বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ

বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করব আজকের পোস্টে। দেখুন এটা আমরা সবাই জানি যে, আমাশয় খুবই পরিচিত একটা রোগ। আর এই রোগের কারণে বেশ অস্বস্তিকর সময় অতিবাহিত করতে হয়।

বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ

আমরা বড়রা আমাশয় রোগের সমস্যাটাকে কিছুটা মেনে নিতে পারলেও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এর জন্য শিশু স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে রক্ত আমাশয় বা আমাশয় রোগের ওষুধের নাম ও দাম বাংলাদেশে কত, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো আপনাদেরকে। পাশাপাশি বাচ্চাদের কিভাবে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন এবং আমাশয় রোগ হলে কি কি করণীয় সে সম্পর্কে জানাবো খুঁটিনাটি। তো আসুন, বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ এই কী-ওয়ার্ডটির বিস্তারিত বর্ণনা পড়ে নেওয়া যাক।

(toc) #title=(এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা পড়ুন)

বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ

বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঔষধ গুলো হল:

  • ফিলমেট (Filmet)
  • জক্স (Zox)
  • সিপ্রোসিন (Ciprocin)
  • এমোডিস (Amodis)

১। ফিলমেট (Filmet)

বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ

ফিল্মেট সাসপেনশন বাচ্চা শিশুদের আমাশয় রোগের সবচেয়ে পরিচিত ঔষধ গুলোর একটি। এই ওষুধটি বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এর তৈরি। যেটার ৬০ মিঃলি ওষুধের দাম মাত্র ৩৫ টাকা। এছাড়াও ওষুধ কি ট্যাবলেট আকারেও পাওয়া যায়। মূলত ফিলমেট ২০০ এমজি ট্যাবলেট, filmet 400 mg ট্যাবলেট, filmet 800mg ট্যাবলেট এবং filmet 500 এমজি/১০০ মিলি আইভী ইনফিউশন আকারে সংগ্রহ করা যায়। তো যদি আপনার বাচ্চার আমাশয় সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে দেরি না করে এখনই সঠিক পরিমাণে চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী খাইয়ে দিন ফিলমেট সাসপেনশন অর্থাৎ সিরাপ ঔষধটি।

আরো পড়ুনঃ কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়

২। জক্স (Zox)

বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ

স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস পিএলসি এর তৈরি কৃত ঔষধ জক্স। যেটার ৩০ মিঃলি বোতলের দাম ৪০ টাকা। এছাড়াও এই ঔষধটি ট্যাবলেট আকারেও পাওয়া যায়। মূলত প্রতি ট্যাবলেট এর দাম ১০.০৭ টাকা এবং স্ট্রিপ প্রাইস ৬০.৪২ টাকা।

যদি আপনার বাচ্চার রক্ত আমাশয় বা পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে তাহলে এই ঔষধটি নির্দ্বিধায় খাইয়ে দিতে পারেন। এই ওষুধ সেবনের মাত্রা ও সেবন বিধি হচ্ছে, এক থেকে দুই বছর বয়সী বাচ্চাদেরকে ১ চা চামচ বা পাঁচ মিলি করে প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর তিনবার খাওয়ানো।

অন্যদিকে যে সকল বাচ্চার বয়স চার থেকে ১১ বছর তাদের ক্ষেত্রে এই সিরাপ ঔষধটি খাওয়ানোর নিয়ম হচ্ছে ২ চা চামচ অর্থাৎ ১০ মিলি করে প্রতি ১২ ঘন্টা পর পর তিনবার। আর ১২ বছর বা তার ঊর্ধ্ববয়সী মানুষদের জন্য ৫ চা চামচ অথবা একটি করে ট্যাবলেট প্রতি ১২ ঘন্টা পর পর তিনদিন খাওয়াতে হবে।

তবে যেহেতু শিশুদের চিকিৎসা নিয়ে খুবই সতর্ক থাকা উচিত তাই আপনার শিশুকে এই ঔষধটি ঠিক কতটুকু পরিমাণে খাওয়াবেন বা আপনার শিশুর সমস্যার কারণে কোন ঔষধটি সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হবে সেটা জানতে নিকটস্থ চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।

৩। সিপ্রোসিন (Ciprocin)

সিপ্রোসিন

বাচ্চাদের আমাশয় রোগের জন্য মাঝে মাঝে চিকিৎসকরা সিপ্রোসিন সাসপেনশনটি দিয়ে থাকেন। কেননা সিপ্রোসিন একক সংক্রমণ এবং দুই বা ততোধিক সংবেদনশীল অনুযায়ী দ্বারা সৃষ্ট মিশ্র সংক্রমণে নির্দেশিত।

আর তাই আপনি চাইলে ই বাচ্চাদের আমাশয় বা পাতলা পায়খানা থেকে বাঁচার জন্য খাইয়ে দিতে পারেন এই ওষুধটি। তবে অবশ্যই মাত্রা ও সেবন বিধির বিষয়টি ভালোভাবে লক্ষ্য করে শিশুকে এই ঔষধ খাওয়ানোর বিষয়টি মাথায় রাখবেন।

আরো পড়ুনঃ জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম ও দাম কত টাকা জেনে নিন

৪। এ্যামোডিস (Amodis)

বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ

এমোডিস ওরাল সাসপেনশন ওষুধটির বাজার মূল্য ৬০ মিলি বোতলের দাম মাত্র ৩৫ টাকা। এটিও বাচ্চাদের আমাশয় ও পাতলা পায়খানার সমস্যার সমাধানের কার্যকরী ঔষধ। এছাড়াও বেশ কয়েকটি সমস্যার কারণে চিকিৎসকরা এই ঔষধ খাওয়ার নির্দেশনা প্রদান করে থাকেন। একটি শিশুর যদি পাতলা পায়খানা বা আমোশহয় হয় তাহলে পরিমাণ মতো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়ানো যাবে এমোডিস সাসপেনশন অর্থাৎ এই সিরাপ ঔষধটি।

এই ৪টি বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঔষধ গুলো ব্যতীত আমরা নিচে আরো কয়েকটি ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। উক্ত ঔষধগুলো অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াতে হবে। কেননা নিচের ঔষধগুলো হচ্ছে এন্টিবায়োটিক। অনুগ্রহপুর্বক একজন ডাক্তারের পরামর্শ আপনার বাচ্চাকে ঔষধ খাওয়াবেন নিজে থেকে কখনো ইচ্ছে করে মোতাবেক খাওয়াবেন না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুযায়ী, শিশুদের মধ্যে রক্ত আমাশয়ের জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের প্রথম পর্যায়ের ওষুধ হলো “সিপ্রোফ্লক্সাসিন (Ciprofloxacin) ”। অন্যদিকে দ্বিতীয় সারির ওষুধ হলো “মেসিলিনামসেফট্রিয়াক্সোন”। আর অ্যাজিথ্রোমাইসিন শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের ওষুধ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।

এছাড়াও বেশ কিছু চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন বাচ্চাদের আমাশয় ও পাতলা পায়খানা নিরাময়ে বেশ কাজে আসে Ziflu Syrup (10mg/5ml), যার ১০০ মিলি বোতলের বাজার মূল্য মাত্র ৪০ টাকা। এছাড়াও এটি ট্যাবলেট হিসেবেও পাওয়া যায়। মূলত Ziflu ট্যাবলেট এর প্রতি পিসের দাম ১.৫০ টাকা এবং স্ট্রিপ প্রাইস ১৫ টাকা।

আমাশয় রোগে সেবনকৃত এই ঔষধটি তৈরি করেছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। আর হ্যাঁ, Ziflu Syrup ১০ কেজির নিচের শিশুদের ক্ষেত্রে ৫ মিলিলিটার অর্থাৎ এক চা চামচ দৈনিক দুইবার খাওয়াতে হবে। খাওয়ার সঠিক সময় খাবার খাওয়ার পরবর্তী সময়। অন্যদিকে যাদের ১০ কেজি থেকে ৩০ কেজি পর্যন্ত ওজন ঐ সকল শিশুদেরকে ১০ মিলিলিটার অর্থাৎ ২ চা চামচ দৈনিক এক থেকে তিনবার খাবারের পর খেতে হবে।

আর আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন তাহলে ২০ মিলিলিটার অর্থাৎ ৪ চা চামচ খেতে পারবেন কার্যকরী এই সিরাপটি। মূলত ছোট বড় সকল বয়সী মানুষের জন্য এই সিরাপ খাওয়ার উপযুক্ত সময় হচ্ছে খাবারের পরবর্তী সময়। এছাড়াও আরো বেশ কিছু মেডিসিন খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

তো আপনি যদি আমাশয় রোগের ওষুধের নাম জানতে চান এবং আপনার শিশুর অথবা আপনার জন্য কোন ঔষধটি সবচেয়ে বেশি কার্যকরী এটা জানতে চান তাহলে ডাক্তারের সাথে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করুন। মনে রাখবেন প্রত্যেকটি ওষুধ নির্দিষ্ট পরিমাণ মতো সেবনের নির্দেশনা প্রদান করে থাকেন চিকিৎসকরা। আর আমরা যদি সঠিক ওষুধটি সঠিক পদ্ধতিতে বা সেবন বিধি মেনে সেবন করে থাকে তাহলে দ্রুত কার্যকর ভূমিকা রাখে।

আবার প্রত্যেকটি ওষুধের কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থেকে থাকে। এর জন্য যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে বিশেষ করে বাচ্চাদেরকে ঔষধ খাওয়ানোর পূর্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। এখন আসুন জেনে নেই বাচ্চাদের আমাশয় হলে সাধারণত ঘরোয়া পদ্ধতিতে কোন কোন চিকিৎসা গুলো দেওয়া যেতে পারে এবং আপনার করণীয় কাজ কি কি হতে পারে!

আরো পড়ুনঃ জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়

শিশুদের আমাশয় রোগের ঔষধের নাম

১। মেসিলিনাম: জানা গিয়েছে ২০২০ সালের মধ্যে নগর ও গ্রামে রক্ত আমাশয় এর জীবাণু মেসিলিনাম যথাক্রমে ৩৪ শতাংশ প্রতিরোধী হয়ে উঠেছিলো। সাধারণত এটি আমাশয় রোগের ক্ষেত্রে এবং মূত্রনালের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ সম্পর্কে যদি আপনি আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে জানতে পারবেন যে – মেসিলিনাম বেশিরভাগ প্যাথোজেনিক গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে সক্রিয়। বেশ কিছু গবেষণায় এটি স্ট্যাফিলোকক্কাস স্যাপ্রোফাইটিকাস সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিকের মতোই কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।

২। সেফট্রিয়াক্সোন: এটি মূলত ট্যাবলেট সিরাপ এবং ইনজেকশন আকারে পাওয়া যায়। এই ওষুধটি বিভিন্ন সমস্যা বা বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এটি মূলত এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ। আর ইতোমধ্যে শিশুদের আমাশয় রোগের ঔষধ হিসেবে যেগুলো ব্যবহৃত হয়েছে তার মধ্যে সেফট্রিয়াক্সোন এন্টিবায়োটিক এই ওষুধটি বেশ কার্যকরী।

৩। অ্যাজিথ্রোমাইসিন: আপনি যদি শুধুমাত্র এটা লিখে সার্চ করেন যে আমাশয়ের রোগের ঔষধ কোনটি, তাহলে সবচেয়ে পরিচিত একটি ঔষধ হিসেবে আপনার সামনে সাজেস্ট করা হবে এজিথ্রোমাইসিন। তবে এই ওষুধটি একদমই বাচ্চাদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। এটি মূলত বয়স্কদের জন্য। আপনি যদি বয়স্ক হয়ে থাকেন অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে পড়েন তাহলে এজিথ্রোমাইসিন এই অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধটি সেবন করতে পারবেন। কেননা বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্টিক সংক্রমণের জন্য ব্যবহৃত হয় এজিথ্রোমাইসিন। যা দিনে একবার গ্রহণ করা যায়।

শিশুদের আমাশয় হলে করণীয় | বাচ্চাদের রক্ত আমাশয়ের চিকিৎসা

শিশুদের আমাশয় হলে সর্বপ্রথম কাজ হওয়া উচিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। কারণ শিশুদের সমস্যা গুলো খুব দ্রুত জটিল পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আবার বাচ্চা শিশুরা নিজের সমস্যাগুলো খুব ভালোভাবে বলতেও পারে না। তাই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তাদেরকে সঠিক চিকিৎসা দিলে রক্ত আমাশয় বা এমনি সাদা আমাশয় এর রোগ খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যায়।

অনেকেই জানতে চান ৩ মাসের বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয় কি? তাদেরকে বলব আপনার বাচ্চাকে ঠান্ডা লাগা থেকে দূরে রাখুন, নিজের বুকের দুধ পান করান অথবা যদি বাজার থেকে ক্রয় করা দুধ খাওয়ানো হয়ে থাকে তাহলে সর্বদা গরম দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।

কেননা আমাশার সাধারণত ঠান্ডা লাগার কারণে এবং বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। তাই আমাশয় হওয়ার পরবর্তীতে যদি কোন শিশুকে ঠান্ডা দুধ খাওয়ানো হয় তাহলে সমস্যাটা বেড়ে যেতে পারে।

একইভাবে যদি আপনার বাচ্চা স্বাভাবিক বড় হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমাশয় থেকে বাঁচার জন্য করণীয় কাজ বা প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে আরও যে সকল কার্যাবলী সম্পাদন করতে পারেন সেগুলো হলো–

  • একটু বেশি বিশ্রাম নেওয়া
  • পাতলা পায়খানা বা আমাশয় এরপর সমপরিমাণ খাবার স্যালাইন খাওয়ানো
  • তরল খাবার বেশি বেশি খাওয়ানো
  • চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং শিশুদের ওজন অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা
  • ওআরএস (ORS)এর সমস্যা থাকলে নুন চিনি পানি একসঙ্গে গুলিয়ে খাওয়ানো 
  • তেল মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকা
  • কাঁচকলা শুধু পেঁপে ইত্যাদি এজাতীয় খাবার গুলো খেতে দেওয়া

৩ মাসের বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয় | বাচ্চাদের আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত?

বাচ্চাদের আমাশয় প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞরা কিছু করণীয় কাজের বিষয়ে জানিয়েছেন। যেগুলো আমরা উল্লেখ করব। তবে এ পর্যায়ে বাচ্চা দের আমাশয় হলে কোন কোন খাবারগুলো অবশ্যই খাওয়াবেন জেনে নিন সেগুলো সম্পর্কে আরো কিছু।

শিশুদেরকে সাধারণত আমাশয় হলে সমপরিমাণে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি এমন খাবার খাওয়াতে হবে যাতে করে তার পেট খারাপের সম্ভাবনা না থাকে। অর্থাৎ টাটকা স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের আয়োজন করতে হবে আমাশয়ে আক্রান্ত শিশুর জন্য। খাবারের তালিকায় বিভিন্ন ফলমূল, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই রাখতে পারবেন।

বিশেষ করে টাটকা শাকসবজি এ সময় বাচ্চাদেরকে খাওয়ানোটা খুবই উপকারী। একইভাবে আরো যে সকল কাজ করতে হবে আপনার শিশুর জন্য সেগুলো হলো–

  • বিশুদ্ধ পানি পান করানো
  • বাইরের খাবার খাওয়ানো থেকে দূরে রাখা
  • দাঁত ব্রাশ করার পর বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করানো
  • খাবার গ্রহণের আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ানো 
  • মলত্যাগের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ানো 
  • ফল বা সবজি খাওয়ার আগে সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া এবং শিশুর ব্যবহারযোগ প্রত্যেকটি জিনিস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা
  • অসুস্থ শিশুদের ডায়াপার পরিবর্তনে সাবধানতা অবলম্বন করা
  • টয়লেট যদি অতিরিক্ত পাতলা হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা।

বাচ্চাদের আমাশয় সিরাপ | আমাশয়ের ঔষধের নাম | ট্যাবলেট আমাশয় রোগের ঔষুধের নাম বাংলাদেশ

বাচ্চাদের আমাশয় রোগের জন্য বহুল ব্যবহৃত ও কার্যকরী একটি সিরাপ রয়েছে। যার নাম ইতিমধ্যে আমরা সংযুক্ত করেছি আমাদের পোস্টে। তবে এর বাইরেও আরো বেশ কিছু সিরাপ রয়েছে। কিন্তু সেগুলোর মধ্যে থেকে কোন সিরাপ ঔষধটি আপনার বাচ্চার জন্য সর্বোত্তম সেটা জানতে এ ব্যাপারে নিকটস্থ চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।

আর হ্যাঁ, আমাশয় এর ট্যাবলেট ঔষধ গুলোর মধ্যে বহুল ব্যবহৃত ও কার্যকরী ঔষধ হচ্ছে- Norflox Tz Tablet.

আরো রয়েছে সেকনিডাজল। মূলত যাদের তীব্র আমাশয়ের সমস্যা রয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ২ গ্রাম এর একক মাত্রা খাদ্য গ্রহণের ঠিক আগে সেবন করা বাঞ্চনীয়। অন্যদিকে যারা শিশু তাদের ৩০ মিলিগ্রাম মূলত দেহের ওজন অনুসারে একক মাত্রা খাদ্য গ্রহণের ঠিক আগে সেবন করা বাঞ্ছনীয়।

আরো পড়ুনঃ কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

লেখকের শেষকথা

তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ এই টপিকের আলোচনার সমাপ্তি টানছি আজ এখানেই। আশা করছি আপনারা যারা শিশুদের আমাশয় রোগের ঔষধের নাম, সাদা আমাশয় রোগের ওষুধের নাম, শিশুদের আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম বা বাচ্চাদের আমশয় সিরাপ অথবা বাচ্চাদের আমশয় হলে করণীয় কাজ ইত্যাদি এ ধরনের কুয়েরি লিখে সার্চ করে থাকেন, তাদের প্রশ্নের উত্তর মিলেছে আমাদের এই পোস্টে।

এর বাইরে যদি আরো কিছু জানার থাকে কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে দিন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়সহ প্রযুক্তি সংক্রান্ত অসংখ্য পোস্ট পড়তে অথবা নতুনত্ব বিষয় সম্পর্কে জানতে ফলো করুন আমাদের ওয়েবসাইট। সবাইকে আল্লাহ হাফেজ।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: