প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম - প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম - প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক একটি রাষ্ট্রয়াত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক। প্রবাসী বাংলাদেশীদের আর্থিক সহায়তার লক্ষে বাংলাদেশ সরকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক চালুর পর থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন প্রদান সহ প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করছে। প্রবাসীদরে প্রতি দৃষ্টিপাত রেখেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ২০ শে এপ্রিল প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকটি শুভ উদ্বোধন করেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন প্রবাসীদরে জন্য সহজ শর্তে লোন দিয়ে থাকে। আজকের এই পোস্টে আমরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবোঃ

প্রবাসী এর মানে কি?

যারা বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণ করার পর অন্য কোনো দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তাদরেকে প্রবাসী বলা হয়।নিজের পরিবারকে এবং দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী করার জন্য বাংলাদেশীরা প্রবাসে পাড়ি জমায়। প্রায় ১ কেটি ২৫ বাংলাদেশী বিদেশে বসবাস করে। 

প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে সিংহভাগই মধ্যপ্রাচ্যে বসবাস করে। প্রায় ২৮ লক্ষ বাংলাদেশী মধ্যপ্রাচ্যে বসবাস করে। অন্যান্য প্রবাসীরা ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, আমেরিকা, ইতালি, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশে বসবাস করে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য গুলো নিম্নরুপঃ

১। প্রবাসী কর্মীদের চাকরি ও নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা।

২। বিদেশ ফেরৎ কর্মীদের দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা।

৩। দেশে রেমিট্যান্সের প্রবাহ চলমান রাখা। নিরাপদে ও দ্রুততার সাথে রেমিট্যান্স প্রেরণে সহায়তা করা।

৪। প্রবাসীদের হিসাব এবং ব্যাংক লেনদেন সংরক্ষণ করা।

৫। যারা বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে যেতে চান বা দেশে ফিরে এসেছেন তাদরে “অভিবাসন ঋণ ও পূণবাসন ঋণ প্রদান করা।

৬। প্রবাসী কর্মীদের দক্ষতা ও নৈতিকতার উন্নয়ন করা।

৭। যারা কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে যেতে চান তাদরে সহজ শর্তে লোনের ব্যবস্থা করা।

৮। বার্ষিক কর্মসম্পাদন করা ও চুক্তি বাস্তবায়ন করা।

৯। ব্যাংকের সেবার মানোন্নয়ন করা এবং আর্তিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা।

১০। বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রবাসীদের উৎসাহ প্রদান করা এবং প্রয়োজনীয় ঋনের ব্যবস্থা করা।

১১। সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনূযায়ী ব্যাংক পরিচালনা করা।

আরো পড়ুনঃ কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে লাভ বেশি

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সমূহ

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন প্রবাসীদের জন্য ৪ প্রকারের লোন এর ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকে।৪ প্রকারের লোন সমূহ হচ্ছে-

অভিবাসী লোনঃ যারা বিদেশ থাকে তাদের প্রবাসীর পাশাপাশি অভিবাসী বলা হয়। যারা বিদেশ থাকেন বা বিদেশ যেতে ইচ্ছুক তাদের অভিবাসী লোন প্রদান করা হয়।

পূর্ণবাসন লোনঃ যারা দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে দেশে এসে লোন নিয়ে দেশেই কোন কিছু করার চিন্তা করছে বা কিছু শুরু করতে চায় তাদের পূর্ণবাসন লোন প্রদান করে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।

বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোনঃ পরিবারের কোন সদস্য বিদেশে অবস্থান করলে ঐ ব্যক্তির পরিবারের কোন সদস্য সহজ শর্তে লোন নিয়ে-কৃষি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বা ব্যবসার জন্য লোনের প্রয়োজন হলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক যে লোন প্রদান করে তাকে বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন বলে।

বিশেষ পুনর্বাসন লোনঃ কোভিড-১৯ এর কারনে যে প্রবাসী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের বিশেষ পূর্ণবাসন লোন প্রদান করা হয়।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেয়ার সহজ উপায়

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন শুধুমাত্র প্রবাসীদের লোন প্রদান করে। একজন প্রবাসী তিন ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পেতে পারেন-

১। বাংলাদেশের কোন নাগরিক বৈধপথে বিদেশ গমনের জন্য লোন নিতে চান তাহলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বৈধপথে বিদেশগামী কর্মীকে অভিবাসী লোন প্রদান করে সর্বোচ্চ ০৩ লক্ষ টাকা।

২। যে সব প্রবাসী ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন এবং ছুটি শেষে প্রবাসে ফিরে যেতে লোন এর জন্য আবেদন করেন ঐ সব প্রবাসীকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হতে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়।

৩। কোন প্রবাসী একেবারেই দেশে ফিরে আসেন এবং দেশে কোন কিছু করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। এর জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন এর জন্য আবেদন করেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তাহলে ব্যাংক যাচাই বাছাই করে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা লোন দিয়ে থাকেন।

অভিবাসী লোন পাওয়ার উপায়

অভিবাসী লোন পাওয়ার জন্য লোনের আবেদনকারীকে ভিসা যাচাইয়ের জন্য ভিসার ০২ কপি ফটোকপি ও মোবাইল নাম্বার ব্যাংকে জমা দিতে হবে। 

ব্যাংক ০৩ বা কর্মদিবসের মধ্যে পরীক্ষা করে আবেদনকারীকে ফোন বা এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। আবেদনকারীর প্রতিনিধি তার অনুপস্থিতে ব্যাংকের পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহন করবে।আবেদনকারী আর্থিকভাবে সচ্ছল হলেই অভিবাসী লোন পাবেন।

অভিবাসী লোন নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আবেদনকারী ফোন বা এসএমএস পাওয়ার পর ব্যাংকের ম্যানেজার বরাবর আবেদন করবেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপাতি ব্যাংকে জমা দিবেন। অভিবাসন লোনের আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।

আবেদনকারীকে ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, পাসপোর্টের ফটোকপি, নাগরিকত্ব সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, ফিটনেস সনদ, কর্ম অভিজ্ঞতার সনদ।

বিএমইটি কর্তৃক ইস্যুকৃত ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ডের উভয় পিঠের ফটোকপি, সদ্য তোলা ০৩ কপি ছবি, বিমানের টিকেট এর ফটোকপি, অভিবাসন ব্যয়ের বিবরনী এবং লোন ফেরৎ প্রদানের অঙ্গিকার নামা জমা দিতে হবে।

আবেদনকারীকে জামিনদারদের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, নাগরিকত্ব সনদ এবং ০৩ কপি ছবি ব্যাংকে জমা দিতে হবে। সকল কাগজ সত্যায়িত হতে হবে। জামিনদারদের যেকোনো একজনের ব্যাংক একাউন্টের চেক এর ০৩ টি (এমইসিআর) পাতা প্রদান করতে হবে।

আবেদনকারীকে ব্যাংকে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলতে হবে এবং রেমিটেন্স উক্ত ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে পাঠাতে হবে। বিদেশে কর্মস্থলের ঠিকানা, ফোন নাম্বার এবং মেইল এর ঠিকানা দিতে হবে।

লোন পরিশোধের নিয়ম

অভিবাসন লোনের সুদের হার শতকরা ০৯ টাকা। পরিশোধের তারিখ হতে সর্বোচ্চ ০২ মাস গ্রেস পিরিয়ড। মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ০২ বৎসর বা ২২ টি কিস্তি এবং সিঙ্গাপুরের জন্য ১০ টি কিস্তি বা ১ বৎসর।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়

পূর্ণবাসন লোন এর খাতসমূহ

পূর্ণবাসন লোন এর খাতসমূহ- কৃষি লোন প্রকল্প, মাঝারী কৃষি নির্ভর শিল্প লোন প্রকল্প, মৎস চাষ প্রকল্প, মুরগীর খামার, গরু মোটা তাজাকরণ প্রকল্প, দুগ্ধ উৎপাদনকারী প্রকল্প, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, বায়োগ্যাস প্লান্ট এবং সৌর জ্বালানী খাত প্রকল্প।

পূর্ণবাসন লোন পাওয়ার উপায়

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হতে পূর্ণবাসন লোন পেতে হলে যে যোগ্যতা লাগবে, সেগুলি হলঃ পূর্ণবাসন লোন পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে বিদেশ থেকে প্রত্যাগমনকারী হতে হবে। সকল বৈধ কাগজ-পত্র থাকতে হবে। 

লোন পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে বিদেশ থেকে প্রত্যাগমন করার ৫ বছরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পূর্বে প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে শুরু করতে হবে।ব্যাংক কর্তৃক প্রাথমিক নির্বাচিত হলে লোন সম্পর্কিত মূল ফরমটি পূরণ করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

পূর্ণবাসন লোন নেয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

লোনের জন্য আবেদনকারী ব্যক্তিকে তার নিজের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক নাগরিক সনদের ফটোকপি, সদ্য তোলা ০৩ কপি ছবি, ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি, অভিজ্ঞতার সনদপত্র, কোন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ থাকলে তার সনদ জমা দিতে হবে। অবশ্যই সকল কাগজ সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে।

১। প্রকল্পের স্থান নিজের হলে জমির মালিকানার দলিলাদিসহ খারিজ, খতিয়ান ও হালনাগাদ খাজনার দাখিলার সত্যায়িত ফটোকপি এবং প্রকল্পের এলাকার বিস্তারিত বিবরণ জমা দিতে হবে। প্রকল্পের স্থান ভাড়া হলে ভাড়ার চুক্তিপত্রের ফটোকপি ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

২। লোন আবেদনকারীর জামিনদারদের প্রত্যেকের ভোটার আইডি কার্ড ফটোকপি, নাগরিক সনদের ফটোকপি এবং সদ্য তোলা ০৩ কপি সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে।

৩। প্রকল্পটি নতুন হলে আবেদনকারীকে আগামী ০২ বছরের সম্ভাব্য আয়-ব্যয় বিবরনী। আর প্রকল্পটি পুরাতন হলে বিগত ০২ বছরের লাভ/লোকসানের হিসাব এবং লোন গ্রহীতার নিজস্ব বিনিয়োগের পরিমান উল্লেখ করতে হবে।

৪। আবেদনকারীর অন্যকোন প্রতিষ্ঠানে লোন থাকলে তার বিবরনী দাখিল করতে হবে। লোন খেলাপি কিনা এসব সংক্রান্ত তথ্যাবলী জমা দিতে হবে।

বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন

বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নতুন একটি পলিসি। বিএমইটি হতে যারা ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড নিয়ে বিদেশে গমন করেছে তার পরিবার এই লোনের সুবিধা পাবে।

লোনের ধরন- ১। প্রকল্প লোন ২। নগদ লোন এবং খাত সমূহ পূর্ণবাসন লোন এর মতই।

এই লোনের আওতায় নগদ লোন প্রদান করা হবে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা। জামানত বিহীন সর্বোচ্চ ০৩ লক্ষ টাকা। ০৫ লক্ষ টাকার বেশী লোন হলে গ্রহীতার স্থাবর সম্পত্তির রেজিস্ট্রি মর্টগেজ মূল্যে ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। সুদের হারের ক্ষেত্রে পুরুষের জন্য ৯% এবং মহিলার ক্ষেত্রে ৭% হবে।

বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন পাওয়ার যোগ্যতা

১। লোন গ্রহীতার পরিবারের একজন সদস্যকে অবশ্যই বিদেশে থাকতে হবে।

২। প্রবাসী ব্যক্তিকে বিদেশে সর্বনিম্ন এক বছর কাজে কর্মরত থাকতে হবে।

৩। কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপি থাকলে সে লোন পাওয়ার যোগ্যতা বিবেচিত হবে না।

৪। দেউলিয়া, মানসিক ভারসাম্যহীন, রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামী লোন পাওয়ার যোগ্য নয়।

বিশেষ পুনর্বাসন লোন

বিশেষ পুনর্বাসন একক লোনের ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ টাকা এবং গ্রুপ লোনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা লোন প্রদান করা হয়। জামানত বিহীন লোনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা। ব্যবসার ধরন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫ বছরের মেয়াদ এবং সুদের হার ৪% নির্ধারন হবে।

বিশেষ লোন পাওয়ার যোগ্যতা

১। ২০২০ সালের জানুয়ারি ১ তারিখের পর দেশে ফিরে আসা প্রবাসীদের জন্য এই লোন প্রযোজ্য হবে।

২। লোন আবেদনকারীর পাসপোর্টের ফটোকপি।

৩। বিএমইটি কর্তৃক প্রদত্ত স্মার্ট ফটোকপি।

৪। লোন আবেদনকারীর ০৩ কপি সত্যায়িত ছবি এবং জামিনদারের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি। উভয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি এবং নাগরিক সনদপত্রের ফটোকপি।

৪। ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স, প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য, অবিজ্ঞতার প্রমান, অন্য কোন স্থান থেকে লোন গ্রহন করে থাকলে সেটার বিস্তারিত বিবরনসহ লোন গ্রহীতার ০৩ টি (এমইসিআর) চেক এর পাতা প্রয়োজন হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন

প্রবাসী লোনের জন্য আপনি ২টি উপায় গ্রহণ করতে পারেন।

১। আপনি অনলাইনে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে সঠিক ভাবে পূরন করে আপনার এলাকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় গিয়ে তা জমা দিতে পারেন। আবেদন ফরম প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।

২। দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো আপনি সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে আবেদন ফরম পূরন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সহ ব্যাংকের ম্যানেজার বরাবর জমা দিতে পারেন।

উপরোক্ত কন্টেন্টে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম নেয়ার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হতে লোন গ্রহনের অপেক্ষায় থাকা আবেদকারীরা লেখা পড়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারবে।