বাংলাদেশের সেরা ২০ ধনী তালিকা ২০২৪

বাংলাদেশের সেরা ২০ ধনী তালিকা ২০২৪ - সম্প্রতি সময়ে বিশ্বের যে বিলিয়নিয়ারদের তালিকা ফোর্বসের তরফ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে তাতে খুব একটা ধারের কাছে বাংলাদেশের কোন ব্যক্তি নেই।

বাংলাদেশের জনসংখ্যার ১৬ কোটি, বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হওয়া সত্বেও বাংলাদেশের কোন ধনী ব্যক্তি ফোর্বসের প্রথম ১০০ জনের মধ্যে নেই। যদিও এর ফলে কোন কিছুই প্রমাণিত হয় না।

কারণ একটি দেশের সাফল্য সেই দেশের বিলিয়নিয়ারদের উপর নির্ভর করে না। তবুও দেশের জনগণের দেশের সেরা ধনী কে এটা জানার আগ্রহের কমতি নেই। বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠছে। সেই সাথে দিন দিন বেড়েই চলেছে বাংলাদেশে সম্পদশালী লোকের সংখ্যা।

একটা সময় ছিল যখন দেশের লাখপতির সংখ্যা গণনা করা যেত। তবে এখন আমাদের দেশেও বিলিয়নিয়ার ও সম্পদশালী লোক জনের অভাব নেই। তাহলে চলুন আজ জেনে নেই বাংলাদেশের সেরা ২০ ধনী তালিকা সম্পর্কে:

(toc) #title=(সুচিপত্র)

বাংলাদেশের সেরা ২০ ধনী তালিকা ২০২৩

বাংলাদেশের সেরা ২০ ধনী তালিকা ২০২৪

প্রিয় পাঠক লেখার এই পর্যায়ে আমরা বাংলাদেশের সেরা ২০ ধনীর তালিকা তুলে ধরবো বিস্তারিতঃ

১। সালমান এফ রহমান

বাংলাদেশের সেরা ২০ ধনী তালিকায় সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে সালমান এফ রহমান। সালমান এফ রহমান একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি, সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা।

তিনি ২৩ শে মে ১৯৫১ সালে ঢাকার দোহার উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বর্তমান বয়স ৭৩ বছর। সালমান এফ রহমান পাকিস্তানের ইউনিভার্সিটি অফ করাচি থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছেন।

তিনি ১৯৬৬ সাল থেকে তার ভাইয়ের সাথে পারিবারিক পাটের কারখানা শুরু করেন। এরপরে ১৯৭২ সালে তারা বেক্সিমকো নামে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি গড়ে তোলে।

এই কোম্পানির মূলত ইউরোপে সামুদ্রিক মাছ ও হাড়ের গুড়া সহ আরো অনেক পণ্য রপ্তানি করে এর বিনিময়ে তারা দেশে ঔষধ আমদানি করত। তারা দুই ভাই মিলে ১৯৭৬ সালে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস প্রতিষ্ঠা করেন। এই কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরি করে থাকে।

এছাড়াও এই কোম্পানির বিদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন আমদানি করে থাকে। বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশের ঔষধ উৎপাদনকারী প্রথম সারির কোম্পানি গুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও সালমান এফ রহমান দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকা ও ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের মালিক।

তার আছে নিজস্ব প্রাইভেট হেলিকপ্টার। তিনি যেখানেই যান সেখানেই প্রাইভেট হেলিকপ্টার নিয়ে যান। এছাড়াও তার কালেকশনে রয়েছে বিভিন্ন লাক্সারিয়াস গাড়ি। তার কাছে মার্সিটিস সহ ব্রিটিশ বিখ্যাত রোলস -রয়েস গাড়ি রয়েছে।

সালমান এফ রহমানের সম্পত্তির পরিমাণ সঠিকভাবে কোথাও বলা নেই। তবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য মতে তার মোট সম্পদের পরিমাণ হবে ৬০ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা।

আরো পড়ুনঃ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া এবং রিস্ক ফ্রি ব্যবসা

