সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন কিভাবে পাবেন বিস্তারিত জেনে নিন

আপনি কি সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন সম্পর্কে জানতে চান ? বর্তমানে সোনালী ব্যাংকে যে ক্যাটাগরিতে লোন চালু রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে খুবই জনপ্রিয় একটি লোন হলো সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন।

যদি আপনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কিংবা মাঝারি ধরনের ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন। তবে আপনি চাইলে সোনালী ব্যাংক থেকে স্যালারি লোন তুলে আপনার ব্যবসার প্রসার বৃদ্ধি করতে পারেন।

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, আজকে আমি আপনাদের সাথে সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন এই সমন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনি এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

(toc) #title=(সুচিপত্র)

সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন

সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন কি ?

যারা ছোট ব্যবসা কিংবা মাঝারি ব্যবসায়ী শুরু করেছে অথবা ছোট পরিসরে যারা চাকরি করেন তাদের জন্য সোনালী ব্যাংক একটি নতুন লোন সেবা চালু করেছে। আর এটিই হচ্ছে সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন।

সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন নেওয়ার নিয়ম

যদি আপনি একজন সোনালী ব্যাংকের একজন সক্রিয় গ্রাহক হয়ে থাকেন। এবং যদি আপনি লোন গ্রহন করতে চান, তবে আপনাকে অবশ্যই সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন নেওয়ার নিয়ম জানতে হবে। সোনালী ব্যাংকের স্যালারি লোনের জন্য সবাই আবেদন করতে পারবেন না।

কেননা সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন পাওয়ার পর আপনি কি করবেন সেটাও কিন্তু ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত করা হয়েছে। যদি আপনি এই লোন গ্রহণ করে ব্যাংকের দেখানো কাজে খরচ না করেন, তবে আপনার জন্য এই সোনালী ব্যাংকে স্যালারি নেওয়ার লোন না নেওয়াই ভালো।

আরো পড়ুনঃ সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক

সোনালী ব্যাংকের স্যালারি লোন লোনপ্রাপ্তির যোগ্যতা

আপনার যদি সোনালী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট থাকে তবেই আপনি সোনালী ব্যাংকের স্যালারি লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কারা কারা সোনালী ব্যাংকের লোনপ্রাপ্তির হবেন তা দেখুনঃ

  • বেসরকারী / স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা
  • কর্পোরেশনের কর্মকর্তা
  • কর্মচারী এবং সরকারি / বেসরকারি

বাংলাদেশের সকল স্থায়ী চাকরিজীবী ব্যক্তিগণ এই স্যালারি লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়াও এবং এলপিআর এ যাওয়ার তারিখ পূরণ করতে, কমপক্ষে তিন বছর চাকরি স্থায়ী হতে হবে।

যদি আপনি উপরের উল্লেখিত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি একটি সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট থাকে তবেই আপনি সোনালী ব্যাংকের স্যালারি লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম

সোনালী ব্যাংকের স্যালারি লোন কোথায় কোথায় খরচ করা যাবে ?

সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন পাওয়ার পর আপনি কোন কাজের উদ্দেশ্য এই টাকা খরচ করবেন তা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেননা এই স্যালারি লোনের টাকা আপনি যেকোন জায়গায় ইচ্ছামত খরচ করতে পারবেন না।

মূলত এই টাকা আপনি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের কাজে ব্যবহারে করতে পারবেন। সোনালী ব্যাংকের স্যালারি লোন কোথায় কোথায় খরচ করা যাবে তা নিচে দেওয়া হলো-

  • গবাদী পশু পালনে।
  • গরুর খামার এবং গাভী পালন।
  • মৎস্য চাষ করার কাজে।
  • কৃষি পণ্যের বিপণন।
  • কম্পিউটার ও প্রিন্টার এন্ড স্ক্যানার ক্রয়।
  • সাইকেল এবং মোটরসাইকেল ক্রয়।
  • সবজি বাগান করার কাজে।
  • নার্সারী তৈরিতে।
  • হাঁস-মুরগী পালনে ইত্যাদি।

উপরের উল্লেখিত খাতগুলোতে আপনি সোনালী ব্যাংকের স্যালারি লোনের টাকা খরচ করতে পারবেন। যদি আপনি এই খাতগুলোর বাইরে অন্যখাতে লোনের টাকার খরচ করেন তবে আপনার জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে।

সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোনের সীমা কত ?

যদি আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে স্যালারি লোন নেওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে আপনাকে সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোনের সীমা কত এই সমন্ধে জেনে রাখতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যাংক যেকোনো লোনের নেওয়ার একটা লোনের সীমা থাকে। আপনি প্রয়োজনের বেশী অতিরিক্ত লোন কোনো ব্যাংকে নিতে পারবেন না।

সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন এর একটা সর্বোচ্চ সীমা এবং সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অথবা চাকরিজীবী সর্বনিম্ন ২০,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।

তাছাড়া, স্যালারি লোন নেওয়ার সময় আপনার মার্জিন রেট নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সাধারণত মার্জিন রেট নির্ধারন হয় আপনার ঋণের ২০ শতাংশ পর্যন্ত।

আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোনের সীমা কত টাকা পর্যন্ত। এই তথ্য জানা থাকলে আপনি সোনালী ব্যাংকের স্যালারি লোন ব্যাংক থেকে নিতে পারবেন না।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা ২০ ধনী তালিকা ২০২৪

সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন এর সুদের হার কত টাকা ?

যদি আপনি সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন নিতে চান তবে আপনার সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন এর সুদের হার কত টাকা দিতে হবে এই ব্যাপারে অবশ্যই জানতে হবে।

কেননা, যদি আপনার মাসিক আয়ের থেকে আপনার লোনের মাসিক কিস্তির পরিমাণ বেশি হয়। তাহলে আপনার অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন এর সুদের হার কত টাকা তা জেনে নিন।

সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন এর সর্বোচ্চ মেয়াদ ৩৬ মাস / ৩ বছর কিন্তু সর্বনিম্ন সময় ১২ মাস / ১ বছর। আপনার মাসিক কিস্তির পরিমাণ আপনার মাসের পরিমাণ এবং টাকার পরিমানের উপর কিস্তির পরিমাণ নির্ধারন করা হয়েছে।

যদি আপনার লোনের মেয়াদ এবং মাসিক কিস্তির পরিমাণ পছন্দ হয়, তাহলেই কেবল লোনের জন্য সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে হবে।

কিভাবে সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন নিবেন ?

যদি আপনি একজন সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক হয়ে থাকেন এবং স্যালারি লোনের সকল শর্ত মেনে নিয়ে লোন গ্রহণ করতে চান তবেই আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে স্যালারি লোন নিতে পারবেন।

সোনালী ব্যাংকের স্যালারি লোন নিতে আপনি আপনার নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকে যান এবং সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে স্যালারি লোনের ব্যাপারে কথা বলুন। যদি স্যালারি লোনের সকল শর্ত আপনি মানতে পারেন।

তবেই আপনাকে সোনালী ব্যাংক থেকে লোনের জন্য উপযুক্ত মনে করা হবে। এবং আপনাকে আপনার প্রয়োজন মত লোন প্রদান করতে পারবেন। আপনি চাইলে স্যালারি লোনের ব্যাপারে সোনালী ব্যাংকের ব্রাঞ্চের সাথে কথা বলতে পারেন।

উপসংহার

ক্ষুদ্র ব্যবসা কিংবা মাঝারি ব্যবসায়ী হলে আপনি সোনালী ব্যাংকের স্যালারি লোন গ্রহণ করে আপনার ব্যবসার প্রসার আরও বেশী বৃদ্ধি করতে পারেন। সুপ্রিয় পাঠকগণ, আজকে আমি আপনাদের সাথে সোনালী ব্যাংক স্যালারি লোন, কিভাবে সোনালী ব্যাংকের স্যালারি লোন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

যদি এই পোস্টটি আপনার কাছে তথ্যবহুল মনে হয় তবে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এছাড়াও একটি নতুন ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে ২০২৪ তা জেনে নিতে পারেন। ধন্যবাদ।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: