নতুন নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

25427 Sakhawat
লিখেছেন -

নতুন নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম - প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদের সাথে আজকের এই পোস্টে নতুন নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা নতুন নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম জানেন না তারা এই পোস্টটি বিস্তারিত পরুন। আশা করি তাহলে বুঝতে পারবেন নতুন নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নি নিই।

নতুন নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম - প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদের সাথে আজকের এই পোস্টে নতুন নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব

পেজ সূচিপত্রঃ নতুন নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

ভূমিকাঃ নতুন নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

দৈনন্দিন এ চলাচলে আমরা প্রায় সকলে গাড়ি বা অন্যান্য মোটরযান ব্যবহার করি কখনো যাত্রী হিসাবে আবার কখনো চালক হিসাবে।চালক হিসেবে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হলে ভালোভাবে ড্রাইভিং শেখার কোন পরিকল্পনা নেই,ড্রাইভিং লাইসেন্স আপনার সেই দক্ষতা পরিচয় দিয়ে থাকে।ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের নিয়ম আগে থেকেই সহজ ছিল।

এবার থেকে দুই চাকা অথবা চারচাকা গাড়ির চালানোর লাইসেন্সের আবেদন করার জন্য অরজিনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসে যেতে হবে না। এছাড়াও থাকছে না লম্বা লাইনে ঝামেলা, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার নিয়মে সম্প্রীতি বড় পরিবর্তন এসেছে। কেন্দ্রে নতুন নিয়মে বিআরটি অফিসে না গিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করা যাবে।

আরো পড়ুনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

কিভাবে নতুন নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবে তা নিচে লাইনে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও আজকের এই পোস্টে থাকছে ড্রাইভিং লাইসেন্স কি, ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা,ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে এসব বিস্তারিত তথ্য জানতে আজকের এই পোস্টটি প্রথম থেকে সম্পূর্ণ পড়ুন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স কি

লাইসেন্স অর্থ নির্দিষ্ট কোন একটি অভিজ্ঞতা যা কোন নির্দিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কর্তৃক প্রদান করে। কর্তৃপক্ষ অনুমতি প্রদান করে দলিল প্রদান করেন তাকে লাইসেন্স বলেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স অর্থ নির্দিষ্ট কোন একটি মোটরযান যার নির্দিষ্ট শ্রেণীর মটর যান চালানোর জন্য কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কর্তৃক প্রদান করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন পক্ষ দ্বারা প্রদত্ত দলিলকে ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স একজন গাড়ি চালক এর অপরিহার্য সঙ্গে পৃথিবীর সকল দেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ি চালানো আইন নত দণ্ডনীয় অপরাধ যে কোন সময় যেকোনো কারণে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ বা যেকোনো আইন রক্ষাকারী বাহিনী আপনার গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।আপনাকে এ সময় প্রথমে আপনার কাছে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে যাওয়া হবে। এছাড়াও ড্রাইভিং লাইসেন্সের আরো কিছু ব্যবহার রয়েছে।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা

মটরজান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ধারা ৩ অনুযায়ী কোন ব্যক্তি গাড়ি চালানোর জন্য তাকে দান করে। প্রদত্ত কার্যকর একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স ধারণা না করে সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোন স্থানে কোন মোটরযান চালাবে না।এবং কোন ব্যক্তি তার ড্রাইভিং লাইসেন্স নির্দিষ্ট রুপে তদ্রূপ অধিকার প্রদত্ত না হলে বেতন ভোগী কর্মচারী হিসেবে কোন মোটরযান চালাবে না।অথবা কোনো পরিবহন যান চালাবে না সেজন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সের অত্যন্ত প্রয়োজনীয়তা।

নতুন নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

নতুন নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম আলোচনা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। ড্রাইভিং লাইসেন্স মূলত একটি দলিল স্বরূপ।যা আপনাকে একটি বৈধ সনদ প্রদান করে যা আপনাকে ভবিষ্যতে নিরাপদে ড্রাইভিং করতে ভূমিকা পালন করে থাকে।আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে দুই ধরনের নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

১। অফলাইন

২। অনলাইন

নিচে অফলাইনের নিয়মসমূহ দেওয়া হল

১। প্রথমে আপনাকে বিআরটি অনুমোদিত অফিসে যেতে হবে

২। আপনার সাথে করে এনআইডি জন্ম নিবন্ধন পাসপোর্টের ফটোকপি নিয়ে যেতে হবে

৩। সাথে অবশ্যই নিতে হবে দুই কবি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৪। অনুমোদিত কোন রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক সনদপত্র

৫। কর্তৃপক্ষ থেকে আপনাকে একটি ফরম সংগ্রহ করতে হবে

৬। ফর্মে উল্লেখিত তথ্যাদি পূরণ করে আপনাকে ব্যাংকে বরাবর আপনি যে লাইসেন্স করতে চান তার ওপর নির্ভর করে অর্থ প্রদান করতে হবে

আরো পড়ুনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার

৭। অভিজ্ঞতা হিসেবে ড্রাইভিং শেখার তিন মাসের অধিক ড্রাইভিং করার সনদের পাশাপাশি আপনাকে লিখিত এবং মৌলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে

৮। সকল তথ্যাদি পূর্ণ করে নির্ধারিত ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে সেই রশিদ সহ ফর্ম পূরণ করে কর্তৃপক্ষ নিকটে জমা দিতে হবে

নিচে অফলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সমূহ দেয়া হলো

১। প্রথমে আপনাকে আপনার নিকটস্থ কম্পিউটার দোকানে গিয়ে কিংবা আপনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপ থেকে এই লিঙ্কটাতে প্রবেশ করতে হবে

২। লিংকে গিয়ে প্রথমে আপনাকে আপনার জাতীয় পত্র পাসপোর্ট নিবন্ধন এবং স্ক্যান কপি সহ ফর্মে তথ্যাদি স্থানে পূরণ করতে হবে।

৩। ফর্মের সাথে জমা দিতে হবে দুই কপি ছবি তবে ছবির ক্ষেত্রে ছবির আয়তন অবশ্যই ৩০০*৩০০ দিতে হবে

৪। বাংলাদেশ সরকারের অধীনস্থ যেকোনো মেডিকেল অফিসার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট ফাইল এর স্ক্যান কপি জমা দিতে হবে ফাইল সাইজ ৩০০ এর কিলোবাইটের বেশি হওয়া উচিত নয়।

৫। এ সকল তথ্যাদির পাশাপাশি আপনি কোন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাচ্ছেন তা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে প্রয়োজনীয় টাকা প্রদত্ত ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাপ্ত রশ্মিদের স্ক্যান কপি পূরণ করতে হবে

৬। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই পূর্বে অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হবে লাইসেন্স করতে হলে এ তারা ন্যূনতম ড্রাইভিং তিন মাস শেখার সনদের পাশাপাশি লিখিত মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে

প্রিয় পাঠক এখন আমি আলোচনা করব ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজ পাতি দরকার হয়। আপনারা অনেকে হয়তো জানেন না ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজপাতি দরকার হয়।নিম্নে কাগজ পাতির তালিকা দেওয়া হলো।

১। নির্ধারিত ফর্মে আবেদন অনলাইনে আবেদন

২। আবেদনকারীর ছবি ৩০০ গুন ৩০০ পিক্সেল

৩। রেজিস্টার ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট

৪। জাতীয় পরিচয় পত্রের স্ক্যান কপি

৫। ইউটিলিটি বিলের স্ক্যান কপি

৬। বিদ্যমান ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ক্যান কপি

৭। অনলাইনে আবেদন দাখিলের সময় ভুয়া তথ্য প্রদান করা হলে তার লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল সহ তার বিরুদ্ধে আইনা সুযোগ করা হবে

৮। নির্ধারিত ফি এবং ক্যাটাগরি ও টাকা পরিমাণ অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে

এখন আমরা আলোচনা করব ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে এবং কত দিন পর ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে তাহলে চলুন জেনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি প্রয়োজন

আরো পড়ুনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইন কপি ডাউনলোড

১। প্রথমে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করে ৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি পূরণ করতে হবে

২। বি আর টি তে গিয়ে ব্যাংক ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি জমা দিতে হবে যদি একটি ক্যাটাগোরির জন্য আবেদন করা হয় সে ক্ষেত্রে ফি হচ্ছে ৩৪৫ টাকা এবং যদি গাড়ি এবং মোটরসাইকেল একসাথে আবেদন করা হয় তবে কি হচ্ছে ৫১৮ টাকা

৩। ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরীক্ষাগুলো তিন থেকে ছয় মাস পর পর হয় তবে কেউ যদি চাই কর্তৃপক্ষের কার্ড সাথে যোগাযোগ পরীক্ষার জন্য আগে পরীক্ষা দিতে পারে অথবা ব্রোকার এর সাথে যোগাযোগ করে পরীক্ষা দেওয়া যায়

৪। সাধারণত তিন দিনের মধ্যে লাইসেন্স পাওয়া যায় এই তিন দিনের মধ্যে নন প্রফেশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট কালেক্ট করতে হবে যা এই লাইসেন্সের সাথে যুক্ত থাকবে।

শেষ কথাঃ নতুন নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

প্রিয় পাঠক পোস্টের শেষ পর্যায়ে আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে নতুন নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনারা যারা এখনো ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম জানেন না তারা এ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে সম্পূর্ণ পড়ুন ধন্যবাদ এতক্ষণ থাকার জন্য।

ব্লগ ক্যাটাগরি: