ফেসবুক ফেক আইডি চেনার উপায় | ফেসবুকে ফেক আইডি চেনার সহজ উপায়
সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্ট বর্তমান সময়ের একটি সাধারণ ট্রেন্ড। নিজের সকল পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন পরিচয় এবং নানা রকম তথ্য দিয়ে যে একাউন্ট খোলা হয় তাকে ফেক একাউন্ট বলে।
অনেকেই মেয়ে সেজে অন্যদের বোকা বানোনোর জন্য ফেসবুক সহ অনন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেক আইডি খুলে থাকে। এছাড়া অনেকে নিজের পরিচয়পত্র গোপন করে অন্যদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ফেক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে।
এদের তালিকায় আবার অপরাধীরা বিরাজ করে যারা তাদের পরিচয় গোপন করে নানান রকম সাইবার অপরাধ কার্যকলাপ করে থাকে।
তবে ফেসবুকে ফেক আইডি চেনা তেমন কোন জটিল বিষয় নয়। আমরা আজকের এই আর্টিকেলে সামান্য কিছু কৌশল আপনাদের কাছে তুলে ধরবো যেগুলো অবলম্বন করলে আপনি নিমিষেই ফেসবুক সহ অনন্য সামাজিক মাধ্যমের ফেক আইডি সনাক্ত করতে পারবেন। চলুন তাহলে বিস্তারিত দেখে নেই ফেসবুকে ফেইক আইডি চেনার উপায় গুলো;
শুধুমাত্র একটি নাম দিয়েই একটি একাউন্ট ফেইক কিনা এটা নির্বাচন করা যায় না। তবু বেশির ভাগ ফেক একাউন্ট কমন কিছু নাম ব্যবহার করে। সেগুলো হলো, প্রিন্সেস, এঞ্জেল, রাতের তারা, কুইন ইত্যাদি। আপনি একটু লক্ষ্যে করে দেখবেন যে এই সকল নামগুলো কোন ব্যক্তির আসল নাম না। অন্য কেউ নিজের তথ্য গোপন করে এই নামগুলো দিয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করছে আর তারা ফেক অ্যাকাউন্ট তৈরি করছে। এই সকল নাম হতে পারে ফেসবুক ফেক একাউন্ট চেনার প্রাথমিক উপায়।
আরও পড়ুনঃ ফেসবুক থেকে ভিডিও ডাউনলোড করার অ্যাপস
আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপনার নামটি আলাদাভাবে শনাক্ত করার জন্য কাস্টমভাবে ফেসবুক একটি প্রোফাইল URL বা লিঙ্ক তৈরি করে থাকে। ফেসবুকে এই প্রোফাইল লিঙ্ক বা URL টি খুব অল্প সময় চেঞ্জ করা যায়। এমন অনেক সময় দেখা যায়, যে ব্যক্তি ফেক আইডি তৈরি করেন তিনি প্রোফাইলের URL এর নামটি চেঞ্জ করার সময়টুকু ভুলে যান। একটি ফেক আইডির URL এর নাম এবং প্রোফাইলের নাম যদি ভিন্ন হয় তাহলে বুঝে নিবেন যে একাউন্টটি ফেইক অ্যাকাউন্ট।
আপনার যদি কোন ফেসবুক একাউন্ট দেখে মনে সন্দেহ হয় তাহলে সেই একাউন্টটের প্রোফাইল ছবি অথবা কভার ছবি ডাউনলোড করে নিন। এরপর সেই ছবিটি দিয়ে গুগল সার্চ করুন তাহলে ছবিটির সকল অরিজিনাল তথ্য আপনি দেখতে পারবেন। আর সেখান থেকে আপনি ব্যক্তির প্রকৃত পরিচয় জানার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হয়ে যাবেন যে ফেসবুক অ্যাকাউন্টি ফেক না অরিজিনাল।
ফেসবুক ফেক অ্যাকাউন্টে এর টাইমলাইনে ব্যক্তি নিজের সকল তথ্য ও ছবি বা স্ট্যাস্টাস খুব অল্প পরিমাণ শেয়ার করেন। ফেসবুকে অনেক অ্যাকাউন্ট আছে যেগুলো অন্য ওয়েবসাইটের পোস্ট অথবা তথ্য লিঙ্ক আকারে শেয়ার করে থাকে। যদি আপনি লক্ষ্যে করেন তাহলে দেখতে পারবেন যে কোন ব্যক্তি একই ওয়েবসাইটের লিঙ্ক অথবা তথ্য একাধিকবার শেয়ার করেছে। তাহলে উক্ত ওয়েবসাইটটি কোন ব্যক্তি সেটা দেখেও আপনি নিজেই অনুমান করে নিতে পারবেন যে সেই ফেসবুক আইডি ব্যক্তিটির সম্পর্কে।
আরও পড়ুনঃ ওয়ারেন্টি আর গ্যারান্টির মধ্যে পার্থক্য
ফেসবুকে ফেইক অ্যাকাউন্টের টাইমলাইনে গিয়ে তার করা পোস্টে বা অনন্য পোস্টে কে বা কারা কি মন্তব্য করছে তা থেকেই ব্যক্তিটি সম্পর্কে কিছু ইনফরমেশন পাওয়া যায়। যদি দেখতে পাড়েন যে পোস্টে কোন কমেন্ট বা ইম্প্রেশন নাই বললেই চলে তাহলে সেই আইডিটি ফেইক এমন সন্দেহ করতে পারেন।
ফেক আইডির ফ্রেন্ড লিস্টটি খুব অগোছালো থাকে। বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন টাইপের মানুষ সেই অ্যাকাউন্টে ফ্রেন্ড হিসেবে যুক্ত থাকে। এমনকি গ্রুপ ছবিতেও তার সকল বন্ধুদের দেখা যায় না। এছাড়াও সেই ফেইক ব্যক্তির সাথে আপনার মিউচুয়াল ফ্রেন্ড লিস্টও খুব কম থাকবে।
তাই কোন সোশ্যাল একাউন্ট বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসলে প্রথমে সেই ব্যক্তির নাম, প্রোফাইল URL লিঙ্ক, প্রোফাইল ও কভার ছবি, পোস্ট বা স্ট্যটাস এবং ফ্রেন্ডলিস্ট ইত্যাদি চেক করে নিবেন এবং সেই একাউন্ট সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তারপর সেই রিকোয়েস্টটি কনফার্ম করুন।
আরও পড়ুনঃ VPN ব্যবহার করলে ফেসবুক আইডি হারাবেন কি করলে ফেসবুক আইডি SAFE থাকবে