Vpn ভিপিএন ব্যবহার করা কতটা ক্ষতিকর | মোবাইলে ভিপিএন ব্যবহার করলে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে

বর্তমান সময়ে আমাদের সবাই ছোট বড় সকলের হাতে একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন রয়েছে। আর যেহেতু আপনার হাতে একটি স্মার্টফোন আছে তাই আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সহ নানা রকম ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে থাকেন। 

আর অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে Vpn ছাড়া ব্রাউজ করা যায় না। তো আজকের এই আর্টিকেলে কথা বলবো Vpn এর ব্যবহার নিয়ে। 

আপনি যেহেতু একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী সেহেতু আপনি নিশ্চয় Vpn শব্দটির কথা শুনেছেন। আমরা Vpn ভিপিএন ব্যবহার করি মূলত কোন ব্রাউজার যদি ব্লক করা থাকে সেটিকে আনব্লক করার জন্য এবং মোবাইলের নেটওয়ার্ক স্পিড বৃদ্ধি করার জন্য। 

অনেক সময় আমরা বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে প্রবেশ করার জন্য Vpn ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) এর সাহায্য নেই। 

কিন্ত এই Vpn আসলে কি? ভিপিএন VPN কিভাবে কাজ করে। এটা ব্যবহার করার ফলে কি কি সুবিধা এবং কি কি অসুবিধা হতে পারে। এসকল সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো আজকের এই আর্টিকেলে। 

Vpn ভিপিএন ব্যবহার করার ফলে যেমন আমাদের অনেক উপকার করে থাকে ঠিক তেমনি আমাদের মোবাইলফোনের অনেক ক্ষতিসাধন করে থাকে। আমাদের বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে Vpn ভিপিএন নিয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারণা বিরাজ করে ও কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন আছে। 

আজকের এই আর্টিকেলে আমি এসকল বিষয়ের উত্তর শেয়ার করবো আপনাদের কাছে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে মূল আলোচনায় যাই।

আমাদের আগে জানতে হবে যে Vpn ব্যাপারটা কি? VPN ভিপিএন কিভাবে কাজ করে। যেহেতু ভিপিএন ইন্টারনেটের সাথে জড়িত তাই আমাদের আগে জানতে হবে যে এই ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে।

ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে

মানে আমরা যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোন একটা ওয়েবসাইট ব্রাউজ করি যেমন ফেসবুক অথবা ইউটিউবিং করি এর মাধ্যমে আসলে আমরা আমাদের ডিভাইস থেকে ওদের সার্ভারে কানেক্টেড হয়ে যাচ্ছি। এই কানেক্টেড বিষয়টি হচ্ছে আপনার মোবাইল থেকে যদি ওয়াইফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাহলে ওয়াইফাই রাউটারে যাচ্ছে। 

সেই সার্ভার থেকে যারা আপনাকে ইন্টারনেট সার্ভিস দিচ্ছে তাদের সার্ভারে যাচ্ছে এবং সেখান থেকে আবার অন্য কোন সার্ভারে যাচ্ছে। এই রকম করে এক পর্যায়ে ধাপে ধাপে ইউটিউব সার্ভার বা ফেসবুকের সার্ভারে যাচ্ছে। 

অনুরুপ ভাবে আপনি যখন মোবাইল ডাটা ইউজ করছেন তখন আপনার যে মোবাইল অপারেটর আছে (রবি, গ্রামীণফোন, এয়ারটেল, টেলিটক, বাংলালিংক) সেই মোবাইল অপেরাটরের যে সার্ভার রয়েছে সেগুলো আগে ইউজ করছেন। এরপর ধাপে ধাপে এক পর্যায়ে ফেসবুক বা ইউটিউবের যে সাইট গুলো আপনি ব্যবহার করবেন সেখানে গিয়ে জমা হচ্ছে। এরমানে হলা এখান থেকে ওই সকল সার্ভারে যাওয়ার জন্য আপনাকে অনেকগুলো ধাপ আপনাকে পারি দিতে হচ্ছে। এই প্রসেসটা কিন্ত খুব অল্প সময়ে নিমিষেই হচ্ছে। আর আপনি বুঝতেই পারছেন না যে কত গুলো ধাপ পার করে আপনার সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হচ্ছে। 

ভিপিএন কিভাবে কাজ করে | ভি পি এন এর কাজ কি

চলুন এই ধাপ গুলির একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে বলছি। ধরে নিন আপনি ২০ তলা একটি বিল্ডিংয়ে ২০ তলায় প্রতিদিন যাতায়াত করেন। তাহলে আপনি এখানে লিফট ব্যবহার করে সহজেই যেতে পারছেন। আপনার যদি ১০ থেকে ১২ তলায় যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে আপনি লিফট ব্যবহার করে সহজে যাতায়াত করতে পারছেন।

এখন যদি আমি এই ২০ তোলা বিল্ডিংয়ে লিফট করে যাতায়াত করার সাথে যদি আমি সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারের সাথে তুলনা করি। ধরে নিন লিফটটি কোন একদিন কোন কারণ বশত বন্ধ হয়ে যায় বা আপনার যেখানে যাওয়ার প্রয়োজন সেখানে লিফট থামানো বন্ধ করে দিয়েছে লিফট কর্তৃপক্ষ। ধরে নিন আপনি ১২-১৫ তলায় যেতে চাচ্ছেন এখন সেখানে লিফট থামানো হবে না তখন আপনি কি করবেন। তখন কিন্তু আপনার গন্তব্য যে হলে অপশন থাকে যে আপনাকে যদি লিফট বন্ধ থাকার ফলে আপনাকে লিফটের যায়গায় সিড়ি ইউজ করতে হবে।

Vpn ভিপিএন এর বিষয়টি কিন্তু একই রকম। কোন একটা ওয়েবসাইট যদি কর্তৃপক্ষ অথবা কেউ ব্লক করে রেখে দেয় তখন কিন্তু আপনাকে অন্য সকল সার্ভার ঘুরে ফেসবুক, ইউটিউব বা আপনি যে ওয়েবসাইট গুলো ব্রাউজ করতে চাচ্ছেন সেখানে যেতে হবে। আর তাহলে Vpn বিষয়টি হচ্ছে যদি একদম সোজা রাস্তা থাকে,সেই রাস্তাটি যদি কোন কারণে বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে অন্য রাস্তা দিয়ে যেতে হবে। 

তাহলে আপনি বুঝতেই পারলেন যে Vpn বিষয়টা এই বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর স্বাভাবিক ভাবে আপনি যদি কোন সোজা রাস্তা বাদে অনন্য কোন বাকা রাস্তা দিয়ে যেতে চাইবেন তখন কিন্তু আপনাকে বেশি সময় খরচ করতে হবে এবং বেশি এনার্জিও নষ্ট হবে। আর এই কারনে আমরা যখন Vpn ইউজ করি তখন কিন্তু আমাদের নেট স্পিড অনেকটা কমে যায়। 

এখন কিন্ত স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আশা করা যায়? এটার জন্য যদি আমি ঐ বিল্ডিং এর ১২-১৫ তলার কথা বলি। ধরে নিন ১২-১৫ তলায় লিফট থামানো হবে না। কিন্তু সেখানে আপনার নামার প্রয়োজন আছে সেখানে আপনাকে যেতেই হবে। 

তখন আপনাকে কি করতে হবে হয় আপনাকে ১১ তলায় সিড়ি দিয়ে যেতে হবে, আর না হলে ১৪ তলায় লিফটে গিয়ে পরে এক তলা সিড়ি ব্যবহার করে নামতে হবে। এক কথায় আপনি কখনো সোজা রাস্তা দিয়ে আপনি যেতে পারবেন না। কিন্তু আপনাকে সেই গন্তব্য যাওয়ার জন্য বিকল্প রাস্তায় যেতে হবে। Vpn এর বিষয়টা ঠিক একই রকম কোন ওয়েবসাইট যদি ব্লক করা থাকে তাহলে আপনি Vpn দিয়ে কানেক্ট করতে পারবেন। 

আর এটাই হলো Vpn এর সবথেকে বড় সুবিধা। কিন্ত আপনাকে একটা বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যে কিছু কিছু দেশে Vpn ইউজ করার নিয়ম নেই আমি যতটুকু জানি সৌদি আরবে Vpn ভিপিএন ব্যবহার করার অনুমতি নেই। যেসব দেশে Vpn ইউজ করার অনুমতি নেই সেই সকল দেশে Vpn ব্যবহার না করাটাই বেটার।

ভিপিএন ব্যবহারের অসুবিধা | ভিপিএন ব্যাবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো

এতক্ষণ তাে জেনে গেলেন যে ভিপিএন কিভাবে কাজ করে। এবার বলি Vpn ব্যবহার করার ফলে কি কি অসুবিধা আছে। Vpn ব্যবহার করার ফলে কি কি ক্ষতি হতে পারে। কিছু কিছু দেশে এই ভিপিএন VPN ব্যবহার করার ফলে কিছু সমস্যা হতে পারে। ভিপিএন VPN ব্যবহার করার ফলে নেট স্পিড কমে যাবে আর এটি সব দেশের ক্ষেত্রে সমান। এটাই হলো ভিপিএন VPN এর সবথেকে বড় সমস্যা। এখন বলুন যে vpn ব্যবহার করাটা আমাদের জন্য কতটা ক্ষতিকর। আমি নিজেই আশাকরি যে আপনারা কোন ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না।

বন্ধুরা এই ছিলো আমাদের আজকের আর্টিকেলে, আশাকরি ভিপিএন VPN নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাটি সবার ভালো লেগেছে। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের এই আর্টিকেলটি দেখা ও পড়ার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: