দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি

দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি - প্রিয় পাঠক, আপনি কি দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ দুবাই গিয়ে কাজ করে। কিন্তু অনেকেই আছেন তারা দুবাইয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশী তা না জেনেই দুবাই চলে যায়। এত করে তার কাজ খুজে পেতে হিমশিম খেতে হয়।

দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি

কেনন বাংলাদেশ থেকে বিদেশে কাজের জন্য যাওয়ার জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আপনি দুবাইয়ে গেলে খুব দ্রুতই আপনি কাজ জোগাড় করতে পারবেন। আজকের পোস্টে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব " দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি " কিভাবে দুবাই যাওয়া যায় ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

সূচীপত্রঃ দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি

শ্রমিক হিসেবে দুবাই যাওয়ার উপায় ২০২২

শ্রমিক হিসেবে দুবাই যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে দুবাই শ্রমিক নিয়োগের দৈনিক পত্রিকাগুলোতে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ দুবাইয়ের শ্রমিক নিয়োগের সকল খবর দৈনিক পত্রিকাগুলোতে প্রকাশ করা হয়। দুবাইয়ে অনেক শিল্প কারখানা, গার্মেন্টস, বিভিন্ন ধরনের এজেন্সি রয়েছে সেখানে নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ এবং অন্যন্য দেশ থেকে লোক নিয়োগ করে শ্রমিক নিয়ে থাকে। 

এরপর আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে দুবাই যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে হবে। যেহেতু দুবাইয়ে বেশীরভাগ কাজ বা চাকরি অভিজ্ঞতা নির্ভর। তাই আপনি দুবাইয়ে যেয়ে যে কাজ করবেন তার উপর প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এরপর বাকি কাজ সম্পন্ন করার পর আপনি শ্রমিক হিসেবে দুবাই যেতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার উপায়

দুবাই যেতে কত টাকা লাগে

বর্তমানে দুবাইয়ের ভিজিট ভিসা সহ অন্যান্য ভিসা চালু আছে। দুবাই ভিজিট ভিসার খরচ পড়বে প্রায় ২.৫ থেকে ০৩ লাখ টাকার মতো সব মিলিয়ে। এয়ারপোর্ট কন্টাক্ট এর জন্য আপনার কাছ থেকে মিনিমাম ৬০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতে পারে বাকি টাকা ভিসাসহ বিমান টিকেট বা অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

দুবাই যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনি যদি দুবাই যেতে চান তবে আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখতে হবে। যে সকল ডকুমেন্ট ছাড়া আপনি কোনভাবেই দুবাই যেতে পারবেন না। তা নিম্নরুপঃ 

১। ভিসা ২। পাসপোর্ট ৩। টিকিট ৪। একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ৫। দূতাবাসের ফোন নাম্বার ও ঠিকানা ৬। জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র ৭। মেডিকেল রিপোর্ট ৮। চাকুরির ছাড়পত্র (যদি থাকে) ৯। টাকা প্রদানের রশিদ ও চুক্তিপত্র ইত্যাদি

দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি

বর্তমানে দুবাইয়ে অনেক ধরনের কাজের জন্য যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। তবে দুবাইয়ে ড্রাইভিং, হোটেল বয়. সেনেটারী কাজ, ক্লিনার, কনস্ট্রাকশন কাজ, ওয়েল্ডিং এবং ইলেকট্রিশিয়ান, সপ কিপার, সাধারন লেবার উক্ত কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি। 

তবে এটা আমাদের জেনে রাখা উচিত দুবাই বেশির ভাগ কাজই বিদেশি শ্রমিক দ্ধারা করানো হয়। তবে কাজে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের বেশী সুযোগ দেওয়া হয়। যেহেতু দুবাই একটি ধনী রাষ্ট্র তাই আপনি দুবাই সবধরনের কাজ-ই খুজে পাবেন। আপনি ও যদি এখন দুবাই যেয়ে কাজ করতে চান তাহলে আপনি ড্রাইভিং, ওয়েল্ডিং, সপ কিপার, ইলেকট্রিশিয়ান ও কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম

দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ কত?

আপনারা যারা দুবাই যেতে আগ্রহী তারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন দুবাই ভিজিট ভিসার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে। জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বায়রা এর মাধ্যমে জানা যায় দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ প্রায় ১৫ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে। 

যারা চাকরির জন্য ভিজিট ভিসা নিয়ে দুবাই যায় তাদের ২ লক্ষ টাকা থেকে আড়াই লক্ষ টাকা লাগতে পারে সকল কিছু মিলিয়ে। তবে মনে রাখতে হবে, ভিজিট ভিসায় দুবাই গিয়ে কাজের জন্য থেকে যাওয়া বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন দুবাইয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস।

বর্তমানে আবুধাবির বাংলাদেশের দূতাবাস সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় যে, বর্তমানে ভিজিট ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসে কাজের ভিসায় পরিবর্তনের সুযোগ আর কোন নেই। আপনারা যারা ভিজিট ভিসা নিয়ে দুবাই যাবেন তার অব্যশ্যই সাবধান থাকবেন দালাল চক্র থেকে। তারা আপনার কাছ থেকে টাকা নিবে ঠিকই কিন্তু আপনাদের ভিসা করতে কোন ধরনের সাহায্য করবে না। 

দুবাই কাজের ভিসা

বর্তমানে কাজের জন্য সবাই দুবাই যেতে আগ্রহী কিন্তু সঠিক তথ্য এবং ভিসা না থকার কারণে অনেকেই দুবাই যেতে পারেন না। দুবাই যাওয়ার জন্য প্রথমত আপনাকে রেসিডেন্সি ভিসা গ্রহণ করতে হবে। যা আইকামা নামে পরিচিত, সাথে একটি বৈধ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। 

এছাড়াও দুবাই যেতে হলে তিন ধরনের ভিসার মাধ্যমে যাওয়া যেতে পারে। কাজ বা চাকরী ভিসা, গার্হস্থ্য ভিসা এবং নির্ভরশীল দুবাই যেতে হলে বর্তমানে রেসিডেন্সির জন্য একটি স্পনসর বা রেফার প্রয়োজন হতে পারে। আপনার ভিসা বৈধ এবং পারমিটের জন্য একজন দুবাইর নিয়োগকারীকে অবশ্যই কুয়েতের সামাজিক বিষয় ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করতে হবে। 

দুবাই যেতে কত বছর বয়স লাগে

অনেকেই জানতে চান, দুবাই যেতে হলে আমার কত বছর হওয়া লাগবে। তারা জেনে নিন, দুবাই হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি শহর। আপনি বিভিন্ন ভাবে দুবাই যেতে পারবেন। তবে, কাজ অথবা চাকরি করার জন্য দুবাই যেতে হলে আপনাকে আপনার পাসপোর্টে বয়স সর্বনিম্ন ২২ বছর থাকা লাগবে। নয়তো আপনি দুবাই কাজের বা চাকরির ভিসায় প্রবেশ করতে পারবেন না। 

দুবাই কাজের বেতন কত

দুবাই কাজের বেতন কত জানতে চাচ্ছনে তবে আপনি জেনে নিন দুবাইতে একেক কাজের জন্য একেক ধরনের বেতন হয়ে থাকে। আপনার যদি বেশী কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি অন্যদের চেয়ে বেশী বেতন পাবেন। 

তবে দুবাইতে মাসে গড় বেতন গড় বেতন প্রতি মাসে 16,775 AED। যা আমেরিকান ৪৫৬৭.১২ ডলারের সমতুল্য। তবে সকলের জেনে রাখা উচিত দুবাইতে বেতন পাবেন আপনার কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী।

শেষ কথাঃ দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি

আজকের আলোচনায় আমি আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে। আপনারা যারা দুবাই চাকরি বা কাজের জন্য যাবেন তারা যাচাই বাচাই করে সঠিক কাগজপত্র জমা দিয়ে তারপর বিদেশ যেতে পারবেন। 

আপনারা দুবাই গিয়ে কি কি কাজ করতে পারবেন, দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি, দুবাই কাজের মাসিক গড় বেতন কত তার সকল কিছু আলোচনা করা হয়েছে আজকের পোস্টে তাই আপনারা দুবাই যেতে আগ্রহী তারা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। তাহলে সকল কিছু বুঝতে পারবেন।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: