ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম — আসসালামু আলাইকুম আপনি ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন। আপনি অ্যাপ দিয়ে খুব সহজে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন। ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট ওপেন করতে কত সময় প্রয়োজন হবে এবং কত সময়ের মধ্যে একাউন্ট একটিভ হবে, কি কি ইনফরমেশন প্রয়োজন হবে এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলব।

ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

সর্বপ্রথম আপনি অ্যাকাউন্ট ওপেন করার জন্য আপনি প্লে স্টোরে প্রবেশ করবেন। প্লে স্টোরে প্রবেশ করে FISBL Cloud Banking অ্যাপটি ইনস্টল করবেন। অ্যাপটি ইন্সটল করার পর আপনি অ্যাপে প্রবেশ করবেন। অ্যাপে প্রবেশ করার পর আপনার অ্যাকাউন্ট ওপেন করার জন্য আপনি ফ্রিডম নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। আপনি এই অপশনে প্রবেশ করবেন। এই অপশনে প্রবেশ করার পর দেখতে পাচ্ছি কারেন্ট ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট সেভিংস একাউন্ট। 

আপনার কারেন্ট একাউন্ট করার জন্য কারেন্ট একাউন্ট এই অপশনে প্রবেশ করবেন। এই অপশনে প্রবেশ করার পর আপনি একটি নির্দেশনা দেখতে পাবেন। আপনার অ্যাকাউন্ট ওপেনিং ব্যালেন্স 1000 টাকা হতে হবে এবং আপনি অনলাইন ব্যাংকিং সেবা গুলো নিতে পারবেন। এরপর আপনার মুদ্রাবা সেভিংস অ্যাকাউন্ট ওপেন করার জন্য আপনি সেভিংস একাউন্ট এই অপশনে ক্লিক করবেন। এই অপশনে ক্লিক করার পর দেখতে পাচ্ছি একটি নির্দেশনা আপনার 500 টাকা একাউন্ট ওপেনিং ব্যালেন্স রাখতে হবে। আপনি মুনাফা রেট পাবেন খুবই ভালো রেট পাবেন এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা নিতে পারবেন।

আপনি ভিসা কার্ড নিতে পারবেন এবং অনলাইনে ট্রানজেকশন করতে পারবেন। এরপর আপনি প্রসিড এই অপশনে ক্লিক করবেন। প্রসিড অপশনে ক্লিক করার পর এরপর আপনাকে ব্রাঞ্চ সিলেক্ট করতে হবে। আপনার বাসার আশেপাশে যে ব্রাঞ্চটি থাকবে আপনি এই ব্রাঞ্চটি সিলেক্ট করবেন। আপনি ব্রাঞ্চ একাউন্ট টাইপ এই অপশনে ক্লিক করবেন। এই অপশনে ক্লিক করার পর আপনি ব্যাংক ব্রাঞ্চ অপশনে ক্লিক করবেন। এই অপশনে ক্লিক করার পর আপনার ব্রাঞ্চটি সিলেক্ট করবেন। 

ব্রাঞ্চ সিলেক্ট করার পর আপনি ট্রানজেকশন লিমিট সিলেক্ট করবেন। এরপর আপনি সিলেক্ট হেয়ার এই অপশনে ক্লিক করবেন। আপনি এক লক্ষ টাকার মধ্যে লেনদেন করলে আপটু এক লাখ এই অপশনে ক্লিক করবেন। 1 লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন করলে আপনি Above 1 Lac এই অপশনে ক্লিক করবেন। আপনি এক লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন করলে আপনার এডিশনাল ইনফর্মেশন প্রয়োজন হবে। সিলেক্ট করার পর আপনি সাবমিট অপশনে ক্লিক করবেন। 

আরও পড়ুনঃ আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

সাবমিট অপশনে ক্লিক করার পর আপনার মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করতে হবে। এরপর মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই এই অপশনে ক্লিক করবেন। এই অপশনে ক্লিক করার পর আপনার মোবাইল নাম্বার বসাবেন। মোবাইল নাম্বার বসানোর পর আপনি সেন্ড ওটিপি এই অপশনে ক্লিক করবেন। এই অপশনে ক্লিক করার পর আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি ওটিপি কোড আসবে। এরপর আপনি সেই ওটিপি কোডটি বসাবেন। ওটিপি কোড বসানোর পর আপনি সাবমিট অপশনে ক্লিক করবেন। 

সাবমিট অপশনে ক্লিক করার পর আপনার মোবাইল নাম্বারটি সাকসেসফুলি ভেরিফাই হবে। এরপর আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড ভেরিফাই করতে হবে। এরপর আপনি ন্যাশনাল আইডি ভেরিফাই এই অপশনে ক্লিক করবেন। এনআইডি অপশনে ক্লিক করার পর আপনি একটি ইন্সট্রাকশন দেখতে পাবেন। আপনার ইন্সট্রাকশন দেখার পর আপনি ওকে অপশনে ক্লিক করবেন। ওকে অপশনে ক্লিক করার পর এনআইডি কার্ড ফন্ট সাইড এই অপশনটি দেখতে পাবেন। 

এরপর আপনি ক্যামেরা অপশনে ক্লিক করবেন। ক্যামেরা অপশনে ক্লিক করার পর আপনি অ্যাপের পারমিশন এলাও করবেন। আপনার এনআইডি কার্ডের সামনের অংশের ফটো তোলার পর আপনার এনআইডি কার্ডের ব্যাক পার্টের ফটো তুলবেন। এরপর আপনি ক্যামেরা অপশনে ক্লিক করবেন। আপনার এনআইডি কার্ডের ফটো তোলার পর আপনি সাবমিট অপশনে ক্লিক করবেন। সাবমিট অপশনে ক্লিক করার পর আপনি একটু অপেক্ষা করবেন। এরপর আপনার ফটোগুলো আপলোড হবে এবং আপনার এনআইডি কার্ডের তথ্য গুলো ভেরিফাই সাকসেসফুল হবে। 

আপনি একটু অপেক্ষা করবেন পরবর্তী অপশনে আসার পর আপনার এনআইডি কার্ডের তথ্য গুলো দেখতে পাবেন। আপনার ডেট অফ বার্থ দেখতে পাবেন, আপনার এনআইডি নাম্বার দেখতে পাবেন এরপর আপনার ইনফরমেশন গুলো সঠিক হলে আপনি কনফার্ম অপশনে ক্লিক করবেন। কনফার্ম অপশনে ক্লিক করার পর আপনাকে এরপর একটি ফটো তুলতে হবে। এরপর আপনি ফটো অপশনে ক্লিক করবেন। কনফার্ম অপশনে ক্লিক করার পর আপনি একটু নির্দেশনা দেখতে পাবেন।

আপনাকে চোখের পলক ২বার ফেলতে হবে। আপনাকে স্যাডো পরিহার করতে হবে এবং আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডে আপনাকে সাদা রাখতে হবে এবং আপনাকে রিফ্লেকশন আপনাকে বন্ধ রাখতে হবে। আপনি পর্যাপ্ত আলোতে আপনি ফটো তুলবেন এই নির্দেশনা গুলো দেখার পরে আপনি ওকে অপশনে ক্লিক করবেন। ওকে অপশনে ক্লিক করার পর আপনি অবশ্যই ক্যামেরা অপশনে ক্লিক করবেন। আপনার ছবি তোলার পর আপনি সাবমিট অপশনে ক্লিক করবেন। 

এরপর আপনার সাকসেসফুলি ফটোটি আপলোড হবে। আপনার ফটো তোলার পর আপনি এডিশোনাল ইনফো এই অপশনে ক্লিক করবেন। এডিশোনাল ইনফো এই অপশনে ক্লিক করার আপনার এনআইডি কার্ডের তথ্য গুলো দেখতে পাবেন। আপনার তথ্যগুলো এডিট করার পর আপনার জেন্ডার সিলেক্ট করবেন। আপনার জেন্ডার সিলেক্ট করার পর আপনার প্রফেশন সিলেক্ট করবেন। আপনার প্রফেশন সিলেক্ট করার পর আপনার ধর্ম সিলেক্ট করবেন। সিলেক্ট করার পর আপনার ডিভিশন সিলেক্ট করবেন এরপর আপনার জেলা সিলেক্ট করবেন। জেলা সিলেক্ট করার পর আপনার অবশ্যই আপনার থানা সিলেট করবেন। থানা সিলেক্ট করার পর আপনার প্রেজেন্ট অ্যাড্রেস বসাবেন।

আরও পড়ুনঃ রকেটে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম

আপনার প্রেজেন্ট অ্যাড্রেস বসানোর পর এরপর আপনি Net Worth নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। এই অপশনটি সিলেক্ট করবেন। এই অপশনে ক্লিক করার পর আপনি USA নাগরিক হলে আপনি নিচের অপশনগুলো টিকমার্ক করবেন। আমরা যেহেতু বাংলাদেশের নাগরিক এই অপশনে আপনাদের ঠিক করার প্রয়োজন নেই। এরপর আপনি সাবমিট অপশনে ক্লিক করবেন। সাবমিট অপশনে ক্লিক করার পর আপনি নমিনি যুক্ত করতে হবে। এরপর নমিনি অপশনে ক্লিক করবেন।

এরপর আপনি নমিনির নাম বসাবেন এরপর আপনি নমিনির জন্ম তারিখ বসাবেন নমিনির জন্ম তারিখ বসানোর পর আপনার নমিনির সাথে আপনার সম্পর্ক কি আপনার রিলেশনশিপ সিলেক্ট করবেন। এরপর আপনি নমিনির আইডি টাইপ করবেন। আপনার নমিনির স্মার্ট আইডি কার্ড হলে স্মার্ট আইডি কার্ড এই অপশনে টাইপ করবেন। যদি নমিনির এনআইডি হয় তাহলে এনআইডি এই অপশনে ক্লিক করবেন।

আইডি কার্ড সিলেক্ট করার পর আপনি নমিনির আইডি নাম্বার বসাবেন। নমিনির আইডি নাম্বার বসানোর পর। আপনি অবশ্যই নমিনির জেন্ডার সিলেক্ট করবেন, জেন্ডার সিলেক্ট করার পর আপনি অবশ্যই নমিনির ধর্ম সিলেক্ট করবেন, ধর্ম সিলেক্ট করার পর আপনি অবশ্যই নমিনির ডিভিশন সিলেক্ট করবেন। এরপর আপনি জেলা সিলেক্ট করবেন এরপর আপনি নমিনির থানা সিলেক্ট করবেন। থানা সিলেট করার পর আপনি নমিনির এড্রেস বসাবেন। 

এরপর আপনি শেয়ার পার্সেন্টেজ নামের একটি অপশন দেখতে পাবেন। অবশ্যই সব সময় আপনি 100 করে রাখবেন। এরপর নমিনির ফটো আপলোড করবেন। আপনার ফটো আপলোড করার পর আপনি সাবমিট অপশনে ক্লিক করবেন। সাবমিট অপশনে ক্লিক করার পর আপনার নমিনি সাকসেসফুলি যুক্ত হবে। এরপর আপনি একাউন্টের অন্যান্য সেবা নেয়ার জন্য আপনি সার্ভিস অপশনে ক্লিক করবেন। সার্ভিস অপশনে ক্লিক করার পর ইন্টারনেট ব্যাংকিং এই অপশনটি অন করবেন ইন্টারনেট এই অপশনটি অন করার পর আপনার ইমেইল এড্রেস বসাবেন। 

ইমেইল অ্যাড্রেস বসানোর পর সেন্ড ওটিপি এই অপশনে ক্লিক করবেন। এই অপশনে ক্লিক করার পর আপনার ইমেইল এর মধ্যে একটি ওটিপি কোড যাবে। ওটিপি কোডটি কালেক্ট করে আপনি ওটিপি কোডটি বসাবেন। এরপর আপনি সাবমিট ইমেইল এই অপশনে ক্লিক করবেন। এই অপশনে ক্লিক করার পর আপনি পুনরায় সাবমিট অপশনে ক্লিক করবেন। 

সাবমিট অপশনে ক্লিক করার পর এরপর আপনাকে একটি সিগনেচার যুক্ত করতে হবে। এরপর আপনাকে সাক্ষর করতে হবে। এরপর সিগনেচার এই অপশনে ক্লিক করবেন। সিগনেচার এই অপশনে আসার পর আপনি আংগুল দিয়ে সিগনেচার করতে পারবেন। এরপর আপনি সিগনেচার করবেন। আপনার সিগনেচার করার পর আপনি সাবমিট অপশনে ক্লিক করবেন। সাবমিট অপশনে ক্লিক করার পর আপনার সকল ইনফরমেশন গুলো সাবমিট হবে। সাবমিট হওয়ার পর আপনার ইনফরমেশন গুলো দেখার পরে আপনি পুনরায় সাবমিট অপশনে ক্লিক করবেন।

এইভাবে আপনারা খুব সহজেই একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন। সাবমিট অপশনে ক্লিক করার পর আপনার রিকুয়েস্টটি সাকসেসফুল হবে এবং আপনাকে ইমেইলের মধ্যে একটি মেসেজ দেয়া হবে। মেসেজটি পেতে একটি সময়ের প্রয়োজন হতে পারে অথবা আপনি সাথে সাথে মেসেজ পেতে পারেন এবং ইমেইল এর মধ্যে একটি অ্যাকাউন্ট নাম্বার দেয়া হবে। 

সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা। আপনাকে এই সেবাটি নেয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে একাউন্টটি একটিভ করতে হবে একাউন্ট একটিভ করার জন্য আপনাকে ব্রাঞ্চ থেকে ভিজিট করতে হবে। এরপর আপনাকে ডিপোজিট করতে হবে। এরপর আপনি ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা নিতে পারবেন। 

আশা করছি আপনাদের এই ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম আর্টিকেলটি ভালো লাগবে। ভাল লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। যদি ভালো না লাগে তাহলেও কমেন্ট করবেন কেন ভাল লাগেনি এই বিষয়ে কমেন্ট করবেন। 

আরও পড়ুনঃ বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম