তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে ইমুর নতুন 'সিক্রেট চ্যাট' ফিচার

অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে ইউজারদের তথ্যের নিশ্চিত সুরক্ষা প্রদান করতে নতুন ‘সিক্রেট চ্যাট’ ফিচার চালু করেছে জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ইমু।

ইমুর এই সিক্রেট চ্যাট নতুন এই ফিচারের সুবিধা গুলোর মধ্যে রয়েছে সেশন শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও মেসেজের ‘সেলফ-ডেস্ট্রাকশন’ সুবিধা এবং মেসেজের "ডিসেমিনেশন কন্ট্রোল"। অর্থাৎ মেসেজে কোন চ্যাট সেশন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরেও সেখানকার সব কথোপকথন মুহূর্তেই ডিলিট হয়ে যাবে, যার ফলে আর কেউ ওই সেশনের কোনো প্রকার কথা বার্তা পরে আর খুঁজে পাবে না।

ইমুতে কোনো নির্দিষ্ট কন্ট্যাক্টের চ্যাট ইন্টারফেসে অ্যাটাচমেন্ট বারে আপনি খুজে পাবেন নতুন এই "সিক্রেট চ্যাট" ফিচারটি। এই সিক্রেট চ্যাট ফিচারে অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে চ্যাট সেশনের তথ্যের সুরক্ষা ১০০% নিশ্চিত করা হবে।

আরও পড়ুনঃ ফেসবুক অ্যাকাউন্টের তথ্য ফাঁস হলে বুঝবেন যেভাবে

সিক্রেট চ্যাট নতুন এই ফিচারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে ডেসিমিনেশন কন্ট্রোল ফাংশন। এই ফাংশনের অধীনে অনন্য কেউ ব্যক্তিগত কথোপকথন কপি, ফরোয়ার্ড, শেয়ার ও ডাউনলোড করে নিতে পারবে না। তাছাড়াও চ্যাট, কথাবার্তা, স্ক্রিনশট নেয়া কিংবা ভিডিও ধারণ করতে পারবে না 'সিক্রেট চ্যাট' ফিচারটির ব্যবহার করার ফলে। যার ফলে ইমু গ্রাহকগণ তাদের ব্যক্তিগত বিষয়সমূহ নিয়ে বিভিন্ন আলাপচারিতা এবং আরও আস্থা ও নিরাপত্তার সাথে এই সকল কাজ নির্বিঘ্নে করতে পারবেন।

ইমু ব্যবহারকারীরা যে ইমু ব্যবহারে আরও বেশি নিরাপত্তা বোধ করে সেই কারণে বিগত কয়েক মাসে ইমু নানা প্রকার নিরাপত্তা বৃদ্ধি সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গত বছরে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে ইমু ব্যবহারকারীদের সকল প্রকার তথ্যের সুরক্ষায় ইমু ফোন নাম্বার ভেরিফিকেশন সিস্টেম ওপেন করেছে। ইমুর এই নাম্বার ভেরিফিকেশনের বিশেষত হচ্ছে যখন ব্যবহারকারীরা নম্বর সুইচ করেন তখন এই ভেরিফিকেশন সিস্টেমটি ইমু ইউজারের সুরক্ষা প্রদান করে । এই ভেরিফিকেশন সিস্টেমে পুরোনো ফোন নাম্বারটি ইমুর সাথে সম্পৃক্ত অ্যাকাউন্টের তথ্যগুলো অ্যাকসেস করতে পারবে না, যার কারনে সংশ্লিষ্ট তথ্য নিরাপদ থাকবে।

বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ইমুর মাধ্যমে একে অপরের সাথে কথা বার্তা, আলাপ আলোচনা, মেসেজিং ইত্যাদি কাজ সম্পূর্ণ করে থাকে। বাংলাদেশে এই ইমুর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ফ্রি কল করা হয় এবং ভিডিও কল ও ছবি আদান-প্রদান করা হয়। তাছাড়াও, ২০২০ সালে ইমুর মাধ্যমে ৯৬ বিলিয়ন বার্তা আদান-প্রদান করা হয়েছে এবং ২৬ বিলিয়ন অডিও ও ভিডিও কল করা হয়েছে বলে জানা যায়। 

এই পরিসংখ্যানের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবেই বোঝা যায় যে, প্রতিদিনের যোগাযোগের প্রয়োজনের জন্য আরও বেশি সংখ্যক মানুষ ইমুর ওপর নির্ভর হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি চালু হওয়া ইমুর এই সিক্রেট চ্যাট ফিচারটি ইউজারদের এখন একে অপরের সাথে আরও নিরাপদভাবে যোগাযোগের সুযোগ করে দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ মুভমেন্ট পাস আবেদন | মুভমেন্ট পাস আবেদন ফরম

পোষ্ট ক্যাটাগরি:

এখানে আপনার মতামত দিন

0মন্তব্যসমূহ

আপনার মন্তব্য লিখুন (0)