গ্রামে লাভজনক ব্যবসা - গ্রামে বিজনেস আইডিয়া - গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া

গ্রামে লাভজনক ব্যবসা ২০২২ - গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া - গ্রামে বিজনেস আইডিয়া — বাংলাদেশ এবং ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আছে গ্রাম আর এই বিস্তীর্ণ এলাকার বেশিরভাগ মানুষজন গ্রামগঞ্জে বসবাস করেন। যারা গ্রামগঞ্জে বসবাস করেন তাদের মধ্যে লাখ লাখ মানুষ রয়েছে যারা বেকার কিংবা অনেকেই আছেন যারা পড়াশুনা শেষ করছেন কিন্তু কোনো চাকরি পাচ্ছেন না।

গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া

পেজ সূচীপত্রঃ

সকলেই শুধুমাত্র হতাশা নিয়ে তাদের সময়গুলো অতিবাহিত করছেন। আপনি হয়তো ভাবছেন যে, আপনার দ্বারা কিছুই করা সম্ভব নয়। চারপাশে আপনার শুধুই অন্ধকার মনে হচ্ছে। আসলে এগুলো কোনো ব্যাপার নয়। যদি আপনি ইচ্ছা করেন তবে আপনি আপনার গ্রাম বসে থেকে ভালো কিছু করতে পারবেন এবং চাইলে ভালোমানের ব্যবসা চালু করতে পারবেন সামান্য পূজিতেই।

শহর অঞ্চলের পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা ও অন্যান্য সকল বিষয়ের সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু হ্যাঁ গ্রামগঞ্জে ঠিক শহরের মতো সকল সুযোগ সুবিধে থাকেনা। যার কারণে গ্রামঅঞ্চল শহরের থেকে অনেকখানি পিছিয়ে থাকে। তাহলে কি এখন গ্রাম অঞ্চলের মানুষজন পিছিয়ে থাকবে সব সময়ের জন্য? উত্তর অবশ্যই হবে না, শহরের মতো গ্রামঅঞ্চলে তেমন সুযোগ সুবিধে না থাকলেও আপনি চাইলেই গ্রামে থেকেও ভালো কিছু করতে পারবেন।

গ্রামঅঞ্চলে কি ব্যাবসা শুরু করা যায় সেই বিষয় নিয়ে আমাদের অনেকের মাঝে আছে একটি প্রশ্ন। এমনকি অনেকেই আবার এটাও হয়তোবা খুঁজছেন যে, কোনো ইনভেস্ট ছাড়া ব্যবসা করা যায় কি-না! টাকা ছাড়া কিভাবে ব্যবসা করা যায় আমরা এই বিষয় নিয়ে আমরা অন্য আরেকটি আর্টিকেলে বিস্তারিত কথা বলবো। আপনি চাইলেই গ্রামে ছোট ব্যবসা, মাঝারি আকারের ব্যবসা থেকে শুরু করে বড় ব্যবসা করতে পারবেন।

আপনি শুধুমাত্র ১০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন গ্রামে বসে থেকেই। আর আপনার পূঁজির পরিমাণ যদি বেশি হয় তবে ১ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে ভালো ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে সবথেকে লাভজনক ব্যবসা যেগুলো আছে সেগুলো সম্পর্কে যদি আপনি জানতে পারেন তবে আপনার জন্যে গ্রামে বিজনেস আইডিয়া জানতে সোজা হবে এবং অনেক সহজ হবে আপনার সিদ্ধান্ত নিতে। কারণ সবার সকল ব্যবসা পছন্দ না আবার গ্রামে থেকে সকল ব্যবসা করাও যায়না। 

তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেলে এমন কিছু গ্রামে লাভজনক ব্যবসা ধারণা নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো আপনি গ্রামে বসে সহজেই করতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া, গ্রামে লাভজনক ব্যবসা ২০২২, গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া, গ্রামে বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে। যেগুলো আপনি গ্রামে বসে করতে পারবেন। চলুন তাহলে কিছু গ্রামে বিজনেস আইডিয়া গুলো জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃ রক্তদানের আগে যা জানা জরুরি | রক্তদানের আগে যে বিষয়গুলো মানা জরুরি

গ্রামে লাভজনক ব্যবসা - গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া

বাংলাদেশ এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের বেশিরভাগ গ্রামঅঞ্চলের মানুষের প্রধান জীবিকা নির্বাহ কাজ হচ্ছে চাষবাদ অর্থাৎ কৃষিকাজ। এই দুই দেশের বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছেন যারা গ্রামে বসবাস করেন, অনেকেই গ্রামে বেকার বসে আছেন কিংবা পড়াশুনা শেষ করে কোনো চাকরি না পেয়ে গ্রামে বসে আছেন। আর তাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা কৃষিকাজে আগ্রহী নয়।

কিন্তু তারা নিজের মনের মতো করে একটা গ্রামে বিজনেস শুরু করতে চান। কিন্তু তাদের মাঝে অনেকেই সঠিক বুঝতে পারেনা যে কোনো বিষয়ের উপরে তার বিজনেস শুরু করবে। কেননা শহরের মতো করে গ্রামে সুযোগ সুবিধে নেই। কিন্তু তার মানে এই না যে, গ্রাম অঞ্চলে ব্যবসা শুরু করার কোনো সুযোগ সুবিধে নাই। বর্তমানে গ্রামে অনেক ছোট ছোট স্টার্টআপ হচ্ছে, এখন সকল চাচ্ছে সাবলম্বী হতে আর সেটাই স্বাভাবিক।

গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া বা গ্রামে বিজনেস আইডিয়া এবং সুযোগ দুটোই আছে। সকল ব্যবসা নয় কিছু ব্যবসা রয়েছে যেগুলো গ্রামঅঞ্চলে শুরু করতে পারলে সেরা গ্রামে বিজনেস আইডিয়া হয়ে উঠবে। গ্রামে ব্যবসা শুরু করার জন্যে আপনাকে খুব বেশি টাকা কিংবা বিনিয়োগ করার প্রয়োজন হবেনা। আপনি খুবই সামান্য টাকা বিনিয়োগ করার মাধ্যমে একটা সুন্দর বিজনেস শুরু করতে পারবেন।

যদি আপনি গ্রামে বাস করেন আর আপনি যদি চান নিজের একটা সফল ব্যবসা শুরু করবেন তবে আমাদের আজকের এই গ্রামে লাভজনক ব্যবসা, গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কথা বলবো কয়েকটি গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া, গ্রামে লাভজনক ব্যবসা, গ্রামে বিজনেস আইডিয়া। আশা করি আলোচনা করা বিজনেস আইডিয়া থেকে আপনি যেকোনো একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ নুডুলস এর উপকারিতা ও অপকারিতা

১। হস্ত শিল্পের কাজ - গ্রামে লাভজনক ব্যবসা

হস্তশিল্পের চাহিদা যুগ যুগ ধরে আছে এবং এটা ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যৎতেও থাকবে। হস্তশিল্প হচ্ছে আমাদের ঐতিহ্য তবে হস্তশিল্পের কাজ করেই মানুষ অনেক বেশি পরিমাণে টাকা উপার্জন করছে। বর্তমান সময়ে গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের জীবনে হস্তশিল্পের চাহিদা পূর্বের থেকে অনেকগুণে বেশি।

যদি আপনি ভালো হস্তশিল্পের প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে সেটা খুবই ভালো চলবে। তাই আপনি চাইলেই হস্তশিল্পের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা জীবনের সূচনা করতে পারেন। গ্রামঅঞ্চলে আপনি হস্তশিল্পের অনেক কারিগর পেয়ে যাবেন তাও আবার অল্প খরচে। হস্তশিল্পের কাজ করে স্বাবলম্বী হয়েছে এই রকম হাজার হাজার উদাহরণ রয়েছে।

গ্রামের মানুষজন বিভিন্ন ধরনের গয়না, জামা, মালা, পুতুল, খেলনা, নকশি কাথা, হাঁড়িপাতিল সহ আরো অনেক বাহারি ডিজাইনের নতুন নতুন সকল জিনিস তৈরি করে লাখ লাখ টাকা আয় করছে। আপনি চাইলে গ্রামে এই হস্তশিল্পের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বিভিন্ন জনপ্রিয় কিছু হস্তশিল্প হলোঃ 

নকশি কাঁথা, শীতল পাটি, মাটির পাত্র, গয়না বা অলঙ্কার, বেতের শিল্প, কাঠের তৈরি পণ্য, বাঁশের তৈরি পণ্য, পাটের পুতুল বা অন্যান্য পণ্য। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, আপনি চাইলে এসকল শিল্প আন্তর্জাতিক বাজারগুলোতে বিক্রি করতে পারবেন। প্রাথমিক ভাবে আপনি আলী বাবার ডটকম ওয়েবসাইটের সেলার হিসেবেও এই কাজ শুরু করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে ভালো মানুষ হওয়া যায়

২। মাশরুম চাষ - গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া

আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা মাশরুম সম্পর্কে জানেন। গত কয়েক বছর ধরে নিরামিষ খাবার হিসাবে মাশরুমের চাহিদা অনেক বেশিই বৃদ্ধি হয়েছে। তবে হ্যাঁ মাশরুমের চাহিদা সবথেকে বেশি শহর অঞ্চলে হয়, তবে শহরঅঞ্চলে সেইভাবে মাশরুম চাষ করার জায়গা কিংবা অনুকূল পরিবেশ কোনোটাই নাই। 

আর এই মাশরুমের চাষ বেশিরভাগ গ্রামঅঞ্চলে হয়ে থাকে। অনেকেই হয়তোবা ইতিমধ্যে ভাবছেন যে, মাশরুম তো সেই চাষবাদের মতোই হয়ে গেলো যে, মাঠে ময়দানে গিয়ে কাজ করার প্রয়োজন হবে, তাইলে হ্যাঁ আপনাদের অনেকের ধারণাটাই ভুল। মাশরুম আপনি অন্য পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে পারবেন। 

আপনি চাইলেই আপনার গ্রামে কোনো একটি ভালো জায়গায় কিংবা আপনার বসতবাড়িতে যদি ফাঁকা জায়গা থাকে তাহলে সেখানেও ছোট্ট আকারে মাশরুমের চাষ শুরু করতে পারেন। মাশরুম চাষের ব্যবসায় খরচের তুলনায় লাভের পরিমাণ অনেক বেশি। আর হ্যাঁ মাশরুম বিক্রি করা নিয়ে আপনার ভাবার কোনো প্রয়োজন নাই।

কেননা পূর্বেই বললাম মাশরুমের চাহিদা শহরঅঞ্চলে অনেক বেশি। মাশরুমের চাহিদা শুধুমাত্র আমাদের দেশেই নয় বরং মাশরুমের চাহিদা বিদেশেও অনেক। মাশরুম চাষের ব্যবসা যদি আপনি ছোট আকারে শুরু করেন তাহলে আপনাকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার পরিমাণ বিনিয়োগ কিংবা ইনভেস্টমেন্ট করতে প্রায়। আর যদি এই ব্যবসা বড় আকারে শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে প্রায় ১ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ বা ইনভেস্ট করতেহবে।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে বুঝব দোয়া কবুল হয়েছে

৩। কৃষি পণ্যের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা — সার, বীজ ও কীটনাশকের ব্যবসা

গ্রাম অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষের প্রধান পেশা হচ্ছে কৃষিকাজ। আর তাই কৃষিকাজ করতে গেলে সেখানে সার ও কীটনাশক এবং বীজের প্রয়োজন হবেই। কৃষিকাজের জন্য জরুরি এমন অনেক প্রোডাক্টের দরকার আছে। যেমন, সার, কীটনাশক, ফসলের বীজ এবং আরো বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি। আপনি চাইলেই এই সকল পণ্যের পাইকারি কিংবা খুচরা ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। 

কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলে আপনি সার, কিটনাশক, বীজের ডিলারশীপও পেতে পারেন। গ্রাম অঞ্চলের এই ব্যবসা করে, ক্ষেত্র বিশেষ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি এই ব্যবসা ছোট আকারে শুরু করতে চান তাহলে খুবই বেশি টাকা বিনিয়োগ বা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন নেই। 

কিন্তু যদি আপনি এই ব্যবসা বড় আকারে শুরু করতে চান অর্থাৎ সার, কিটনাশক এবং বীজের পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে বেশি টাকা বিনিয়োগ বা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন রয়েছে। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে সরকার থেকে লাইসেন্স। এই সার, কিটনাশকের ব্যবসা শুরু করার জন্যে আপনাকে কিছু উচ্চমানের সার, কিটনাশক ও বীজ কিনতে হবে। 

আর এই ব্যবসা করার জন্যে একটি জায়গা অর্থাৎ দোকানের প্রয়োজন হবে। এই ব্যবসাটি ছোট আকারে শুরু করতে চাইলে মোটামুটি ১০ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা ইনভেস্ট বা বিনিয়োগ করা লাগবে এবং বড় আকারে অর্থাৎ পাইকারি ভাবে এই ব্যবসা শুরু করতে চাইলে মোটামুটি ২ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনভেস্ট বা বিনিয়োগ করা লাগতে পারে।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল | অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম

৪। ফার্মেসী ব্যবসা - গ্রামে বিজনেস আইডিয়া

গ্রাম অঞ্চলের মানুষজনেও কিন্ত ঔষধের দরকার হয়। শহরাঞ্চলের মতো গ্রাম অঞ্চলেও ওষুধের চাহিদা আছে ব্যাপক। গ্রামাঞ্চলে কোনো ব্যক্তির রোগব্যাধি হলে তাকে নিয়ে অনেক দূর যেতে হয় ডাক্তার দেখানোর জন্য এবং ওষুধের জন্য। এছাড়াও আবার গ্রামে অনেক সময় একটি ঔষধ কেনার জন্য শহরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই আপনি চাইলেই গ্রামে এই ফার্মেসির ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সঠিক সময়ে ওষুধ না পাওয়ার ফলে রোগীর মৃ- ত্যু পর্যন্ত হয়। তাই যদি আপনি আপনার গ্রামে একটি ওষুধের দোকান খুলতে পারেন, তবে আপনার ব্যবসার ভবিষৎ নিয়ে ভাবার প্রয়োজন হবেনা। আর আপনার জন্য এটি সেরা গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া বা গ্রামে লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। 

ফার্মেসি ব্যবসার শুরু করার পূর্বে একটা ব্যাপার আপনার অবশ্যই জেনে রাখতে হবে, তা হচ্ছে হঠাৎ করেই আপনি এই গ্রামে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। কারণ আপনি কোন ঔষধ কোন কাজের জন্য সেই সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তাই আপনি সর্বপ্রথম কোনো ওষুধের দোকানে মিনিমাম ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় ধরে কাজ করুন, তারপরে আপনার নিজেই ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করুন।

গ্রামে কিংবা বাজারে যদি একটা ফার্মেসীর দোকান থাকে তবে কিন্তু সেখান থেকে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। যদি আপনি ফার্মেসী বিষয়ে পড়াশুনা করে থাকেন কিংবা ফার্মেসি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন তবে সেটা কিন্তু আপনার জন্য খুব ভালো। আপনি বাজারে কিংবা যেখানে হসপিটাল রয়েছে এমন জায়গায় যদি একটা ফার্মেসীর দোকান দিতে পারেন তবে আপনার দোকান থেকে ঔষধ কেনাবেচা অনেক ভালো হবে আর এটা হচ্ছে একটা গ্রামে লাভজনক ব্যবসা।

আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন সংশোধন - জন্ম নিবন্ধন সংশোধন অনলাইন

৫। মুরগির খামার বা ফার্ম - গ্রামে পোলট্রি খামারের ব্যবসা

মুরগি খামার ব্যবসা সম্পর্কে আশা করি আপনারা সকলেই জানেন এবং দেখেছেন। আপনি হয়তোবা ভাবছেন গ্রামে পোলট্রি খামার বা মুরগির খামার ব্যবসা এই আর নতুন কি? কেননা মুরগি খামারের ব্যবসা বেশিরভাগ গ্রাম অঞ্চলে দেখা যায়। মুরগির খামারের ব্যবসা হচ্ছে একটি গ্রামে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে একটি। 

আর বর্তমান সময়ে মুরগির মাংসের চাহিদা কেমন বেশি সেই সম্পর্কে আপনি নিশ্চয় জেনে থাকবেন। কারণ গ্রামের মানুষ বর্তমানে মাছের চেয়ে পোলট্রি মুরগির মাংস বেশি বেশি খায় এবং এই মুরগির মাংস সারা বছর ধরে পাওয়া যায়। তাই বাজারের পাশে অথবা নিজের গ্রামে কোনো জায়গায় একটি পোলট্রি খামারের ব্যবসা আপনি শুরু করতে পারেন। আশা করি এখান থেকে লাভ নিয়ে আপনার চিন্তা করার প্রয়োজন হবেনা।

একটি পোল্ট্রি মুরগির খামার বা ফার্ম তৈরী করার জন্যে আপনার সামান্য কিছু জায়গার দরকার হবে। যদি আপনার নিজের কোনো জায়গা থাকে তাহলে তো আরো ভালো আর যদি নিজের কোনো জায়গা না থাকে তাহলে অন্য কারো জমি ভাড়া হিসাবে নিয়ে আপনি আপনার মুরগির খামার বা ফার্ম ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। 

মুরগির খামার ব্যবসার শুরুতেই একজন বিক্রেতার সঙ্গে চুক্তি করতে হবে, যে ব্যক্তি আপনাকে মুরগির ছানা, প্রয়োজনীয় মুরগির খাবার এইসকল সরবরাহ করবে ও কিছু নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনাকে আপনার মুরগিগুলোকে প্রতিপালন করতে হবে। পরবর্তীতে যখন মুরগিগুলো বড় হয়ে যাবে, তখন আপনার কাছে বিক্রেতাগণ মুরগির ওজন হিসাবে ক্রয় করবে।

আপনি যদি মুরগি ফার্ম ব্যবসা শুরুতে নিজেই সবকিছু করতে চান, অর্থাৎ মুরগির খাবার কেনা থেকে শুরু করে মুরগি প্রতিপালন করে বাজারে বিক্রি করা। তবে আপনার ফার্ম ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, কারণ ব্যবসার শুরুতেই এই কাজ করার জন্য অন্য কোনো পারদর্শী মানুষের সাথে আপনার কোনো যোগাযোগ নেই। তাই এই মুরগির ফার্ম ব্যবসার শুরুতে এতটা বেশি ঝুঁকি কিংবা রিস্ক নেওয়াটা উচিত না। তাই আপনি যদি ব্যবসার শুরুতে চুক্তি ভিত্তিতে কাজ করতে পারেন তবে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কম হবে এবং ঝুঁকিও কম থাকবে। 

এই গ্রামে লাভজনক ব্যবসা বা পোন্ট্রি ফার্ম ছোট আকারে শুরু করতে চাইলে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যে করতে পারবেন এবং মুরগির ফার্ম বড় আকারে অর্থাৎ অনেক বেশি জায়গা নিয়ে শুরু করতে চাইলে ২ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকার পরিমাণ বিনিয়োগ বা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হবে।

আরো পড়ুনঃ টিন সার্টিফিকেট কি - টিন সার্টিফিকেট কিভাবে করবো

৬। মোবাইল রিচার্জ, বিকাশ ও অনলাইন সেবা

গ্রামঅঞ্চলে বর্তমানে টেকনোলজির ছোঁয়া লেগেছে। মোবাইল রিচার্জ, বিকাশের ব্যবসা আপনি শহরে কয়েকটি দোকান পরপরই দেখতে পাবেন। কিন্তু অনেক গ্রাম আছে যেখানে এখনও একটি বিকাশ, ফ্লেক্সিলোডের দোকান নেই। আপনার গ্রামে যদি এই ধরনের দোকান না থাকে তবে আজই শুরু করে দিন ফ্লেক্সিলোড, বিকাশ, রকেট, নগদের দোকান। 

তারপর সেখান থেকে লাভ কেমন হবে আপনি প্রতিদিনই নিজেই বুঝতে পারবেন। মোবাইল রিচার্জ, বিকাশ, নগদ, রকেটে টাকা লেনদেনের কাজ করার জন্য ২ টা সাধারণ মোবাইল হলেই হবে। তাই যদি আপনার ফ্লেক্সিলোড, বিকাশ, নগদ, রকেট আর অনলাইন সেবার দোকান থাকে তাহলে আমি আশা করি আপনার ব্যবসাটাও অনেক ভালো হবে। 

দোকান থেকে ফ্লেক্সিলোড দিবেন, নগদ, বিকাশ, রকেটের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করবেন এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে মানুষের বিভিন্ন কাজ করে দিবেন। যেমনঃ ভর্তি, ফর্ম ফিলাপ, চাকরির বিষয়সহ বিভিন্ন সেবা দিয়ে টাকা আয় করবেন। আপনি চাইলে গ্রামে এই লাভজনক ব্যবসাটা শুরু করতে পারবেন। এছাড়া, আপনি দোকানে মোবাইলের অন্যান্য সামগ্রী যেমনঃ কাভার, হেডফোন, চার্জার ইত্যাদি রাখতে পারেন। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে, মোবাইল মেরামতের কাজও শুরু করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী

৭। ট্রেনিং সেন্টার

আপনি গ্রামে ট্রেনিং সেন্টার খুলে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই ট্রেনিং সেন্টার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমনঃ কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, হস্তশিল্পের ট্রেনিং সেন্টার, কোচিং সেন্টার, বিভিন্ন কাজের ট্রেনিং সেন্টার ইত্যাদি। তবে হ্যাঁ, আপনি কি ধরনের ট্রেনিং সেন্টার করবেন সেটার উপর ভিত্তি করেই আপনাকে জায়গা সিলেক্ট করতে হবে। তবে আমি বলবো কম্পিউটার ট্রেনিং কিংবা কোচিং সেন্টার স্কুল-কলেজ কিংবা বাজারের আশেপাশে খোলার চেষ্টা করুন। যার ফলে সহজেই আপনার ব্যবসার প্রচার হবে এবং সেই ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে মানুষ ভর্তি হওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠবে।

৮। মোবাইল মেরামত বা রিপেয়ারিং কাজ 

পূর্বের বিভিন্ন আর্টিকেলে আগেই বলেছি যে, বর্তমানে প্রতিটি ব্যক্তি অন্তত একটা করে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করেনা এমন মানুষ আপনি হয়তোবা খুঁজে পাবেন না। বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, আর এই ডিজিটাল যুগে মানুষ বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল প্রোডাক্ট কিনে থাকেন এবং সেই প্রোডাক্টগুলোর আবার বিভিন্ন সমস্যাও হয় অনেক। ডিভাইস থাকলে সেটা নষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। 

মোবাইল খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে সেটা ঠিক করার জন্য গ্রামে কোনো দক্ষ ব্যক্তি বা দোকান পাওয়া যায়না। যার কারণে শহরে যায় নষ্ট মোবাইল মেরামত করার জন্য। তাই যদি আপনি সেই মোবাইলের সমস্যা সমাধান বা মেরামত করে দিতে পারেন তবে আপনি কাজ করার বিনিময়ে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি নিজেও চিন্তা করতে পারবেন না যে এই মোবাইল মেরামত করার জন্য কত কাজ আছে। 

যদি আপনি একটা দোকান দিতে পারেন আশাকরি কাজ করে শেষ করতে পারবেন না এবং এইখানে লসের কোনো সম্ভাবনা নেই। সাথে যদি দোকানে কিছু ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট তুলতে পারেন সেটা বিক্রি করে কিন্তু অনেক টাকা আয় করতে পারেন। যদি আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন তবে আপনার জন্য এটি গ্রামে ব্যবসার সেরা আইডিয়া হবে। 

তবে হ্যাঁ একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মাথায় রাখতে হবে সেটা হচ্ছে আপনাকে মোবাইল মেরামতের কাজ করার জন্য সেটা সম্পর্কে জানতে হবে। নয়তোবা আপনি এই মোবাইল মেরামতের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না বিভিন্ন ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য ১০ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকার মতো ইনভেস্ট করার দরকার হবে।

আরো পড়ুনঃ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি

৯। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র 

শহরাঞ্চলের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান সময়ে গ্রামে কম্পিউটার শেখার প্রচলন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে গ্রামের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করার পাশাপাশি কম্পিউটার শেখার জন্য আগ্রহী প্রকাশ করছে। তাই গ্রামের ছেলেমেয়েরা শহরে যাচ্ছে কম্পিউটার শেখার জন্য, কিন্তু হ্যাঁ গ্রামে অনেকেই রয়েছেন যাদের শহরে গিয়ে বেশি টাকা খরচ করে কম্পিউটার শেখার মতো আর্থিক সক্ষমতা নেই।

যার কারণে তাদের কম্পিউটার শেখার স্বপ্নটা বাস্তব আর হয়ে উঠেনা। যদি আপনার মাঝে কম্পিউটার সম্পর্কে ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তবে আপনি আপনার এলাকায় একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলতে পারেন। আপনি একটা বড় দোকান ভাড়া নিয়ে কিংবা যদি আপনার নিজের বাসা বাড়িতে জায়গা থাকে তবে সেখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলতে পারেন। 

আর হ্যাঁ বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধে দিচ্ছে কম্পিউটার শিক্ষার জন্য, যাতে সবাই কম্পিউটার সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পারে। আপনি চাইলে সেই সরকারি সুযোগকে কাজ লাগিয়ে এই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। 

গ্রামে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্যবসা ছোট আকারে শুরু করার জন্য প্রায় ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা দরকার হবে। আর আপনি যদি আপনার কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে বড় করতে চান, তবে তখন আপনাকে বেশি কম্পিউটার মেশিন ক্রয় করতে হবে আর সেক্ষেত্রে বিনিয়োগ বা ইনভেস্ট বেশি করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই

১০। টিউটোরিয়াল পরিষেবা 

যদি আপনি শিক্ষকতা করতে ভালোবাসেন, তবে টিউটোরিয়াল আপনার জন্য সেরা গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া বা গ্রামে বিজনেস আইডিয়া হতে পারে। পূর্বে একটা সময় ছিল যখন গ্রামে পড়াশুনা করার প্রচলন তেমন বেশি ছিলনা। কিন্তু হ্যাঁ বর্তমান গ্রামের ছেলে-মেয়েরা উচ্চ শিক্ষিত হচ্ছে, এমনকি গ্রামের ছেলে-মেয়েরা ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার হচ্ছে।

গ্রামের ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনা করার জন্য কিংবা টিউশন করার জন্যে অনেক দূর পর্যন্ত আস-যাওয়া করে থাকে এমংকি শহরে গিয়ে টিউশন করে। যদি আপনি একটি কোচিং সেন্টার খুলে টিউশন শুরু করে দিতে পারেন, তবে সেই ছেলে-মেয়েরা আপনার কাছে টিউশন পড়তে চলে আসবে, সেক্ষেত্রে তাদেরকে আর বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হবেনা।

তবে হ্যাঁ একটা কথা অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে, আপনি যে বিষয়ের উপর টিউশন করাবেন সেই বিষয়ের উপরে আপনার ভালোভাবে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা রাখতে হবে। আপনি এই ব্যবসা আপনার বাড়ি থেকে শুরু করতে পারেন। মজার বিষয় হলো এই ব্যবসা করার জন্য আপনার কোনো ধরনের বিনিয়োগ বা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন নেই। আমার কাছে এই ব্যবসাটি সবথেকে সেরা গ্রামে ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে একটা মনে হয়েছে। কেননা এখানে কোনো ইনভেস্ট বা বিনিয়োগ করার দরকার নেই।

১১। কাঁচামালের ব্যবসা

যদি আপনি কাঁচামালের ব্যবসা শুরু করেন তবে আপনি প্রতিদিন অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। কাঁচা সবজির প্রয়োজন নেই এমন মানুষ খুজে পাওয়াই মুশকিল। বাঁচতে হলে খেতে হবে আর এই খেতে হলে কাঁচামাল অর্থাৎ সবজি প্রতিদিনই মানুষের দরকার হবে। শহরের প্রায় সকল কাঁচামাল এবং সবজিগুলো কিন্ত গ্রাম থেকেই চলে আসে। 

সুতরাং, যদি আপনি গ্রামে বসবাস করেন তবে, এই কাঁচামালের ব্যবসা আপনার জন্যে সবথেকে উত্তম ব্যবসা হবে। আপনি চাইলেই গ্রাম থেকে কাঁচামাল পাইকারি কিনে গ্রামেই খুচরা ব্যবসা করতে পারেন। আর এই ভাবে কাজ করলে তাহলে দেখবেন আপনার প্রতিদিন অনেক টাকা লাভ হচ্ছে। আপনার বাজারে যে কাঁচামালের বেশি চাহিদা সেই কাঁচামালই আপনি বেশি বেশি নিয়ে আসেন দেখবেন ভালো বেচাকেনা হবে। 

এই ব্যবসাটা হচ্ছে সহজ আর কম পূজিতে করতে পারবেন এবং এটা বেশ লাভজনক। এছাড়াও শহরের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলে, শহরে পাইকারি দামে কাঁচামাল বিক্রি করতে পারবেন। আপনি চাইলে স্বল্প পুঁজিতেই কাঁচামাল ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। আমার কাছে এটা গ্রামে লাভজনক ব্যবসা এর মধ্যে সেরা মনে হয়ছে।

আরো পড়ুনঃ নতুন নিয়মে যুক্তরাজ্যের স্টুডেন্ট ভিসা

১২। কসমেটিক্স ও লাইব্রেরি

গ্রামে কসমেটিক্স এবং লাইব্রেরি এখনোও খুবই কম দেখা যায়। আর যদিওবা এগুলো থাকে তবে সেখানে সেখানে চাহিদা অনুযায়ী সবকিছু পাওয়া যায়না। আপনাকে হয়তো অনেক দূরের ছোটো শহরে যাওয়ার দরকার হয় আপনার প্রয়োজনীয় স্টেশনারি জিনিসপত্র ক্রয় করার জন্য কিংবা বই-খাতা কেনার জন্যে।

একটি গ্রামে অন্তত একটি ভালোমানের স্টেশনারি/লাইব্রেরি দেওয়া গেলে অনেক ভালো হবে। বর্তমানে প্রতিটি গ্রামেই আছে কিন্ডার গার্টেন, প্রাইমারী স্কুল, মাদ্রাসা ও অনেক গ্রামেই উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল আছে। আপনার গ্রামে একটি ভালোমানের স্টেশনারি/লাইব্রেরি থাকা মানে আশাপাশের গ্রাম থেকেও আপনি ক্রেতা পাবেন। বাজার কিংবা স্কুল-কলেজের পাশে যদি আপনি একটা কসমেটিক্স এবং লাইব্রেরীর দোকান দিতে পারেন তবে আপনার ভালো বেচাকেনা হবে। আর এসকল পণ্যের থেকে অনেক বেশি লাভ করা যায়।

১৩। গাড়ি মেরামত করার দোকান 

দুই চাকার গাড়ী অর্থাৎ মোটর সাইকেল নাই এই রকম বাড়ী আজকার খুব কম আছে। আমার নিজের বাড়িতেই মোটর সাইকেল নেই, যাহোক মজা করলাম😀 যদি গাড়ি থাকে তাহলে সেটা তাে নষ্ট হবেই আর নষ্ট জিনিসকে মেরামতের প্রয়োজন আছ। সচরাচর দেখা যায় গ্রামের দিকে গাড়ির গ্যারেজ কিংবা গাড়ি মেরামতের দোকান খুবই অল্পসংখ্যক। যদি কারোর গাড়ি হঠাৎ করে নষ্ট বা খারাপ হয়ে যায়, সেই সময়ে তাদের ভীষণ বিপদে পরতে হয় এবং উক্ত খারাপ গাড়ি ঠিক করার জন্য অনেক দূর পর্যন্ত যাওয়ার দরকার হয়। 

যদি আপনি মোটর সাইকেল মেরামতের কাজ জেনে থাকে তবে একটা ছোটো দোকান ভাড়া নিয়ে সেখানে মোটর সাইকেল সারানোর জন্যে কিছু যন্ত্রপাতি এবং টুলস ক্রয় করে এই গাড়ী মেরামতের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। এই গাড়ি মেরামত করার ব্যবসায় আপনাকে বিনিয়োগ বা ইনভেস্ট করতে হবে প্রায় ১৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা বা তারও বেশি। 

আরো পড়ুনঃ সার্টিফিকেট তোলার আবেদন | সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে করণীয়

১৪। ফাস্টফুডের দোকান - তেলেভাজার দোকান

শহরে ছোট বড় রেস্তোরা বা রেস্টুরেন্টের অভাব নেই, কিন্তু গ্রামেদেরকে রেস্তোরা বা খাবারের দোকান তুলনামূলক ভাবে কম হয়ে থাকে। যদি আপনি একটা ছোট দোকান বা আপনার বাড়ির সামনে যদি জায়গা থাকে সেখানে আপনি খাবারের দোকান খুলতে পারেন।

খাবারের ব্যবসার মতো ব্যবসা হয়না সেটা আপনি ভালোভাবেই জানেন। খুবই অল্প বিনিয়োগে আপনি এই ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন। তবে আপনাকে আপনার খাবারের গুণমান এবং স্বাদ ভালো রাখতে হবে। এইসকল দেখে যদি আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন তবে আপনার জন্যে এটি সেরা গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া হবে। এই ব্যবসা করার জন্য আপনি ৫ হাজার টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা দিয়ে খুবই সহজে শুরু করতে পারবেন।

ফাস্ট ফুড এখন মানুষ খুবই বেশিই পছন্দ করে। তাই যদি আপনি একটা ফাস্ট ফুডের দোকান খুলে বসেন তাহলে আশা করি সেটা ভালোই চলবে। ফাস্ট ফুডের বিভিন্ন আইটেম আপনি যদি ভালোভাবে করতে পারেন তবে প্রতিদিন ভালো বেচাকেনা হবে আর লাভও অনেক। তবে সার্ভিসটা কিন্ত ভালো দিতে হবে এবং সাধের রেচিপি বানাতে হবে।

১৫। বিউটি পার্লার

যদি আপনি সৌখিন প্রিয় হোন এবং গ্রামে একটি স্মার্ট ব্যবসা করতে চান তবে বিউটি পার্লার আপনার প্রথম পছন্দ হতে পারে। আমি দেখেছি গ্রামের অনেক বিয়েতে মেয়েরা অনেক দূর দুরান্ত থেকে বিউটি পার্লারের কর্মীদেরকে বাড়িতে নিয়ে এসে নিজেদের সৌন্দর্যের কাজ করে নিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে যে ব্যক্তি সাজাতে আসেন উনার যাওয়া আসার ভাড়া পর্যন্ত দিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। এবং উনার কাজের পারিশ্রমিক তো রয়েছেই।

সুতরাং, একবার চিন্তা করুন তো যদি আপনি কয়েকটি আপনার আশেপাশের কয়েকটি গ্রামকে টার্গেট করে আপনার গ্রামে একটি বিউটি পার্লার দিতে পারেন তবে কেমন হয়। সেবা ও মান ঠিক রাখতে পারলেই খুব অল্প সময়ে আপনার ব্যবসার সুনাম ছড়িয়ে যাবে চারপাশে।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা

১৬। দই মিষ্টি ও ফলের দোকান

দই মিষ্টি এবং ফল পছন্দ করে না এমন মানুষজন হয়তো খুজে পাওয়া মুশকিল। যদি আপনি বাজারে কিংবা আপনার গ্রামের ভালো পজিশনে একটা দই মিষ্টি এবং ফলের দোকান দিতে পারেন তাহলে আমি আশা করি ভালো বেচাকেনা হবে। ভালোমানের দই এবং মিষ্টি বানালে সবাই আপনার কাছে থেকেই ক্রয় করবে।

১৭। জামা কাপড় ও গার্মেন্টস ব্যবসা

বাজারে আপনার যদি একটি জামা-কাপড় অথবা গার্মেন্টস প্রোডাক্টের ব্যবসা থাকে তবে আপনি অনেক প্রোফিট পেতে পারেন। বিশেষ করে ঈদ, পূজায় বা কোনো উৎসবে আপনি ভালো বেচাকেনা করতে পারবেন আর হ্যাঁ পুরো বছর তো কমবেশি কাপড় বিক্রি হবেই। অল্প টাকায় বেশ লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে এটি।

১৮। পাইকারি ব্যবসা

আপনার যদি বাজারের আশেপাশে একটা পাইকারি দোকান থাকে তবে কিন্তু সবাই অনেক খুশি হবে। আর আপনার কাছে থেকে বাজারের দোকান মালিকরা আপনার দোকান থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে অনেক বেশি লাভবান হতে পারবে। কেননা তাদেরকে আর অনেক দূরে যেতে হচ্ছেনা তাদের প্রয়োজনীয় প্রোডাক্টগুলো কেনার। এতে করে সময় এবং খরচ উভয় বাঁচলো। হ্যাঁ অবশ্যই আপনি বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পাইকারি ব্যবসা চালু করবেন।

আরো পড়ুনঃ ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২ | নতুন পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২

১৯। ভালোমানের মুদি দোকান

মুদি দোকান গ্রামে অনেক দেখা গেলেও সেগুলো এই আছে তো ঐ নাই। গ্রামের বেশিরভাগ মুদি দোকানগুলোতে দরকারী অনেক জিনিসই পাওয়া যায়না। তাই একটি ভালোমানের মুদির দোকান প্রতিটি গ্রামেই চলবে। মুদি দোকান এমন একটি ব্যবসা যা সকলের কাছেই পরিচিত এবং সবথেকে দরকারী।

বর্তমানে মানুষ মুদি দোকান দিয়েও কিন্তু লাখ লাখ টাকা আয় করছে। যদি আপনার একটা ভালোমানের মুদি দোকান থাকে তবে প্রতিদিন আপনার নগদ আয় হবে। আপনি যদি ব্যবসা ঠিকভাবে বোঝেন আর ঠিকমত করতে পারেন তবে আপনি আঙুল ফুলে কলা কাছের মতো হয়ে উঠে যাবেন। দেখবেন একটা সময়ে আপনি অনেক টাকার মালিক হয়ে গেছেন।

মুদি দোকানে মূলত যেসকল প্রোডাক্ট থাকে তাহলো। চাল, ডাল, তৈল, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, সেমাই, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ, হলুদ, জিরা-মসলা, আলু, গুড়, মুড়ি, সাবান, সোডা, বিড়ি, পান-সুপারী, সিগারেট, হলুদ, বিস্কুট, চিড়া, মুড়ি, চকলেট, বাদাম, চানাচুর, ডিম, কেরোসিন তেল, বাল্ব, তেজপাতা, চিপস, ডিম, দুধ, শুকনা মরিচ, চা পাতা, মশার কয়েল, চিনি, কাগজ, আরো অনেক ধরনের প্রোডাক্ট তাছাড়া ফ্রিজের জিনিস- যেমন বরফ, পেপসি, জুস, ঠাণ্ডা ইত্যাদি আরো হাজারও পদ আছে যা আপনি মুদি দোকানে বিক্রি করতে পারবেন।

২০। মাছ চাষের সাথে হাস-মুরগি পালন 

আপনি হয়তোবা এই ব্যবসাটির আইডিয়াটা শুনছেন। কিন্তু আমি খুবই কম মানুষজনকে দেখেছি যারা গ্রামে মাছ চাষ করার সঙ্গে হাস-মুরগি পালন করেন। দেখছি যারা মাছ চাষাবাদ করেন তারা শুধু মাছ চাষই করে থাকেন। কিন্ত যদি আপনি একটু পরিশ্রম করে বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরী করে সেখানে হাস এবং মুরগি পালন করেন তবে আপনি একই জায়গায় ২টি ব্যবসা করতে পারবেন। তাতে আপনার লাভ যেমন দ্বিগুণ হবে পাশাপাশি মাছের খাবারগুলো আপনি পেয়ে যাবেন হাস-মুরগি থেকে।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে জিডি করার নিয়ম | জিডি করুন ঘরে বসে

২১। চা কফি এর দোকান

চা কফি প্রায় প্রতিটি বাজারেই খুব ভালো চলে, গ্রামের মানুষজন বিকাল হলেই চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে খুবই ভালবাসে। যদি আপনি চা ও কফির দোকান দিতে পারেন এবং ঠিকমতো ভালো সার্ভিস দেন তবে আপনার দোকান ভালো চলবে। হ্যাঁ এই ব্যবসায় অনেক লাভ।

২২। কাপড় ও কাগজের ব্যাগ তৈরি

ব্যাগ খুবই দরকারি একটি জিনিস যা আমাদের প্রায় প্রতিদিনই বহুল ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। তাই ব্যাগের কদরও বেশি। আপনি বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করা কাপর কিনে এনে সেলাই করার মাধ্যমে ব্যাগ তৈরি করে আপনার এলাকায় কিংবা শহরেও বিক্রি করতে পারবেন ভালো দামে। তাছাড়া বর্তমানে কাগজের ব্যাগেরও খুবই চাহিদা। তাই কাগজ কিনে আঠার সাহায্যে ব্যাগ বানিয়ে গ্রামের বাজারে, দোকানে এবং শহরেও পাইকারি ও খুচরা ভাবে সেল করতে পারবেন। আর এই ব্যবসায় খুব একটা বেশি মূলধনের প্রয়োজন হয়না। খুব কম খরচে আর সহজে এই ব্যবসা চালু করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়

২৩। মেকানিক্স বা ওয়ার্কশপ ব্যবসা

যদি আপনি মেকানিক্সের কাজ জানেন তাহলে তো খুবই ভালো, সাইকেল, হোন্ডার মেকানিক্সরা খুব ভালো টাকা আয় করে থাকে, আর ওয়ার্কশপের কাজে তো লাখ লাখ টাকা। যদি আপনি ওয়েল্ডিংয়ের কাজ জানেন তবে কিন্তু আপনি একটি দোকান দিয়ে ভালো কাজের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। দরজা, জানালা সহ ঘরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস বানিয়ে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। 

২৪। গ্রামে বসে কোয়েল পাখির ব্যবসা

অল্প বিনিয়োগে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে আপনি শুরু করতে পারেন কোয়েল পাখির ব্যবসা। অনেকেই আছেন যারা কোয়েল পাখির ব্যবসা করে আজ স্বাবলম্বী হয়েছেন। কোয়েল পাখির মাংস ও ডিম-এর আছে প্রচুর চাহিদা। যদি আপনি বানিজ্যিক ভাবে কোয়েল পাখির ব্যবসা করতে পারেন তবে আপনার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে পারে। ১ মাসের মাঝে একটি কোয়েল পাখি খাওয়ার উপযোগী হয়। আর ৬ থেকে ৮ সপ্তাহে পর্যন্ত ডিম দেওয়া শুরু করে। তাই অল্প সময়ে আপনি ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।

২৫। হোটেল বা খাবারের দোকান

যদি আপনার একটা হোটেল থাকে তবে কিন্তু আপনি সেখান থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি আপনার বাজারে একটা ভালোমানের হোটেল বা খাবারের দোকান দিতে পারেন। আর এই খারারগুলো যদি মানুষের সাদ্ধের মাঝে থাকে তাহলে আশা করি আপনার দোকান অনেক ভালো চলবে। তবে মানসম্মত খাবার এবং ভালো সার্ভিস হলে সবাই আপনার দোকানেই খাবে।

২৬। সবজি ও ফল চাষাবাদ

যদি আপনার চাষাবাদ করতে ভালো লাগে তবে আপনি চাষাবাদ করতে পারেন। জমি আপনার জমি থাকে তবে আপনি সেখানে বিভিন্ন ধরণের সবজি কিংবা ভালোমানের ফল চাষ করতে পারেন। দেখবেন বাজারে কোন সবজিটি বেশি খাচ্ছে সেই সবজিগুলো চাষ করুন আর ভাবুন কোন সবজিতে বেশি লাভ সেই সবজি চাষ করার চেষ্টা করবেন। বিভিন্ন আইটেমের সবজি চাষ করুন অথবা ভালোমানের কোনো ফল চাষ করার চেষ্টা করুন। ঠিকমত সার, কীটনাশক আর ভালো পরিচর্যা করলে ফলন ভালো পাবেন। 

আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন যাচাই | জন্ম নিবন্ধন সংশোধন | জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড

২৭। কাপড় সেলাইয়ের কাজ

অনেক পুরোনো একটি ব্যবসা হচ্ছে কাপড় সেলাই করার কাজ। অনেকেই আছেন যারা এই কাজ পারেন কিংবা জানেন। কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভালো কাজ কম মানুষই পারেন। যদি আপনি একটি সুন্দর নতুন ডিজাইনের কাপড় সেলাই করতে পারেন তবে আপনার জন্য এই ব্যবসাটি হবে উত্তম। বর্তমান সময়ে মানুষ সারাবছর নতুন কাপড় বানায়। তাই যদি আপনার সুনাম থাকে যে আপনি সুন্দর নতুন ডিজাইনের কাপড় সেলাই করতে পারেন তবে সকলেই আপনার কাছেই কাজ করতে চলে আসবে।

দর্জির ব্যবসা হচ্ছে একটি পুরাতন ব্যবসা। অতীতেও এই ব্যবসার শক্ত অবস্থান ছিলো, কিন্ত বর্তমানেও সেটা আছে। চাইলে আপনি, গ্রামে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কারণ মানুষ বেঁচে থাকলে তার জন্য জামা-কাপড় পড়া লাগবেই। আপনি নিজে কাজ না জানলে দোকানে কর্মচারী রাখুন। এছাড়া, জামা-কাপড় সেলাই করার পাশাপাশি নতুন নতুন সকল জামা কাপড় তৈরি করে বিক্রি করুন।

শেষ কথা

উপরে আলোচনা করা ২৭ টি গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া বা গ্রামে বিজনেস আইডিয়া এর মধ্যে আপনি যেকোনো একটি ব্যবসা সিলেক্ট করতে পারেন, আপনার নিজের ব্যবসার জন্যে, এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ব্যবসা আছে যেগুলো আপনি গ্রামে থেকে করতে পারবেন।

আপনি চাইলে সেগুলোর মাঝে কোনো একটা আইডিয়ার উপর কাজ শুরু করতে পারেন। এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে এই ২৭ টি গ্রামে ব্যবসার আইডিয়ার বা গ্রামে লাভজনক ব্যবসা এর মধ্যে আপনাকে সিলেক্ট করে নিতে হবে। আপনার যে কাজটি ঠিক মনে হয় আপনি সেই কাজের উপর শুরু করুন।

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের যে ২৭ টি গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া বা গ্রামে বিজনেস আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করলাম তার মধ্যে কোন ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করবেন সেটা কমেন্টে জানিয়ে দিন। আর যদি এগুলো সম্পর্কে কোনো সমস্যা হয় বা এই ২৭ টি গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া বা ২৭টি গ্রামে বিজনেস আইডিয়া মধ্যে কোনো ব্যবসার সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান, তবে অতি অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। আমরা আপনার কথার উপর ভিত্তি করে সেটা সম্পর্কে গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া এর উপর আলাদা একটা আর্টিকেল দেয়ার চেষ্টা করবো। 

তবে হ্যাঁ আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যেটাই করেন না কেন সকল কিছুই হিসাব করে করবেন। ব্যবসা যতটা সহজ আবার ততটা কঠিন। উপরের গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে আপনার যেটা ভালো লাগে সেটাই করার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন আপনি হিসাব রাখুন, আপনার লাভ ও লস হিসাব করুন। দেখবেন আপনি একদিন অনেক ভালোমানের ব্যবসায়ী হয়ে গেছেন। আশা করি গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া গুলো আপনাদের অনেক কাজে আসবে। ধন্যবাদ

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের ১০টি দর্শনীয় স্থান

পোষ্ট ক্যাটাগরি:

এখানে আপনার মতামত দিন

0মন্তব্যসমূহ

আপনার মন্তব্য লিখুন (0)