ফ্ল্যাগশিপ ফোন কি | কেন ব্যবহার করবেন ফ্লাগশিপ ফোন

ফ্লাগশিপ ফোন কি — বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করে না এমন লোকের সংখ্যা খুবই নগগ্ন। আর বাজারে আসছে বিভিন্ন ধরনের আন্ড্রয়েড স্মার্টফোন, আইফোন অথবা বিভিন্ন কোম্পানির স্মার্টফোন। যাতে করে ছড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজার। তারই মাঝে এক ধরনের স্মার্টফোন আছে যেগুলোকে বলা হয়ে থাকে ফ্ল্যাগশিপ ফোন। 

তো এখন এই ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন কি সেই সম্পর্কে হয়তো বর্তমানে বেশিরভাগ লোকের তেমন কোন ধারনা নেই। আর মূলত সেই কারনেই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করবো ফ্লাগশিপ ফোন কি, ফ্ল্যাগশিপ ফোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয়, ফ্ল্যাগশিপ ফোন গুলো কোন কোন কোম্পানি তৈরি করে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।

শুরুতেই বলে রাখি যে প্রত্যেকটি স্মার্টফোন কোম্পানি কিন্ত ফ্লাগশিপ স্মার্টফোন তৈরি করে না। কিছু কিছু কোম্পানি আছে যারা ফ্লাগশিপ ফোন তৈরি করে থাকে। আবার অনেকে স্মার্টফোন নির্মাতা আছে যারা শুধুমাত্র বাজেট মোবাইল ফোন তৈরি করে থাকে আবার অনেকে প্রতিষ্ঠান আছে যারা বাজেট মোবাইল ফোন তৈরি করার পাশাপাশি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন তৈরি করে থাকে।

ফ্লাগশিপ ফোন তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য কি?

ফ্লাগশিপ স্মার্টফোন তৈরি করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো ফোনটিতে যেসকল ফিচারস গুলো ব্যবহার করা হয় তাদের মধ্যে যেন একটা ব্যালেন্স থাকে। মানে একটা কাট করে অন্য জায়গায় একটু বেশি অ্যাডভান্স এমনটা করেনা। সকল জায়গায় সমানভাবে পরিমিত অবস্থায় স্মার্টফোনটিতে ফিচারস থাকবে। 

আর বাজেট সিগমেন্ট স্মার্টফোন গুলোতে কিন্তু কোন না কোন ফিচারস কম বেশি করা থাকে। ফোনটি হতে পারে যে একটা ফোনের ক্যামেরা পিক্সেল ভালো কিন্তু সেই ফোনে ডিসপ্লে দিয়েছে খারাপ অথবা হয়তো ডিসপ্লের প্রটেক্টর দিয়েছে বাজে। অথবা ডিসপ্লে ভালো তবে গেমিং এক্সপেরিয়েন্স স্মুথ না। অথবা প্রসেসর ব্যবহার করেছে কম উন্নতমানের।

এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়ার সাইটগুলো ব্রাউজ করার সময় নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু ফ্লাগশিপ স্মার্টফোন গুলোতে এই রকম সমস্যা হবে না। কেননা এই ফ্ল্যাগশিপ ফোন এ ফিচারস ব্যালেন্স করা হবে। 

শুধু যে ফিচারস গুলো ব্যালেন্স করা হবে তা নয় এর সঙ্গে প্রত্যেকটি ফিচারস হবে হাই-কোয়ালিটির। তো ধরুন, এখন আপনি একটা ফোন কিনতে গেছেন মার্কেটে। স্মার্টফোন কিনতে গিয়ে দেখলেন যে আপনার সেই স্মার্টফোনের ক্যামেরা পছন্দ হয়েছে আবার ডিসপ্লে পছন্দ হচ্ছেনা। ডিসপ্লে পছন্দ হলেও আবার ফোনের ডিজাইন ভালো লাগছে না।

আরও পড়ুনঃ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে ফোন ২০২১

এই ধরনের সিচুয়েশন এর সম্মুখীন যেন আপনাকে না হতে হয় সেই কারনে কিছু মোবাইল ফোন কোম্পানি লো-বাজেট এবং মিড বাজেটের পাশাপাশি এমন কিছু স্মার্টফোন তৈরি করে থাকে যাতে অলরাউন্ডিং একটি প্যাকেজ থেকে যায়। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে সকল মোবাইল ফোন কোম্পানি গুলো কেন ফ্লাগশিপ ফোন তৈরি করে না।

এটির মূলত কারনটি হলো বাজেট। বুঝতেই পারছেন যে ফোনগুলোতে যে ধরনের ফিচারস ব্যাবহার করা হয় খুব হাই-কোয়ালিটির এবং তা অনেক কষ্ট করে এবং ব্যালেন্সড ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে এই স্মার্টফোন গুলো খুবই হাই-এক্সপেন্সিভ। তবে বর্তমান সময়ে বাজারে কিন্তু কিছু কিছু চায়না কোম্পানি আছে যারা আমাদের খুবই স্বল্প মূল্য ফ্লাগশিপ ফোন ব্যবহার করার সুযোগ করে দিচ্ছে। 

যেমন; Samsung Galaxy S20 সিরিজের স্মার্টফোন আবার S29 নোট সিরিজের স্মার্টফোন। এছাড়াও OnePlus স্মার্টফোনের OnePlus 8 Pro এই ধরনের স্মার্টফোনগুলো কিন্তু খুবই স্বল্প মূল্যের মধ্যে আপনাকে ফ্লাগশিপ ফোনের ব্যবহার করার সুযোগ করে দেবে।

এই ধরনের স্মার্টফোন গুলোর স্পেসিফিকেশন এর দিকে যদি আপনি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন যে এই ধরনের ফোনের ফিচার গুলোর মধ্যে বড় ধরনের কোনো রকম ল্যাক নাই। যেমন ফোনের ক্যামেরা খুব উন্নত, তবে ডিসপ্লে খুব বাঝে এই ধরনের কিন্তু বড় বড় কোন পার্থক্য নেই। এই স্মার্টফোন গুলোতে সকল ফিচারস কিন্তু ব্যালেন্সড আকারে ব্যবহার করা আছে। বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে এই স্মার্টফোন গুলোর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে।

ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলো কতদিন পরপর লঞ্চ করে?

সাধারণত দেখা যায় এক বছর পরপর অধিকাংশ ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন তৈরির কোম্পানি গুলো তাদের ফ্লাগশিপ ফোন মার্কেটে লঞ্চ করে। তবে হ্যাঁ এর আগে এবং পরেও লঞ্চ করতে পারে কোম্পানিগুলো। মূলত যে সকল কোম্পানিগুলো ফ্লাগশিপ স্মার্টফোন তৈরি করে থাকে তারা তাদের কোম্পানি গুলোকে রিপ্রেজেন্ট করে থাকে। তাদের কোম্পানির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে ফ্লাগশিপ ফোনগুলো।

আরও পড়ুনঃ বিকাশে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম

পোষ্ট ক্যাটাগরি: