মোবাইল ফোনে বেশি সময় চার্জ ধরে রাখার সেরা উপায় | ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ার সমস্যার সহজ সমাধান
স্মার্ট আন্ড্রয়েড ব্যবহার কারীরা আধুনিক প্রযুক্তির সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করলে ও এর একটা দুর্ভোগ আছে। সেটা হলো মোবাইল ফোনের দ্রুত চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার সমস্যা।
ব্যাটারির চার্জ সাশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন রকমের অ্যাপ রয়েছে। তবে এর বাইরেও স্মার্টফোন ব্যবহারের কিছু কিছু নিয়ম রয়েছে। যেগুলো মেনে আপনার স্মার্টফোনে প্রয়োগ করলে কিছুটা চার্জ সাশ্রয় করতে পারবেন ব্যাটারির চার্জ। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণ থেকে।
এই পদ্ধতি হয়তো অনেক এই জানেন এবং তাদের স্মার্টফোনে প্রয়োগ করে থাকে। যাঁরা এখনো এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন না তাঁরা তাদের স্মার্টফোনের ডিসপ্লের ঔজ্জ্বল্য বা ব্রাইটনেস কমিয়ে ব্যবহার করা শুরু করুন। এ পদ্ধতি আপনি ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও ট্যাবের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
আপনার ফোনে যদি অ্যানড্রয়েড 5.0 বা এর পরের ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেম থাকে। তাহলে বলতে হয় আপনার কপাল ভালো। কারণ, ফোনের চার্জ ১৫ শতাংশের কম হলেই এসকল অপারেটিং সিস্টেমের অটোমেটিক ভাবে এই লো-পাওয়ার মোড সেটিংসটি অন হয়ে যায়। অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মার্শ ম্যালো ভার্সনে আছে ‘ডোজ’ নামে একটি নতুন ফিচার। যখনি স্মার্টফোনের চার্জ কমে যায় তখন এই ফিচার ফোনটিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাইবারনেশন মোডে হয়ে থাকে। আর বেশি সময় ধরে অব্যবহৃত থাকা অবস্থায় অ্যাপগুলো বন্ধ করে দিয়ে থাকে।
স্মার্টফোনে অ্যামোলেড স্ক্রিনের সকল ফোনে কালো বা এই ধরনের রঙের ওয়াল পেপার ইউজ করলে খুব কম চার্জ খরচ হয়ে থাকে। কারণ হচ্ছে অ্যামোলেড স্ক্রিনের আলো বেশির ভাগ খরচ হয় বিভিন্ন ধরনের রঙের পেছনে। তাই যত বেশি রঙিন ওয়াল পেপার ব্যবহার করা হবে, আলো পরিমাণ তত বেশি খরচ হবে, সে সাথে সাথে চার্জও খরচ বেশি হবে।
অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোন, আইফোন ও উইন্ডোজ অপেরাটিং সিস্টেম এর চার্জ বাঁচানোর আরেকটি ভালো বুদ্ধি হচ্ছে ফোনে লক স্ক্রিন নোটিফিকেশন অন করে রাখা। এতে করে বারবার আপনাকে ফোনের লক খুলে নোটিফিকিশেন দেখার প্রয়োজন হবে না। যার ফলে স্মার্টফোনে চার্জ এর পরিমাণ কম খরচ হবে।
স্মার্টফোন চালানোর পর ঠিক মতো বন্ধ না করার কারণে অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাপস চালু হয়ে থাকে। যেটা অনেক সময় অনেক এই খেয়াল করে থাকে না। বিশেষ করে এটি জিপিএস GPS এবং ওয়াই-ফাইয়ের Wi-Fi এর ক্ষেত্রে এ ব্যাপারটা বেশি হয়ে থাকে। আর এ দুটি অ্যাপস যদি ফোনে চালু করা থাকে তাহলে ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। তাই ফোনে কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর এই সকল অ্যাপস বন্ধ করে নিন।
স্মার্টফোন অ্যাপস ডাউনলোড ও আপডেটের ক্ষেত্রে ডাটা কানেকশন এর থেকে ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবহার করুন। কারন মোবাইল ফোন ডাটা কানেকশন ব্যবহার করলে চার্জ বেশি খরচ হয়। এছাড়া অ্যাপ ইন্সটল এবং আপডেটের জন্য ডাটা কানেকশন ব্যবহার করলে সময়ও লাগবে বেশি। তাই এক্ষেত্রে আপনি যদি দ্রুত গতির ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবহার করেন তাহলে তাড়াতাড়ি অ্যাপস গুলো ডাউনলোড ও আপডেট করতে পারবেন। যার ফলে মোবাইল ফোনের চার্জও কম খরচ হবে।
কোন সময় যদি স্মার্ট ফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে মোবাইলে আসল ব্যাটারি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এটি করার ফলে আপনার ফোন ভালো থাকবে এবং চার্জ ব্যাকআপ দিবে অনেক সময়।
স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য যখনই সম্ভব মোবাইল নেটওয়ার্ক ভিত্তিক ইন্টারনেট যেমন জিপিআরএস, থ্রিজির তুলনায় তারহীন ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা ভালো। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার ফলে অন্যান্য প্রযুক্তির ইন্টারনেট ব্যবহারের চেয়ে অনেক কম ব্যাটারি খরচ হয়। বাসা, অফিস বা অন্য কোথাও ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় সেখানে যদি ওয়াই-ফাই থাকে। তবে মোবাইলের ডাটা কানেকশন ব্যবহার না করে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করলে চার্জ ব্যয় কম হয়।
স্মার্টফোন যদি এয়ার প্লেন মোড অবস্থায় থাকে তাহলে সকল ধরনের ওয়ারলেস ফিচার বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে স্মার্টফোনটির চার্জও কম খরচ হতে থাকে।
0 Comments