভালো ফিচারস আছে সেই ল্যাপটপ কিনার চেষ্টা করুন। এটাই হবে আপনার জন্য উত্তম।

পোষ্ট ক্যাটাগরি:

এখানে আপনার মতামত দিন

0মন্তব্যসমূহ

আপনার মন্তব্য লিখুন (0)