মিল্ক শেক এর দাম কত ২০২৪: মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা

মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা: বর্তমান সময়ের একটি পুষ্টিকর ড্রিংকস হচ্ছে মিল্কশেক। আজকাল অনেকেই এই নামটির সাথে পরিচিত। বিশেষ করে যাদের ওজন অতিরিক্ত কমে গিয়েছে ঠিক তাদের কাছে।

তবে হ্যাঁ অনেকেই মুখে মুখে মিল্ক শেক এর কার্যকারিতার কথা জানার পর নানা রকম প্রশ্ন করে থাকেন। যেমনঃ মিল্ক শেক কি, মিল্ক শেক কেমন জিনিস, মিল্ক শেক কিভাবে খায়, মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি, মিল্কশেক কোথায় পাওয়া যায় এবং মিল্কশেক এর দাম কত বাংলাদেশে।

আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা আপনাদের সকল প্রশ্ন একসঙ্গে দেবার চেষ্টা করব। পাশাপাশি মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এ টু জেড আলোচনা করব। তাহলে আসুন জেনে নেই মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ কি কি।

(toc) #title=(সুচিপত্র)

মিল্ক শেক এর উপকারিতা

মিল্কশেক কি?

মিল্কশেক হলো একটি খাবার পণ্য বা পানীয়, যা দুধ বা দুধ প্রক্রিয়াজাত পণ্য থেকে তৈরি করা হয়। এটি সাধারণভাবে দুধ, চিনি এবং বিভিন্ন ফলের স্বাদ বা ফলের রস মিশিয়ে তৈরি করা হয়। মিল্কশেক একটি মজার এবং স্বাদযুক্ত পানীয় পণ্য, যা মুখে পান করা খুবই সহজ এবং আরামদায়ক। মিল্কশেকে প্রকাশ্যে কিছু স্বাদের যোগ করা হয়, যাতে প্রকৃত ফলের রস বা ফলের স্বাদ পেয়ে থাকবেন আপনি। যেমন, আপেল, আঙ্গুর, স্ট্রবেরি, কাঁঠাল, আম, পেঁপে, লেবু ইত্যাদি ফলের স্বাদ। (আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের কি খাওয়ালে লম্বা হবে - বাচ্চাদের লম্বা হওয়ার খাবার)

মিল্ক শেক এর উপাদান ও পুষ্টি গুণাবলী কি কি?

মিল্কশেক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো একটি খাবার পানীয়, এর সম্পর্কে এর থেকে বেশি কিছু না জানলেও এটুকু বেশিরভাগ মানুষই জেনে থাকেন। আর তাই অবশ্যই জানার আগ্রহ জানতে পারে যে মিল্ক সেকে সাধারণত কি কি পুষ্টি উপাদান বিরাজমান রয়েছে।

দেখুন ইতোমধ্যে আমরা উল্লেখ করেছি মিল্ক শেক এ বিভিন্ন ফলের মিশ্রণ সংযুক্ত করা হয়। তাই কোন কোন মিল্ক শেক এ ফলের মিশ্রণের তারতম্যতার কারণে পুষ্টির পরিমাণ বা গুনাগুন ভিন্ন হতে পারে। তবে সচরাচর যে পুষ্টিগুণগুলো বিরাজ করে মিল্ক শেক খাবার পানীয়তে সে সম্পর্কে ধারণা প্রদানের জন্য উল্লেখ করছি নিচের চার্ট। কেননা আপনি যদি মিল্ক শেক নিয়মিত পান করেন তাহলে ১০০ গ্রাম মিল্ক শেক থেকে নিম্ন বর্ণিত পুষ্টি উপাদান গুলো আপনার শরীরে যোগান দিতে পারবেন। যথাঃ

মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা

মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা

এবার আসুন আলোচনার এ পর্যায়ে মিল্ক শেক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে জানার পূর্বে জেনে না যাক মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা কি এবং মিল্কশেক খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।

মিল্ক শেক এর উপকারিতা

১। মিল্ক শেক শরীরে সকল ধরনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে ২। মিল্ক শেক চিকনা শরীরকে মোটা করতে সাহায্য করে ৩। দাঁত ও হাড় মজবুত করে ৪। পেশির গঠন ও স্বাস্থ্যের গঠন আকৃতিকে পারফেক্ট রাখে ৫। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ৬। শরীরে প্রচুর পরিমাণে এনার্জির যোগান দেয়।

৭। স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় ৮। এটি শরীরে ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পরিপূর্ণভাবে পূরণ করতে পারে ৯। বাংলাদেশ সাইন্সল্যাব অনুযায়ী এটি ১০০% সাইড ইফেক্ট মুক্ত অর্থাৎ এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই ১০। মুখের রুচি বৃদ্ধি করতে পারে ১১। মানসিক প্রশান্তি স্থায়ী করে এবং ভালো ঘুমের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

আর এত এত উপকারিতার জন্য মূলত মিল্ক শেক অত্যন্ত জনপ্রিয় ও পছন্দের একটি পানীয় প্রায় সকলের কাছেই। তবুও প্রত্যেকটি জিনিসের যেহেতু কিছু না কিছু সাইড ইফেক্ট থেকে থাকে অর্থাৎ ভালো এবং মন্দ উভয় দিক থাকে, তাই অনেকেই জানতে চান মিল্ক শেক এর অপকারিতা বা মিল্ক শেক এর সাইড ইফেক্ট সম্পর্কে। এখন আমরা মিল্ক শেক এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানব। (আরো পড়ুনঃ সোরিয়াসিস রোগীর খাবার তালিকা | সোরিয়াসিস হলে কি কি খাওয়া যাবে না)

মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া - মিল্ক শেক এর অপকারিতা

দেখুন আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে আপনার নজরে আসবে ইতোমধ্যে আমরা উল্লেখ করেছি বাংলাদেশ সাইন্সল্যাব অনুযায়ী এটি এমন একটা প্রোডাক্ট যেটা সম্পূর্ণভাবে সাইড ইফেক্ট মুক্ত অর্থাৎ ১০০% সুনিশ্চিত যে মিল্ক শেক খাওয়ার ফলে শরীরে কোন নেগেটিভ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবেনা। তাই মিল্ক শেক কোনই অপকারিতা নেই বা মিল্ক শেক এর ক্ষতিকর দিক নেই বললেই চলেব। আপনি নিঃসন্দেহে আপনার শরীরে শক্তি জোগাতে, দাঁত ও হাড়কে মজবুত রাখতে শরীরের গঠন ঠিক রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিঃসন্দেহে নিয়মিত মিল্ক শেক গুলো খেতে পারেন।

মিল্ক শেক পাউডার এর উপকারিতা

পেশী গঠনের জন্য প্রোটিন শেক পাউডার এর উপকারিতাঃ যারা নিয়মিত জিমে যান বা ওয়ার্কআউট করেন তাদের জন্য মিল্ক শেক পাউডার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসলে, আপনি যখন অনেক ব্যায়াম করেন, তখন আপনার পেশী ফেটে যায়। এটি পূরণ এবং নিরাময় করার জন্য আপনার উচিত প্রয়োজনীয় প্রোটিন। শরীরের অপূরণীয় প্রোটিন পূরণ করার জন্য জিমের পর মিল্ক শেক খাওয়া দরকার। মিল্ক শেক পেশী টিস্যু বৃদ্ধি এবং পুনর্নির্মাণের কাজে সহায়তা করে।

সুস্থ পেশীঃ হাড় এবং পেশী শক্তিশালী করার জন্য দুধের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। একইভাবে, পেশী মজবুত করতে মিল্ক শেক এর উপকারিতাও রয়েছে অনেক। যারা বডি বিল্ডিং করছেন তাদের প্রোটিনের প্রয়োজন হয় অনেক বেশি পরিমাণে। আর এই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য দুধের উপকারিতা সবচেয়ে বেশি উপকারী। 

এর সাথে যারা ব্যায়াম করেন তাদের পেশী শক্তিশালী রাখতে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। আর আপনি যদি এই প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম পূরণ করতে চান তবে আপনি ব্যায়াম করার আগে বা পরে মিল্ক শেক খান। কেননা মিল্ক শেক পাউডার এর উপকারিতা পেশী এবং টিস্যু মেরামত করতে সাহায্য করে।

মিল্ক শেক খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়ঃ মিল্ক শেক অনেক বিপজ্জনক রোগ থেকেও রক্ষা করে। লাইফস্টাইলের কারণে সবাই খাবার-দাবারে মনোযোগ দিতে পারে না, যার কারণে তাদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। এ কারণে হৃদরোগ, কিডনি সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমন পরিস্থিতিতে এই মিল্ক শেক আপনার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি ভালোভাবে পূরণ করবে। এছাড়াও মিল্ক শেক আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।

মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম

মিল্ক শেক মূলত বাজার থেকে প্যাকেট আকারে কেনা হয়ে থাকে। আর এটাকে খাওয়ার জন্য সঠিকভাবে তৈরি করে নিতে হয়। তাই এ পর্যায়ে আমরা মিল্ক শেক বানানোর পদ্ধতি এবং এটি কিভাবে খেতে হয় অর্থাৎ খাবার সঠিক নিয়ম আপনাদেরকে জানাবো।

আপনি যদি মিল্ক শেক পাউডার সঠিক পদ্ধতিতে খাওয়ার উপযোগী করতে চান তাহলে একটি পাত্রে প্রথমত দুধ নিতে হবে। তবে হ্যাঁ এটা শুধুমাত্র দুধ এর সাহায্যে খাওয়া যায় আবার মন চাইলে আরো বেশ কিছু উপাদান যোগ করার সম্ভব। যেমন ধরুনঃ ১। বিভিন্ন আইসক্রিম ২। স্ট্রবেরি ৩। ব্লুবেরি ৪। কলা ইত্যাদি প্রিয় কিছু ফল।

মূলত প্রথম পর্যায়ে আপনাকে আপনার পছন্দের ফলগুলো ছোট ছোট টুকরো করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর এক গ্লাস গরম দুধ এবং সামান্য পরিমাণ চিনি সেই সাথে ফলের মিশ্রণটি একসঙ্গে মিশিয়ে পরবর্তীতে তাতে মিল্কশেক পাউডার এড করে ভালোমতো ভুলিয়ে কুসুম কুসুম গরম খেতে হবে। মিল্ক শেক খাওয়ার সময় অবশ্যই আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে পান করবেন। এটি খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ভালো। তবে সেটা অবশ্যই পরিমাণমতো।

অনেকেই ভালোলাগার ফলে অতিরিক্ত মিল্কশেক খেয়ে ফেলেন যেটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই চেষ্টা করবেন সপ্তাহে এক থেকে দুইবার খাওয়ার। পাশাপাশি আপনি যদি চান তাহলে মিল্ক শেক এর মধ্যে এক টুকরো বরফ দিতে পারেন, যেটা এরশাদকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেবে।

আর হ্যাঁ যদি আপনি এর উপরে চকলেট সিরাপ দেন তাহলে মিল্কশেক এর স্বাদ এবং পুষ্টি গুনাগুণ আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। তাই মন চাইলে এই সকল উপাদান মিল্ক শেক এ যুক্ত করে নিয়মিত সপ্তাহে দুই দিন পান করতে পারেন। যেটা আপনার স্বাস্থ্যকে উন্নত করবে এবং ভেতর থেকে করবে চাঙ্গা। (আরো পড়ুনঃ সোরিয়াসিস থেকে মুক্তির উপায়)

মিল্ক শেক এর ধরন এবং কাজ

অনেকের ধারণা, মিল্ক শেক শুধুমাত্র দেহের ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আর তাই অনেকেই প্রশ্ন করেন মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে? মিল্কশেক এর ধরণের উপর নির্ভর করে মূলত ওজন বৃদ্ধি এবং ওজন কম হয়ে থাকে। তাই খাওয়ার জন্য আপনাকে জেনেশুনে সঠিকটা নির্বাচন করতে হবে। আর হ্যাঁ সচরাচর মিল্কশেক যে সকল ধরনের হয়ে থাকে। সেগুলো হলোঃ ১। ঘন বা থিক মিল্কশেক ২। পাতলা মিল্কশেক ৩। ব্র্যান্ডেড মিল্কশেক ৪। ফ্রোজেন মিল্কশেক ৫। পাউডার মিল্ক শেক

তাই আপনি আপনার পছন্দমত যেকোন ধরনের মিল্ক শেক বাছাই করে নিতে পারেন। যেগুলোর বাজার মূল্য মোটামুটি ১৮০ থেকে শুরু করে ৮০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত। এটা মূলত ধর্মের উপর নির্ভর করে। তাহলে আর দেরি কেন এখনই কিনে ফেলুন এই পুষ্টি সমৃদ্ধ পানিও খাবারটি।

মিল্ক শেক এর দাম কত - মিল্ক শেক এর দাম ২০২৪

বাজারে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের মিল্ক শেক পাওয়া যাচ্ছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য মিল্ক শেক গুলো হচ্ছে, চকলেট মিল্ক শেক, বানানা-ভ্যানিলা মিল্ক শেক, পিনাট মিল্ক শেকস্ট্র, বেরী মিল্ক শেক। এধরনের মিল্ক শেক গুলি বিভিন্ন কোম্পানি তৈরি করে থাকে। যেহেতু ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি মিল্ক শেক তৈরি করে থাকে তাই একেক কোম্পানির মিল্কশেক এর দাম একেক রকম হবে এটাই স্বাভাবিক। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা এখন আপনাদের সাথে বিভিন্ন কোম্পানির মিল্ক শেক এর দাম সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করবো।

1. Savory Milkshake Premix Vanilla 100G – ১৮০ টাকা

2. Maltesers. Chocolate Milk Shake Drink 350ml – ৭০০ টাকা

3. Milky Way Chocolate Milk Shake Drink 350ml – ৮০০ টাকা

মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে

জি মিল্ক শেক কিংবা বাদাম শেক খেলে অবশ্যই ওজন বাড়ে। কেননা মিল্ক শেক অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর যা শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালরি সহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান পূরণ করতে সক্ষম। মিল্ক শেক খেয়ে ওজন বৃদ্ধি করে যদি আপনি আবার মিল্ক শেখ খাওয়া বন্ধ করে দেন তবুও আপনার শরীরে ওজনের উপর কোনো কিছু প্রভাব ফেলবেনা। 

কেননা মিল্ক শেক ছাড়াও আপনি দৈনন্দিন জীবনে নানান ধরনের পুষ্টিকর খাবার, সবুজ শাক-সবজি খাবার খেয়ে থাকেন তাছাড়া তৈলাক্ত জাতীয়, চর্বি জাতীয় এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার গ্রহণ করেন। মূলত এই কারণে মিল্ক শেক খাওয়ার পড়ে ওজন বাড়লেও তা খাওয়া বাদ দিলে ওজন কমে না।

তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার পর আপনি কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে এটা পান করবেন! যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে কমেন্ট সেকশনে জানান এবং আপনি যদি ইতোমধ্যে মিল্ক শেক খেয়ে থাকেন তাহলে সেটা খেতে কেমন, খাওয়ার ফলে আপনার কি কি উন্নতি ঘটেছে তা কমেন্ট করে জানান। তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজ এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: