কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো - কৃমি মানুষের অন্ত্র থেকে দিনে ০.২ মিলিমিটার রক্ত শুষে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। যার কারণে এলার্জি, ত্বকে চুলকানি, শুকনো কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো নানা রকম সমস্যা হয়। আর তাই কৃমির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ কৃমির ঔষধ সেবন করে।

তবে হ্যাঁ, কৃমির ঔষধ সেবন করার পূর্বে অনেক ঘরোয়া টোটকা প্রয়োগের মাধ্যমেও চিরতরে তা নিরাময় করা সম্ভব হয়। তবে ইউজারদের সুবিধার্থে আমরা মূলত আজকের এই প্রবন্ধে, কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করব।

তাই আপনারা যারা কৃমির সবচেয়ে ভালো ঔষধের নাম ও দাম জানতে চান, তাদেরকে আমাদের আজকের প্রবন্ধে স্বাগতম। তো পাঠক বন্ধুরা তাহলে আসুন ধারাবাহিকভাবে জেনে নেই, কৃমির সেরা কিছু ওষুধের নাম এবং বড়দের ও ছোটদের জন্য কৃমির বাছাইকৃত ওষুধের তালিকা সম্পর্কে।

(toc) #title=(এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা পড়ুন)

কৃমির ঔষধ এর নাম

কৃমির রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কার্যকরী কিছু ঔষধ রয়েছে। যাদের আলাদা আলাদা নামে চিহ্নিত করা হয়। কেননা যে সকল কোম্পানি ওই ঔষধ গুলো তৈরি করে তারা তাদের ব্র্যান্ড প্রমোশনের জন্য আলাদা আলাদা নাম দিয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ আসুন জেনে নেই কয়েকটি কৃমি ওষুধের নাম। যথা:

  • অলবেন্ডাজোল (Albendazole)
  • মেবেনডাজোল (Mebendazole)
  • প্রাজিকোয়েন্টেল (Praziquantel)
  • আইভারমেকটিন (Ivermectin)
  • লেভামিসোল (Levamisole)
  • মেলফিন (Melphin)

তবে হ্যাঁ, এর বাইরেও আরো অনেক কৃমির ওষুধ রয়েছে। যেগুলো সেবন করলে এর বিস্তার বাধাগ্রস্ত হয় এবং কৃমির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।

তবে কৃমির ঔষধ সেবনে রয়েছে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম। তাই কৃমির সমস্যা নিরাময়ের জন্য অবশ্যই ঔষধ সেবন করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরী। তাই আপনার এই সমস্যাটি দেখা দিলে এখনই নিকটস্থ কোন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

উদাহরণস্বরূপ আমরা ইতোমধ্যে কয়েকটি কৃমির ঔষধের নাম জানিয়েছি। তবে আর্টিকেলের এ পর্যায়ে সেরা আরো কয়েকটি কৃমির ঔষধের নাম আমরা আপনাদেরকে সাজেস্ট করব। যথা:-

  • Almex Tablet
  • Albezen Tablet
  • Estazol Tablet
  • Durazol Tablet
  • Ben-A Tablet

অ্যালমেক্স ট্যাবলেট - Almex Tablet: কৃমির সেরা কয়েকটি ওষুধের মধ্যে একটি হচ্ছে অ্যালমেক্স ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেটটি স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড তৈরি করেছে। যার ইউনিট প্রাইস ৫.০২ টাকা এবং ৪৮ এর প্যাক মাত্র ১২৫.২৫ টাকা।

Albezen ট্যাবলেট - Albezen Tablet: জেনিথ ফার্মাসিটিক্যালস লিঃ এর তৈরিকৃত আরেকটি কৃমির ঔষধ হচ্ছে আলবিজেন ট্যাবলেট। যে ট্যাবলেটটির ইউনিট প্রাইস ৩.০০ টাকা এবং পঞ্চাশের প্যাকেট মাত্র ১৫০ টাকা।

Estazol ট্যাবলেট: কৃমির আরেকটি কার্যকরী ঔষধ হচ্ছে এসটাজল ট্যাবলেট। যার তৈরিকৃত কোম্পানি হচ্ছে ইবনে সিনা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। ইউনিট প্রাইস মাত্র ৪.০০ টাকা এবং পঞ্চাশ ট্যাবলেটের প্যাকেট মূল্য মাত্র ২০০ টাকা।

Durazol ট্যাবলেট: এটিও কৃমির একটি কার্যকরী ঔষধ, যেটা তৈরি করেছে মিল্লাত ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এবং এই ওষুধের ইউনিট প্রাইস মাত্র ৩.৬০ টাকা।

বেন-এ ট্যাবলেট - Ben-A Tablet: কৃমির সমস্যা নিরাময়ের জন্য একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড কোম্পানীর তৈরিকৃত আরেকটি ঔষধ Ben-A Tablet. যার ইউনিট প্রাইস ৫.০১ টাকা এবং ২৫ এর প্যাকেজের মূল্য ২৪০.৪৮ টাকা মাত্র।

আরো পড়ুনঃ সোলাস ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম | সোলাস ট্যাবলেট খাবার নিয়ম

বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

কৃমির ঔষধ সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। এক ধরনের ক্রিমের ঔষধ স্কুল বা কলেজে, সরকারি হাসপাতাল কিংবা সরকারি ফার্মেসিতে দেওয়া হয়। যেগুলো রেজিস্টার্ড ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন কিংবা ব্যবহার করতে দেওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়না। আর তাই ওই ওষুধগুলো শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতাল অথবা ফার্মেসিতে পাওয়া সম্ভব হয়।

আর ইতিমধ্যে আমরা যে নামগুলো সাজেস্ট করেছি এগুলো মূলত কোম্পানির তৈরি করা এবং এগুলো আপনি যেকোনো ফার্মেসি থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। কিন্তু কথা হচ্ছে কৃমির ঔষধ ছোট বাচ্চাদের জন্য আসলে কোনটি সবচেয়ে ভালো?

বাচ্চাদের জন্য ভালো কৃমির ওষুধ কোনটি এটা জানতে হলে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবুও এ পর্যায়ে আমরা কিছু কার্যকরী ওষুধের নাম সাজেস্ট করছি যেগুলো সচরাচর বাচ্চাদেরকে দেওয়া হয়। যথাঃ

  • পাইরান্টেল
  • মেবেনডাজোল
  • আলবেন্ডাজোল
  • পাইপাজোল
  • লেভামিসোল

তবে কৃমির ঔষধ বয়স্ক অথবা ছোট যেকেউ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। কেননা হিতে বিপরীত হতে পারে এই ওষুধ সেবনের ফলে। এবার আসুন আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেই কৃমির ঔষধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।

কৃমির ঔষধ কখন খেতে হয়

কৃমির ঔষধ খাওয়ার যথাযথ সময় জানতে হলে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা কোন পর্যায়ে আপনাকে কোন ঔষধটি খেতে হবে সেটা শুধুমাত্র চিকিৎসক ভালো বলতে পারবেন। তাই কৃমির ঔষধ খাওয়ার যথাযথ সময় জানতে হলে আপনি আপনার নিকটস্থ ডাক্তারের মতামত গ্রহণ করুন।

কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

কিছু কিছু কৃমির ঔষধ রয়েছে যেটা একদিন খেলেই যথেষ্ট আবার কিছু ওষুধ রয়েছে যেটা সপ্তাহে কয়েকদিন পর্যন্ত খেতে হতে পারে। যেমন ধরুন, কৃমির ট্যাবলেট মেবেন্ডাজল ১০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট যদি আপনি খান তবে সেটা খেতে হবে পরপর ০৩ দিন।

এরপর ০৭ দিন এর দিন আরেক ডোজ খেতে হবে। আর শিশুদের ক্ষেত্রে এই একই নিয়মে সিরাপ খাওয়াতে হয়। তবে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে ডাক্তারের কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনুন অথবা প্রেসক্রিপশন ফলো করুন। এমনকি ঔষধের গায়ে লেখা সেবন বিধি থেকেও আপনি এটা জানতে পারবেন।

কৃমি হওয়ার কারণ

পেটে কৃমি হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে তবে এটি মূলত দূষিত খাবার খাওয়ার কারণে হয়, যেমন ভুল খাদ্যাভ্যাস, নোংরা হাতে খাবার খাওয়া, খোলা জায়গায় রাখা খাবার খাওয়া, বেশি মিষ্টি খাওয়া, শুধু পরিশ্রম করা বিশ্রাম না করা। সারাদিন পরিশ্রম করলে পেটের কৃমি হয়।

কৃমি লক্ষণ

পেটে কৃমি হলে বারবার পেটে ব্যথা হয়। চোখ লাল থাকে, জিভের রং সাদা এবং জিহ্বা মোটা দেখায়। সারাক্ষণ মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। এর পাশাপাশি যেসব শিশুদের রাতে ঘুমানোর সময় দাঁত বেজে ওঠে তাদেরও পেটে কৃমি হয়।

কৃমির লক্ষণ খাদ্যে অরুচি, পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা, বমি বমি ভাব, পায়খানার রাস্তায় চুলকানি ইত্যাদি সমস্যাগুলো প্রায়ই শিশুদের মাঝে দেখা যায়। এগুলো কৃমির লক্ষণ।

কৃমি দূর করার উপায়

  1. পেটে কৃমি না হওয়ার জন্য জীবনধারা ও খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে।
  2. খাওয়ার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
  3. খোলা জায়গায় রান্না করা খাবার খাবেন না।
  4. পান করার জন্য বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করুন। কলের জল ফুটিয়ে তারপর ঠান্ডা করে পান করুন
  5. দূষিত ও বাসি খাবার খাবেন না।
  6. খুব বেশি মিষ্টি এবং টিনজাত খাবার খাবেন না।
  7. ভালোভাবে রান্না করা ও পরিষ্কার খাবার খান।
  8. খোলা জায়গায় রান্না করা খাবার না খেয়ে শুধু ঘরে রান্না করা খাবার খান।
  9. বাসি ও দূষিত খাবার থেকে দূরে থাকুন
  10. কাঁচা সবজি ও কাঁচা মাংস খাবেন না। খাবার ঠিকমত রান্না করে খান।
  11. মিষ্টি এবং আঠালো পদার্থ খাওয়া কমিয়ে দিন।

কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় - পেটের কৃমি দূর করার উপায়

পেটের কৃমি দূর করার উপায়: শিশুদের পেটের কৃমির সমস্যা বেশ সাধারণ। তবে এতে শিশুরা অনেক বেশি সমস্যায় পড়ে। এগুলো থেকে মুক্তি পেতে আপনি কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

কাঁচা পেঁপে: এক গ্লাস গরম দুধে এক টেবিল চামচ কাঁচা পেঁপে ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এটি এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন খালি পেটে পান করুন।

কুমড়োর বীজ: এতে কিউকারবিটাসিন নামক একটি যৌগ রয়েছে যার অ্যান্টি-পরজীবী উপাদান রয়েছে যা কৃমিগুলিকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে এবং এইভাবে শরীর থেকে সমস্ত কৃমি বের করে দিতে সহায়তা করে। এর জন্য আধা কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ ভাজা কুমড়ার বীজ এবং নারকেলের দুধ মিশিয়ে নিন। এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণটি পান করুন।

নিম: কিছু নিম পাতা পিষে ভালো করে পেস্ট তৈরি করুন। আধা চা চামচ এই পেস্ট প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানির সাথে পান করুন। এই প্রতিকারটি কয়েকদিন করলেই পেটের কৃমি থেকে মুক্তি পাবেন।

রসুন: রসুনে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে যা পেটের কৃমি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান অথবা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন খালি পেটে রসুনের চা পান করুন।

লবঙ্গ: লবঙ্গে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক উপাদান রয়েছে যা অন্ত্রের কৃমি এবং তাদের ডিমগুলিকে ধ্বংস করে। একটি পাত্রে দুই থেকে তিনটি লবঙ্গ এক কাপ জলে ফুটিয়ে নিন। ৫ মিনিট সিদ্ধ করুন এবং ফিল্টার করুন। এই সমাধানটি এক সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার পান করুন।

গাজর: গাজর বিটা-ক্যারোটিনের একটি চমৎকার উৎস, যা অন্ত্রের কৃমির ডিম ধ্বংস করতে পারে।এক সপ্তাহ খালি পেটে গাজর খেলে পেটের কৃমি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

নারকেল তেল: পেটের কৃমি নিরাময়ের জন্য নারকেল সেরা ঘরোয়া উপায়। সকালের নাস্তায় এক টেবিল চামচ নারকেল খান। ৩ ঘণ্টা পর এক গ্লাস হালকা গরম দুধে ২ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে পান করুন। এক সপ্তাহ ধরে এটি পান করলে পেটের সব ধরনের কৃমি মারা যায়।

আরো পড়ুন: ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কৃমির সঠিক চিকিৎসা

কৃমি রোগ থেকে মুক্তির জন্য কৃমির চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরী। কেননা এটি যদি পরিবারের একজনের হয়ে থাকে তাহলে সকলের হবে এটা সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি। অনেকেই রয়েছি ছোট বাচ্চাদের কৃমি হলে আমরা ভয় পেয়ে যাই। তবে এতে ভয় পাবার কোনই কারণ নেই। কেননা এটা খুবই সাধারণ চিকিৎসার মাধ্যমে আপনি ঠিক করে ফেলতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

এজন্য শুধু নিয়ম মেনে কৃমির ঔষধ সেবন করতে হবে। তাহলে আসুন জেনে নেই কিভাবে সঠিক উপায়ে আপনি কৃমির চিকিৎসা নিতে পারবেন।

প্রথমত: ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

দ্বিতীয়ত: পরিবারের সবাই একসাথে কৃমির ঔষধ খাবেন।

তৃতীয়ত: ঔষধ সেবনের ক্ষেত্রে ০২ বছরের বড় শিশু এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ একই ডোজ খেতে পারবেন তবে ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ডজের পরিমাণ ভিন্ন হবে। যার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে আপনাকে।

পাশাপাশি একজন সুস্থ মানুষের ০৪ থেকে ০৩ মাস পরপর এই ঔষধটা খাওয়া উচিত। কেননা কৃমির ওষুধের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই। তবে কারো কারো বমি বমি ভাব হতে পারে। কিন্তু হ্যাঁ স্বাস্থ্যঝুঁকি না থাকলেও অবশ্যই খুব ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী এবং বড়দের ক্ষেত্রেও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করা উচিত।

কৃমির ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয়

কৃমির ট্যাবলেট চিবানো, পুরো গিলে ফেলা বা চূর্ণ এবং খাবারের সাথে মিশ্রিত করে খাওয়া যেতে পারে। ডোজ আপনার চিকিৎসা অবস্থা এবং চিকিৎসার প্রতিক্রিয়া উপর ভিত্তি করে। পিনওয়ার্ম সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য, ওষুধটি সাধারণত একক ডোজ হিসাবে দেওয়া হয়।

(পিনওয়ার্ম সংক্রমণের সবচাইতে সাধারণ উপসর্গগুলো হল: মলদ্বারে চুলকানি।) প্রয়োজন হলে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় চিকিৎসার দেওয়া যেতে পারে। এই ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে আপনি আপনার নিকটস্থ ডাক্তারের কাছে শরণাপ্নন হোন এবং বিস্তারিত জেনে নিন।

আরো দেখুন: ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কোনটা ভালো

কৃমির ট্যাবলেট কয়টা খেতে হয়

প্রতি ০৩ মাস পরপর পরিবারের সকলেই একটি করে অ্যালবেনডাজল ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন। মেবেনডাজল হলে সেবন করতে হবে পরপর ০৩ দিন। ০৭ দিন পরে আরেকটি ডোজ খাওয়া যায়। শিশুদেরকেও একই ভাবে সিরাপ খাওয়াতে হবে। ০২ বছরের নিচে কোন শিশুকে খাওয়াতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন।

কৃমি হলে কি কি সমস্যা হয়

পেটে কৃমি বাড়তে শুরু করলে অনেক শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যাকে আমরা সাধারণ ভাষায় উপসর্গও বলি। আসুন, এবার পেটের কৃমির উপসর্গ বা কৃমি হলে কি কি সমস্যা হয় তা নিয়ে কথা বলি।

  • অন্ত্রে (নাড়িভুঁড়ি; পাকস্থলীর নিম্নভাগ হইতে মলদ্ভার অবধি যন্ত্র) কৃমির উপস্থিতি অন্ত্রের কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করে এবং কখনও কখনও বমি বমি ভাবের মতো সমস্যা হয়
  • কৃমি বেশি হলে কখনও কখনও ডায়রিয়াও হয়
  • রোগীর নাকে-মুখে চুলকানি হয়। কখনও কখনও আমবাতও শরীরে উঠে আসে।
  • ডায়রিয়া সমস্যা
  • পেট ব্যথা
  • গ্যাসের সমস্যা
  • বমি বমি ভাব সমস্যা
  • ডিহাইড্রেটেড হচ্ছে
  • ওজন কমানো
  • শ্লেষ্মা মধ্যে রক্ত
  • কাশি সমস্যা
  • শ্বাসকষ্ট অনুভব করা
  • অল্প জ্বর
  • মলের মধ্যে কৃমি
  • শ্বাসকষ্ট
  • চামড়া ফুসকুড়ি
  • বমি করা বা কাশি হওয়া কৃমি
  • নাক বা মুখ থেকে পোকা স্রাব

কৃমির ট্যাবলেট এর নাম

আর্টিকেলের এই অংশে আমরা মার্কেটে পাওয়া যায় এমন কিছু কৃমির ট্যাবলেটের নাম হলো

  • Almex Tablet
  • Albezen Tablet
  • Ben-A Tablet
  • Durazol  Tablet
  • Estazol Tablet

এগুলো  কৃমির ট্যাবলেট হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।

লেখকের শেষকথা

তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আশা করি আপনারা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো সেটা বাছাই করতে পারবেন এবং কৃমির ঔষধ সেবন করার পূর্বে আমাদের বলা কথাগুলো মাথায় রাখবেন। আজ এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: