বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ ২০২১ সার্কুলার

বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ ২০২১ সার্কুলার | পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ ২০২১ — অবশেষে নতুন নিয়মে বাংলাদেশ পুলিশ ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। গত শুক্রবার (১০ ই সেপ্টেম্বর) থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদন করা যাবে আগামী ৭ অক্টোবর ২০২১ বিকেল ৫টা পর্যন্ত। গত বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (রিক্রুমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং-২) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এর সই করা এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২১

বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ ২০২১ সার্কুলার


বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ ২০২১ সার্কুলার
বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ ২০২১ সার্কুলার


ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের লক্ষ্যে জেলা ভিত্তিক শূন্যপদের বিবরণ বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। নিয়োগের বয়সসীমা হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ বছর নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসকল প্রার্থীগণের বয়স ৭ অক্টোবর ২০২১ তারিখে বর্ণিত বয়সসীমার (১৮ থেকে ২০) মধ্যে থাকবে, তারা বাংলাদেশ পুলিশে আবেদন করার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে যারা সর্বোচ্চ বয়সসীমায় পৌঁছেছেন তারাও এই নিয়োগে আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা এবং অন্যান্য কোটার জন্যে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি ফলো করা হবে।

ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ ২০২১ সার্কুলার

শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তিতে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উর্ত্তীণ (কমপক্ষে জিপিএ ২.৫/সমমান)। এছাড়াও প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশ নিয়োগ ২০২১ এ শুধুমাত্র অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। সকল প্রার্থীকে মাস্ক পরে পুলিশ লাইন্স মাঠে উপস্থিত হতে হবে। জনসমাগম এড়ানোর জন্যে অভিভাকদের পুলিশ লাইন্স মাঠে প্রবেশ একেবারে নিষিদ্ধ আর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে প্রার্থীকে মাঠে প্রবেশ করতে দেয়া হবেনা।

এতে মোট দাগে বলা হয়, ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের জন্যে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত হলে গ্রেফতার এবং নিয়োগ বাতিল করা হবে। ২০২০ সালের শেষেরদিকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব এবং যোগ্যতা সংক্রান্ত কিছু মানদণ্ড নির্ধারণের কারনে সেটা পিছিয়ে যায়। তারপর এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলতি বছরের জুন এবং জুলাইয়ে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দেশে আবার নতুন করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে সেটা আবারও পিছিয়ে যায়।

নতুন নিয়মের পরীক্ষার ধাপগুলো হচ্ছে- প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং, শারীরিক মাপ এবং ফিজিক্যাল অ্যান্ডুরেন্স টেস্ট, লিখিত পরীক্ষা, মনস্তাত্ত্বিক এবং মৌখিক পরীক্ষা, প্রাথমিক নির্বাচন, পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভূক্তকরণ।

আবেদনকারীরা প্রথমে এই ওয়েবসাইটে লগইন করে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। ওয়েবসাইটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়েববেজড স্ক্যানিং করা হবে। আবেদনকারীর মোবাইল নাম্বারে একটি এসএমএস করা হবে। এসএমএসে নিয়োগ সংক্রান্ত ওয়েব পোর্টালে লগইন করার জন্যে ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে। মনে এই পাসওয়ার্ড কিন্ত আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পাসওয়ার্ড। ভুলেও এটি হারাবেন না বা ডিলিট করবেন না। প্রয়োজনে কোথাও লিখে রাখবেন। সেই পোর্টালে লগইন করে আবেদনকারীকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিতে হবে। প্রবেশপত্র প্রিন্ট আউট করে নিয়োগ পরীক্ষার প্রতিটি ধাপে অংশগ্রহণ করতে হবে।

নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর দিন প্রার্থীদের পুলিশের নির্ধারিত স্কেলে বুকের মাপ এবং ওজন-উচ্চতা নেয়া হবে। তারপর প্রার্থীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে তাকে পরবর্তী পরীক্ষার জন্যে যোগ্য হিসাবে বিবেচনা করে তার ফরমে একটি সিল মেরে দেয়া হবে।

পরবর্তী ধাপে অনুষ্ঠিত হবে শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষা। এই পরীক্ষার পূর্বে প্রার্থীকে ইনডেমনিটির ঘোষণাপত্র নামের একটি ফরম পূরণ করার প্রয়োজন হবে। ফরমে সেই প্রার্থী শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ্য আছে বলে ঘোষণা দিয়ে স্বাক্ষর করবে।

শারীরিক সক্ষমতা যাচাই-বাছাইয়ের জন্যে ধাপে ধাপে সাতটি ইভেন্টে অংশ নিতে হবে। সেগুলো হলো- দৌড়, লং জাম্প, পুশ আপ, হাই জাম্প, ড্র্যাগিং এবং রোপ ক্লাইমিং। এই ধাপের কোন একটিতে অকৃতকার্য হলে পরবর্তী ধাপের পরীক্ষায় অংশ নেয়া যাবে না এবং সেখানেই তার পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন একেবারে শেষ হয়ে যাবে। দোয়া রইলো আপনিও সকল পরিক্ষায় সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।

শারীরিক সক্ষমতা যাচাই-বাছাইয়ের ষষ্ঠ ধাপে আছে ড্র্যাগিং পরীক্ষা। এই ধাপে পুরুষ প্রার্থীদের ১৫০ পাউন্ডের টায়ারকে টেনে ৩০ ফুট দূরত্ব এবং নারী প্রার্থীদের ১১০ পাউন্ড ওজনের টায়ার ২০ ফুট দূরত্বে নিয়ে যেতে হবে। এছাড়াও রোপ ক্লাইমিং পরীক্ষায় পুরুষদের ১২ ফিট ও নারীদের ৮ ফিট দড়ি বেয়ে উপরের দিকে উঠতে হবে।

শারীরিক সক্ষমতা যাচাই-বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সকল ডকুমেন্ট নিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি, বাংলা, সাধারণ গণিত এবং সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে ৪৫ নাম্বারের প্রশ্ন থাকবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ১৫ নাম্বারের মনস্তাত্ত্বিক এবং মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। তারপর লিখিত, মৌখিক এবং মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষার পরে উত্তীর্ণদের পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ পুলিশে প্রায় দুই লাখ ১০ হাজারের মতো ফোর্স আছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধাপে ধাপে আরো ৫০ হাজার পুলিশ নিয়োগ দেয়ার নির্দেশনা দেন।

পোষ্ট ক্যাটাগরি:

এখানে আপনার মতামত দিন

0মন্তব্যসমূহ

আপনার মন্তব্য লিখুন (0)