QR Code কি | QR Code কিভাবে কাজ করে | কিউআর কোড জেনারেটর

কিউআর কোড কি | QR Code কিভাবে কাজ করে | কিভাবে নিজের QR Code বানাবেন — আপনি প্রত্যেকটা প্রোডাক্টের প্যাকেটে বার কোড দেখে থাকবেন যার মধ্যে শুধু নাম্বার স্টোর করাই সম্ভব। কিন্তু তার থেকেও অ্যাডভান্স টেকনোলজি হলো কিউআর কোড (QR Code)। এই কিউআর কোড এর মধ্যে আপনি অনেক কিছু স্টোর করতে পারেন। আপনি কোনো টেক্সট করতে পারেন, কোনো ওয়েবসাইটের ইউআরএল স্টোর করতে পারেন, এমনকি আপনার ফোন নাম্বার এবং কন্টাক্টস ও স্টোর করতে পারবেন।

আর যদি আপনি কোনো ওয়েবসাইটের ইউআরএল এড্রেসকে স্টোর করে রাখেন কোনো কিউআর কোড এর মাঝে। তখন যে যে ফোন দিয়ে ওই কিউআর কোড স্ক্যান করবে তারা ডিরেক্টলি ওয়েবসাইটে চলে যেতে পারবে ফোনে টাইপ করার দরকার পড়বে না। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই কিউআর কোডকে আপনি নিজেও তৈরি করতে পারেন। আর আপনি সেটা কিভাবে বানাবেন এবং কিউআর কোড কিভাবে কাজ করে সেটা জানার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত অবশ্যই পড়ুন।

QR Code কি | QR Code কিভাবে কাজ করে | কিউআর কোড জেনারেটর

সোজা ভাষায় বলতে গেলে এই কিউআর কোডগুলো একটা ২ডি এনক্রিপ্টেড' কোড। এর মধ্যে অনেক ধরনের ডেটা স্টোর করা সম্ভব। আপনি কোনো দোকানে বা যেকোনো জায়গায় যদি কোনো কিউআর কোড দেখেন তবে একটা জিনিস জেনে নেবেন যে এই ছোট্ট জায়গাটার মধ্যে অনেক ইনফরমেশন স্টোর করা আছে। আর সেই ইনফরমেশন গুলোকে সেই পড়তে পারবে যে ওই কিউআর কোড স্ক্যান করবে। সেটা কিউআর কোড স্ক্যানার দিয়ে হতে পারে এমনকি আপনার ফোন দিয়েও হতে পারে।

তাহলে সোজাসুজি দেখতে গেলে কিউ আর কোড এর মধ্যে অনেক ধরনের ডেটা স্টোর থাকে যেটা আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না। ওটাকে স্ক্যান করতে হবে তারপরেই আমরা জানতে পারব যে ওর মধ্যে কি আছে। এবার আপনার মাথার মধ্যে একটা প্রশ্ন আসতে পারে মানে যদি কোনো ইনফরমেশন কাউকে দিতে হয় তবে সেটা ডিরেক্টলিও তো দেওয়া যেতে পারে। কিউআর কোড বানানোর কি দরকার আছে। 

প্রথমে কিউআর কোড বানাতে হবে তারপর তাকে দিতে হবে তারপর সে ওই কিউআর কোড স্ক্যান করবে তারপর সে জানতে পারবে যে ওর ভেতরে কি আছে। এতো ঝামেলার পোহানোর দরকার বা কি। এখানে একটা ছোট্ট উহদারণ দিলে তবে আপনি বুঝতে পারবেন। ধরুন কোনো দোকানে আপনি বিকাশের মাধ্যমে টাকা দিচ্ছেন যদি কিউআর কোড না থাকতো তবে কি করতে হতো সেক্ষেত্রে আপনাকে ওই দোকানদারের নাম্বার নিতে হতো তারপর সেই নাম্বারটা আপনার বিকাশের মধ্যে ইন্টার করতে হতো এবং তারপরেই আপনি টাকাটা সেন্ড করতে পারতেন। 

আরও পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কি | ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো | ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায়

কিন্তু যখনই আপনার সামনে একটা কিউআর কোড চলে আসে তখন শুধুমাত্র স্ক্যান করে আপনি দোকানদারকে ঐ টাকাটা দিতে পারেন। এতে আপনার সময়ও বেঁচে যায় এবং নাম্বার ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। অর্থাৎ যখনই আমরা অফলাইন থেকে অনলাইনে কোনো ডেটা ট্রান্সফার করি তখন হয় আমাদের ফোনেতে সেটাকে টাইপ করতে হয় কিংবা যদি কম্পিউটার কেউ ব্যবহার করে তবে তাকে কিবোর্ড এর মাধ্যমে টাইপ করতে হয়। সেক্ষেত্রে সময়ও নষ্ট হয় এবং ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কিন্তু যদিও ওই ডেটাকে কিউআর কোড এর মাধ্যমে করে এনক্রিপটেড করে দেওয়া যায় তাহলে শুধুমাত্র স্ক্যান করলেই আপনার ঐ কাজটা হয়ে যায়। এই কারণে কিউআর কোড এর ফুল ফর্ম হলেও কুইক রেসপন্স কোড। মানে যখন স্ক্যান করবে সাথে সাথে আপনার ওই কোডটা এনক্রিপ্টেড থেকে ডিকক্রিপটেড হয়ে যাবে। এই কিউআর কোডটি ব্যবহার করে আপনি আপনার জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারেন। এটা টোটালি ওপেনসোর্স এজন্য কোনো লাইসেন্সিং বা কিছু দরকার পড়ে না। এমনকি কিউআর কোডের মাধ্যমে আপনি কাউকে লাভ লেটার ও পাঠাতে পারেন। 

তবে যখনই কেউ ওই কিউআর কোড স্ক্যান করবে তখনই সে বুঝতে পারবে যে ওই কিউআর কোড এর মধ্যে আপনি কি লিখে পাঠিয়েছেন। তো তার জন্য জানতে হবে আপনাকে যে কিউআর কোড কিভাবে তৈরি করেন। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক কিউআর কোড আপনি কিভাবে তৈরি করতে পারবেন নিজের ইচ্ছামত। 

তবে সবার আগে আপনার এটাও জেনে নেওয়া দরকার যে ওই কিউআর কোডগুলোকে স্ক্যান করার জন্য এবং ওর ভেতরে কি আছে সেটা জানার জন্য একটা অ্যাপ এর দরকার হয়। সেটা আপনি অ্যাপ স্টোরে দিয়েছে প্লে স্টোরে গিয়ে যেকোনো ফ্রী কিউআর কোড স্ক্যানার ডাউনলোড করে নিতে পারেন। যার সাহায্যে আপনি সমস্ত কিউআর কোড স্ক্যান করতে পারবেন। এবার চলুন দেখা যাচ্ছে কিউআর কোড কিভাবে তৈরি করতে হয়। 

তো সবার আগে আপনি কিউআর কোড তৈরি করার জন্য এই লিঙ্কে প্রবেশ করুন কিউআর কোড জেনারেটর। এখানে দেখুন এখানে অনেকগুলো অপশন আছে একটা আছে টেক্সট তারপর আছে ইউআরএল, কন্টাক্ট ফোন নাম্বার তার সাথে এসএমএস ও আছে। প্রথমে চলুন ফ্রি টেক্সট দেখা যাক। এখানে আপনি আপনার ইচ্ছামতো কোনো শব্দ লিখুন। লেখার সাথে সাথে দেখুন ডানদিকে একটা কিউআর কোড তৈরি হয়ে গেছে। 

এটা কি আপনি সেভ করে নিতে পারেন এমনকি এখানেও যদি আপনি স্কান করেন তবে দেখতে পাবেন এবং আপনার লেখাটি আপনার ফোনের মধ্যে ডিরেক্টলি চলে এসেছে। তারপর ইউআরএল এর মধ্যে আপনি যখনি কোনো ইউআরএলএর দিয়ে দিবেন তখনি একটা কিউআর কোড জেনারেট হয়ে যাবে। এবার আপনি যদি এই কিউআর কোডকে সেভ করেন এবং কোথাও প্রিন্ট আউট করে রেখে দেন তবে যে যে এই কিউআর কোড স্ক্যান করবে তারা ডিরেক্টলি আপনার সেই ওয়েবসাইটের মধ্যে চলে যাবে। 

তো বন্ধুরা এ রকম ভাবে আপনি যেকোনো জিনিসের কিউআর কোড তৈরি করতে পারেন। তার সাথে আপনি কোনো কন্টাক্ট এমনকি কোনো ফোন নাম্বার ও কিউআর কোড এর মধ্যে এনক্রিপটেড করে বানিয়ে নিতে পারেন। আর কেউ যদি আপনাকে আপনার ফোন নাম্বার জিজ্ঞেস করে তখন আপনি ওই কিউআর কোড টা তাকে দেখিয়ে দিলে সে যদি স্ক্যান করে নেয় তবে আপনার ফোন নাম্বারটা ওর কাছে চলে যাবে।

তো এটা খুবই ইজি প্রসেস এর সাহায্যে আপনি অনেক প্রবলেম সলভ করতে পারেন। এবার আপনারা নিজেরা নিজেরা ভেবে নিন যে কিউআর কোড টাকে আপনারা কি কি ভাবে ব্যবহার করতে পারেন যাতে আপনাদের কঠিন কাজ সহজ হয়ে যায়। তো আজকের এই QR Code কি? QR Code কিভাবে কাজ করে? কিভাবে নিজের QR Code বানাবেন? আর্টিকেলটি এই পর্যন্ত যদি আর্টিকেলটি ভালো লাগে তবে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।

আরও পড়ুনঃ মোবাইলের জন্য সেরা প্রসেসর

পোষ্ট ক্যাটাগরি: