ঢাকার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থান

ঢাকার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থান

ঢাকার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থান:  ঢাকার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে খুঁজে বেড়াচ্ছেন? তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব ঢাকার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। তাহলে আর দেরি না করে ঢাকার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নিন।

ঢাকার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আপনাদের জন্য নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ঢাকার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। তাই আর বিলম্ব না করে চলুন ঢাকার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

(toc) #title=(সূচিপত্র)

ঢাকার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থান নিয়ে সংক্ষিপ্ত ধারণা

কর্মব্যস্ত সপ্তাহ শেষে কিংবা হুটহাট একদিনের ছুটিতেই অনেকেই পরিবার পরিজন কিংবা বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঢাকা বা ঢাকার আশেপাশে ঘুরতে যেতে চান। কিন্তু ঢাকার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানেন না।

আর এ জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকেন ঢাকার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে। ঢাকার আশেপাশে এরকম অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেগুলো আপনারা ঘুরতে পছন্দ করবেন এবং সময় কাটাতে পছন্দ করবেন।

যে দর্শনীয় স্থানগুলো আপনারা একবার গেলে বারবার যেতে চাইবেন। অল্প সময়ের মধ্যে এই দর্শনীয় স্থানগুলো চিত্ত বিনোদনের চাহিদা মেটায় অন্যদিকে কর্মময় জীবনে নতুন করে কাজের উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে।

আর তাই আপনাদের এই জায়গাগুলো সম্পর্কে জেনে থাকা দরকার। ঢাকার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

আরো পড়ুনঃ ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা

ঢাকার কাছে একদিনে বেড়ানোর ১০টি ভ্রমণ স্থান - ঢাকার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থান

ঢাকার আশেপাশে এরকম অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যে জায়গাগুলোর পরিবেশ একদম মনোমুগ্ধকর এবং সময় কাটানোর মতো জায়গা। কর্মব্যস্ত জীবনে দূরে কোথাও ছুটি কাটাতে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।

আপনি চাইলে দূরে কোথাও ছুটি না কাটিয়ে ঢাকার পার্শ্ববর্তী স্থানগুলোতে ছুটি কাটাতে পারেন। তাই আপনাদের দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। ঢাকার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থানগুলো হলোঃ

১. বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত বালিয়াটি জমিদার বাড়ি সাতটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। দৃষ্টিনন্দন এই জমিদার বাড়ির কেন্দ্রীয় ব্লকে জাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছে। বালিয়াটি প্যালেস নামেও পরিচিত এই জমিদার বাড়ির কক্ষ সংখ্যা ২০০ টি এবং প্রতিটি কক্ষেই সুনিপন কারু কাজ লক্ষ্য করা যায়।

চুন সুরকি, লোহার পাতার কাদামাটিতে নির্মিত বালিয়াটি জমিদার বাড়ি তৎকালীন জমিদারদের অভিজাত্যকে ফুটিয়ে তোলে। বালিয়াটি জমিদার বাড়ি যেতে চাইলে ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে আরিচা বা মানিকগঞ্জগামী বাসে সাটুরিয়া হয়ে যাওয়া যায়।

২. মহেরা জমিদার বাড়ি

মহেরা জমিদার বাড়ি

টাঙ্গাইল সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে আট একর জায়গা জুড়ে মহেরা জমিদার বাড়ি বিস্তৃত। প্রাচীন সভ্যতা ও ঐতিহ্য নিদর্শন মহেরাজ জমিদার বাড়ির সাথে মিনি পার্ক, চিড়িয়াখানা, পিকনিক স্পট ও বোট রাইড এর ব্যবস্থা রয়েছে। রাজধানী ঢাকার বেস্ট কাছে হওয়ায় সকালে রওনা দিলে একদিনে জমিদার বাড়ি থেকে ঘুরে আসা যায়।

ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বিনিময়, ঝটিকা, ধলেশ্বরী ইত্যাদি বাস টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ১২০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা ভাড়ায় প্রচন্ড মতো বাসে চড়ে নাটিয়াপাড়া বাস স্ট্যান্ড এসে সিএনজি, রিকশা বা বেবি ট্যাক্সি যোগে ময়রাপাড়া পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আসতে হবে। মহেরা জমিদার বাড়িটি বর্তমানে পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

৩। নুহাশ পল্লী

নুহাশ পল্লী

লেখক হুমায়ূন আহমেদের ভালোবাসায় লালিত নুহাশ পল্লী নন্দন কাননটি গাজীপুর জেলার সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে পিরুজালী গ্রামে অবস্থিত। নুহাশ পল্লীর বর্তমান আয়তন প্রায় ৪০ বিঘা।

১৯৮৭ সালের ২২ বিঘা জমিতে হুমায়ূন আহমেদ তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন শুরু করেন। ঢাকার খুব কাছে হাওয়াই একদিনে নুহাশ পল্লী হতে ঘুরে আসা যায়। তাই আপনাদের যদি ঘুরতে আসার ইচ্ছা হয় তাহলে নুহাশ পল্লী আসতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ আবাসিক হোটেলে থাকতে কি কি লাগে

ঢাকার কাছে একদিনে বেড়ানোর ৪টি ভ্রমণ স্থান

ইতোমধ্যে আপনারা জেনেছেন ঢাকার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। আর এইবার আপনারা জানবেন ঢাকার কাছে একদিনে বেরোনোর ৪টি ভ্রমণ স্থান সম্পর্কে। কম খরচে ঢাকার আশেপাশে ঘোরা যায় এমন অনেক সুন্দর জায়গা আছে।

যেখানে আপনি একদিনের সহজে ঘুরে আসতে পারবেন। ছুটির দিনে ঘুরে আসার এই জায়গাগুলোতে দিনে এসে দিনে যাওয়া যাবে। আর তাই এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আপনাদের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। ঢাকার কাছে একদিনে বেড়ানোর ৪টি ভ্রমণ স্থান হলোঃ

৪. বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক প্রায় ৩,৬৯০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। থাইল্যান্ডের সাফারি ওয়ার্ল্ডের অনুকরণে তৈরি সাফারি পার্কটি ২০১৩ সালে চালু করা হয়। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের কোর সাফারিতে বনের উন্মুক্ত পরিবেশে বাঘ, সিংহ, জিরাফ ও হরিণের দর্শন যেন জীবনের এক অন্যান্য অভিজ্ঞতার সঞ্চয়।

ঢাকার মহাখালী থেকে শ্রীপুর, ভালুকা কিংবা ময়মনসিংহগামী বাসে গাজীপুর চৌরাস্তা অতিক্রম করে আরো কিছুটা সামনে গেলে বাঘের বাজারে সাফারি পার্কের বিশাল সাইনবোর্ড দেখতে পাওয়া যায়। বাঘের বাজার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক যেতে ২০-৪০ টাকা রিক্সা/অটোরিক্সা ভাড়া লাগে।

৫. ড্রিম হলিডে পার্ক

ড্রিম হলিডে পার্ক

নরসিংদী জেলার পাঁচদোনার চৈতাবাতে প্রায় ৬০ একর জমির উপর হলিডে পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। ড্রিম হলিডে পার্কে বিভিন্ন আকর্ষণীয় রাইড এর মধ্যে রয়েছে ওয়াটার বাম্পার কার, রাইডার ট্রেন ও এয়ার বাইসাইকেল ইত্যাদি।

আরও আছে অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ইমু পাখি, মায়াবী স্পট এবং কৃত্রিম পর্বত। বনানী হতে পিপিএল সুপার এবং গুলিস্তান হতে মেঘালয় লাক্সারি বাসে ড্রিম হলিডে পার্কের প্রধান ফটকের সামনে নামতে পারবেন।

৬. শালবন বৌদ্ধ বিহার

শালবন বৌদ্ধ বিহার

কুমিল্লা জেলার কোটবাড়িতে অবস্থিত সালবন বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশের প্রাচীনতম সভ্যতা নিদর্শন গুলোর মধ্যে অন্যতম। তৎকালীন সময়ে এই অঞ্চলের সাল ও গজারি বন ছিল বলে বিহারটি শালবন বিহার নামে পরিচিত লাভ করে। শালবন বিহারটি অনেকটা পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মতো তবে আকারের দিক দিয়ে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার থেকে কিছুটা ছোট।

ঢাকার বিভিন্ন স্থান হতে কুমিল্লা আগামী অসংখ্য বাস সার্ভিস রয়েছে। কুমিল্লা নেমে প্রথমে আপনাকে টমছম ব্রিজ বাস স্ট্যান্ড আসতে হবে। টমছম ব্রিজ বাস স্ট্যান্ডের পাশে কোট বাড়ি যাওয়ার সিএনজি স্ট্যান্ড রয়েছে। শালবন বৌদ্ধবিহার থেকেও আপনি একদিনে ঘুরে আসতে পারবেন।

৭. জল ও জঙ্গলের কাব্য

জল ও জঙ্গলের কাব্য

পাইলট বারিক খ্যাত জল ও জঙ্গলের কাব্য রিসোর্টটি গাজীপুর জেলাস্থ টঙ্গির পুবাইলে ৯০ বিঘা জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে। প্রকৃতিকে অবিকৃত রেখে বাস আর পাঠ খড়ি দিয়ে দিয়ে সুনিপুন ডিজাইনারের মাধ্যমে জল ও জঙ্গলের কাব্যকে সাজানো হয়েছে।

বিলের উপর অপার্থিব জোছনা দেখতে চাইলে জল ও জঙ্গলের কাব্য রিসোর্ট থেকে ঘুরে আসতে পারেন। রাজধানী ঢাকার কাছে অল্প সময় ও স্বল্প খরচে সারাদিন কাটানোর জন্য জল ও জঙ্গলের কাব্য একটি চমৎকার স্থান। তাই আপনি যদি চান তাহলে একদিনে জল ও জঙ্গলের কাব্য ঘুরে আসতে পারেন।

ঢাকার আশেপাশে মনোরম জায়গা

বর্তমান সময়ে বাইকাররা একটু সুযোগ পেলে বাইক নিয়ে একদিনে ঢাকার আশেপাশে ঘুরে আসার মত মনোরম জায়গা গুলোর সন্ধানে থাকে। বাইক নিয়ে লং ট্যুরে যাওয়ার ইচ্ছা আমাদের অনেকেরই থাকে।

কিন্তু আমরা সময়ের অভাবের কারণে অনেক সময় দেওয়ার সুযোগ পায় না। তবে ঢাকার আশেপাশে কিছু মনোরম পরিবেশ রয়েছে, যেগুলো জায়গা থেকে ঘুরে আসা যায়। ঢাকার আশেপাশে মনোরম জায়গা গুলো হলোঃ

১. গোলাপ গ্রাম

গোলাপ গ্রাম

নদী পথ পার হয়ে ছোট্ট একটি গ্রাম। তবে গ্রাম হলেও পুরোটাই গোলাপ বাগান দিয়ে পরিপূর্ণ। এখানে গেলে আপনার মনে হবে যেন বিশাল একটি গোলাপের বাগানের ভেতরে আপনি ঘুরছেন। সরু পথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখবেন রাস্তার দু'পাশ গোলাপের বাগান দিয়ে ঘেরা।

২. নিকলী হাওর

নিকলী হাওর

খোলামেলা পরিবেশে স্নিগ্ধ প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে ঘুরে আসতে পারেন কিশোরগঞ্জের নিকলি হাওর থেকে। ঢাকা থেকে বাইক নিয়ে যেতে পারেন কিশোরগঞ্জ শহরে। সেখান থেকে নিকলি ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করে ঘুরে দেখুন হাওর। মনে রাখবেন, বর্ষার শেষ দিকে হাওর ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। বাইক নিয়ে গেলেও হাওরের পাশে আপনি বাইক রেখে ঘুরে আসতে পারবেন।

৩. বেলাই বিল

বেলাই বিল

গাজীপুরের বেলাই বিল মনোরম একটি জায়গা। চেলাই নদীর সাথেই বেলাই বিল। এখানে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও ডিঙ্গি নৌকা দুটোই পাওয়া যায়। যেটাতে ভালো লাগে উঠতে পারেন।

সারাদিনের জন্য ভাড়া করে নিতে পারেন এবং ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিলে নিজেরাই চালিয়ে ঘুরতে পারেন। বিকেলে বিলের চারপাশে অপূর্ব দৃশ্য তৈরি হয়। যে দৃশ্যতে সেখানকার পরিবেশ আরো মনোমুগ্ধকর করে তোলে।

আরো পড়ুনঃ সায়েদাবাদ আবাসিক হোটেল ভাড়া

সর্বশেষ

ঢাকার আশেপাশে এরকম আরও দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেগুলো জায়গায় আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় কাটাতে পারবেন। ছুটির দিনে পরিবারের সাথে অথবা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে খুব সহজেই একদিনের ভেতরে এই জায়গাগুলো ঘুরে আসতে পারবেন। আর এই জায়গাগুলো এতটাই মনোমুগ্ধকর যে একবার গেলে অবশ্যই বারবার যেতে চাইবেন। তাই এই জায়গাগুলো একবার করে হলেও ঘুরে আসতে পারেন।

আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ঢাকার পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বুঝতে পেরেছেন। প্রতিনিয়ত এরকম গুরুত্বপূর্ণ টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন। আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

পোষ্ট ক্যাটাগরি:

এখানে আপনার মতামত দিন

2মন্তব্যসমূহ

  1. ধন্যবাদ ভাই আপনাকে দর্শনীয় স্থান সম্পকে গুরুত্বপূর্ন তথ্য দেওয়ার জন্য। নিকলী হাওর টা অনেক সুন্দর হবে মনে হয়। আসছে বছর আমি নিকলী হাওর যাবো ভাবছি।

    উত্তরমুছুন
আপনার মন্তব্য লিখুন