কোরবানির ঈদ কবে - ঈদুল আযহা ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ

25427 Sakhawat
লিখেছেন -

কোরবানির ঈদ কবে - ঈদুল আযহা ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কোরবানির ঈদ কবে সম্পর্কে। তাহলে আর দেরি না করে কোরবানির ঈদ কবে সম্পর্কে জেনে নিন।

কোরবানির ঈদ কবে সম্পর্কে আপনাদের জন্য নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজে জানতে পারবেন কোরবানির ঈদ কবে সম্পর্কে। তাই আর বিলম্ব না করে চলুন কোরবানির ঈদ কবে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কোরবানির ঈদ কবে

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি হল ঈদুল আযহা। চলতি কথনে এই উৎসবটি কুরবানীর ঈদ নামেও পরিচিত। ঈদুল আযহা মূলত আরবি শব্দ। এর অর্থ হল ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ত্যাগ করা। এ দিনটিতে মুসলমানেরা ফজরের নামাজের পর ঈদগাহে গিয়ে দুই রাকাত ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করে।

এরপরের স্ব স্ব আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও উট আল্লাহর নামে কোরবানি করে। অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করে থাকে কোরবানির ঈদ কবে সম্পর্কে জানার জন্য। চলুন তাহলে কোরবানির ঈদ কবে এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কোরবানির ঈদ কবে অথবা ঈদের তারিখ জানা প্রয়োজন কেন? আমরা অনেকেই ঈদের তারিখ জানতে চাই কারণ ঈদ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমরা এক বছরে দুটি ঈদ পেয়ে থাকি। ঈদের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আমরা ঈদের তারিখ জানতে চাই। কোরবানির ঈদ হলে তো আরো বেশি প্রয়োজন কারণ সময়মতো গরু বা ছাগল কিনতে হয়।

তাই অনেকেই কোরবানির ঈদ কবে এ সম্পর্কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকে। আমরা সবাই ঈদুল আযহাকে পশু কোরবানির ঈদ বলে জানি কেননা এই ঈদ আমরা পরশু কোরবানি করি। কারণ সামর্থবান ব্যক্তির উপরে কোরবানি করা ওয়াজিব।

আমরা অনেকেই ২০২৩ সালের কোরবানির ঈদ বা ঈদুল আযহা কবে এই বিষয়ে জানতে চেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকি। বাংলাদেশে ২৯ শে জুন, বুধবার কোরবানির ঈদ বা ঈদুল আযহা হবে।

আরো পড়ুনঃ ঈদে মেহেদি ডিজাইন ২০২৩

ঈদুল আযহা ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ

মুসলমানদের জন্য পবিত্র দুটি উৎসবের ভেতরে একটি হল ঈদুল আযহা। তাই অনেকে কোরবানির ঈদ কবে শেষ সম্পর্কে জানতে চাই। জ্বিলহজ্জ মাস অনুযায়ী ১০ই জ্বিলহজ্জ হচ্ছে জুন মাসের ২৮ তারিখে সেই অনুযায়ী আরবের বিভিন্ন দেশে জুন মাসের ২৮ তারিখে কোরবানি ঈদ ২০২৩ পালন করা হবে। 

দিও এটা সম্পূর্ণটাই চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। যেহেতু আগে থেকে আরবের বিভিন্ন দেশ যেমন সৌদি আরবের ঈদ পালন হওয়ার পরের দিন বাংলাদেশের আকাশের চাঁদ দেখা যায় সেহেতু ২৮ শে জুন চাঁদ দেখা গেলে আরব দেশে ২৯ শে জুন কোরবানি ঈদ বাংলাদেশে পালন করা হবে।

কুরবানীর ঈদ কত দিন

মুমিন বান্দার জীবনে পবিত্র ঈদুল আযহা এবং কোরবানির গুরুত্ব সীমাহীন। কারণ মুমিনের জীবনের একমাত্র আরাধনা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। আর প্রাকৃতিক কোরবানি তাকে অত্যন্ত দ্রুত আল্লাহর নৈকট্যে ভূষিত করে। কোরবানি শব্দের অর্থ নৈকট্য, ত্যাগ, উৎসর্গ। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে এ কোরবানি।

কোরবানির ঈদ পালনের মাধ্যমে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও নবী হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও হযরত ইসমাইল (আ.) এর অতুলনীয় অনুগত্য এবং মহান ত্যাগের পুণ্যময় স্মৃতি বহন করে। কুরবানীর ঈদ তিন দিন ব্যাপী হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ ঈদের দিনের সুন্নত কাজগুলো কি কি

ঈদুল আযহা কেন পালন করা হয়

সারা বিশ্বজুড়ে পালিত হয় কোরবানির ঈদ। এই ঈদের আরেক নাম হল ঈদুল আযহা। মুসলিমরা সাধারণত দু ধরনের ঈদ পালন করে। ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহা। মুসলিম সম্প্রদায়ের দুটি সর্ববৃহৎ উৎসব এর মধ্যে এটি অন্যতম। দুটি ঈদ-ই শুরু হয় নতুন দর্শন করে।

আকাশে নতুন চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা এই উৎসবে মেতে ওঠেন। মুসলমানদের মতে ত্যাগের অন্যতম প্রতীক এই কোরবানির ঈদ। সাধারণত কোরবানি ঈদ পালন করা হয় আল্লাহতালার উপরে কৃতজ্ঞতা ও আল্লাহর নামে কোরবানি করার মাধ্যমে।

কোরবানির ঈদ পালনের মাধ্যমে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও নবী হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও হযরত ইসমাইল (আ.) এর অতুলনীয় অনুগত্য এবং মহান ত্যাগের পুণ্যময় স্মৃতি বহন করে। কোরবানির ঈদে আল্লাহকে কিছু না কিছু উৎসর্গ বা কোরবান করতে হয়।

ঈদুল আযহার নামাজ

মুসলিমগণ ঈদুল আযহার নামাজ মসজিদে বা খোলা মাঠে আদায় করে থাকেন। ঈদের নামাজ জ্বিলহজ্জের ১০ তারিখে সূর্য উদয়ের পর থেকে জোহর নামাজের সময় হবার আগ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময় এর ভেতরে যেকোনো সময় আদায় করা হয়ে থাকে। কোন কারণবশত নামাজ আদায় করা না গেলে ঈদুল আযহার নামাজ ১২ ই জ্বিলহজ্জ পর্যন্ত ওই সময়ের মধ্যে আদায় করা যাবে।

ঈদের নামাজের আগে মুসল্লিরা জোরে জোরে তাকবীর উচ্চারণ করে। ঈদের নামাজ দুই রাকাত। এটি ওয়াজিব নামাজ। তা জামায়াতের সঙ্গে ছয় অতিরিক্ত তাকবীরের সঙ্গে পড়তে হয়। ঈদের নামাজ এর শেষে ইমামের জন্য খুতবা পড়া সুন্নত ও মুসল্লিদের জন্য খুতবা শোনা ওয়াজিব। হাজীগণ কোরবানির ঈদ কবে সে সম্পর্কে জানার পরে হজের উদ্দেশ্যে মক্কার দিকে যাত্রা শুরু করে।

আরো পড়ুনঃ ঈদুল আযহা ২০২৩ কত তারিখ

উপসংহারঃ কোরবানির ঈদ কবে - ঈদুল আযহা ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ

ঈদ-উল-আযহা এটা একটি আরবি ভাষায় এ শব্দের অর্থত্যাগের উৎসব। আকাশের নতুন চাঁদের ফালি ফুটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশে মুসলিম ধর্মাবলম্বলি সবাই আল্লাহর নামে কোরবান করে। ইসলাম ধর্মের বড় উৎসবের মধ্যে কোরবানি ঈদ একটি। রমজান মাস শেষ হবার মোটামুটি ৭০ দিন পরে ও ইসলামিক ক্যালেন্ডার জিলহ মাসের ১০ তারিখের কোরবানির ঈদ পালন করা হয়। ঈদ-উল-আযহা সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার ওপরে নির্ভর করে থাকে।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা সবাই উপকৃত হয়েছেন। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন এবং তাদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ব্লগ ক্যাটাগরি: