সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা - প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যেহেতু আর কিছুদিন পর শুরু হতে চলেছে পবিত্র মাস মাহে রমজান তাই এই মাসে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা বিভাগের তথ্য আমাদের সকলের জানা উচিত। যদিও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ইফতার করা হয়। তবে আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা আলোচনা করা হলো।

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা

সূচিপত্রঃ সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ভূমিকাঃ সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা

প্রতিটি মুসলিম এর কাছে রমজান মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রমজান মাস হলো আল্লাহ তাআলার মাস। এই মাসটিতে আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য ইসলাম ধর্মাবলম্বীর প্রতিটি মানুষ রোজা পালন করে থাকে। শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য এই রমজান পালন করা হয়। তাই আমাদেরকে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা সম্পর্কে জানতে হবে।

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রমজান কত তারিখ থেকে শুরু? প্রথম রোজা কত তারিখ থেকে? সেহরি করার গুরুত্ব, ইফতার করার গুরুত্ব, রমজানের ফজিলত সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো জানতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ শাবান মাসের ফজিলত

রমজান কত তারিখ থেকে শুরু

আমাদের মধ্যে অনেকেই রমজান কত তারিখ থেকে শুরু এ বিষয়টি সম্পর্কে জানে না। রমজানের পূর্ববর্তী মাস হলো সাবান মাস। বর্তমানে সাবান মাস চলমান রয়েছে। সাবান মাসের পরে আসবে পবিত্র মাস রমজান। আল্লাহ তায়ালার কাছে যে কয়টি মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে অন্যতম হলো রমজান মাস।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ যখন মিরাজে গিয়েছিলেন তখন আল্লাহ তায়ালা পুরস্কার স্বরূপ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সাথে ৩০ টি রমজান শেষ নবীর উম্মত অর্থাৎ আমাদের জন্য দিয়েছিলেন। তাহলে এখান থেকে বুঝা যায় যে রমজান মাসের গুরুত্ব আল্লাহ তায়ালার কাছে কতটা বেশি। তাই প্রতিবছর আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য ইসলাম ধর্মাবলম্বীর মানুষেরা ৩০ টি রমজান পালন করে থাকে।

রমজান শুরু হওয়ার আগে থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য অনেকেই কত তারিখ থেকে রমজান শুরু হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চায়। তাহলে খুব সহজেই রমজান মাসের প্রস্তুতি নেওয়া যায়। এই বছর ২০২৩ সালের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রমজান মাস শুরু হবে মার্চ মাসের ২৪ তারিখ থেকে।

প্রথম রোজা কত তারিখ থেকে

যেহেতু এক বছর পর রমজান আবার ফিরে আসে আমাদের মাঝে তাই প্রথম রোজার দিনে মানুষ একটু বেশি উৎসাহ থাকে। বিশেষ করে যারা প্রকৃত মুসলিম এবং আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসেন সাধারণত তাদের মধ্যে একটা আনন্দ বিরাজমান থাকে। সেই জন্য সেই ধরনের ব্যক্তিরা প্রথম রোজা কত তারিখ থেকে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চায়।

যেহেতু প্রতিবছরের ক্যালেন্ডার আগে থেকেই ঠিক করা থাকে তাই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী 2023 সালের রমজান মাস শুরু হবে মার্চ মাস থেকে। মার্চ মাসের 24 তারিখে প্রথম রমজান অর্থাৎ রোজা সম্পূর্ণ হবে। যেহেতু ইসলামে মাস গুলো সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল তাই প্রথম রোজা ২৪ তারিখ হবে নাকি সেটা নির্ভর করবে চাঁদ দেখার উপর।

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা

সাধারণত আমরা সেহরির মাধ্যমে রোজা ধরে থাকি এবং ইফতার এর মাধ্যমে রোজা সম্পন্ন করে থাকি। সেহরি এবং ইফতার করার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু এই সেহরি ও ইফতারের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করা হয়। সেহেরী যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করা না হয় তাহলে রোজা হবে না। ইফতার ও একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করা হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে রমজান মাসের ৩০ দিনের ইফতার এবং সেহরি কত মিনিটে হবে এ বিষয়গুলো বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়। সাধারণত সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা জানার জন্য অনেকেই গুগলের সার্চ করে থাকে। তাদের জন্য নিচে ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুনঃ ২০২৩ সালের রমজানের ঈদ কত তারিখ

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা

সেহরি করার গুরুত্ব

আর কিছুদিন পর শুরু হতে চলেছে পবিত্র মাস মাহে রমজান। এই মাসের প্রতিটি আমল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষের একটি আমল করলে যে নেকি পাওয়া যায় রমজান মাসে ওই আমলটি করলেই তার থেকে ডাবল নেকি পাওয়া যায়। রোজা রাখার জন্য আমাদেরকে প্রথমে সেহরি খেতে হয় যার গুরুত্ব অপরিসীম।

সেহরি করার গুরুত্ব এবং ফজিলত সম্পর্কে অনেকগুলো হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ নিজে সেহরি খেতেন এবং অন্যদেরকেও খুব তাকিদ দিতেন। সেহরি মুসলমান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের রোজার পার্থক্যকারী।

হযরত আমর ইবনে আস রাঃ থেকে বর্ণিত, হাদিসে নবী সাঃ বলেছেন, "আমাদের ও আহলে কিতাবের রোজার মাঝে পার্থক্য হল সেহেরির লোকমা। কিংবা সেহরি খাওয়া" {মুসলিমঃ ১০৯৬} কারণ আহলে কিতাবদের রোজার মধ্যে সেহেরির বিধান নেই। আর মুসলমানদের রোজা সেহেরির সঙ্গে হয়। এই সেহেরী মুসলমান ও কাফেরদের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে।

কাফেরদের চিন্তা হলো রোজা নিজেকে কষ্ট দেওয়ার জন্য অথচ মুসলমানদের চিন্তা হলো রোজার আদেশ মান্য করে অনুগত্যের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা। সেহরি খাওয়ার ফলে সারাদিন রোজা সুন্দর ভাবে রাখা যায়। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত নবী করীম সাঃ ব বলেন," সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে দ্বীনের রোজা পূর্ণ করার জন্য সাহায্য নাও এবং দুপুরের ঘুমের মাধ্যমে"{ ইবনে মাজাহঃ ১৬৯৩}

ইফতার করার গুরুত্ব

আমরা জানি যে রমজান মাস হল বরকতপূর্ণ একটি মাস। রমজান মাসে প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর রোজা রাখা ফরজ। রোজা রাখার পর যে খাবারের সমাপ্তি হয় এটাকে ইফতার বলে। ইফতারের অনেক গুরুত্ব এবং ফজিলত রয়েছে।

রোজা শেষে নবী করীম সাঃ ইফতার করতেন। সাহাবায়ে কেরাম ইফতার করতেন। আলকামা ইবনে সুফিয়ান ইবনে আব্দুল্লাহ সাকাফি নিজের পিতা থেকে বর্ণনা করেন, " আমরা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাসুল সাঃ এর সাক্ষাতের জন্য আসতাম।

তিনি আমাদের জন্য মুগীরা ইবনে সোয়ার ঘরের পাশে দুইটি তাঁবু টানিয়ে দিতেন। বেলাল রাঃ আমাদের কাছে ইফতার নিয়ে আসতেন। আমরা জিজ্ঞেস করতাম, বেলাল রাঃ রাসূলুল্লাহ সাঃ ইফতার করেছেন? বেলাল রাঃ বলতেন হ্যাঁ, আমি তোমাদের কাছে রাসুল সাঃ এর ইফতার করার পরে এসেছি এবং আমরাও খেয়ে এসেছি।"

রমজানের ফজিলত সমূহ

আল্লাহতালার কাছে রমজানের চাইতে উত্তম মাস আর নেয়। রমজান মাস হল আল্লাহ তাআলার কাছে সবথেকে উত্তম এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। সাধারণত তাই রমজান মাসের এত ফজিলত। রমজান মাসকে নাজাত এবং ক্ষমাপ্রার্থনের মাস বলা হয়ে থাকে। আমরা অনেকেই রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে জানিনা। কিন্তু রমজান মাসের ফজিলত অনেক।

আবু হুরায়রা রাঃ বলেন, যখন রমজান মাসের আগমন ঘটল, তখন নবীজি সাঃ ইরশাদ করলেন, ‘তোমাদের কাছে বরকতময় মাস রমজান এসেছে। আল্লাহ তাআলা তোমাদের ওপর এ মাসের রোজা ফরজ করেছেন।’ {মুসনাদে আহমদঃ ৭১৪৮}

রমজানের রোজা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবার রোজার বিনিময়ে অনেক বড় পুরস্কারেরও ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। মহানবী সাঃ বলেন, “আল্লাহ্ তাআলা বলেন- ‘রোজা আমারই জন্য। আমি নিজে এর প্রতিদান দেব। আমার বান্দা আমার জন্য পানাহার ছেড়ে দেয়, কামনা বাসনা ছেড়ে দেয়। রোজাদারের জন্য দু’টি খুশি। একটি খুশি ইফতারের সময়। আরেকটি খুশি আমার সঙ্গে তার সাক্ষাতের সময়। রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট  মিশকের সুগন্ধের চেয়েও উত্তম।” {বুখারিঃ ৭৪৯২}

এ মাসে মানুষের প্রত্যেকটি আমল বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। একটি নেকি ১০ গুণ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, কিন্তু রোজার ব্যাপারটি ভিন্ন। কারণ, রোজা আমার জন্য। সুতরাং তার প্রতিদান আমি নিজেই প্রদান করব।’ {বুখারিঃ ১৮৯৪}

রমজান মাসের ফজিলত বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছেঃ

১। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য ফরজ রোজা পালন করা।

২। রমজান মাসে কুরআন নাযিল হয়েছিল।

৩। রমজান মাসের জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং এই মাসে জাহান্নামের দরজাগুলোকে বন্ধ করা হয়।

৪। রমজান মাসের শেষ দশকে বিজোড় রাত্রে লাইলাতুল কদর পাওয়া।

৫। রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দার দোয়া কবুল করে।

৬। জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস।

৭। সৎকাজের প্রতিদান বহু গুণে বেড়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ ২০২৩ সালের রমজান মাসের ক্যালেন্ডার

শেষ কথাঃ সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ঢাকা, রমজান কত তারিখ থেকে শুরু? প্রথম রোজা কত তারিখ থেকে? সেহরি করার গুরুত্ব, ইফতার করার গুরুত্ব, রমজানের ফজিলত সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা রক্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো করতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন ধন্যবাদ। 

পোষ্ট ক্যাটাগরি: