ওয়ালটন ফ্রিজের দাম ২০২১ | ওয়ালটন ফ্রিজের দাম ২০২১ বাংলাদেশ

ওয়ালটন ফ্রিজের দাম ২০২১ — বাংলাদেশের নিজস্ব প্রোডাক্ট হিসেবে ওয়ালটন ফ্রিজের দাম অন্যান্য যেকোনো কোম্পানির ফ্রিজের তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী হয়। বিশেষ করে আমাদের দেশে প্রচলিত অন্যান্য যেকোনো ফ্রিজের তুলনায় ওয়ালটন ফ্রিজ দাম কম হওয়া সত্বেও অন্যান্য কোম্পানির ফ্রিজের চাইতে গুনগত মানের দিক থেকেও অনেক ভালো। আজকের আর্টিকেলে আমি জনপ্রিয় ১০টি ওয়ালটন ফ্রিজের দাম, স্পেসিফিকেশন, ফিচার্স ও ভালো মন্দ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

সাধারণত ২০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকার মাঝে আপনি একটি ভালোমানের ওয়ালটন ফ্রিজ বাজার থেকে কিনতে পারবেন। যদি আপনি ফ্রিজ ক্রয় করার চিন্তাভাবনা করেন তবে বাংলাদেশি কোম্পানি ওয়ালটন ফ্রিজ কমদামে অনায়াসে কিনতে পারবেন। কেননা অন্যান্য যেকোনো কোম্পানির ফ্রিজের তুলনায় দামে কম এবং মানে ভালো আপনি স্টাইলিস্ট এবং মানসম্মত ওয়ালটন একটি ফ্রিজ পেয়ে যাবেন।

ওয়ালটন ফ্রিজের দাম ২০২১

বলে রাখা ভালো, আজকের আর্টিকেলটি কোনো স্পন্সর আর্টিকেল নয়। আপনারা হয়তোবা ভাবতে পারেন যে, ওয়ালটন কোম্পানি তারা আমাকে ভালো অংকের টাকা প্রদান করছে তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে লেখার, সেজন্য আমি ওয়ালটন ফ্রিজের এতো বেশি পরিমাণে গুনোগান গাইছি। আসলে বিষয়টা কিন্ত সেরকম নয়। আমার নিজের বাসায় এখন একসঙ্গে ২টি ফ্রিজ ব্যবহার করে আসছি বিধায় ওয়ালটন ফ্রিজ সম্পর্কে আমার মোটামুটি পরিষ্কার ধারণা আছে। আমার বাসাতে ব্যবহৃত ২টি ওয়ালটন ফ্রিজ বেশ ভালোই সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে বিধায় আমার ব্যক্তিগত অভীজ্ঞতা থেকে আর্টিকেলটি লিখছি।

আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ দেখলে আপনি ওয়ালটন ফ্রিজের দাম ২০২১ | ওয়ালটন ফ্রিজ প্রাইস ইন বাংলাদেশ এর সর্বশেষ আপডেট জানতে পারবেন। বিশেষ করে এই আর্টিকেলে আমরা ওয়ালটন ফ্রিজ ৮ সেফটি দাম, ওয়ালটন ফ্রিজ ১১ সেফটি দাম, ওয়ালটন ফ্রিজ ১৪ সেফটি দাম, ওয়ালটন ফ্রিজ ১৬ সেফটি দাম ও ওয়ালটন ফ্রিজ ১৮ সেফটি এর বর্তমান মূল্য তুলে ধরবো। সেই সঙ্গে কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজের দাম কত হবে সে বিষয়েও আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

ওয়ালটন ফ্রিজের দাম | ওয়ালটন ফ্রিজের দাম ২০২১

বাজারে ওয়ালটন কোম্পানির যত ধরনের পণ্য আছে তার মধ্যে থেকে সবচাইতে ভালো মানের প্রোডাক্ট হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ। ওয়ালটন ফ্রিজের আকর্ষণী ডিজাইন, গুনগত মান, সার্ভিস সুবিধা এবং দীর্ঘ স্থায়ীতার কারণে দেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড এবং দেশের মানুষের মনকে জয় করে নিয়েছে খুবই দ্রুততার সাথে। নিচে আমরা ওয়ালটনের ভালোমানের ১০টি ফ্রিজের দাম আপনাদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরবো-

ওয়ালটন ফ্রিজ ৮ সেফটি দাম | ওয়ালটন ফ্রিজ ৮ সেফটি দাম ২০২১

মার্কেটে যত সাইজের ফ্রিজ রয়েছে তার মধ্যে থেকে ৮ সেফটি ফ্রিজ হচ্ছে সবথেকে ছোট। সাধারণত খুব কম পরিমাণে জিনিস রাখার জন্য ব্যবহার করা হয় ওয়ালটন ৮ সেফটি ফ্রিজ। যদি আপনার ছোটো ফ্রিজের প্রয়োজন হয় তাহলে এধরনের ছোটো ফ্রিজ অর্থাৎ ওয়ালটন ৮ সেফটি ফ্রিজ কিনতে পারেন। ওয়ালটনের ৮ সেফটি ফ্রিজ এর বর্তমান বাজার মূল্য মাত্র ১০ হাজার টাকা। আর আপনি চাইলেই ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওয়ালটন ৮ সেফটি ফ্রিজ কিনতে পারবেন। আমি আঁশা করি ওয়ালটন ৮ সেফটি ফ্রিজ টি আপনার পছন্দ হবে। ওয়ালটন ফ্রিজের দাম বিস্তারিত নিচে দেখুন-

১.ওয়ালটন WFO-1A5-RXXX-XX ফ্রিজের দাম

১. বাজার মূল্য → ১৪৩০০/- হাজার টাকা মাত্র।
২. ধারণক্ষমতা → ১১৫ লিটার।
৩. ওজন → ২৬ কেজি।
৪. ফ্রিজ কালার → অফ-হোয়াইট সিলভার এবং গোল্ড সিলভার।

সাশ্রয়ী দামের ওয়ালটন ফ্রিজের মধ্যে এই WFO-1A5-RXXX-XX মডেলের ওয়ালটন ফ্রিজ হ'ল সবথেকে সেরা। এই ওয়ালটন ৮ সেফটি ফ্রিজ টি আপনি পেয়ে যাবেন মাত্র ১৪ হাজার টাকায়। যার ধারণক্ষমতা ১১৫ লিটার সমৃদ্ধ। এই ফ্রিজটি ওয়ালটনের ভালোমানের একটি ফ্রিজ। যদি আপনি কম প্রাইসের মধ্যে ভালো ফ্রিজ কিনতে চান তবে ওয়ালটনের এই WFO-1A5-RXXX-XX মডেলের ফ্রিজটি হবে আপনার জন্যে সবথেকে পারফেক্ট একটি ফ্রিজ। যদি আপনার পরিবার ছোটো/সিঙ্গেল ফ্যামেলির হয়ে থাকে তাহলে আপনি ওয়ালটনের এই মডেলের ফ্রিজটি কিনতে করতে পারেন।

১। দৈর্ঘ্য › ৯০ সেন্টিমিটার।
২। প্রস্থ › ৪৯ সেন্টিমিটার।
৩। ফাস্টার কুলিং স্পিড।
৪। ক্ষতিকরাক ব্যাকটেরিয়া / জীবাণু প্রতিরোধক।
৫। ন্যানো সিলভার প্রযুক্তি।
৬। ইকোলজিক্যাল সেইফ।
৭। প্রিভেন্ট বেড ডোর।

ওয়ালটন ফ্রিজ ১৪ সেফটি দাম | ওয়ালটন ফ্রিজের দাম ২০২১

মূলত মাঝারি কাজের জন্য ১৪ সেফটি থেকে ১৮ সেফটি ফ্রিজ ও বেশি পরিমাণে জিনিসপত্র রাখার জন্যে ২০ সেফটি থেকে ২৮ সেফটি ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। এখানে আমি ১৪ সেফটি, ১৬ সেফটি, ১৮ সেফটি এবং ২০ সেফটির বেশ কয়েকটি ফ্রিজ কালেক্ট করেছি। আঁশা করি নিম্নে আলোচনা করা ফ্রিজগুলো আপনার কাছে পছন্দ হবে।

২.ওয়ালটন WFD-1B6-GDEL-XX ফ্রিজের দাম

১) বাজার মূল্য → ১৯৫০০/- হাজার টাকা মাত্র।
২) ধারণক্ষমতা → ১৩২ লিটার।
৩) ওজন → ৪২ কেজি।
৪) ফ্রিজ কালার → নীল এবং গোলাপী।

ওয়ালটনের এই মডেলের ফ্রিজটি আমি এখনও নিজেই ব্যবহার করছি। ওয়ালটন ফ্রিজের আকর্ষণীয় ডিজাইন ও গর্জিয়াস কালারে কারণেই মূলত আমি ওয়ালটনের এই WFD-1B6-GDEL-XX মডেলের ফ্রিজটি ব্যবহার করছি। যদি আপনি এই ফ্রিজটি আপনার ডাইনিং রুমে কোথাও রাখেন তবে আপনার রুমের সুন্দরজ্জ অনেকাংশেই বাড়িয়ে দিবে। এছাড়া ওয়ালটনের এই ফ্রিজটি মাঝারি সাইজের হওয়ার ফলে ঘরের যেকোনো জায়গাতে রাখা সম্ভব।

ওয়ালটন WFD-1B6-GDEL-XL ফ্রিজের স্পেসিফিকেশন

১) দৈর্ঘ্য › ৫১ সেন্টিমিটার।
২) প্রস্থ › ১৩২ সেন্টিমিটার।
৩) ডিরেক্ট কুলিং সিস্টেম।
৪) ফাস্টার কুলিং স্পিড।
৫) ম্যাজিক্যাল ন্যানো সিলভার প্রযুক্তি
৬) ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া / জীবাণু প্রতিরোধক।
৭) অ্যান্টি ফাংগাল ডোর গেসকেট।
8) ইকোলজিক্যাল সেইফ।
৯) প্রিভেন্ট বেড ডোর।

৩.ওয়ালটন WFD-1F3-RXXX-XX ফ্রিজের দাম

১। বাজার মূল্য → ২১১০০/- টাকা।
২। ধারণক্ষমতা → ১৭৬ লিটার।
৩। ওজন → ৪৬ কেজি।
৪। ফ্রিজ কালার → সিলভার ব্লাক।

অসাধারণ সিলভার ব্লাক কালার এর ওয়ালটনের এই ফ্রিজটি আপনাদের সকলের কাছে পছন্দ হবেই। কেননা ওয়ালটনের এই ফ্রিজটির ফিনিশিং খুব মসৃণ। তাছাড়া আপনি মাত্র ২১ হাজার টাকায় পেয়ে যাবেন ১৪৬ লিটার কাপাসিটি সমৃদ্ধ মাঝারি সাইজের একটি ওয়ালটন ফ্রিজ। ওয়ালটনেরে এই ফ্রিজের ভিতরকার ডিজাইনও বেশ চমৎকার করেছে। যদি আপনার বাজেট কম হয়ে থাকে তাহলে ওয়ালটনের এই WFD-1F3-RXXX-XX মডেলের ফ্রিজটি কিনতে পারেন।

১। দৈর্ঘ্য › ১৬০ সেন্টিমিটার।
২। প্রস্থ › ৫১.২০ সেন্টিমিটার।
৩। ডিরেক্ট কুলিং সিস্টেম।
৪। ফাস্টার কুলিং স্পিড।
৫। ম্যাজিক্যাল ন্যানো সিলভার প্রযুক্তি।
৬। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া/জীবাণু প্রতিরোধক।
৭। অ্যান্টি ফাংগাল ডোর গেসকেট।
৮। ইকোলজিক্যাল সেইফ।
৯। প্রিভেন্ট বেড ডোর।

৪.ওয়ালটন WFA-2A3-GDEL-XX ফ্রিজের দাম

১. বাজার মূল্য → ২৫৩০০/- টাকা মাত্র।
২. ধারণক্ষমতা → ২১৩ লিটার।
৩. ওজন → ৪৫ কেজি।
৪. ফ্রিজ কালার → গোলাপি এবং নীল।

ওয়ালটনের এই WFA-2A3-GDEL-XX মডেলের ফ্রিজটি দুটি কালারে পাওয়া যাবে। একটি হচ্ছে গোলাপি রংয়ের এবং অন্যটি হচ্ছে নীল কালারের। ওয়ালটনের এই WFA-2A3-GDEL-XX মডেলের ফ্রিজের নীল কালারের ভেরিয়েন্টটি আমার কাছে বেশ পছন্দের। হ্যাঁ গতবছর আমার বাসাতে ব্যবহার করার জন্যে আমি ওয়ালটনের এই ফ্রিজটি ক্রয় করছিলাম। বর্তমানে প্রায় ১ বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়া সত্বেও এই ফ্রিজটি এখনো সেই নতুনের মতো আছে। আপনি চাইলেই ওয়ালটন ফ্রিজটি ক্রয় করে ব্যবহার করতে পারেন। আমার মনে হয় আপনি শুধু মাত্র ২৫ হাজার টাকার দিয়ে এরকম আকর্ষণীয় ফ্রিজ অন্য কোথাও কোনো ব্র্যান্ডের পাবেন না।

১. দৈর্ঘ্য › ১৫১ সেন্টিমিটার।
২. প্রস্থ › ৫৪.৫০ সেন্টিমিটার।
৩. ডিরেক্ট এবং ফাস্ট কুলিং সিস্টেম ব্যবহার।
৪. সাউন্ড/নয়েজ মুক্ত প্রযুক্তি।
৫. ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া/জীবাণু প্রতিরোধক।
৬. অ্যান্টি ফাংগাল ডোর গেসকেট।
৭. দীর্ঘ সময় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখার নিশ্চয়তা।
৮. এনার্জি সেভিং সিস্টেম।

৫.ওয়ালটন WFB-2B3-GDEL-XX ফ্রিজের দাম

১. বাজার মূল্য → ২৬৭৫০/- টাকা মাত্র।
২. ধারণক্ষমতা → ২২৩ লিটার।
৩. ওজন → ৫১ কেজি।
৪. ফ্রিজ কালার → গোলাপী রংয়ের মিশ্রণ ও ম্যাট ব্লাক।

শুধুমাত্র ২৬ হাজার টাকা দিয়ে দেশীয় কোম্পানি ওয়ালটন দিচ্ছে অসাধারণ সব ফিচার্স ও কালার সমৃদ্ধ আকর্ষণীয় ডিজাইন এর একটি ওয়ালটন ফ্রিজ। এই ফ্রিজের ফন্ট দরজায় ব্যবহার করা হয়েছে উন্নতমানের টেমপার গ্লাস। যার কারণে ফ্রিজের চাকচিক্ক ভাবকে আরও অনেকাংশে বৃদ্ধি করছে। আপনার বাজেট যদি ২৫ হাজার টাকার বেশি হয় তাহলে আপনি ওয়ালটনের এই WFB-2B3-GDEL-XX মডেলের ফ্রিজটি কিনতে পারেন।

১. দৈর্ঘ্য › ১৫৫ সেন্টিমিটার।
২. প্রস্থ › ৫৫ সেন্টিমিটার।
৩. উন্নতমানের ফ্রিজির প্রযুক্তি।
৪. টেমপার গ্লাস ডোর।
৫. ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া / জীবাণু প্রতিরোধক।
৬. ইকোজন নন ফরস্ট রিফ্রিজারেটর।
৭. নেনো হেলথ কেয়ার।
৮. প্রিভেন্ট ভেকটেরিয়া।
৯. ম্যাজিক্যাল নেনো সিলভার প্রযুক্তি।

৬.ওয়ালটন WFE-3A2-NXXX-XX ফ্রিজের দাম

বাজার মূল্য → ২৮৭৫০/- হাজার টাকা মাত্র।
ধারণক্ষমতা → ৩১২ লিটার।
ওজন → ৫৯ কেজি।
ফ্রিজ কালার → অফ হোয়াইট সিলভার।

ওয়ালটন কোম্পানির ভাষ্য মতে এটি হচ্ছে সবথেকে বেশি বিক্রি হওয়া ওয়ালটন কোম্পানির একটি ফ্রিজ। এই ফ্রিজটি দেখতে যেরকম সুন্দর ঠিক এই ফ্রিজের কোয়ালিটিও অত্যন্ত ভালো। ওয়ালটনের ফ্রিজটিতে এনার্জি সেভিং সিস্টেম ব্যবহার করেছে। ওয়ালটনের এই WFE-3A2-NXXX-XX মডেলের ফ্রিজটি মোটামুটি অনেক বেশ বড় সাইজের একটি ফ্রিজ। যদি আপনার ফ্যামেলি মোটামুটি বড় হয়ে থাকে তাহলে আপনি ওয়ালটনের এই ফ্রিজটি কিনতে পারেন।

দৈর্ঘ্য › ১৬২.৬০ সেন্টিমিটার।
প্রস্থ › ৬০ সেন্টিমিটার।
ডিরেক্ট কুলিং সিস্টেম।
BSTI অনুমোদিত।
ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া / জীবাণু প্রতিরোধক।
লং ইনডোরিং কুলিং সিস্টেম।
এনার্জি সেভিং ৫ স্টার।
ওয়াইড ক্লাইমেট ডিজাইন।
অ্যান্টি ফাংগাল ডোর গেসকেট।

৭.ওয়ালটন WFC-3X7-GDEH-XX ফ্রিজের দাম

১. বাজার মূল্য → ৩২৭৫০/- হাজার টাকা মাত্র।
২.ধারণক্ষমতা → ৩০৭ লিটার।
৩. ওজন → ৬০ কেজি।
৪. ফ্রিজ কালার → গোলাপী রংয়ের মিশ্রণ ও বেগুনী।

মোটামুটি মাঝামাঝি বাজেটের মধ্যে এটি অত্যন্ত ভালোমানের একটি ওয়ালটন ফ্রিজ এটি। ওয়ালটন ফ্রিজের অন্যান্য ফ্রিজের থেকে এই ওয়ালটন ফ্রিজের দামটা একটু বেশিই। তবে অন্য সকল ফ্রিজ গুলোর চাইতে আরো ভালোমানের প্রযুক্তি সিস্টেম ও বডি ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফ্রিজটি ব্যবহার করার সময়ে কোনো ধরনের সাউন্ড হবেনা। এছাড়া ওয়ালটনের এই WFC-3X7-GDEH-XX মডেলের ফ্রিজের কুলিং সিস্টেম অটোমেটিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে।

১. দৈর্ঘ্য › ১৬০ সেন্টিমিটার।
২. প্রস্থ › ৬৫ সেন্টিমিটার।
৩. শক্তিশালী কুলিং সিস্টেম।
৪. ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া / জীবাণু প্রতিরোধক।
৫. DECS প্রযুক্তি ব্যবহার।
৬. দীর্ঘ সময় খাবার ফ্রেশ রাখার নিশ্চয়তা।
৭. সহজ অপারেশন করা।
৮. এয়ার ফ্রেশ ফিল্টার।
৯. বড় মাপের স্টোরেজ।
১০. স্ক্রেচ রেসিডেন্ট।

৮.ওয়ালটন WFC-3D8-GDNE-XX ফ্রিজের দাম

১) বাজার মূল্য → ৩৬২০০/- হাজার টাকা মাত্র।
২) ধারণক্ষমতা → ৩৪৮ লিটার।
৩) ওজন → ৭১ কেজি।
৪) ফ্রিজ কালার → গোলাপী রংয়ের মিশ্রণ ও কালো।

আপনি শুধুমাত্র ৩৬ হাজার টকা দিয়ে পেয়ে যাচ্ছেন ১৭৫ সেন্টিমিটারের একটি বিশাল ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর। ওয়ালটন এই ফ্রিজের সাইজের তুলনায় দামটা আমার কাছে বেশ কম মনে হয়েছে। যদি আপনার পরিবার এর সদস্য সংখ্যা বেশি হয় তাহলে আপনি ওয়ালটনের এই WFC-3D8-GDNE-XX মডেলের ফ্রিজটি কিনতে পারেন। এই ফ্রিজে এক সঙ্গে আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে পারবেন।

১) দৈর্ঘ্য › ১৭৫ সেন্টিমিটার।
২) প্রস্থ › ৬৫ সেন্টিমিটার।
৩) ডিরেক্ট কুলিং সিস্টেম।
৪) নেনো হেলত কেয়ার।
৫) ফাস্টার কুলিং সিস্টেম।
৬) ইকুলজিক্যাল সেইফ।
৭) লংগার ফুড ফ্রেশনেশ।
৮) ওয়াইড ক্লাইমেট ডিজাইন।
৯) অ্যান্টি ফাংগাল ডোর সিস্টেম।

৯.ওয়ালটন WFE-3E8-GDEN-XX ফ্রিজের দাম

১. বাজার মূল্য → ৩৭৫০০/- হাজার টাকা মাত্র।
২. ধারণক্ষমতা → ৩৫৮ লিটার।
৩. ওজন → ৭৬ কেজি।
৪. ফ্রিজ কালার → গোলাপী রংয়ের মিশ্রণ, বেগুনী, কালো।

ওয়ালটনের এই ফ্রিজটিও অনেক বড় সাইজের। যদিওবা এই ওয়ালটন ফ্রিজের দামটা একটু বেশি, তবে হ্যাঁ দামের তুলনায় অন্যান্য যেকোনো ফ্রিজের চাইতে এই ফ্রিজটি বেশ বড়। যদি আপনার বাজেট একটু বেশি হয় এবং আপনার বড় সাইজের ফ্রিজের প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি অনায়াসে ওয়ালটনের এই WFE-3E8-GDEN-XX মডেলের ফ্রিজটি কিনতে পারেন। আমরা নিচে এই ফ্রিজটির স্পেসিফিকেশন তুলে ধরলাম।

১। দৈর্ঘ্য › ১৮২ সেন্টিমিটার।
২। প্রস্থ › ৫৮ সেন্টিমিটার।
৩। ডিরেক্ট কুলিং সিস্টেম।
৪। টেমপার গ্লাস ডোর। 
৫। লংগার ইনডোরিং কুলিং সিস্টেম।
৬। দ্রুত ঠান্ডা হওয়ার প্রযুক্তি।
৭। লংগার ফ্রেশনেস।
৮। অ্যান্টি ফাংগাল ডোর সিস্টেম।
৯। এয়ার ফ্রেশ ফিল্টার।

১০.ওয়ালটন WFC-3F5-GDNE-XX ফ্রিজের দাম

১. বাজার মূল্য → ৪০৩৯০/- হাজার টাকা মাত্র।
২. ধারণক্ষমতা → ৩৮০ লিটার।
৩. ওজন → ৭০ কেজি।
৪. ফ্রিজ কালার → গোলাপী এবং নীল রংয়ের দুটি ভেরিয়েন্ট।

ওয়ালটনের এই ফ্রিজটি বেশ দামি একটি ফ্রিজ। সাধারণত পারিবারিক দরকারে এতো বেশি দাম দিয়ে কেউ ফ্রিজ কিনতে চায়না। তবে হ্যাঁ যদি আপনি বাজেট এফর্ট করতে পারেন তবে এই ফ্রিজটি কিনতে পারেন। এই ফ্রিজটির বিশেষত্ব হ'ল Intelligent Inverter প্রযুক্তি এখানে ব্যবহার করা হয়েছে। যার কারণে এটা স্বংক্রিয়ভাবে সকল কিছু নিয়ন্ত্রন করবে আর আপনার বিদ্যুৎ অপচয় অনেকটাই কম হবে। তাছাড়া এই ফ্রিজটির আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে এটি দেখতে বেশ সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হওয়ায় ঘরের সুন্দরর্য্যকে বৃদ্ধি করবে।

১. দৈর্ঘ্য › ১৮৬ সেন্টিমিটার।
২. প্রস্থ › ৬৫ সেন্টিমিটার।
৩. ডিরেক্ট কুলিং সিস্টেম।
৪. টেমপার গ্লাস ডোর। 
৫. ইন্ডিলিজেন্ট ইনভার্টার।
৬. ওয়াইড ক্লাইমেট ডিজাইন।
৭. অ্যান্টি ফাংগাল ডোর সিস্টেম।
৮.ম্যাজিক্যাল নেনো সিলভার প্রযুক্তি।
৯. এভার্টস হার্মফুল ভেকটোরিয়া।
শেষ কথা

বাংলাদেশের নিজেস্ব পণ্য ওয়ালটনের সেরা ১০টি ওয়ালটন ফ্রিজের দাম ২০২১ এর সর্বশেষ আপডেট আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। আঁশা করি ওয়ালটনের এই সকল ফ্রিজগুলো আপনার পছন্দ হয়েছে। এছাড়াও নতুন ওয়ালটন ফ্রিজের দাম ২০২১ এর আরও আপডেট পাওয়ার জন্য এই আর্টিকেলটি আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করুন। এছাড়া এই ১০টি ওয়ালটন ফ্রিজ এর মধ্যে আপনার কাছে কোনটি বেশি পছন্দ হয়েছে সেটাও কমেন্টে জানাতে ভূলবেন না।

আরও পড়ুনঃ বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম

পোষ্ট ক্যাটাগরি:

এখানে আপনার মতামত দিন

0মন্তব্যসমূহ

আপনার মন্তব্য লিখুন (0)