২। সায়েম সোবাহান তানভীর

বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি হচ্ছে সায়েম সোবাহান তানভীর। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান তিনি। তার বাবা আহমেদ আকবর সুবহান বসুন্ধরা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মূলত তার বাবার পৈত্রিক সূত্রে তিনি এত সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। সায়েম সোবাহান তানভীর ১৯৮১ সালে জন্মগ্রহণ করে তার বর্তমান বয়স ৪২ বছর।

বিভিন্ন ওয়েবসাইট এর মতে সায়েম সোবাহান তানভীর এর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫০০০০ কোটি টাকা।

বলা হয় তিনি যে বাড়িতে বসবাস করে তার সেই বাড়িটি নির্মাণ করতে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা খরচ করেছেন। তার কালেকশনে রয়েছে বেশ কিছু লাগজারিয়াস গাড়ি। তার ব্যবহৃত প্রথম গাড়িটি হচ্ছে নিশান জি টি আর যা বাংলাদেশের খুব কম লোকই ব্যবহার করে থাকে।

এছাড়াও তার কাছে আছে Mercedes Benz s class যার বাজার মূল্য ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা প্রায়। তার ব্যবহৃত তৃতীয় গাড়িটি হচ্ছে Mercedes Benz e63 AMG, এই একই মডেলের একটি গাড়ি ‌মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবহার করে থাকে। এই গাড়িটির মূল্য বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৫ কোটি টাকার মত।

এইরকম আরো চারটি g63 AMG গাড়ি রয়েছে তানভীর এর কানেকশনে। তার সবচেয়ে দামি গাড়িটি হচ্ছে Rolls-Royce ghost। তার কালেকশনে এরকম তিনটি রোলস রয়েস গাড়ি রয়েছে।এছাড়াও তার একটি প্রাইভেট জেট বিমান রয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বয়সি বিলোনিয়ার তিনি।

৩। সজীব ওয়াজেদ জয়

সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা ও একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি।

সজীব ওয়াজেদ জয় ১৯৭১ সালের ২৭ শে জুলাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় জন্মগ্রহণ করেন তার বর্তমান বয়স ৫২ বছর। তিনি কম্পিউটার সাইন্সে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস এ্যট আর্লিংটন থেকে।

সজীব ওয়াজেদ জয় বর্তমানে বাংলাদেশের ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির প্রধান এডভাইজার। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মতে তার মোট সম্পদের পরিমাণ 1.5 বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলা টাকায় দশ হাজার পাঁচশো কোটি টাকার মতো। তার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে bmw 7 সিরিজ অন্যতম।

৪। তারেক রহমান

তারেক রহমান বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপি'র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বড় সন্তান। তিনি বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন। তিনি 1967 সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তার বর্তমান বয়স 56 বছর।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করেছিলেন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে পারেননি এর আগেই তিনি বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মতে তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বাংলা টাকায় ১৭ হাজার কোটি টাকা।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা সরকারি মেডিকেল কলেজের তালিকা

৫। সৈয়দ আবুল হোসেন

সৈয়দ আবুল হোসেন একজন রাজনীতিবি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষা অনুরাগী। তিনি পরপর চারবার মাদারীপুর ৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। ২০০৯ সালে তিনি যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৫১ সালের ১ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন তার বর্তমান বয়স 72 বছর। তিনি 1974 সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

সৈয়দ আবুল হোসেন কর্মজীবনের শুরুতে চাকরি করলেও পরবর্তীতে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। তিনি সাহকো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং সাহকো এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা। এশিয়ার বোযাও ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি।

বিশ্ব ব্যাংক ১৯১২ সালে তার বিরুদ্ধে পদ্মা সেতুর দুর্নীতিতে অভিযোগ তুলেছিল কিন্তু তা অবশেষে প্রমাণিত হয়নি। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মতে তার মোট সম্পদের পরিমাণ এক বিলিয়ন ইউএস ডলার যা বাংলা টাকায় ১০০০০ কোটি টাকা প্রায়।

৬। গিয়াস উদ্দিন আল মামুন

গিয়াস উদ্দিন আল মামুন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলারের মত যা বাংলা টাকায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রায়। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর জন্য তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও রয়েছে।

৭। মহিউদ্দিন খান আলমগীর

মহিউদ্দিন খান আলমগীর সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, মন্ত্রী, লেখক, সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ। ২০১২ সালে তিনি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। মহিউদ্দিন খান আলমগীরকে গঙ্গা পানি চুক্তি ও পার্বত্য শান্তি চুক্তির প্রণেতা বলা হয়। তিনি ১৯৪২ সালে চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন তার বর্তমান বয়স ৮১ বছর।

মহিউদ্দিন খান আলমগীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন ও বস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইট এর মতে বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ 410 মিলিয়ন ইউএস ডলার যা বাংলা টাকায় ৪১০০ কোটি টাকার মত।

৮। ইকবাল আক্ষেদ

ইকবাল আক্ষেদ একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্রিটিশ বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। তিনি 1956 সালের 4 আগস্ট সিলেট বিভাগের ওসমান নগর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন, তার বর্তমান বয়স প্রায় ৬৭ বছর।

বর্তমানে তিনি লন্ডনের ম্যানচেস্টারে বসবাস করেন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ 390 মিলিয়ন ইউএস ডলার যা বাংলা টাকায় ৩৯০০ কোটি টাকার মত। বাংলাদেশী বংশদ্ভুত এই ব্রিটিশ ব্যবসায়ী শুধুমাত্র চিংড়ি মাছের ব্যবসা করে এত টাকার মালিক হয়েছেন।

তিনি সীমার্ক এবং ইবকো নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। এই দুটি প্রতিষ্ঠান মূলত শিপিং রিয়েল এস্টেট, হোটেল খাদ্য আর হাসপাতাল নিয়ে ব্যবসা করে থাকে। এই কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে তিনি যুক্তরাজ্যের ধনীদের তালিকায় তার নাম আনতে পেরেছেন।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা

৯। রাগীব আলী

রাগীব আলী বিশিষ্ট শিল্পপতি, শিক্ষা অনুরাগী ও সমাজসেবক।তিনি 1938 সালে দশই অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন তার বর্তমান বয়স ৮৫ বছর। তিনি ছোটবেলা থেকেই ইংল্যান্ডে বসবাস করে এবং সেখান থেকেই তার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছেন। কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে তিনি আজকের এই পজিশনে এসেছেন।

দেশের বেশিরভাগ চায়ের চাহিদা মিটিয়ে থাকে রাগীব আলীর চায়ের কোম্পানি। বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৭০ মিলিয়ন ইউএস ডলার যা বাংলা টাকায় ৩৭০০ কোটি টাকারও বেশি।

রাগীব আলী যেমন অর্থ কামিয়েছেন তেমনি শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ, লিডিং ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি।

এছাড়াও প্রায় ২০০টি শিক্ষাও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নির্মাণের পেছনে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বর্তমানে তার চারটি বিশাল চা বাগান রয়েছে যার প্রতিটির মূল্য ২০০ কোটি টাকা প্রায়। উপমহাদেশের সবচাইতে পুরাতন চা বাগান মালিনীছড়ার বর্তমান মালিক তিনি।

১০। সাকিব আল হাসান

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের সেরা ধনীদের তালিকায় থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সাকিব আল হাসানের অনেক ধরনের বিজনেস এবং ইনভেস্টমেন্ট রয়েছে। আর সেখান থেকেই সাকিব আল হাসান টাকা আয় করে সেরা ধনীদের তালিকায় এসেছে।

সাকিব আল হাসান ১৯৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন তার বর্তমান বয়স ৩৬ বছর। বর্তমানে তিনি ঢাকার অভিজাত এলাকায় বসবাস করেন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় ৩৫০০ কোটি টাকা প্রায়।

সাকিব আল হাসান একজন ভালো ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী। তার চিংড়ি মাছের ব্যবসার পাশাপাশি গরুর খামার রয়েছে। দেশে-বিদেশে মিলে তার 75 টি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন পণ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করে থাকেন। যেখান থেকে তিনি মোটা অংকের টাকা আয় করেন।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা ২০২৪

১১। শওকত আলী চৌধুরী

শওকত আলী চৌধুরী চট্টগ্রামের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তার মোট সম্পদের পরিমাণ 275 কোটি টাকা। তিনি ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ডিরেক্টর। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অফ অফ আর্টস কমপ্লিট করেন।

তিনি শিপ রিসাইক্লিং, গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি, রিয়েল এস্টেট, ইন্সুরেন্স কোম্পানি, কন্টেইনার টার্মিনাল এন্ড হ্যান্ডেলিং, টি প্লান্টেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন ইত্যাদি ব্যবসার সাথে জড়িত।

১২। সাইফুল ইসলাম

সাইফুল ইসলাম নাভানা গ্রুপের চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম কামালের ছেলে। তার মোট সম্পদের পরিমাণ 270 কোটি টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই তিনি তার বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নাভানা গ্রুপে যোগদান করে।

তিনি ২০০০ সালে নাবানা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নাভানা রিল স্টেট, নাভানা সিএনজি, নাভানা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড ইত্যাদি পরিচালনায় তিনি ভূমিকা রেখে আসছেন।

১৩। মোয়াজ্জেম হোসেন

মোয়াজ্জেম হোসেন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সেই সাথে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট। মোয়াজ্জেম হোসেন হুসাইন মিটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং সিটি লিংক অ্যাপার্টমেন্ট লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় তার ব্যবসা ছড়িয়ে আছে।

১৪। আফরোজা বেগম: বাংলাদেশের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় আফরোজা বেগম অন্যতম। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৫৮ কোটি টাকা।

১৫। আকিজ পরিবারঃ এই পরিবারের ৫ সদস্য, শেখ বশির উদ্দিন, শেখ জামাল উদ্দিন, শেখ শামীম উদ্দিন, শেখ জসীমউদ্দীন ও শেখ নাসির উদ্দিন প্রত্যেকেই 140 কোটি টাকার পরিমান সম্পদের মালিক। আকিজ গ্রুপের, সিগারেট বিড়ি, প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং, টেক্সটাইল, ফার্মাসিটিক্যাল, চারমা শিল্প ও রিয়েল এস্টেট ইত্যাদি ব্যবসা রয়েছে।

১৬। এম এ খালেক: এমএ খালেক প্রাইম ব্যাংকের পরিচালক। তার মোট সম্পদের পরিমাণ 140 কোটি টাকা। ২১ বছর সফলভাবে ব্যবসা করে তিনি প্রাইম ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, প্রাইম ইন্সুরেন্স লিমিটেড, ফারইস্ট ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, প্রাইম সিকিউরিটিজ লিমিটেড, প্রাইম প্রোডেনশিয়াল ফান্ড লিমিটেড সহ বেশ কিছু সফল প্রতিষ্ঠানের মালিক হন।

১৭। সোহেল এফ রহমান: তিনি বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমানের ভাই। তারা দুই ভাই মিলে মূলত বেক্সিমকো গ্রুপ প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন।

১৮। মনজুরুল ইসলাম: মনজুরুল ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় নিজের নাম করে নিয়েছে। তার মোট সম্পদের পরিমাণ 135 কোটি টাকা।

১৯। শামসুদ্দিন খান: শামসুদ্দিন খান একে খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেড এর চেয়ারম্যান এবং ডিরেক্টর।

২০। নজরুল ইসলাম মজুমদার: নজরুল ইসলাম মজুমদার নাসা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও মালিক। তার মোট সম্পদের পরিমান 130 কোটি টাকা।

বাংলাদেশের সেরা ২০ ধনী তালিকা ২০২৪ নিয়ে সর্বশেষ কথা

বাংলাদেশের সেরা ২০ ধনী ২০২৪ উপরের তালিকাটি করা হয়েছে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য মতে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের শীর্ষ ধনীকে এটা বলা মুশকিল। কারণ, কেউ তার সম্পদের সঠিক হিসাব দেয় না। এর কারণ হচ্ছে যত বেশি সম্পদ সরকারকে তত বেশি বেশি ভ্যাট ট্যাক্স দিতে হবে। এইজন্য সকল সম্পদশালী লোকেরাই তাদের সম্পদের সঠিক পরিমান হিসাব দেয় না।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: