ফাস্ট চার্জিং কি | কিভাবে আসলো এই ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সম্পূর্ণ চার্জার

ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি কি — বর্তমান সময়ে আমরা যে আমাদের স্মার্টফোনে ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি সম্পূর্ণ চার্জার ব্যবহার করে থাকি সেটা কিন্তু এমনি এমনি আমাদের কাছে আসেনি। ফাস্ট চার্জিং মার্কেটে আনতে কোম্পানিকে নানান রকম সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়েছে। ফাস্ট চার্জিং বর্তমানে স্মার্টফোন ইউজারদের জন্য একটি আশীর্বাদ স্বরূপ হয়ে আসছে বলে মনে করা হয়। কারণ বর্তমান সময়ে মানুষরা মনে করেন যে স্মার্টফোন চার্জ দেওয়া একটা ঝামেলাকর ব্যাপার। কেননা এতে অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়।

ফাস্ট চার্জিং কি

কিন্তু ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজির ফলে আমরা এখন স্মার্টফোন বেশি সময় ধরে চার্জ দেওয়া থেকে ঝামেলা মুক্ত। বর্তমান সময়ে আর আগের মতো করে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ধরে স্মার্টফোন চার্জ দিতে গিয়ে অপেক্ষা করতে হয়না। এইতো বিগত কয়েকদিন আগেও মানুষ তাদের মোবাইল ফোন চার্জ দেয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা সময়ে ধরে বসে থাকতো এবং অপেক্ষা করতো কখন তাদের মোবাইল ফোন চার্জ হবে। সেই সময়ে সকলেই তো তাদের মোবাইলফোন চার্জ করতো ঠিকই কিন্তু তেমন একটা ব্যাটারি ব্যাক-আপ পাওয়া যেত না। কিন্তু বর্তমান সময়ে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি আশীর্বাদের কারনে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়া যেন পানির মতো সহজ হয়ে গেছে।

কিভাবে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজির চার্জার আবিরভার্ব হলো

পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজির সম্পূর্ণ চার্জার গুলো বিভিন্ন নামে বেশ সুপরিচিত। বর্তমান সময়ে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজির সম্পূর্ণ চার্জার বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিভিন্ন কিছু নাম ধারণ করে আছে। তবে যে যাই নাম ব্যবহার করার হোকনা কেন সব গুলোতেই আসল বিষয় হচ্ছে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি তাছাড়া আর কিছুইনা।

সর্বপ্রথম মার্কেটে কোয়ালকম ফাস্ট চার্জিং ব্যাটারি চার্জার নিয়ে আসে। ২০১৩ সালে কোয়ালকম প্রথমবার নিয়ে আসে এই প্রজেক্টে মার্কেটে ১০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং চার্জার। তার আগে যে চার্জার গুলো ছিলো সেগুলো তেমন একটা ভালো মানে ছিল না সেগুলো ছিলো ৫ ওয়াট অথবা ৩ ওয়াটের চার্জার ছিল। বাজারে কোয়ালকম যখন সর্বপ্রথম ১০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সম্পর্কে চার্জার মার্কেটে নিয়ে আসে তখন সেটা বেশ ভালোই আলোড়ন তৈরি করছিলো।

কথা আছে না ভালো জিনিসের কদর মানুষ খুব কম করতে জানে। সেই সময় ভালো জিনিসের কদর কম করেছিল কারণ ঐ সময়ে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি নিয়ে একটি গুজব ছড়াচ্ছিলো গুজবটি হচ্ছে যে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজির চার্জার দিয়ে মোবাইল ফোন চার্জ করলে মোবাইল ফোন নাকি ব্লাস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। তবে গুজব ছড়ানোর পরবর্তীতে কোয়ালকম ধীরে ধীরে বাজার ছাড়তে বাধ্য হয়। কিন্তু এই গুজব মার্কেটে বেশি দিন ধরে থাকতে পারেনি এক পর্যায়ে আবার কোয়ালকম ধীরে ধীরে আবার নিজেদের ফাস্ট চার্জিং চার্জার মার্কেটে ফিরিয়ে আনেন।

কোয়ালকম তৈরি করা ফাস্ট চার্জিং চার্জারের ওয়াট যত বেশি হবে সেটা তত দ্রুত চার্জ করতে সক্ষম হয়। তবে চার্জিং কেমন হবে তা বেশির ভাগ ব্যাটারি ক্যাপাসিটরের উপর নির্ভর করে। হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে আমরা যদি ফাস্ট চার্জিং চার্জার দিয়ে কোন সাধারণ মোবাইল ফোন চার্জ করি তাহলে সেটি কতটুকু কার্যকর হবে?

এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে যে যেসকল মোবাইল ফোন গুলোতে ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে না সেই সকল ফোনে এই ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি ভালোভাবে কাজ করেনা। শুধুমাত্র সেসকল ফোনে ফাস্ট চার্জিং চার্জার ব্যবহার করার চেষ্টা করুন যেসকল মোবাইল ফোনে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজিকে সাপোর্ট করে।বর্তমান সময়ে মিড বাজেটের অধিকাংশ স্মার্টফোনেই ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সম্পূর্ণ চার্জার সাপোর্ট করে।

ফাস্ট চার্জিং ব্যাবহারের ফলে কি কোন ফোনে ক্ষতি হবে?

সাধারনভাবে বলা ফাস্ট চার্জিং ব্যবহার করার ফলে মোবাইল ফোনের ক্ষতি হওয়ার খুব একটা সম্ভাবনা থাকে না। কেননা স্মার্টফোনের ভেতরে কিছু কিছু ধরনের টেকনোলজি ব্যবহার করা হয় যা নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ গ্রহণ করতে পারবে। নিদিষ্ট পরিমাণের থেকে বেশি পরিমাণ চার্জকে সেই আইসিটি খুব সহজেই পাওয়ার আপ করে দিতে পারবে। বর্তমান সময়ে যেকোন স্মার্টফোনেই ফাস্ট চার্জিং চার্জার ব্যবহার করাটা রিকমেন্ডেড নয়। বর্তমান সময়ে নির্দিষ্ট মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে সেই ব্র্যান্ডের নির্দিষ্ট চার্জারটি ব্যবহার করাটাই সবচেয়ে বেশি উত্তম।

Next Post Previous Post