ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর উপায়

ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর সহজ পদ্ধতি — কিভাবে ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বৃদ্ধি করবেন? ইউটিউবে সাফল্য পাওয়ার জন্য ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করা জরুরী। 

ইউটিউবের সাবস্ক্রাইবার হচ্ছে মুদি দোকানের রেগুলার কাস্টোমারের মতো মূল্যবান। তাই ইউটিউবে সাফল্য পাওয়ার জন্য ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরী। নতুন ইউটিউবারদের কমন প্রশ্ন হচ্ছে যে কিভাবে দ্রুত ইউটিউব চ্যানেলে ১০০০ হাজার সাবস্ক্রাইবার পাবো? কিভাবে ইউটিউবে ভিউ বাড়বে?

ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর উপায়

সূচীপত্র

যেসকল ইউটিউব চ্যানেলের বেশি সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার থাকে তারা একটি ব্রান্ডরূপে দাড়িয়ে যায়। চারদিক থেকে তাদের ইনকাম হতে থাকে সেসকল চ্যানেলে। কিন্তু একটি ইউটিউব চ্যানেলের রাতারাতি সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বাড়ানোর কোনো উপায় নেই।

যদি কিছু চ্যানেলের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কারণে তাদের হয়তোবা দ্রুত সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এটি কোনো পদ্ধতি না, সব ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভাগ্য এই রকম সুপ্রসন্ন হয়না। তবে কিছু কিছু উপায় আছে যেগুলো অনুসরণ করে ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব বাড়ানো যেতে পারে। 

আজকের এই আর্টিকেলে ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করার জন্য কার্যকরী উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। সেই সঙ্গে কীভাবে ইউটিউবে ভিউ এবং ভিউয়ার এংগেজমেন্ট বৃদ্ধি করা যায় সেই সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো।

লোকজন ইউটিউবে কী সার্চ করছে

প্রথমত আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওগুলো যদি কেউ না দেখে থাকে তাহলে ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করবেনা। ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বৃদ্ধি করার পূর্বশর্ত হচ্ছে ভিডিও ভিউ হতে হবে। আপনি কিভাবে আপনার ইউটিউব ভিডিওতে বেশি বেশি ভিউ পেতে পারেন? ইউটিউব সার্চে মানুষ যেবিষয়গুলো সার্চ করছেন এবং যে টপিক র‌্যাঙ্ক করছে সেই সকল টপিকের উপরে ভিডিও তৈরি করুন।

আপনি এই জনপ্রিয় বিষয়গুলি কিভাবে খুঁজে পাবেন

ফ্রিতে ইউটিউব কী-ওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য অনেক টুলস আছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই বর্তমান সময়ের হিট কি-ওয়ার্ড কোনগুলো সেটি জেনে নিতে পারবেন। কোন টপিকের উপরে প্রতিদিন কি পরিমাণ সার্চ হচ্ছে। 

তবে যদি আপনি আরও বৃহত্তরভাবে ইউটিউব কি-ওয়ার্ডগুলো রিসার্চ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রিমিয়াম ভার্সনের টুলসগুলো ব্যবহার করতে হবে। আমার মতে প্রাথমিকভাবে ইউটিউবিং শুরু করার জন্যে ফ্রি ভার্সন আপনার জন্য যথেষ্ট বলে আমি মনে করি।

আরও পড়ুনঃ ইউটিউব কেন অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়?

ইউটিউব কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল

ধরুন যে সমস্ত দর্শকের ১% আপনার ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করেন, তবে আপনাকে আরও সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করার জন্য আরও বেশি ভিউয়ারস প্রয়োজন। ভালোভাবে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে টাইটেল যুক্ত করলে সার্চ তালিকায় আসতে শুরু করবে। আপনার টপিক এর ভিডিওগুলো দর্শক উপরের বাক্যগুলো লিখে সার্চ করছে। তাই সঠিক কি-ওয়ার্ড বেছে নিলে সার্চ রেজাল্টে টপ লেভেলে আসার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

ইউটিউব চ্যানেলের বিষয়বস্তু ঠিক রাখুন

কেবলমাত্র মানুষ কোনো কিছুর সার্চ করছে তার অর্থ এই নয় যে, আপনার সেটা সম্পর্কে একটি ভিডিও তৈরি করতে হবে। ধরুন, আপনি একটি ব্লগিং টিউটোরিয়াল চ্যানেলের মধ্যে বর্তমান সময়ের কোনো হট টপিক যেমন "করোনা ভাইরাসে শাটডাউন" নিয়ে ভিডিও প্রকাশ করা।

যদিওবা আমরা এই বিষয় সম্পর্কে জানি ও একটি ভিডিও প্রকাশ করতে পারি। এই টপিক নিয়ে ইউটিউব চ্যানেলকে র‌্যাঙ্ক করতে পারি, ইউটিউববে প্রচুর সংখ্যক দর্শক পেতে পারি এবং গ্রাহককেও আকৃষ্ট করে তুলতে পারি। কিন্তু এটা কখনোই স্মার্ট পদক্ষেপ হবেনা। কেননা এসইও এর সঙ্গে এটার কোনো যোগসূত্র নেই, এতে করে আপনার আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারদের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে।

এই তিনটি জিনিস ভালো নয়

সাবস্ক্রাইবার গণ তাদের পছন্দ এবং প্রয়োজনীয় অনুযায়ী চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করেন। ব্লগিং টিউটোরিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে তাদের কোন গসিপ, কোন বার্নিং ইস্যু প্রয়োজন নেই। এতে করে চ্যানেল সাবস্ক্রাইবাররা বিরক্ত হয়ে চ্যানেলটি আনসাবস্ক্রাইব করতে পারে। 

এই ধরনের ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার ফলে সাবস্ক্রাইবাররা ডিসলাইক, নেতিবাচক মন্তব্যও করতে পারে এবং ভিডিও থেকে খুব দ্রুত বের হয়ে যাবে। যা আপনার ইউটিউব চ্যানেলের র‌্যাঙ্ক হারানোর কারণ হতে পারে।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলে হঠাৎ করে নিশ এর বাইরে কোন ভিডিও প্রকাশিত হলে সাইডবারের রিলেটেড ভিডিও তালিকায় ঝামেলা শুরু হবে। সেখানে হয়তোবা অন্যান্য কোন চ্যানেলের ভিডিও এসে যেতে পারে। 

সে কারণে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের থিমটি যথাসম্ভব শক্ত করে ধরে রাখা উচিত। বিশেষত আপনার ইউটিউব চ্যানেলের প্রথম দিনগুলোতে। তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিতে কি কি ধরনের ভিডিও প্রকাশিত হয় সে সম্পর্কে সকল সাবস্ক্রাইবার, ভিউয়ার পরিষ্কার ধারণা পাবে।

আরও পড়ুনঃ ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করার নিয়ম

ভিডিওতে সেটাই দিন যা মানুষ খুঁজছে

আপনার যদি ভিডিওর টাইটেল "ব্লগার বনাম ওয়ার্ডপ্রেস" হয়ে থাকে এবং আপনার ভিডিওর প্রথম ৩ মিনিট যদি Wix/Zoomla সম্পর্কে হয়ে থাকে, তাহলে আপনার দর্শকরা বাউন্স রেট করতে (ভিডিও শেষ না করে চলে যাওয়া) চলেছে আর যার ফলে চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করবে না। একটি ভালো ইউটিউব ভিডিও হচ্ছে যেটা দর্শকের পছন্দ ও প্রয়োজন সম্পূর্ণ করে।

আপনার দর্শকরা কী চান তা আপনি কীভাবে জানবেন?

কিছু টপিকের জন্যে এটি বেশ সহজ। "কীভাবে সহজে চকলেট কেক বানাবেন" এর মতো একটি বিষয়ের মানে হচ্ছে দর্শকরা চকলেট কেক বানানোর বিষয়ে একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল চান।

কিভাবে ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করবেন?

অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে এটা এতটা সহজ নয়। উদাহরণ হিসেবে "পিসি ফুটবল গেমস" এর কথা বলতে পারি। মানুষ কিছের রিভিউ দেখতে চান? নাকি গেমসের একটি তালিকা? বা লাইভস্ট্রিম গেমপ্লে?

এটা বের করার জন্যে ইউটিউবে সেই টপিকটি টাইপ করে সার্চ করুন। সার্চ রেজাল্টে দেখুন কোন পার্ট র‌্যাঙ্ক করেছে। ইউটিউব যদি একটি নির্দিষ্ট ভিডিও ফরমেটকে র‌্যাঙ্ক করে থাকে যেমন- "গেমের তালিক" নিয়ে করা ইউটিউব ভিডিওগুলি পরপর র‌্যাঙ্ক করছে। আপনার ভিডিওকে র‌্যাঙ্ক করানোর জন্যে আপনাকেও অবশ্যই প্রায় হবুহ কিছু ভিডিও তৈরি করতে হবে।

নির্দিষ্ট সময় পরপর ভিডিও প্রকাশ করুন

একটি পরিসংখ্যানে জানা গেছে যেসকল ইউটিউব চ্যানেলে নির্দষ্ট সময় পরপর ভিডিও প্রকাশ করে, তাদের সাবস্ক্রাইবারস এবং ভিউয়ারস তত দ্রুত বৃ্দ্ধি হতে থাকে। সাবস্ক্রাইবাররা জেনে রাখেন আপনি কখন কোন সময় ভিডিও প্রকাশ করেন, আপনার প্রত্যেকটি ভিডিওর জন্য তারা অপেক্ষা করে থাকে। নিয়মিত ভিডিও প্রকাশের সময়সূচীতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার মানে আপনি আরো কন্টেন্ট বানাতে করতে সক্ষম হবেন।

আরো কন্টেন্ট মানে আরো ভিউ। অর্থাৎ আরো বেশি মানুষ আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিতে সাবস্ক্রাইব করবে। সুতরাং যদি আপনি ইউটিউবে বেশি বেশি সাবস্ক্রাইবার পেতে চান তাহলে ভিডিও প্রকাশনার জন্যে সময় নির্ধারণ করুন। হোক সেটা দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক যেই ভাবে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন আপনি অবশ্যই অঙ্গিকারবোধ্য থাকুন।

অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত ভিডিও প্রকাশ করতে করতে প্রায়শই ভিডিও তৈরি করার জন্য ভুলে যান। পরবর্তী ভিডিও দেখার জন্য সাবস্ক্রাইবারদের মাসের পর মাস দেরি করতে হয়। যা সাবস্ক্রাইবার অ্যাঁংগেজমেন্ট কমিয়ে দেয়। ভিডিও প্রকাশ করার সময় তৈরি করলে এধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন।

আরও পড়ুনঃ ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয়

YouTube video Playlist তৈরি করুন

ইউটিউবে চ্যানেলে আপনি একটি ভিডিও একাধিক প্লেলিস্টে সংযুক্ত করতে পারবেন। প্লে-লিস্টগুলো সরাসরি চ্যানেলে সাবস্ক্রিপশন নিয়ে আসেনা, তবে ভিজিটরদেরকে একাধিক ভিডিও দেখার জন্য প্ররোচিত করে। ইউজার এক্সপ্রেরিয়েন্স উন্নত করে এবং আপনার Vlog এ তাদের অ্যাঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি করে। ইউটিউব চ্যানেলে ভিউয়ারস যত বেশি এঙ্গেজ থাকবে তত তারা সাবস্ক্রাইব বাটনে ক্লিক করতে উৎসাহিত হবে।

অন্যান্য সাইটের সাথে ইউটিউব চ্যানেল লিঙ্ক করুন

ইউটিউব চ্যানেলে বেশি সাবস্ক্রাইবার এবং ভিউয়ার্স পাওয়ার জন্য ভিডিওগুলোকে বেশি বেশি মানুষের কাছে পৌছানোর দরকার। এই জন্য শুধুমাত্র ইউটিউব দর্শকদের উপরে নির্ভর হলে চলবেনা। আপনার ব্লগ অথবা ফেসবুক অথবা অন্যান্য সাইটে ভিডিওগুলোকে Embeded করে Link করে নিন। 

এই কারণে যারা ব্লগিং অথবা টিউটোরিয়াল নিয়ে ভিডিও প্রকাশিত করে তাদের ভিডিওতে ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বেশি থাকে। কেননা তারা অনেকগুলো সাইট (YouTube, Social Media Site, Website) থেকে ভিজিটর অ্যাঙ্গেজ করতে পারে।

নিজের ওয়েবসাইট এর পাশাপাশি বিভিন্ন সাইট আছে যেখানে ইউটিউব ভিডিও শেয়ার বা পোস্ট করা যায়। সেসকল সাইটের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইট আছে যেমন- Quara তে ইউটিউব ভিডিওর লিঙ্ক সংযুক্ত করে ভিজিটর ডাইভার্ট করা সম্ভব। 

এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে আপনার প্রত্যেকটি ভিডিওর আপডেট শেয়ার করুন। এই কাজ করার মাধ্যমে আপনার ভিডিওতে ব্যাকলিঙ্ক বাড়বে এবং ভিডিওটি সার্চ তালিকাতে সবার উপরে চলে আসবে।

যেসকল ইউটিউব চ্যানেলে ইউটিউবার আড্ডা নিয়ে হোস্টিং ভিডিও তৈরি করে থাকে কিংবা রেডিও অথবা পোডকাস্ট শো তৈরি করে তাদের আমন্ত্রণে ছারা দিন। সেখানে যখন হোস্ট আপনাকে জিজ্ঞেস করবে আপনার ভিডিওগুলি কোথায় পাওয়া যাবে অথবা আপনার সম্পর্কে আরও অন্যান্য তথ্য কোথায় জানতে পারবে তখন ইউটিউব চ্যানেলটির ঠিকানা বা নাম বলে দিন।

YouTube চ্যানেলে গিভওয়ে কনটেস্ট (giveaway contest) আয়োজন করুন

বর্তমানে Givaway ইউটিউব চ্যানেলে নতুন সাবস্ক্রাইবার এবং ভিউয়ার্স নিয়ে আসার জন্যে আরেকটি কার্যকরী পদ্ধতি। একটি GiveWay এর মাধ্যমে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্যে প্রচুর সংখ্যক শেয়ার পাওয়া সম্ভব। একই সঙ্গে সাবস্ক্রাইবার এবং ভিউয়ারস পাওয়া সম্ভব। চ্যানেলে একটি GiveWay কনটেস্ট রান করানোর জন্য নিচের বিষয়গুলোকে মাথায় রাখতে হবে:

আপনার অনলাইন প্রতিযোগিতার জন্যে একটি লক্ষ্য সেট করুন-

  • প্রতিযোগিতার জন্যে একটি ভালোমানের পুরস্কার পছন্দ করুন
  • প্রতিযোগিতার নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করুন
  • আপনার গিভওয়ে কনটেস্টটি মার্কেটিং করুন
  • ইউটিউব ইন্টারেক্টিভ ফিচারটিকে ব্যবহার করুন

ইউটিউবে কয়েকটি ইন্টারেক্টিভ ফিচার আছে যেগুলোর সঠিক ব্যবহার আপনি আপনার ভিডিওতে যুক্ত করে দর্শকদের সাবস্ক্রাইব করতে উৎসাহ করতে পারেন। ধরুন, আপনি ওয়াটারমার্ক যুক্ত করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ অনলাইন থেকে আয় করার সহজ উপায়

ইউটিউব ভিউ বৃদ্ধির উপায়

যদি কোনো ভিউয়ার্স আপনার ভিডিও ওয়াটারমার্ক এ ক্লিক করে, তাহলে সাবস্ক্রাইব বাটনটি বড় হয়ে উঠবে। ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য ভিডিওর শেষে সাবস্ক্রাইব করার অপশন অ্যাড করতে পারেন।

ভিজিটরদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করতে বলুন

আপনার সকল দর্শক কিন্ত সাবস্ক্রাইবার নয়, তাই তাদেরকে সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না। সাধারণ একটি ফরম্যাট ব্যবহার করে খুবই সহজভাবে বলতে পারেন — "আরও কার্যকরী SEO টিপস আন্ড মার্কেটিং কৌশল নিয়ে টিউটোরিয়াল গুলো পাওয়ার জন্য আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না কিন্ত।" আপনি যদি ধারাবাহিক ভাবে সিরিজ ভিডিও করে থাকেন তাহলে বলুন "সাবস্ক্রাইব করে নিশ্চিত করুন যাতে আপনি এই সিরিজের পরবর্তী ভিডিওটি না মিস করতে চান।"

আর হ্যাঁ বারবার ভিডিওর মধ্যে সাবস্ক্রাইব করার কথা বলে স্প্যাম করে ফেলবেন না। এটি কেবলমাত্র অপ্রয়োজনীয়ই না, বিরক্তিকরও বটে, যা ভিউয়ারদেরকে সাবস্ক্রাইব করা থেকে বিরত করতে পারে। এই জন্য আপনি আপনার প্রতিটি ভিডিওর শেষে অথবা শুরুর দিকে এই কথাগুলো যুক্ত করতে পারেন।

শেষ কথা

আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করার খুবই দুর্দান্ত কৌশলগুলো সম্পর্কে জানলাম। এই পদ্ধতি অনুযায়ী কাজ করলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওর ভিউ বাড়বে এবং বাউন্স রেট কমানোর জন্য কার্যকরী হবে।

তবে এসকল তখনই সম্ভব যখন আপনার ভিডিওর স্ক্রিপ্ট হবে দূর্দান্ত, ভিডিওর উপস্থাপনা এবং কোয়ালিটি ঠিকঠাক থাকবে। সুতরাং, আমরা ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করার জন্য অবশ্যই কাজ করবো। তবে হ্যাঁ তার আগে ভিডিও কোয়ালিটি নিশ্চিত করে নিতে হবে। ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর জন্য আমি কি কি বিষয় বা কোনো দুর্দান্ত কৌশল বাদ দিয়েছি কি-না? কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাবেন।

পোষ্ট ক্যাটাগরি:

এখানে আপনার মতামত দিন

0মন্তব্যসমূহ

আপনার মন্তব্য লিখুন (0)