ইথিক্যাল হ্যাকিং কি | ইথিক্যাল হ্যাকিং এর প্রয়োজনীয়তা | ইথিক্যাল হ্যাকিং কোর্স

হাসিবুর
লিখেছেন -

ইথিক্যাল হ্যাকিং কি — হ্যাকিং শব্দটির নাম শুনলেই কেন জানি আমাদের মনের মধ্যে একটা আতংকের জন্ম নেয়। হ্যাকিং শব্দটি শুনলেই যেন মনে হয় নিশ্চয়ই কোনো না কোন সমস্যার মধ্যে পড়তে যাচ্ছি। আমরা আগেই জেনেছি যে, হ্যাকার হচ্ছে প্রধানত দুই প্রকার যেমন- ১. হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার (white hat hacker) ২. ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার (Black hat hacker)। অবশ্যই আমরা জেনে রাখি যে, হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার হচ্ছে মূলত কারাে ক্ষতি করার জন্যে হ্যাকিং কার্যক্রম করে না। ইথিক্যাল হ্যাকাররা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ক্রমে সিস্টেম এর ভুলত্রুটি (BUG) খুঁজে বাহির করে এবং সেটি সঠিক করে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা ইনকাম করে থাকে।

ইথিক্যাল হ্যাকিং কি

অন্যদিকে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার (Black hat hacker) হচ্ছে কোনো সিস্টেমের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যাতীত সিস্টেমে ভুলত্রুটি খুঁজে বের করে সিস্টেম বা সাইটের মধ্যে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে এবং তারা সিস্টেমের বিভিন্ন রকমের ক্ষতিসাধন করে। তবে আমাদের মধ্যে নতুন নাম হ'ল ইথিক্যাল হ্যাকিং ethical hacking ! তো এখন এই ইথিক্যাল হ্যাকিং আবার কি জিনিস? ইথিক্যাল হ্যাকিং কি? ইথিক্যাল হ্যাকিং কিভাবে কাজ করে।

চলুন জেনে নেই ইথিক্যাল হ্যাকিং সম্পর্কে বিস্তারিত সকল আলোচনা! আর কেন আপনি ক্যারিয়ার হিসেবে ইথিক্যাল হ্যাকিং নিবেন এবং ইথিক্যাল হ্যাকিং কিভাবে শিখবেন! ও কিভাবে একজন (Certified Ethical Hacker) সার্টিফাইড ইথিক্যাল হ্যাকার হবেন। আর কেমন হবে একজন ইথিক্যাল হ্যাকার এর বেতন!

হ্যাঁ প্রথমেই বলি, আমাদের এই ওয়েবসাইটের মূল টার্গেট করা হয় যে সাধারণ পাঠকদেরদের যারা আছেন সহজ ও সাধারন ভাবে কথাগুলো বুঝতে চান। এই কারণে আমরা সবসময় খুবই সহজভাবে কন্টেন্ট উপস্থাপন করার চেষ্টা করি পাঠকগণের কাছে। যাতে করে পাঠকগণ সহজেই বুঝতে পারেন! "ইথিক্যাল হ্যাকিং" শব্দটি আমাদের কাছে বেশ নতুন একটা শব্দ! 

আর আমি এই শব্দটির সঙ্গে পরিচিত হয়েছি মূলত বিভিন্ন আইটি কোম্পানির অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে! তারা বিভিন্ন অ্যাডে বা বিজ্ঞাপন থেকে থাকে "ইথিক্যাল হ্যাকার হয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়ুন" "ইথিক্যাল হ্যাকিং বাংলা কোর্স" "ইথিক্যাল হ্যাকিং এর চাহিদা" ইত্যাদি সম্বন্ধে বিভিন্ন আইটি কোম্পানি চটকদার সব বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন! আর তারা বলেন যে, একজন ইথিক্যাল হ্যাকার হয়ে চাকরি আপনিও করতে পারবেন! কিন্তু হ্যাঁ হ্যাকার হিসেবে চাকরি করাটা বেশ আজব লাগে আমাদের সবার কাছে!

ইথিক্যাল হ্যাকিং কি | ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখুন

ইথিক্যাল (Ethical) শব্দের বাংলা আভিধানিক অর্থ হ'ল "নৈতিক" অর্থাৎ "বৈধ"। মানে ইথিক্যাল হ্যাকিং এর বাংলা আভিধানিক অর্থ হচ্ছে "নৈতিক বা "বৈধ হ্যাকার"। তাহলে সাধারণভাবে বুঝতেই পারলেন যে হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার (White Hat Hacker) ই হচ্ছে মূলত ইথিক্যাল বা ইথিক্যাল হ্যাকার!

আমরা অনেক সময়ে দেখি যে, কিভাবে ফেসবুক পাসওয়ার্ড হ্যাক করা যায়, ফেসবুক আইডি হ্যাক করার apps, ওয়াইফাই হ্যাক, ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড হ্যাক করার উপায়, কিভাবে ওয়াইফাই হ্যাক করা যায়, ফেসবুক হ্যাকিং সফটওয়্যার android, ফেসবুক আইডি হ্যাক করার উপায়, অন্যের মোবাইল হ্যাক করার উপায়, ওয়াইফাই হ্যাক করার সফটওয়্যার, বিকাশ একাউন্ট হ্যাকিং, মোবাইল দিয়ে ফেসবুক আইডি হ্যাক, হ্যাকিং শিখার বই, হ্যাকিং সফটওয়্যার ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের নামে বিভিন্ন নামে চটকদার সব আর্টিকেল দেখতে পাই। যেখানে আসলে হ্যাকিং শেখানো হোক অথবা না হোক এইগুলো শেখার মূল বিষয় হচ্ছে মানুষের ক্ষতি সাধন করা। 

তাছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্রিকা, খবরে দেখতে পাই যে ব্যাংক একাউন্ট হ্যাকিং এর মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করছে। অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হ্যাকিং এর মাধ্যমে স্পর্শ কাতর সব তথ্য নিয়ে ব্ল্যাক মেইলের মাধ্যমে অর্থ দাবি করছে ইত্যাদি। এসকল কার্যকলাপ হচ্ছে আসলে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারদের। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য মানুষের ক্ষতি সাধন করে থাকে। 

এছাড়াও সমাজ ও দেশের কাছে তারা অপরাধী তাই ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাররা সব সময়ের জন্য আত্মগোপন করে থাকে। কিন্তু যদি আপনি একজন ইথিক্যাল হ্যাকার বা হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার হয়ে কাজ করেন তবে আপনি সগৌরবে বলতে পারবেন যে আপনি একজন বৈধ বা ইথিক্যাল হ্যাকার। আর আপনার জন্যে থাকবে না কোন রকম আইনি জটিলতা আর থাকবে না কোন সামাজিক নিন্দা।

আরও পড়ুনঃ বিগিনার ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য ৫টি সেরা ওয়েবসাইট

একজন ইথিক্যাল হ্যাকার কিভাবে কাজ করে

একজন ইথিক্যাল হ্যাকার এর কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে একজন ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার এর চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। একজন হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার বা ইথিক্যাল হ্যাকার মূলত কাজ করে থাকে কোনো সিস্টেমের ভুলত্রুটি খুঁজে বাহির করার জন্যে। আমরা জানি কোনো সিস্টেম অথবা নেটওয়ার্কের মধ্যে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করা এবং সেটার কন্ট্রোল নেয়া আইনত ভাবে অপরাধ। এই কারণে একজন ইথিক্যাল হ্যাকার মূলত কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষ্যে সিস্টেমের ভুলত্রুটি খুঁজে বের করে। আমরা অবশ্যই জানি যে কোনো কিছুরই শতভাগ ভুলত্রুটি মুক্ত নয়। একটি ত্রুটি ঠিকঠাক করলেও নতুন আরো অনেক ত্রুটি আমাদের অগোচরে থেকে যায়।

তারপরেও সুরক্ষা বা সিকিউরিটি নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই আমাদের কোনো সিস্টেমের ভুলত্রুটি খুঁজে বের করা এবং সেটি সঠিক করা অবশ্যই কর্তব্য। আর এই কাজটি মূলত করে থাকে একজন হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার বা ইথিক্যাল হ্যাকার।

ইথিক্যাল হ্যাকাররা তাদের হ্যাকিং দক্ষতা কাজে লাগিয়ে একটি সাইট বা সিস্টেমের ত্রুটি খুঁজে বের করে। আর সিস্টেমের এক্সেস নেয় কিন্তু একজন হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার বা ইথিক্যাল হ্যাকার সিস্টেমের কোন ক্ষতিসাধনের পরিবর্তে সিস্টেম ভুলত্রুটি গুলোকে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে আর সেই সমস্যা ঠিক করার জন্য কাজ করে থাকে।

যেখানে একজন ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার কোনো সিস্টেমের ভুলত্রুটি খুঁজে বাহির করে তাদের হ্যাকিং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সিস্টেমের এক্সেস বা নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে নেয় আর সেই সিস্টেমের ক্ষতিসাধন করে এবং সকল তথ্য হাতিয়ে নেয়। পক্ষান্তরে একজন ইথিক্যাল হ্যাকার সিস্টেমের এক্সেস বা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরে কর্তৃপক্ষকে জানান যে সেই সমস্যা ঠিক করার জন্য কাজ করে। যাতে করে সিস্টেমের ব্যবহারকারীগণ কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হতে হয়। তাহলে এই সকল তথ্যগুলো হতে আপনি একজন হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার বা ইথিক্যাল হ্যাকার ও অন্যান্য হ্যাকারের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারছেন।

কেন শিখবেন ইথিক্যাল হ্যাকিং | ইথিক্যাল হ্যাকিং এর প্রয়োজনীয়তা

ইথিক্যাল হ্যাকার কোনটি সেটা আমরা জানলাম। এইবার চলুন জেনে নেই যে, কেন ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখবো। আমি আপনাকে সাজেস্ট করবো যে আপনি ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখুন! ইথিক্যাল হ্যাকিং শেখার প্রধান কারণ হচ্ছে বর্তমান সময়ে ইথিক্যাল হ্যাকারদের চাহিদা মার্কেটপ্লেসে সহ লোকাল মার্কেটে প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটির প্রধান কারণ হচ্ছে বর্তমান সময়ে আইটি সেক্টর ব্যাপক হারে প্রসারিত হচ্ছে সেই সঙ্গে অনলাইন ভিত্তিক সেবারও প্রসার হচ্ছে। 

আর অনলাইন ভিত্তিক ব্যাংকিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইত্যাদি বিগত কয়েক বছরে ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং সেই সঙ্গে হ্যাকিং এর মাত্রাও কিন্ত প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটির হ্যাকিং বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ইথিক্যাল হ্যাকার দের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধুমাত্র চাহিদার ওপরে ভিত্তি করেই আমি আপনাকে ইথিক্যাল হ্যাকিং শেখার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি? তা কিন্ত নয়!

বর্তমান সময়ে যেমন ইথিক্যাল হ্যাকারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক তেমনি একজন ইথিক্যাল হ্যাকারের বেতনও কিন্তু কম নয়। আপনিও এই সেক্টরে কাজ করার মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে একজন ইথিক্যাল হ্যাকার এর বেতন ৬০ লক্ষ টাকারও বেশি।

সেই সঙ্গে একজন ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারের যেমন সমাজের চোখে, দেশের মানুষের চোখে দোষী তেমনি ভাবে একজন ইথিক্যাল হ্যাকার হ'ল সম্মান জনক পদমর্যাদা প্রাপ্তির দাবিদার। আর ইথিক্যাল হ্যাকিং সেক্টরে আপনার পরিচয় গোপনেরও কোনো কারণ নাই। কারণ এই কাজটি সরকার ও সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত আর প্রশংসনীয় একটা কাজ।

যদি আপনি একজন দক্ষ ইথিক্যাল হ্যাকার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার মার্কেটপ্লেস সহ লোকাল মার্কেটে কাজের কোনো অভাব হবেনা এবং আপনার কর্মক্ষেত্র হয়ে যাবে বিশাল। আপনি চাইলে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সকল সেক্টরে যেখানে তথ্যের নিরাপত্তার প্রয়োজন সেইখানে কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও বড় বড় আইটি প্রতিষ্ঠান বা সফটওয়্যার কোম্পানিতে আপনি কাজ করার সুযোগ পাবেন। তাছাড়াও চাইলে আপনি বিভিন্ন সফটওয়্যারের বাগ (Bug) অথবা সিস্টেম জনিত ভুলত্রুটি খোঁজা ও সেটি সঠিক করার মাধ্যমে ঘরে বসেই ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ এটিএম কার্ড, ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড কি

ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং হ্যাকিং এর মধ্যে পার্থক্য 

আমাদের সবার দৃষ্টিকোণ থেকে ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং হ্যাকিং এর মাঝে বিরাট পার্থক্য হলেও। টেকনিক্যাল ক্ষেত্রে হ্যাকিং ও ইথিক্যাল হ্যাকিং এর মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। কেননা দুই ক্ষেত্রেই কাজ একই রকম। শুধুমাত্র ইথিক্যাল হ্যাকিং কিংবা হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার এবং ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারের মাঝে পার্থক্য হ'ল কাজের দিক থেকে। যেখানে একজন নন ইথিক্যাল হ্যাকার বা ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার কাজ করে থাকে নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য, অন্যায় পথে এবং অন্যজনের ক্ষতি সাধন করার মাধ্যমে নিজের স্বার্থ হাসিল করে বা টাকা উপার্জন করে।

অন্যদিকে একজন হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার বা ইথিক্যাল হ্যাকার মূলত অন্যজনের সহযোগিতা ও বিভিন্ন রকমের সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে থাকে। ইথিক্যাল হ্যাকাররা সবসময় কাজ করে থাকে যেন আপনি কোনোভাবে হ্যাকিংয়ের শিকার না হন অথবা আপনার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যক্তিগত ফাইল বেহাত হয়ে না যায় সেইজন্য। মূলত ইথিক্যাল হ্যাকাররা তাদের সেবামূলক কাজের দাঁরা টাকা ইনকাম করে থাকে।

কিভাবে শিখবেন ইথিক্যাল হ্যাকিং বা ইথিক্যাল হ্যাকিং শেখার উপায় | ইথিক্যাল হ্যাকিং বাংলা কোর্স

আপনি চাইলেই বিভিন্ন উপায়ে ও বিভিন্ন মাধ্যমে ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে পারবেন তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় উপায় হ'ল ইথিক্যাল হাকিং ফুল কোর্সের মাধ্যমে শেখা। আপনি চাইলেই অনলাইনে হাজার হ্যাকার ইথিক্যাল হ্যাকিং বাংলা কোর্স ethical hacking Bangla course দেখতে পাবেন। এছাড়াও আপনি সরাসরি কোন আইটি ট্রেনিং সেন্টার থেকে ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখে নিতে পারবেন। তবে হ্যাঁ ইথিক্যাল হ্যাকিং শেখার জন্যে আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ ধৈর্যশীল এবং পরিশ্রমী হতে হবে। কেননা এটা কোনো ক্ষুদ্র সেক্টর না যে আপনি ২ থেকে ১ দিনের মধ্যে কাজ শিখে যেতে পারবেন।ল হ্যাকিং বাংলা কোর্স। ইথিক্যাল হ্যাকিং pdf

আরও পড়ুনঃ প্রোগ্রাম শেখার জন্য ৫ টি সেরা ফ্রি ওয়েবসাইট

তাছাড়াও সকল ধরনের হ্যাকিং এ আপনাকে দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে ও টেকনিক্যাল বিষয়গুলিকে আয়ত্তে আনতে হবে। তাছাড়া কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে আপনাকে বিস্তর জ্ঞান অর্জন করার মাধ্যমে আপনি একজন নৈতিক হ্যাকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারবেন। সকল ধরনের কোর্স এবং সার্টিফিকেট অর্জন করে এবং ইথিক্যাল হ্যাকিং সম্পূর্ণভাবে পারদর্শিতা অর্জন করে পরে আপনাকে যুক্ত হতে হবে "ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ ইলেক্ট্রনিক কমার্স কন্সাল্টান্ট" প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হবে। তাহলে আপনি একজন ইথিক্যাল হ্যাকার হয়ে পরিচিত লাভ করবেন।

তো চলুন এবার জেনে নেই একজন ইথিক্যাল হ্যাকার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আপনাকে কোন কোন বিষয়ে দক্ষ হতে হবে! প্রথমতো একজন ইথিক্যাল হ্যাকার বা হ্যাকার হওয়ার জন্য আপনাকে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম (Operating system) সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকতে হবে। বিশেষ করে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম (Windows), লিনাক্স (Linux) ইত্যাদি। 

তাছাড়াও ইউনিক্স (Unix)/লিনাক্সের (Linux) সম্পর্কে দক্ষতা থাকতে বাঞ্ছনীয় এবং লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন ডিস্ট্রো ও কম্যান্ড সম্পর্কে ভালো রকমের জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি লাঙ্গুয়েজ সি (C), জাভা (JAVA),পার্ল ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে জানতে হবে এবং ডাটাবেজ যেমন; এসকিউএল SQL সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।

ব্লগ ক্যাটাগরি: