ঘন ঘন হাই ওঠা যে সকল রোগের লক্ষণ | বার বার হাই উঠা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে

বিশেষজ্ঞদের মতে ঘন ঘন হাই তোলা হচ্ছে ভেগাস নার্ভ এর সাথে সম্পর্ক যুক্ত। ভেগাস নার্ভটি সোজা আমাদের শরীরের মস্তিষ্ক থেকে বাহির হয়ে হৃদযন্ত্র এবং পাকস্থলীর সাথে সংযুক্ত আছে। আমাদের শরীরের মধ্যে বেশি ক্লান্তি থাকলে অথবা অনেক সময় ঘুম থেকে উঠার পর আমরা ঘন ঘন হাই তুলে থাকি। তবে হ্যাঁ আপনার যদি ঘনঘন বা বেশি বেশি হাই উঠে তাহলে বুঝে নিবেন এর পিছনে গভীর কোনও বিপদ লুকিয়ে আছে আপনার জন্য বা বিপদ লুকিয়ে থাকতে পারে।

ঘন ঘন হাই ওঠে? যে সকল রোগের লক্ষণ

এইবার প্রশ্ন হলো কেন আমাদের শরীরের মধ্যে হাই ওঠে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও পুরোপুরি দেয়া সম্ভব হয়নি। অনেকেই বলেন যে হাই তোলা হচ্ছে ভেগাস নার্ভের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এই নার্ভটি সোজা আমাদের মস্তিষ্ক থেকে বেরিয়ে হৃদযন্ত্র এবং পাকস্থলীর সাথে যুক্ত হয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় হার্টের মধ্যে রক্তক্ষরণ হলে ঘন ঘন বা বেশি বেশি হাই ওঠে।

সাধারণত শরীরের মধ্যে বেশি ক্লান্তি থাকলে অথবা অনেক সময়ে ঘুম থেকে উঠার পর আমরা লম্বা লম্বা হাই দিয়ে থাকি। তবে আমাদের সকলের জেনে থাকা উচিত যে বেশি বেশি হাই উঠলে এর পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে গভীর কোনও বিপদ। ঘন ঘন হাই তোলা শরীর স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো কাজ নয়। তাই যদি ঘন ঘন অস্বাভাবিক হারে হাই উঠে তাহলে আর দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। ডাক্তারের মতে, যাদের ওয়ার্ক আউট করার সময় বেশি বেশি হাই ওঠে তাঁদের সকলের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আছে। তাই যদি হঠাত্‍ করে হাই ওঠা বেড়ে যায় তাহলে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নেওয়া ভালো। তাহলে বেশি দেরি না করে জেনে নিন বেশি বেশি হাই উঠলে শরীরে কি কি রোগের লক্ষণ থাকতে পারে।

১.মৃগীরোগ

মৃগীরোগের লক্ষণ হলো বেশি বেশি হাই তোলা। আমাদের শরীরের মধ্যে চলতে থাকা নানা রকমের কার্যক্রম ও নানান সমস্যার সংকেত যায় মস্তিষ্কে যার ফলে বেশি বেশি হাই উঠে আমাদের শরীরে।

২.ঘুমের ব্যাঘাত

শরীরে ঘুমের সমস্যা থাকলে অথবা ঘুমের পরিমাণ কম হলে ঘনঘন বেশি বেশি হাই উঠতে থাকে। আপনি যদি লক্ষ্য করেন যে আপনার এই সমস্য়া কমছে না। ভালো ঘুম হওয়ার পরেও এটির সমস্যা সমাধান হচ্ছে না, তাহলে নিদ্রাহীনতার সমস্য়া বুঝে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

আরও পড়ুনঃ হিট স্ট্রোক কি | হিট স্ট্রোক এর কারণ ও লক্ষণ

৩.লিভার সংক্রান্ত সমস্যা

শরীরে মধ্যে কোন রকম ক্লান্তি ও অবসাদ ছাড়াই যখন ঘন ঘন হাই তোলার পরিমাণ বেশি হয় তখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে লিভার টেস্ট করে নিন। পেটের মধ্যে নানা রকম সমস্যার ফলে হাই তোলার পরিমাণ অনেক সময় আরও বেশি বেড়ে যায়।

৪.ক্লান্তি

শরীরে ক্লান্তির ফলে ঘন ঘন হাই উঠতে থাকে। সারাদিন নানা রকম কাজকর্ম করার পরে শরীরের মধ্যে ক্লান্তি, অলসতা আসাটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আর সেই কারনে অনেক সময়ে বেশি বেশি হাই উঠতে থাকে আমাদের শরীরে। তবে আপনি কি এর সমাধান খুঁজছেন তাহলে, বেশি সময় ধরে এই সমস্যা চলতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

৫.মস্তিষ্কের সমস্যা

অনেক সময় দেখা যায় স্ট্রোকের আগের অবস্থায় ঘন ঘন হাই উঠতে। মস্তিষ্কের মধ্যে থাকা কোষগুলো বেশিমাত্রায় ক্ষতি সম্মুখীন হলে বেশি বেশি হাই তোলার সমস্যা সৃষ্টি হয়। আর এই বিষয়টি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানা গেছে।

৬.ধমনীতে সমস্যা

আমাদের শরীর অনেক সময় দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আর সেই সময় বেশি বেশি হাই উঠতে থাকে। এটিকে চিকিৎসা ভাষায় বলা হয় 'থার্মোরেগুলেটরি ডিসফাংশন'।

৭.বেশি বেশি ওষুধ খাওয়া

বেশি বেশি ওষুধ খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে ক্লান্তি বেড়ে যায় যার ফলে ঘন ঘন হাই উঠতে থাকে। যদি কোন মেডিসিন আপনার শরীরের সাথে মানিয়ে নিচ্ছে না এমন হয় তাহলে অবশ্যই অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

আরও পড়ুনঃ তাড়াতাড়ি ঘুমানোর সহজ উপায় 

পোষ্ট ক্যাটাগরি:

এখানে আপনার মতামত দিন

0মন্তব্যসমূহ

আপনার মন্তব্য লিখুন (0)