কিভাবে প্রেসার মাপা হয় জেনে নিন

কিভাবে প্রেসার মাপা হয় জেনে নিন — কিভাবে প্রেসার মাপতে হয় তা জানার আগে জানতে হবে কোন ধরনের লোকদেরকে সাধারনত প্রেসার মাপার প্রয়োজন হয়। আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত রক্ত চলাচল করে। যেকোনো কারণে রক্ত চলাচল বিঘ্নিত হতে পারে। এক্ষেত্রে রক্ত চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে কম অথবা বেশি হতে পারে। যখনই এই রক্ত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চলাচল করে তখন এর নাম উচ্চরক্ত চাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার এবং যখন স্বাভাবিকের চেয়ে কম চলাচল করে তখন এর নাম নিম্নরক্ত চাপ লো ব্লাড প্রেসার বলে।

সাধারনত একটি গবেষনায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রাপ্ত বয়্স্কদের প্রতি ৪ জনের একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মতে প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে এবং এই কারণে বিশ্বে প্রতিবছর মারা যাচ্ছে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ।

কিভাবে প্রেসার মাপা হয় জেনে নিন

কীভাবে ব্লাড প্রেসার মাপা হয়

সাধারণত ব্লাড প্রেসার মাপার যন্ত্রের নাম হলো স্ফিগমোম্যানোমিটার। স্ফিগমোম্যানো মিটারের বাহু বন্ধনিটি রোগির (যার প্রেসার মাপা হবে) যেকোনো দুই হাতের এক হাতের ব্রাঙ্কিউল ধমনিকে শনাক্ত করে বন্ধনিটি দ্বারা প্যাচিয়ে রাখতে হবে। এরপর স্টেথোস্কোপের গোলাকৃতি সাদা অংশটি রাবার বন্ধনিটির নিচে ধমনির উপর রাখতে হবে এবং বাকি সাদা সরু অংশ দুই কানে রাখতে হবে।

এরপর যন্ত্রের বায়ু পাম্পের সাহায্যে বন্ধনির ভিতরে বায়ু প্রবেশ করাতে হবে। এক্ষেত্রে বায়ু পাম্পের সাহায্যে প্রায় ২০০ মিলিমিটার পারদ পরিমাণ মান উঠাতে হবে। এক্ষেত্রে বাহুবন্ধনে চাপ যখন রক্ত চলাচলের চেয়ে বা রক্ত চাপের চেয়ে বেশি হবে তখন রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে এবং তখন মণিবন্ধে নারী (Puls) অনুভব করা যায় না। এ সময় ধীরে ধীরে বায়ু পাম্প দ্বারা বায়ু কমাতে হবে। তখন ধমনীর রক্তচাপ ব্যাগের চাপের ওদিক হলেই পুনরায় আবার সঞ্চালিত হতে শুরু করবে।

এক্ষেত্রে যখনই সঞ্চালিত হওয়া শুরু করবে ঠিক তখনই স্টেথোস্কোপ এর দুই প্রান্তে (যে অংশ কানে দেয়া হয়েছে) তার মধ্যে শব্দ পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে যে অংশের মধ্যে রক্তচাপ এর মান বেশি হবে সেটি সিস্টোলিক চাপ এবং মধ্যে রক্ত চাপের মান কম হবে সেটি ডায়াসটোলিক চাপ। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের সিস্ট সামাদ স্বাভাবিক সিস্টোলিক চাপ 120 এবং স্বাভাবিক ডায়াস্টোলিক চাপ 80 হয়ে থাকে। কারো ব্লাড প্রেসার রিডিং যদি 140/80 হয়ে থাকে তখন বুঝতে হবে যে তার উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার। আবার যদি কোন ব্যক্তির ব্লাড প্রেসার রিডিং ৯০/৬০ বা 2 / 2 থাকে তখন বুঝতে হবে যে তার নিন্ম রক্তচাপ বা লো প্রেসার।

যদিও বয়সভেদে সিস্টোলিক চাপ বা ডায়াস্টোলিক চাপ কম বেশি হতে পারে। এই ব্লাড প্রেসারকে অনেকে নীরব ঘাতক বলে থাকেন কারণ সঠিক সময় যদি এই ব্লাড প্রেসার এর সঠিক চিকিৎসা না দেয়া হয় তাহলে রোগীর হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোক হার্ট অ্যাটাক, ব্রেইন হেমারেজ এমনকি কিডনি অকেজো হয়ে যেতে পারে। আর তাই হাই প্রেসার কে অবহেলা করা উচিত নয়। ঠিক অনুরূপভাবে প্রেসার লো বা নিম্ন রক্তচাপ হলে রোগী রোগীর শরীর দুর্বল অনুভব করা ক্লান্ত বোধ করা এমনকি রোগী যেকোন সময় মাথা ঘূর্ণি খেয়ে মাটিতে পড়ে যেতে পারে। আর তাই প্রেসার লো হওয়ার আগেই সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ওজন বাড়বে কিভাবে | দ্রুত ওজন বাড়ানোর উপায়

পোষ্ট ক্যাটাগরি: