পরোটা খাওয়ার উপকারিতা | গমের রুটি খাওয়ার উপকারিতা

পরোটা খাওয়ার উপকারিতা | গমের রুটি খাওয়ার উপকারিতা — আমরা সকলেই জানি, পরোটা তৈরি করা হয়ে থাকে পুরো শস্য বা Whole Grain নামের পরিচিত গম থেকে। গমে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ও খনিজ এবং ফাইবার সঙ্গে তেল অথবা ঘি। যা একেবারে হচ্ছে সোনায় সোহাগা। পরোটা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে জেনে নেই যে, পুরো শস্য জিনিসটা মূলত কি?

পরোটা খাওয়ার উপকারিতা

পুরো শস্য কি

পুরো শস্য হচ্ছে ঘাসের মতো উদ্ভিদের বীজ যেটাকে সিরিয়াল বলে। বেশ কয়েকটি প্রচলিত জাতগুলো হচ্ছে ভুট্টা, চাল ও গম। পুরো-শস্য কার্নেলের আবার মূলত তিনটি অংশ আছে যেমনঃ ১। ব্রান- এটি শক্ত বাহ্যিক খোল। এই বাহ্যিক খোলে আছে ফাইবার, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ২। এন্ডোস্পার্মঃ এটি হচ্ছে মাঝের স্তর। দানা বেশির ভাগ কার্বস দিয়ে তৈরি। ৩। জার্মঃ এটি অভ্যন্তরীণ স্তরে ভিটামিন, খনিজ ও প্রোটিন এবং উদ্ভিদ যৌগ আছে।

পরোটা দ্রুত শক্তি যোগায়

পরোটা কিংবা গমের কার্বোহাইড্রেট দ্রুত শক্তি যোগায় এই কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। পরিশোধিত গমে কিংবা ময়দায় অর্থাৎ ব্রান বা খোসা ফেলে দেওয়া হয় বলে ফাইবার কম থাকলেও এন্ডোস্পার্ম কিংবা মাঝের স্তর সর্বদা অটুট থাকে। গম মূলত শর্করা অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেট দিয়ে গঠিত তবে এটার মাঝারি পরিমাণে প্রোটিন আছে। ১০০ grams গমের মাঝে প্রায় ৭৬g কার্বোহাইড্রেট আছে।

কোষ্টকাঠিন্য দূর করে

কোষ্টকাঠিন্য অনেকের একটি বড় আকারের সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। কোষ্টকাঠিন্য রোগে ভোগা লোকের সংখ্যাও কিন্ত বর্তমানে কম নয়। প্রতিনিয়ত এই সংখ্যা বৃদ্ধি হতেই চলেছে। গমের খোসাটা কখনও ফেলবেন না। পুরো শস্য কিংবা গম থেকে তৈরি আটা অথবা ময়দায় ফাইবার আছে। তাই পরোটা কোষ্টকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

আপনি হয়তোবা হাসবেন বা বলবেন যে পরোটা আবার কিভাবে ওজন কমায়। আপনার শরীরের নিয়ন্ত্রণ তো আপনারই হাতে। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার গুলো পেট ভরিয়ে রাখে এবং ক্ষুধা কমায়। তাই পরোটা ওজন কমাতে সহায়তা করে।

হজম শক্তি ঠিক রাখে

আমরা সকলেই জানি, Whole Grain কিংবা পুরো শস্য হজম ঠিকঠাক রাখে। এতে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান গুলো হজমের জন্যে পারফেক্ট।

রুচি বৃদ্ধি করে

কি জাদু আছে পরোটার মাঝে কে জানে। রুটি খেতে ইচ্ছে না করলেও। কিন্তু পরোটা দেখলে জিভে সকলের পানি চলে আসে। পুরো শস্য কিংবা গমের উপকারিতা আমরা সকলেই জানি এবং এটি অনেক সুস্বাদু। পরোটার খামির রাতে বানিয়ে রেখে সাধারণতঃ সকাল বেলা ভাজা হয়। এতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া যুক্ত হয়। এজন্যই কি দোকান অথবা রেস্টুরেন্টের পরোটায় এতো স্বাদ। অনেকে আগের দিনের খামিরের সামান্য অংশ রেখে নতুন খামিরের সঙ্গে মিশিয়ে দেয় স্বাদ বাড়ানোর জন্যে।

সতর্কতা

মধ্যস্ততাই হচ্ছে আমাদের সকলের সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি অর্থাৎ পরিমিত পরিমাণে খাবার খাওয়া দাওয়া সুস্থ্যতার মূল চাবিকাঠি। কোনো কিছু মোটেও খাবো না তা যেমন ঠিক নয় আবার কোনো কিছু অতিরিক্ত পরিমাণে খাবো সেটাও কিন্ত ঠিক নয়। যা কিছু খান না কেনো পরিমাণমতো খাবেন। আপনার শরীরের অবস্থা দেখে খাবেন। অতিরিক্ত পরিমাণে কোনো কিছুই কিন্ত ভালো নয়। যদি আপনি কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন বা নিয়মিত কোনো ওষুধ খান থাকেন তাহলে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোনো খাবেন না।

পোষ্ট ক্যাটাগরি:

এখানে আপনার মতামত দিন

0মন্তব্যসমূহ

আপনার মন্তব্য লিখুন (0)