শবে বরাত কি বিদআত

শবে বরাত কি বিদআত - শবে বরাত কি বিদআত? ইদানিং কিছু মানুষ শবে বরাত কি বিদআত বলে জনসাধারণের মাঝে প্রচারিত করছে। আসলেই শবে বরাত কি বিদআত না, গুজব ছড়াচ্ছে। আপনি হয়তো বা এইটা দেখার জন্য গুগলে সার্চ দিয়েছেন যে শবে বরাত কি বিদআত? তাহলে আপনি ঠিক সাইটে ঢুকেছেন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব শবে বরাত কি বিদআত নাকি এবাদত এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে নিই শবে বরাত কি বিদআত এই বিষয় সর্ম্পকে।

পেজ সূচিপত্রঃ শবে বরাত কি বিদআত

ভূমিকাঃ শবে বরাত কি বিদআত

আজকের এ পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করব শবে বরাত কি বিদআত। অনেক লোকেরা শবে বরাত উদযাপন করা সম্বন্ধে কোরআনে উল্লেখ নাই বলে। শবে বরাতকে বিদআত বলে পরিচালনা করছে। তাই আপনাদের সাথে এখন আলোচনা করব শবে বরাত কি আসলেই বিদআত নাকি এবাদত।

আরো পড়ুনঃ ২০২৩ সালের রোজার সময়সূচী

আর যদি ইবাদত হয়ে থাকে তাহলে কোনগুলো বিদআত তাও নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা যদি শবে বরাত কি বিদআত এই বিষয় নিয়ে জানতে চান। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ পড়ুন তবেই আপনি বুঝতে পারবেন যে শবে বরাত কি আসলেই বিদআত।

পবিত্র শবে বরাত এর অর্থ কি

আমাদেরকে আগে জানতে হবে পবিত্র শবে বরাত কি এবং শবেবরাত কোথায় থেকে এসেছে? শবেবরাত কোরআনে আছে কি নাই এই বিষয় নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে নিই এই বিষয়গুলোর সম্বন্ধে। আগে আমরা জানবো শবে বরাত কি বা এর অর্থ কি? শাবান মাসের অর্থ মাসের 14 দিবাগত রাত্রে শবে বরাত বলা হয়।

শবে অর্থ হচ্ছে রাত এবং অর্থ হচ্ছে সৌভাগ্যবা মুক্তি অর্থাৎ শবে বরাত মানে হচ্ছে সৌভাগ্যের রাত। শবেবরাত কোরআনে উল্লেখ নাই এটা ঠিক। আচ্ছা বলুন তো কোরআনে নামাজ বলে কি কোন শব্দ আছে? নাই। কারণ আমরা যাকে নামাজ নামে যে শব্দ টা চিনি সেই শব্দটা কোরআনে উল্লেখ আছে সালাত বলে। ঠিক তেমনি ভাবে হাদীসে উল্লেখ আছে লাইলাতুল নিসফি বলে।

শবে বরাত হচ্ছে একটি ফারসি শব্দ এটি আরবিতে বলে লাইলাতুল বারাআত অর্থাৎ আরবি সংক্ষেপে বরাত বলা হয়। যেসব মানুষ লায়লাতুল বারাত অথবা শবে বরাত কেউ ভুলভাল তথ্য দেয় তার জন্য কঠিনভাবে শাস্তি দেওয়া হতে পারে। আরজ যে জেনেশুনেও লাইলাতুল বারাত অথবা শবে বরাতের সম্পর্কের জেনে শবে বরাত সম্পর্কে মানুষকে উদযাপন করতে মানা করে তাদের জন্য আরো ভীষণভাবে শাস্তি পেতে হবে।

শবে বরাত কি বিদআত 

এখন আমরা আলোচনা করব শবে বরাত কি বিদআত? নাকি এবাদত তাহলে চলুন জেনে নেই শবে বরাত কি বিদআত। আমরা অনেককে শবে বরাত সম্পর্কে গীবত বা সমালোচনা করতে দেখি। ইদানিং অনেক মানুষ শ বে বরাত পালন করা জায়েজ না। এমন সমালোচনা শোনা যাচ্ছে অনেকের কাচ এখন আমরা জানবো শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস কি বলেছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নিয়ে শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস কি বলছে।

শবে বরাতকে নিহত করা হয়েছে মুসলমানের মুক্তি কল্যাণ ও বিভিন্ন উপকরণের। শবে বরাত মানে হচ্ছে সৌভাগ্যের রাত বা মুক্তির রাত একে আরবী ভাষায় বলা হয়ে থাকে লাইলাতুল বরাত। যা আমরা বাংলায় চিনি শবে বরাত নামে। এই রাতে নফল ইবাদত পালন করলে মুসলমানদের জন্য নফল ইবাদতের একটি আলাদা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে মুসলমান মুমিনদের জন্য খুবই একটি দরকারী ইবাদত।

আরো পড়ুনঃ রোজার ঈদ কবে হবে ২০২৩ 

হাদিসঃ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন একবার রাসুল সাঃ নামাজে দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে সিজদা করলেন। কিন্তু আমার ধারণা হল যে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃ- ত্যু বরণ করলেন মনে হয়। তাই বলে আমি তার বৃদ্ধাঙ্গুল ধরে নাড়া দিলাম।

তারপর মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজ শেষ করে উঠলেন। তারপর আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন হে আয়েশা তোমার কি কোনো আশঙ্কা হয়েছিল আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার হক নষ্ট করবেন? সিজদা এত সময় ধরে করছেন আমার দেখে মনে হল আপনি মনে হয় মৃ- ত্যু করেছেন। এজন্য আমি আপনার বৃদ্ধাঙ্গুল ধরে নাড়া দিলাম।

তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন হে আয়েশা তুমি কি জানো এটা কোন রাত। তখন আয়েশা রাজি আল্লাহ তা'আলা আনহু বললেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ভালো জানেন এটা কোনটা। তখন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বললেন এটা অর্ধ শাবানের রাত। এই রাতে আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দাদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়। অনেকেরই পাপমুক্ত করে দেয় অনেকের বিপদগ্রস্ত মুক্ত করে দেয়।

শবেবরাত কেন পালন করা হয়

প্রিয় বন্ধুরা আমরা এখন জানব শবেবরাত কেন পালন করা হয়। এবং শবে বরাত পালন করা কি জায়েজ। তাহলে আমি বলব অবশ্যই শবে বরাত পালন করা জায়েজ। কারণ অন্যান্য রাতের করতে এই বিশেষ রাতে তার বান্দাদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়। এবং যারা পাপ যুক্ত তাদেরকে পাপ মুক্ত করে দেয়। সবে অর্থ মুক্তি বা সৌভাগ্য এবং বরাত অর্থ হচ্ছে রাত অর্থাৎ শবে বরাত অর্থ একটি সৌভাগ্যের রাত মুমিনদের জন্য।

মুমিনদের জন্য যদি একটি সৌভাগ্যের রাত হয় তাহলে কেন আমরা এই রাত পালন করবো না? কোরআনে কোন শবে বরাত সম্পর্কে উল্লেখ নাই। তবে এ সম্পর্কে হাদিসে উল্লেখ আছে। তবে হাদীসে শবে বরাত শব্দ কোন দিবস সম্পর্কে উল্লেখ নাই। হাদীসে উল্লেখ আছে লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান। তবে আমরা বাংলাতে বলে থাকি শবে বরাত এবং আরবিতে বলা হয় লাইলাতুল বারাআত।

এই রাতে নফল ইবাদতের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই রাতে আল্লাহ তাআলার ইবাদত বন্দেগী করে নফল নামাজ পড়ে নিজেদের জন্য দোয়া করে এবং আত্মীয়-স্বজনদের কবরস্থানে গিয়ে কবর জিয়ারত করলে এবং পরের দিন রোজা রাখলে আল্লাহ তাআলা তার মনের আশা পূরণ করে দেন। শবে বরাতের পরের দিন আল্লাহতালা দুনিয়াতে নেমে আসেন এবং ডাকতে থাকেন কেউ কি আছো বিপদগ্রস্ত আমি তাকে বিপদমুক্ত করে দেবো।

আরো পড়ুনঃ ২০২৩ সালের রমজান ঈদ কত তারিখ

কেউ কি আছো ঋণগ্রস্ত আমি তাকে ঋণ মুক্ত করে দেবো এভাবে আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দাদের ডাকতে থাকে। এবং কে কি চান তাদের মনের আশা পূরণ করে দেয়। একটি মুসলিমের মনের আশা পূরণ করলে কেন সেই মুসলিম শবে বরাত পালন করবে না। অবশ্যই তারা শবে বরাত পালন করবে।

শেষ কথাঃ শবে বরাত কি বিদআত

শবে বরাত একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এটি বছরে একবারই আসে সেজন্য এই রাতে আমাদেরকে বেশি বেশি করে আল্লাহ তাআলার ইবাদত বন্দেগিতে মেতে থাকতে হবে। এবং বেশি বেশি করে কাঁদতে হবে আল্লাহর দরবারে আল্লাহ তা'আলা বলেন আমার কাছে যে কান্না করে কোন জিনিস চাই তাকে আমি সেই জিনিসটা খুব তাড়াতাড়ি দিয়ে দিব।

তাই আমাদেরকে এসব দিনে আল্লাহ তায়ালার বেশি বেশি করে এবাদাত করার তৌফিক দান করুক। আমিন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি শবে বরাত কি বিদআত, পবিত্র শবে বরাত এর অর্থ কি, এবং শবেবরাত কেন পালন করা হয় উক্ত বিষয় নিয়ে আজকের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে।

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যারা এইসব উক্ত বিষয় সম্পর্কে এখনও জানেন নি তারা এই পোস্টটি আবার সম্পূর্ণ পড়ুন। এবং এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: