পড়া মনে রাখার সহজ উপায় | পড়া মনে রাখার সহজ উপায় কি

আপনি কি একজন স্টুডেন্ট এবং আপনি কি সব সময় এই জিনিসটি নিয়ে চিন্তিত আছেন? যে আপনি যা পড়ছেন তা মনে রাখতে পারছেন না। আপনি কি একটি চ্যাপ্টার কে ১০ বারের থেকেও বেশি পড়ার পরেও মনে রাখতে পারছেন না। 

পড়া মনে রাখার সহজ উপায়

আপনার ক্লাসে হয়তো এমন কিছু স্টুডেন্ট রয়েছে যারা কোনো কোনো পড়াকে একবার পড়েই মনে রাখতে পারে। যখনই টিচার ক্লাসে কোন চ্যাপ্টারের উপর প্রশ্ন করে তখন সেই কিছু স্টুডেন্টরাই সব থেকে আগে অ্যানসার দেয়। তাদের কাছে প্রায় সকল প্রশ্নের উত্তর আগে থেকে রেডি থাকে তাই না। ঠিক আপনার সাথে যদি এমনটি ঘটে থাকে তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। আজ এই পোস্ট টি আপনার পড়াশোনা কে এতটাই মুগ্ধ করবে যে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন। তাই আজকের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত অবশ্যই দেখবেন। 

পেজ সূচিপত্রঃ

তো প্রশ্ন হলো এই যে এমন কি ব্যাপার রয়েছে যার দ্বারা কোন স্টুডেন্ট কোন পড়াকে ১০ বার পড়ার পরেও মনে রাখতে পারছে না। এবং অপরদিকে একই পড়াকে কোন স্টুডেন্ট একবার পরেই কিভাবে মনে রাখতে পারছে। আপনার মনে কি এই ধরনের প্রশ্ন এসেছে? তো চলুন আজ আমরা জেনে নেই কিছু স্পেশাল টিপস কে যার দারা আপনিও কোন পড়াকে বা কোন চ্যাপ্টারকে সহজে মনে রাখতে পারবেন।

এই টিপস গুলোর দারা আপনি আপনার পড়াশোনা করার ধরনকে আরও ইম্প্রুভ Improve করতে পারবেন এবং আপনিও আপনার ক্লাসের একজন টপার স্টুডেন্ট হতে পারবেন। আজ আমরা জেনে নেই How to Memorize What We Study। চলুন তাহলে জেনে নেই। যে টিপস গুলোর ব্যাপারে আমি আপনাকে বলতে চলেছি সেই টিপস গুলিকে আপনি খুব ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করবেন। কারন এই টিপস গুলি আপনার জীবনকে পরিবর্তন করে দিতে পারবে।

আরও পড়ুনঃ প্রোগ্রাম শেখার জন্য ৫ টি সেরা ফ্রি ওয়েবসাইট 

Tip No 1: Make a Movie | পড়া মনে রাখার সহজ উপায়

হ্যাঁ (Make a movie in Your Mind about your Concept) মেক এ মুভি ইন ইয়োর মাইন্ড অ্যাবাউট ইউর কন্সেন্ট। আপনি যে পড়াটিকে পড়ছেন সেটির কনসেপ্ট টিকে নিয়ে নিজের মাইন্ডে একটি মুভি তৈরি করুন। কথাটি হয়তো আপনি জানেন যে যখন আমরা কোনো মুভি কে দেখি তখন সেই মুভির স্টোরি এবং প্লটকে আমরা শুরু থেকে শেষ অবধি আমরা বহুদিন পর্যন্ত মনে রাখতে পারি তাইনা।

মুভিটিকে কেবলমাত্র একবার দেখেই তার স্টোরি কে আমরা বহুদিন পর্যন্ত মনে রাখতে পারি। আসলে আমাদের ব্রেন নাম্বার এবং আলফাবেট এর তুলনায় ভিজুয়ালসকে বেশি দিন পর্যন্ত মনে রাখতে পারে। আমাদের মস্তিষ্ক ভিজুয়ালসকে ভালোভাবে মনে রাখতে পারে। তো ঠিক একই রকম ভাবে এই সুপার পাওয়ার টিকে আপনি আপনার পড়াশোনার ক্ষেত্রে ইউজ বা ব্যবহার করতে পারেন। 

মনে করুন আপনি কোন একটি চ্যাপ্টার কে করছেন এক্ষেত্রে চ্যাপ্টার থেকে পড়ার সাথে সাথে নিজের মাইন্ডে সেই পড়াটির স্টোরিকে নিয়ে একটি মুভি তৈরি করুন। আপনার তৈরি করা সেই মুভিতে আপনি আলাদা আলাদা ক্যারেক্টার কে সুংজুক্ত করুন আপনার পড়ার ট্রাঞ্জের ভিত্তিতে।

উহদারন স্বরূপ আপনি বেঙ্গলি ইংলিশ, হিস্ট্রি, অথবা জিওগ্রাফির কোন চ্যাপ্টার বা নোটকে পড়ছেন। তো এক্ষেত্রে আপনি সেই পড়াটিকে রিড করার সাথে সাথেই মাইন্ডে একটি মুভি তৈরি করে নিন। সেই মুভি টিতে ক্যারেক্টার অ্যাড করুন, লোকেশন এড করুন এভাবে সেই পড়াটির একটি মুভি আপনার মাইন্ডে তৈরী করে নিন। যখন এভাবে প্রতিটি টপিক এর হিসেবে আপনার মাইন্ডে এক একটি মুভি তৈরি করা থাকবে তখন খুব সহজে সেই টপিকটি মনে করতে পারবেন। 

আর শুধু তাই নয় আপনি সেই টপিক বা নোটস টিকে ডিটেলসে মনে রাখতে পারবেন। আর এর ফলে আপনার পড়াশোনায় এতটা ইন্টারেস্ট চলে আসবে যে আপনাকে আর কোনোদিনই পড়াশোনাকে বোঝা বলে মনে হবে না। 

Tips No 2: Teach Someone | পড়া মনে রাখার দুটি সহজ উপায়

দেখুন প্রথম টিপসটি ততক্ষণ পর্যন্ত কাজ করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি দ্বিতীয় টিপস টিকে অনুসরন না করেন। তো চলুন মনে করে নিলাম যে আপনি প্রথম টিপস টিকে খুব ভালোভাবে অনুসরন করা শুরু করলেন এবং নিজের মাইন্ডে সেই চ্যাপ্টার টির একটি মুভি তৈরি করে নিলেন। এবার আপনি সেই মুভি টিকে একা একা নয় বরং এক দুজন ক্লাস ফ্রেন্ড কে নিয়ে দেখুন। একা একা সেই মুভিটিকে দেখতে আপনার ভালোই লাগবে না বরং আপনি বোরিং হয়ে যাবেন।

আরও পড়ুনঃ মোবাইল স্লো হলে কি করবেন? ফাস্ট করার ১০ টি উপায় জেনে নিন 

তাই এই সিচুয়েসনে আপনি আপনার ক্লাসমেটদের সাথে সেই মুভিটিকে ইনজয় করুন। আপনি হয়তো এই কথাটি অবশ্যই শুনেছেন যে নলেজ কে আপনি যত বেশি শেয়ার করবেন ততই আপনার নলেজ বৃদ্ধি পাবে। আর এই কথাটি একেবারেই সত্য। আপনি যা পড়ছেন যতটুকু পড়ছেন সেই ততটুকু বিষয় কে নিয়ে আপনি আপনার ক্লাসমেটদের সাথে ডিসকাস করুন। এতে আপনার সেই বিষয়টি আরো ভালোভাবে এবং বহুদিন পর্যন্ত মনে থাকার সাথে সাথে আপনার মেমোরি পাওয়ার এবং কনফিডেন্স ও অনেকটা বৃদ্ধি পাবে। 

Tip No 3: Revise reading | পড়া মনে রাখার সহজ উপায় কি

যদিও এটি একটি টিপস নয় বরং একটি সাজেশন। আপনি যা পড়েন সেগুলিকে উইকলি রিভাইস করুন। আপনি চাইলে তিন চার দিন পর পর রিভাইস করতে পারেন। রিভিসন পড়াশুনা করার একটি নিয়ম। আপনি কোন চ্যাপ্টার কে যতই মুখস্ত করুন না কেন কিন্তু তা রিভিশন না করলে সেটি কোনোদিনই আপনার মনে থাকবে না। এই কারণের জন্য রিভিশন করাটা খুবই জরুরী। 

এই তিনটি বেসিক টিপসকে ফলো করলে আমি হান্ডেট পার্সেন্ট সিওর যে আপনিও নিজেকে ক্লাসের টপার দের স্থানে নিয়ে যেতে পারবেন। এই তিনটি টিপস কে ফলো করে আপনি আপনার পড়াশোনাতে বহুগুণ ইম্প্রুভ করতে পারবেন। আর শুধু তাই নয় বরং আপনি সেগুলিকে বহুদিন পর্যন্ত মনে রাখতে পারবেন। 

আরও পড়ুনঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

এই পোস্ট এর মাধ্যমে সামান্য পরিমাণে হলেও যদি আপনি আপনার পড়াশোনাকে ইম্প্রুভ করতে পারেন তাহলে বুজবো যে আমার এই পোস্টটি লেখা সার্থক হয়েছে। আর যদি সত্যিই ভিডিওটি আপনার হেল্পফুল বলে মনে হয়ে থাকে তাহলে কমেন্ট এবং শেয়ার অবশ্যই করবেন। যাতে এই হেল্পফুল পোস্টটি আপনার প্রিয় ব্যক্তির কাছে পৌঁছায় আপনাদের সঙ্গে আবার দেখা হবে। 

পোষ্ট ক্যাটাগরি:

এখানে আপনার মতামত দিন

0মন্তব্যসমূহ

আপনার মন্তব্য লিখুন (0)