রিজাইন লেটার কিভাবে লিখতে হয় | রিজাইন লেটার লেখার নিয়ম

রিজাইন লেটার কিভাবে লিখতে হয় – চাকরি থেকে অব্যাহতি নেয়ার জন্য রিজাইন লেটার লেখার প্রয়োজন হয়। যেহেতু আমরা অনেক কমই চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে থাকি তাই অনেকের কাছেই অজানা থাকে রিজাইন লেটার কিভাবে লিখতে হয়।

চাকরি ছাড়ার জন্য আপনাকে রিজাইন লেটার লিখতে হবেই। কারন রিজাইন লেটার একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। যা আমাদের জীবনের যে কোনো সময়ে কাজে আসতে পারে।

বন্ধুরা, আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো রিজাইন লেটার কিভাবে লিখতে হয় ও রিজাইন লেটার লেখার নমুনা সম্পর্কে। সাথে আমরা ইংরেজি ও বাংলা রিজাইন লেটার নমুনা প্রদান করব। যা থেকে আপনারা খুব সহজে রিজাইন লেটার লিখতে পারবেন।

রিজাইন লেটার কিভাবে লিখতে হয়
(toc) #title=(সুচিপত্র)

রিজাইন লেটার কি

রিজাইন লেটার কিভাবে লিখতে হয় জানার পুর্বে রিজাইন লেটার মুলত কি সে সম্পর্কে আমাদের স্বচ্ছ ধারণা রাখা প্রয়োজন। যদি কোনো চাকরি থেকে আপনি অব্যাহতি নিতে চান সেক্ষেত্রে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেয়ার একটি দরখাস্ত করা হলো রিজাইন লেটার।

বাংলা অথবা ইংরেজি যেকোনো ভাষায় আপনি চাইলে রিজাইন লেটার লিখতে পারবেন। তবে রিজাইন লেটার লেখার ক্ষেত্রে লেটার এর বডি, ভাষার প্রয়োগ, বিষয় ইত্যাদি সঠিক ভাবে লিখতে হবে।

রিজাইন লেটার লেখার নিয়ম - রিজাইন লেটার কিভাবে লিখতে হয়

রিজাইন লেটার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি সঠিক ভাবে সাজিয়ে লিখতে না পারেন আপনার সম্মানের একটা ব্যাপার থাকবে যেহেতু ইতিমধ্যে আপনি সেখানে চাকরিরত অবস্থায় ছিলেন। রিজাইন লেটার লেখার জন্য কয়েকটি ধাপে নিচে আমরা নিয়ম গুলো লিখে দিলাম:

ধাপ-১: রিজাইন লেটার লেখার জন্য ফরম্যাট আপনাকে তৈরি করতে হবে। কিন্তু আমরা এখানে সবচেয়ে বেশি ব্যাবহুত ফরম্যাট অনুযাই নিয়ম গুলো শুরু করব। তো আপনাকে প্রথমে সবার উপরে তারিখ লিখতে হবে। আপনি যে তারিখে লেটার টি জমা দিবেন সে তারিখটি প্রথমে লিখুন।

ধাপ-২: এবার তারিখ লেখা হয়ে গেলে প্রাপকের নাম সাথে আপনি যে প্রতিষ্ঠানে লেটারটি পাঠাবেন সেটার নাম ও ঠিকানা লিখতে হবে।

ধাপ-৩: ঠিকানা লেখা হয়ে গেলে এবার আপনাকে লেটারের বিষয় লিখতে হবে। আপনার লেটারটি আসলে কোন বিষয়ের উপর সেটা সংক্ষেপে লিখতে হবে। এখানে আপনি চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন লিখতে পারেন।

ধাপ-৪: এবার আপনি কার কাছে লেটারটি পাঠাবেন তাকে সম্বোধন করে স্যার অথবা জনাব লিখতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী সবাই যেটা ডাকে সেভাবে লিখবেন।

ধাপ-৫: এবার মূল লেটারের মধ্যে আপনি কেন চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে চাচ্ছেন সেটা অতি সংক্ষেপে তুলে ধরুন।

ধাপ-৬: লেটার লেখা শেষ হয়ে গেলে “বিনীত নিবেদক/ বিনীত নিবেদিকা” লিখতে হবে।

ধাপ-৭: এবার আপনার নাম, প্রতিষ্ঠানে আপনি কোন পদে আছেন, আপনার ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার লিখে লেটার শেষ করতে হবে।

তো এভাবেই আপনি একটা সুন্দর রিজাইন লেটার খুব সহজে লিখতে পারবেন। তবে, অনেকেই হয়ত এখনো ভালো ভাবে বুঝতে পারছেন না যে কিভাবে রিজাইন লেটার ফরম্যাট সুন্দর ভাবে সাজাবেন। তাই নিচে আমরা রিজাইন লেটার এর নমুনা দিলাম।

আরো পড়ুনঃ দরখাস্ত লেখার নিয়ম

বাংলা রিজাইন লেটার নমুনা

বাংলা রিজাইন লেটার লেখার জন্য আমাদের উপরের দেয়া ফরম্যাট অনুযায়ী এখানে রিজান লেটার এর নমুনা প্রদান করলাম:

তারিখ – ১২-০৯-২০২৫

বরাবর

প্রধান পরিচালক ওয়ালটন

ওয়ালটন, ঢাকা ১২০৮

বিষয়ঃ অব্যাহতি পত্রের জন্য আবেদন।

জনাব,

সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার ওয়ালটন প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ডিপার্ট্মেন্ট এর কর্মরত মোঃ রফিক। আমি গত ০৮-০৮-২০০৮ তারিখে আপনার প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছি। বর্তমানে আমি (এখানে আপনার চাকরি ছাড়ার কারণ লিখবেন) স্ব-ইচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যহতি পত্র প্রদান করছি।

অতএব জনাবের নিকট আকূল আবেদন এই যে, উক্ত তারিখ থেকে আমার অব্যাহতি পত্র গ্রহন করিলে বাধিত থাকব।

নিবেদক

মোঃ রফিক

মার্কেটিং ডিপার্ট্মেন্ট

ওয়ালটন, ঢাকা

মোবাইলঃ ০১৭xxxxxxxxxx

সাক্ষর – প্রতিষ্ঠানের সাক্ষর।

আরো পড়ুনঃ ঠিকাদারি লাইসেন্স করার নিয়ম

ইংরেজি রিজাইন লেটার লেখার নমুনা

ইংরেজিতে রিজাইন লেটার এর ক্ষেতে প্রায় নিয়মটা একই তবে এ ক্ষেত্রে তারিখ এরপরে আপনার নাম টি আসবে, নিচে বিস্তারিত নমুনা তে দেখে নিনঃ

Date : 29-09-2025

Md: Abul Basar ( আপনার নাম)

Marketing Manager (আপনার পদ এর নাম)

Walton Comapany (প্রতিষ্ঠানের নাম)

Dhaka, 1201 (প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা)

Dear Sir,

I am writing to formally resign from my position at [প্রতিষ্ঠানের নাম], effective [Last Working Day, typically two weeks from the date of the letter].

After careful consideration, I have decided that it is time for me to pursue new challenges and opportunities in my career path. This decision was not an easy one to make, as [Company/Organization Name] has provided me with tremendous growth and professional development.

I would like to express my gratitude to you personally for your support and guidance throughout my time here. Your leadership and mentorship have been instrumental in my professional development, and I have learned a great deal from working under your supervision.

Once more, I would like to convey my utmost appreciation for the opportunities provided to me. I remain genuinely thankful to have been a part of [Company/Organization Name].

Thank you for your understanding and for making my time at [Company/Organization Name] truly valuable. I wish both the team and the company continued success and growth in the future.

Sincerely,

Your name

Mobile 

Address

আরো পড়ুনঃ চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে

কেন রিজাইন লেটার লিখবেন

আমাদের অনেকের মধ্যে একটি প্রশ্ন মাথায় ঘুরে সেটা হলো রিজাইন লেটার কেন লিখতে হবে? চাকরি তে আর না গেলেই তো আমার চাকরি এমনি চলে যাবে সেক্ষেত্রে রিজাইন লেটার এর প্রয়োজন কি?

প্রয়োজন আছে। কারণ রিজাইন লেটার বেশ কিছু সুবিধার দিক রয়েছে। যদি আপনি একটি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত থাকেন তাহলে অই দিন গুলো আপনার চাকরির অভিজ্ঞতা স্থানে যুক্ত হয়ে যাবে।

এখন যদি আপনি নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য যান এবং তারা যদি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যাক্তিদের শুধু নিয়োগ প্রদান করে তাহলে পুর্বের প্রতিষ্ঠানের রিজাইন লেটার হবে আপনার পুর্বের চাকরির অভিজ্ঞতার একটি সনদ।

তাহলে বুঝতেই পারছেন রিজাইন লেটার কতটা গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু আপনি যদি রিজাইন লেটার ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে দেন তাহলে অভিজ্ঞতার বিষয় টা আপনি আর পাবেন না। কারণ প্রতিষ্ঠান প্রধান আপনার উপরে অবশ্যই ক্ষুব্ধ থাকবে।

রিজাইন লেটার কোন ভাষায় লিখব

অনেকেই বুঝতে পারেন না রিজাইন লেটার ইংরেজি ভাষায় লিখব নাকি বাংলা ভাষায় লিখব? আসলে আপনি কোন ভাষায় আপনি রিজাইন লেটার লিখবেন সেটা নির্ভর করে আপনার কোম্পানির ধরণ ও আপনার পদের উপর।

আপনি যদি ভালো মানের একটা প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি ধরণের কোনো পদের উপরে চাকরি করে থাকেন তাহলে ইংরেজি তে লেখা সবচেয়ে ভালো হবে আর আপনি চাইলে বাংলা তে লিখতে পারেন। আপনি কোন ভাষায় লিখবেন এটা আসলে গুরুত্বপূর্ণ না।

আরো পড়ুনঃ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া এবং রিস্ক ফ্রি ব্যবসা

রিজাইন লেটার কেন বাতিল হয়

রিজাইন লেটার বাতিল হওয়ার অনেক কারন থাকতে পারে। তবে লেটার এর মধ্যে যে সব ভুল থাকলে বাতিল হবে তা হলো:

  • সঠিক ফরম্যাট ব্যবহার না করা।
  • লেটারে কোনো প্রকার বানান ভুল থাকলে।
  • লেটারে নিজের স্বাক্ষর না থাকলে।
  • জয়েনিং ডেট সঠিক ভাবে না দিলে।
  • ঠিকানা দিতে ভুল করলে।

ইত্যাদি কারণ ছাড়াও যদি সঠিক কারণের প্রমান চাওয়া হয় সেটা না দিতে পারলে রিজাইন লেটার বাতিল হয়ে যায়।

রিজাইন লেটার ছবি

রিজাইন লেটার কিভাবে লিখতে হয়

রিজাইন লেটার কিভাবে লিখতে হয় - রিজাইন লেটার লেখার নিয়ম নিয়ে শেষ কথা

রিজাইন লেটার লেখার নিয়ম আর্টিকেলে আমরা রিজাইন লেটার কিভাবে লিখতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরলাম। সঠিক ভাবে রিজাইন লেটার লিখতে পারলে অবশ্যই বাতিল হবে না। আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: