ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ বাচার হার কত দিন

ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ বাচার হার কত দিন: মারাত্মক একটি আতঙ্কের নাম স্তন ক্যান্সার, যে রোগটি মূলত পুরো বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মহিলাদের মাঝে দেখা দিচ্ছে। এটি এমন একটি সমস্যা তৈরি করে মানব শরীরে যেটা সমাধানের এখনো পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট মাধ্যম খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। আর তাইতো ক্যান্সার নামক ব্যাধিকে মরণব্যাধি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে এরই মধ্যে।

ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ বাচার হার কত দিন

ক্যান্সার বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, এমনকি শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্যান্সার বাসা বাঁধতে পারে। কিন্তু বর্তমান সময়ে স্তন ক্যান্সারের সংখ্যা বিপুল হারে বেড়ে চলেছে। আর তাই কেউ যদি এখন পাঁচ বছর সময়ের জন্য স্তন ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকতে পারে, তাহলে নিজেকে একজন ক্যান্সার যোদ্ধাও মনে করা যেতে পারে।

কেননা প্রত্যেক বছরে শুধুমাত্র স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দেশে ৭,৫০০ হাজারের বেশি মহিলা মারা যাচ্ছে। তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ বাঁচার হার কত দিন এ সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেল ডিস কিড না করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আজ আমরা ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি এবং ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ বাঁচার হার কত দিন তা নিয়ে আলোচনা করবোঃ

(toc) #title=(সুচিপত্র)

ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ বাঁচার হার কত দিন

ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ হচ্ছে ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়। মূলত এই পর্যায়ে ক্যান্সার স্তন এবং এর আশেপাশের লিম্ফ নোডের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। বেস্ট ক্যান্সার হলে এটা সঠিকভাবে চিকিৎসা নেওয়ার পরবর্তীতে পুনরায় চরিত্র বদলে আবারও ফিরে আসে।

ইতিমধ্যে ডাক্তাররা জানিয়েছেন– কারো যদি ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়ে থাকে তাহলে সেটা ঔষধ সেবন ও চিকিৎসা এর পরবর্তীতে সেরে গেলে আবারো এক থেকে দুই বছরের মধ্যে বেশিরভাগ রোগীর মাঝেই পুনরায় ফিরে আসে। আর ঠিক এ কারণেই স্তন ক্যান্সার বর্তমানে মহিলাদের জীবনের আতঙ্ক হয়ে উঠেছে।

আর হ্যাঁ, ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ বাঁচার হার কত দিন? এ প্রশ্নের মূলত সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর নেই। তবে অনুমান অনুসারে স্টেজ ২ স্তন ক্যান্সারের জন্য গড় ৫ বছরের আপেক্ষিক বেঁচে থাকার হার প্রায় ৯৩%। অর্থাৎ বেঁচে থাকার হার মোটামুটি ৯৩ পারসেন্ট। তবে যারা ক্যান্সারের আগে নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করে তাদের আরও ভাল ফলাফলের প্রবণতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মূলত বেঁচে থাকার পার্সেন্টেজ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?

দেখুন আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে নিশ্চয়ই নজরে আসবে যে আমরা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ হচ্ছে ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়। মানে আপনি যদি এ সময়ে সঠিক প্রক্রিয়ায় সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তাহলে আপনার বেঁচে থাকার হার ধরা যায় ৯৯%। আর তাই বেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ হলে খুব বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকছেন না আপনি।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিলা স্টেজ ২ পর্যায় থাকার সময় চিকিৎসকের কাছে শরণাপন্ন হোন না মানে চিকিৎসা গ্রহণ করেন না। যখন স্তন ক্যান্সার তৃতীয় পর্যায়ে অর্থাৎ থার্ড স্টেজ এবং ফোর্থ স্টেজ অতিক্রম করতে থাকে ঠিক ওই সময়ে চিকিৎসা শুরু করেন। চিকিৎসকরা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন– প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ রোগী ফোর্থ অর্থাৎ লাস্ট স্টেজ অতিক্রম করার পর চিকিৎসা শুরু করেন স্তন ক্যান্সারের।

আর ঠিক এ কারণেই স্তন অর্থাৎ ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ মহিলারই মৃ- ত্যু হয়ে থাকে। আর এর অন্যতম কারণ স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষের মাঝে পূর্ণ ধারণা না থাকা। অনেকেই জানেন না স্তন ক্যান্সার চেনার উপায় কি! স্তন ক্যান্সারের কারণ ও প্রতিকার কি এ সম্পর্কে। আর তাই, আমরা সাজেস্ট করব এ ব্যাপারে আরো বেশি ধারণা অর্জন করবার।

আর আপনি যদি সত্যিই বেস্ট টিউমার বা ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে চান তাহলে এখনি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। কেননা ইতিমধ্যে আমরা বেস্ট টিউমার চেনার উপায়, টিউমার ভালো হওয়ার উপায়, বাংলাদেশের সেরা ক্যান্সার হাসপাতাল এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে যেসব খাবার এসব সম্পর্কে বেশ কিছু আর্টিকেল প্রকাশ করেছি। 

আরও পড়ুনঃ  স্তন ক্যান্সারের কারণ ও করণীয়

ব্রেস্ট ক্যান্সার মানে কি অবধারিত মৃ- ত্যু?

না, ব্রেস্ট ক্যান্সার মানেই অবধারিত মৃ- ত্যুর নয়, যদি সেটা প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়ে এবং আপনি ওই সময় পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ইতিমধ্যে যত ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসকের কাছে গিয়েছেন তারা থার্ড এবং সর্বশেষ পর্যায় অতিক্রম করার পরবর্তীতে গিয়েছেন। আর ঠিক এ কারণেই ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।

আবার ব্রেস্ট ক্যান্সার মানে কি অবধারিত মৃ- ত্যু এই প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ বলেও সম্বোধন করা যায়। কেননা ব্রেস্ট ক্যান্সার এমন একটি সমস্যা যেটা এক পর্যায়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পরবর্তীতে আবারো পুনরায় আবির্ভাব নিতে পারে। 

তবেই তোমাদের চিকিৎসকরা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছেন– যদি সঠিক পদ্ধতিতে সঠিক সময় চিকিৎসা নেওয়া হয় তাহলে মোট ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ রোগীকে বাঁচানো সম্ভব ব্রেস্ট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে। অতএব ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া মানেই রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা আর নেই এটা ভাবা একদমই ভুল।

এখন কথা হচ্ছে– পর্যায় ২ স্তন ক্যান্সার কতটা মারাত্মক! স্টেজ ২ ক্যান্সার নিরাময় এর ক্ষেত্রে করনীয় কি? এ সম্পর্কে ধারণা পেতে নিজের অংশটুকু পড়ুন। কেননা আলোচনা শেষ পর্যায়ে আমরা স্টেজ ২ কতটা মারাত্মক এবং এটা নিরাময়ের জন্য কি পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত তা আমরা সাজেস্ট করব।

ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ নিরাময় এ করণীয়

ব্রেস্ট স্টেজ ২ ক্যান্সার নিরাময়– স্টেজ ২ ক্যান্সার স্টেজ ১ ক্যান্সারের চেয়ে একটু বেশি গুরুতর, তবে প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীরা রোগ থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় হতে পারে । অবিলম্বে চিকিৎসা করা হলে পুনরাবৃত্তি হারও কম। যাইহোক, ক্যান্সার একটি অত্যন্ত প্রগতিশীল রোগ, যা বর্ধিত হারে ছড়িয়ে পড়ে। আর তাই এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন ও চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

আর হ্যাঁ, ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ খুব একটা মারাত্মক পর্যায় নয় কেননা এটা প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা চলে। তবে এটি স্টেজ ওয়ান এর থেকে বেশি গুরুতর। আর যেহেতু ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি তাই এটা যে পর্যায়ে থেকে থাকুক না কেন ঠিক সেই সময় থেকেই সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের প্রচেষ্টা চালানো উচিত।

তবে হ্যাঁ অনেকেই জানেন না বা বুঝতে পারেন না স্তনের কি কি সমস্যা দেখা দিলে সেটা স্তন ক্যান্সারের লক্ষণকে প্রকাশ করে আর কেন চিকিৎসকের স্বর্ণপর্ণ হওয়া জরুরী! আর তাই আমরা এ পর্যায়ে কিছু উপসর্গ উল্লেখ করবো যেগুলো দেখা দিলে আপনি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। যথাঃ

১। স্তনে চাকা অনুভব করা ২। স্তনে হালকা চাপ লাগলে ব্যথা অনুভব করা ৩। স্তনে ব্যথা করা ৪। স্তনের চামড়ার অস্বাভাবিকতা ৫। বোটার স্বাভাবিক আকার পরিবর্তন ৬। বোঁটা থেকে অস্বাভাবিক তরল পদার্থ নির্গত হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।

তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, ব্রেস্ট ক্যান্সার স্টেজ ২ বাঁচার হার কত দিন আশা করছি আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার পর এটা আপনাদের কাছে সুস্পষ্ট। তো যদি আপনার মাঝে উপরে উল্লেখিত উপসর্গগুলো দেখা দিয়ে থাকে তাহলে এক মুহূর্ত দেরি না করে এখনই পরামর্শ নিন চিকিৎসকের। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: