কিভাবে জীবনে সুখী হওয়া যায় | সুখী হওয়ার মূলমন্ত্র

কিভাবে জীবনে সুখী হওয়া যায় সে সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক। সকল মানুষ জীবনে সুখী হতে চাই। এমন কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যে সুখী হতে চায়না। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ কিভাবে জীবনে সুখী হওয়া যায় এই বিষয়ে সম্পর্কে সব সময় চিন্তা ভাবনা করতে থাকে।

কিভাবে জীবনে সুখী হওয়া যায়
Image by cookie_studio on Freepik

আপনি যদি কিভাবে জীবনে সুখী হওয়া যায় তা জানতে চান তাহলে সম্পুর্ন পোস্ট জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন দেরি না করে কিভাবে জীবনে সুখী হওয়া যায় এই বিষয়টি জেনে নেই।

(toc) #title=(সুচিপত্র)

সুখী মানুষ কাকে বলে

জীবনে সবাই সুখী হতে চায়। সুখ এমন একটি জিনিস যা সবার কপালে থাকে না। আবার যার কপালে থাকে সে সারা জীবন সুখে কাটায়। আপনি যেমন সুখী হতে চান তেমনি আমিও সুখী হতে চাই। দুনিয়ার প্রতিটি মানুষ সুখী হতে চাই। মানুষ তাদের নিজেদের এবং পরিবারের সুখের জন্য জীবনে এতটা কষ্ট করে থাকো। 

তাই আজকে আমরা কিভাবে জীবনে সুখী হওয়া যায় এ বিষয়টি জানব। তার আগে চলুন জেনে নিই সুখী মানুষ কাকে বলে। অসুখী মানুষের বৈশিষ্ট্য গুলো জেনে নেই।

সুখী মানুষ তাকেই বলে যারা ছোট্ট কোন বিষয় নিয়ে পড়ে থাকে না। সুখী মানুষ সবথেকে চেনার উপায় হচ্ছে সুখী মানুষের নিজের প্রতি ভালোবাসা সব থেকে বেশি। সুখী মানুষ কখনো নিজের সাথে অন্যদের তুলনায় করো না।

সুখী মানুষ একটুতে স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়না। সুখী মানুষগুলো সবসময় নিজের উপর বেশি ফোকাস রাখে। সুখী মানুষ সব সময় ঝামেলা এড়িয়ে চলে। তারা কখনো ঝামেলায় পড়তে চায়না। সুখী মানুষ সব সময় ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়। যাদের মধ্যে উক্ত জ্ঞানগুলো রয়েছে তারাই সুখী মানুষ।

আজকে আমরা এই পোস্টে কিভাবে জীবনে সুখী হওয়া যায় এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। ইতিমধ্যে আমরা সুখী মানুষ কাকে বলে এই বিষয়টি জানতে পেরেছি। এখন আমরা সুখী পরিবার সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন সুখী পরিবার সম্পর্কে জেনে নেই।

সুখী পরিবার

আমাদের জীবনে পরিবার হলো সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ এতটা কষ্ট করে থাকে তাদের নিজেদের পরিবারের সুখের জন্য। পরিবারের সদস্য গুলোর মধ্যে সম্পর্ক যত গভীর থাকবে পরিবারের সুখ তত বেশি থাকবে। 

১। ব্যক্তিগত জীবন আত্ম পরিচর্যা করতে হবে

আপনি সবসময় আপনার কি আছে সেটা নিয়ে ভাবুন আপনার কি নেই এই জিনিসটা নিয়ে কখনোই ভাববেন না। সকালে ঘুম থেকে উঠে সবাইকে সালাম দিন অথবা আপনার ধর্মের কোন একটা ভালো বার্তা পরিবারের সদস্যদের দিন। 

সৃষ্টিকর্তার এবাদত উপাসনা করুন। পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে শুদ্ধ এবং ভদ্র ভাষায় কথা বলুন। পরিবারের কোন সদস্যের সাথে বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের সাথে মিথ্যা কথা বলবেন না। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে আশা করি আপনি জীবনে সুখ অনুভব করতে পারবেন।

আরো দেখুনঃ ওসিডি রোগের ঔষধ কত দিন খেতে হয়

২। আচরণ পরিবর্তন করুন

একটি সুখী পরিবার গঠনের জন্য আপনার অবশ্যই আচরণ পরিবর্তন করতে হবে। কারণ আচরণ মানুষের জীবনে একটা বড় প্রভাব ফেলে। সবসময় হাসিখুশি থাকুন। পরিবারের ছোট বড় সবার সাথে সালাম বিনিময় করুন। 

নিজেকে এবং নিজের পরিবারের সদস্যদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। পরিবারে অশান্তি হয় এরকম কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার যে সকল আচরণ খারাপ রয়েছে সেগুলো নির্দিষ্ট করুন এবং পরিবর্তন করুন।

৩। পরিবারের সদস্যদের সাথে

পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে ভালোভাবে কথা বলুন। পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে বোঝা পড়া বজায় রাখুন। কোন কিছু নিতে হলে অবশ্যই পরিবারের সকল সদস্যদের মতামত নিবেন। যদি কারো সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয় তাহলে নিজেরা নিজেরা তা আলাপ-আলোচনা করে মিটিয়ে নেবেন।

গৃহকর্মীদের সাথে বাড়ির সদস্যদের মতো আচরণ করুন এবং তাকে পুরোপুরি সম্মান দিন। যদি আপনার ধূমপান করার অভ্যাস থাকে সেটি পরিত্যাগ করুন এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে ধূমপান করবেন না।

৪। সন্তান লালন পালন

সন্তান লালন পালন করা এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তাই সন্তানকে সবসময় সুশিক্ষা দিন। ছেলে মেয়ে উভয় সন্তানকে সমান দৃষ্টিতে দেখবেন। সন্তানদের সামনে কখনো গালিগালাজ করবেন না। সন্তানদের মাঝে তুলনা করবেন না। 

সন্তানদের সামনে কখনো ধূমপান করবেন না। সন্তানদের সামনে কখনো ঝগড়া করবেন না। সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষায় বড় করে তুলুন তাহলে অবশ্যই সে সন্তান ভালো মানুষ হবে। সন্তানকে সব সময় সৃষ্টিকর্তার ভয় দেখান। 

সন্তানকে অবশ্য সবসময় ভালো কাজে উপদেশ দিবেন এবং খারাপ কাজ সৃষ্টিকর্তায় ভয় দেখাবেন। সন্তানদের বন্ধুদের মতো আচরণ তৈরি করুন। সন্তান ছোট থাকলেও তার মতামত নেওয়ার চেষ্টা করুন এবং বড় হয়ে গেলে অবশ্যই সন্তানের মতামতের গুরুত্ব দেবেন।

৫। সামাজিক ক্ষেত্রে আচার-আচরণ

আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সবসময় ভালো ব্যবহার করবেন। নিজের আত্মীয় স্বজনদের সাথে কখনো সম্পর্ক নষ্ট করবেন না। আপনার আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী খোঁজখবর নেবেন এতে করে সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকে। 

নিজেদের মত তর্ক করে অন্যের উপর চাপিয়ে দিবেন না। সমাজের ছোট বড় সকলকে সালাম দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সমাজে অন্য কারো সমালোচনা করবেন না।

আরো পড়ুনঃ বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া

৬। বন্ধুদের সাথে করণীয়

বন্ধু নির্বাচনে সবসময় সতর্ক থাকবেন। বন্ধুদের সাথে ভালো ব্যবহার করে তুলুন। বন্ধুদের মাঝে কখনো ঝামেলা লাগাবেন না। এক বন্ধুর সামনে অন্য বন্ধুর গীবত করবেন না। সব সময় বন্ধু সাহায্যে এগিয়ে আসুন। অতিরিক্ত বন্ধুত্ব দেখাতে গিয়ে নিজের জীবনের কোনো ক্ষতি করবেন না।

৭। কর্মক্ষেত্রের দায়িত্ব

আপনি যেখানে কাজ করেন সেখানে সবার সাথে ভালো ব্যবহার করবেন। সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন। সহকর্মীদের সমালোচনা থেকে দূরে থাকবেন। কেউ যদি সমালোচনা করে তাহলে তাকে ভদ্র ভাষায় থামানোর চেষ্টা করবেন। 

কর্মস্থলের সকল ছোট-বড় সহকর্মীদের সালাম দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনার স্বাভাবিক ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন কখনো মনের ভিতর অহংকার আনা যাবে না। আপনার কর্মক্ষেত্রের নিজের দায়িত্ব পালন করুন। নিজের দায়িত্ব অন্যের কাঁধে কখনো চাপাবেন না।

কিভাবে জীবনে সুখী হওয়া যায়

জীবনে আমরা সবাই সুখি হতে চাই। সুখ ছাড়া মানুষের কোন বিকল্প নাই। তাই সবাই জানতে চাই কিভাবে জীবনে সুখী হওয়া যায়। আজকে আমরা কিভাবে জীবনে সুখী হওয়া যায় এই বিষয়টি জানব। তাহলে চলুন কিভাবে জীবনে সুখী হওয়া যায় তা জেনে নেই।

১। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম পাড়ুন

সুস্বাস্থ্য এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করার জন্য ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম পারতে হবে। ঘুম যদি ভালো না হয় তাহলে মেজাজ সবসময় খিটখিটে থাকে কোন কাজ করতে মন বসে না পড়াশোনা করতে মন বসে না। 

এর জন্য মানুষের সাথে আচরণ খারাপ হয়ে যাই, সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। তাই আপনি যদি জীবন সুখী হতে চান তাহলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম পারতে হবে। কিভাবে জীবনে সুখী হওয়া যায় জানতে এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন ইনশাআল্লাহ জীবনে সুখী হবেন।

২। জীবনে সুখী হতে চাইলে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে

স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল মন্ত্র। তাই আপনি যদি স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান তাহলে আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে এর কোন বিকল্প নেই। 

আপনি যদি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার যা আপনার দেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যোগান দেয় সেগুলো খান তাহলে দেখবেন আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। 

যদি আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকে তাহলে আপনার শরীর এবং মন ভালো থাকবে। এতে আপনি আগের থেকে অনেকটা সুখী অনুভব করবেন নিজেকে।

৩। জীবনে সুখী হতে চাইলে নিয়মিত ব্যায়াম করুন

আমরা সকলেই জানি যে জীবনে সুখী হতে চাইলে এবং স্বাস্থ্যগত দিক থেকে সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। আপনি যদি প্রতিদিন ব্যায়াম করেন তাহলে মানসিক যন্ত্রণা উদ্বেগ দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকবেন। রাতে খাবারের পর হাঁটাহাঁটি করুন সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন ব্যায়াম করুন দেখবেন আপনি জীবনে সুখী হয়েছেন।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে বুঝব দোয়া কবুল হয়েছে

৪। অন্যের সাথে তুলনা করা বন্ধ করুন

আপনি নিজে কি এবং আপনি কি রয়েছে সেটি নিয়ে আপনি সুখে থাকুন। সব সময় অন্যদের সাথে নিজেকে তুলনা করবেন না। আপনি সবসময় আপনার ওপরে না থাকে সব সময় নিচের দিকে তাকান।

কারণ আপনার থেকে অনেক অসুখী মানুষ দুনিয়াতে রয়েছে। তাই অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করে নিজের যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন। দেখবেন আপনি পৃথিবীর সবথেকে সুখী মানুষ।

৫। পরিবারের সাথে সময় ব্যয় করুন

আপনি যদি জীবনে সুখী হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরিবারকে ভালবাসতে হবে। এবং আপনাকে সব সময় পরিবারের কথা চিন্তা করতে হবে এবং পরিবারকে সময় দিতে হবে। পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। ছোট বড় সবাইকে স্নেহ ও সম্মান করতে হবে। পরিবারের সাথে একটি নির্দিষ্ট সময় কাটাতে হবে।

৬। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকুন

আপনি যদি জীবনে সুখী হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন রকম সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ এখন সব থেকে অসুখে থাকার কারণ হলো সোশ্যাল মিডিয়া। 

তাই আপনি যদি সুখি হতে চান তাহলে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখুন এবং এই সময় কি আপনার পরিবারকে দিন। দেখবেন সবথেকে সুখী মানুষ আপনি।

কোথায় আমি সুখ খুঁজে পেতে পারি

আপনি সুখকে কখনো খুঁজতে যাবেন না। কেননা সুখের পেছনে দৌড়ানোর কারণে সুখ আপনাকে ছেড়ে ভয়ে পালাবে ফলাফল হিসেবে আপনার অসুখ আরো বৃদ্ধি পাবে। তার চেয়ে বরং সুখকে শান্তিতে থাকতে দিন আর আপনি আপনার কাজ করতে থাকুন। 

নিজের কাজের প্রতি সৎ, ধৈর্য্যশীল থাকুন, দায়িত্ব-কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করুন এবং আরো নানা রকম ভালো গুণাবলি অর্জন করুন। তখন দেখতে পারবেন সুখ আপনার নিকট আপনা আপনিই চলে আসবে।

যদি আপনি জানতে চান কিভাবে জীবনে সুখী হওয়া যায় তাহলে আমি আপনাকে বলবো সৃষ্টিকর্তার চরণে নিজেকে সমর্পণের মাধ্যমে তা অর্জন করা যায়। একটি গাড়ী পানি কিংবা ফলের রস ব্যবহার করে কিন্ত চালানো যায়না, পেট্রোল অথবা অনুরুপ জ্বালানি ব্যতীত।

ঠিক তেমনি আমাদের আত্মার স্বস্তি মেলে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে, কোনো সৃষ্টির নয়। সুখ উৎসারিত হয় অন্তর থেকে, বাহ্যিক কিংবা বস্তুগত অর্জনে নয়। আর তা অর্জন করার জন্য প্রাথমিক সোপান হতে পারে উপবাস বা সংযম। অনুশীলনের পাশাপাশি এর তাৎপর্য অনুধাবনের চেষ্টা অব্যাহত রাখা।

প্রথমত পৃথিবী কিন্ত স্থায়ী সুখের ঠিকানা নয়। এই পৃথিবীতে আপনি একটু সুখ একটু দুঃখ এভাবে মিক্সড ফিলিংস পাবেন। যদি আপনি স্থায়ীভাবে সুখ খুঁজে পেতে চান তবে আপনাকে পুরোপুরি ধর্মীয় অনুশাসন অনুসরণ করতে হবে এবং সঠিক ভাবে মেনে চলতে হবে। আমাদের ইসলাম ধর্মমতে মৃ- ত্যুর পরে আপনি যদি বেহেশতে যান অর্থাৎ জান্নাত লাভ করতে পারেন তবে আপনি স্থায়ী সুখের সন্ধান পাবেন।

তবে যদি আপনি তুলনামূলক ভাবে সুখে থাকতে চান সেক্ষেত্রেও আমার পক্ষে থেকে পরামর্শ থাকবে আপনি ধর্মীয় অনুশাসন সঠিক ভাবে অনুসরণ করুন এবং মেনে চলেন। 

প্রিয় পাঠক জেনে রাখা ভালো ধর্ম হচ্ছে পদ্ধতি। আমরা যেসকল মোবাইল ফোন বা স্মার্টফন, ল্যাপটপ, ডেক্সটপ বা যেকোনো ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করার জন্য যে সিস্টেম অনুসরণ করি তা হচ্ছে সেই ডিভাইসের একটি ফাংশন।

আর মানুষের জীবনটা পরিচালনার জন্য যেসকল ফাংশন, যে সিস্টেম এবং যে পদ্ধতি অনুসরণ করি সেটা হচ্ছে ধর্ম। মানুষের জীবন সঠিক ও সুন্দর ভাবে পরিচালনা করার জন্য সকল নির্দেশিকায় হচ্ছে ধর্ম। 

আর হ্যা, নিঃসন্দেহে তা হচ্ছে ইসলাম ধর্ম। প্রিয় পাঠক এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন অথবা শুধরিয়ে দিলে আরো উপকৃত হবো।

সুখ কি ভাবে খুঁজে পাওয়া যায়

সুখ কিভাবে খুঁজে পাওয়া যায়? যদি আপনি জীবনে সত্যিই সুখ লাভ করতে চান বা সুখী হতে চান, তবে আপনি কৃতজ্ঞ হতে শুরু করুন এবং কৃতজ্ঞ প্রকাশ করুন, পরিবারের সঙ্গে বেশি বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করুন, বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা করুন।

আর হ্যা অবশ্যই সঠিক বন্ধু নির্বাচন করতে ভুল করবেন না। ধর্মীয় নিয়মকানুন সঠিক ভাবে পালন করুন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে সরে এসে আরও একট বেশি সময় ঘুমানোর চেষ্টা করুন। অজথা অহেতুক বিষয় নিয়ে টেনশন করবেন না।

সুখী হওয়ার ১০টি উপায়

পৃথিবীতে সুখী কেইনা হতে চায়? আমরা প্রত্যেকে যে যার মতো করে সুখে থাকতে চাই। সুখে থাকার মূল চাবিকাঠি আছে আপনার নিজের হাতেই। এখানে সুখী হওয়ার ১০টি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছেঃ

  • সুখী হওয়ার জন্য নেতিবাচক চিন্তা করা যাবে না
  • জীবনে সুখী হওয়ার জন্য নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করবেন না
  • সুখী হতে চাইলে সবসময় ইতিবাচক থাকুন
  • ঠিকমতো খাবার এবং ঘুম দিতে হবে
  • নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন।
  • পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় উপভোগ করুন। আর হ্যা সঠিক বন্ধু নির্বাচন করতে ভুল করবেন না
  • কিছু কিছু বিষয়কে যেতে দিন অর্থাৎ কোনো বিষয়কে বেশি বেশি চিন্তা করবেন না
  • কৃতজ্ঞ থাকার চেষ্টা করুন
  • অন্যের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন
  • আস্থা রাখুন নিজের প্রতি

সংসার জীবনে সুখী হওয়ার উপায়

সংসার জীবনে সুখী হওয়ার উপায় বা দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার উপায় হিসেবে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্যে এবং দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার জন্য সবথেকে বেশি প্রয়োজন যে বিষয়টি তা হচ্ছে আন্তরিকতা।

ভালো স্বভাব, বিনীত, বিশ্বাসযোগ্য, নমনীয়, সহযোগী মনোভাবাপন্ন, ক্ষমাশীল, উদার এবং ধৈর্যশীল গুণগুলো সংসার টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সবথেকে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে দুজনের মনের মিল। কারণ সংসার জীবনে সুখী হওয়া যায় না যদি মনের মিল না থাকে।

লেখকের শেষকথা

আপনারা যারা কিভাবে জীবনে সুখী হওয়া যায় এই সম্পর্কে জানতে চেয়ে ছিলেন তাদের জন্য উপরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এর জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি কিভাবে জীবনে সুখী হওয়া যায় এই বিষয়টি জানতে পারবেন। 

আপনি যদি জীবনে সুখী হতে চান তাহলে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত পর অনেকগুলো আপনাকে আপনার জীবনে করতে হবে। তাহলে আপনি পৃথিবীর সবথেকে সুখী মানুষ গুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।

পোষ্ট ক্যাটাগরি:

এখানে আপনার মতামত দিন

0মন্তব্যসমূহ

আপনার মন্তব্য লিখুন (0)