টিভি এবং কম্পিউটার মনিটর এর মাঝে পার্থক্য

বর্তমান সময়ে আমাদের সবার বাড়িতে টিভি বা মনিটর দেখা যায়। আপনি যদি টিভি এবং মনিটর ব্যাবহার করতে চান তাহলে আপনি এই দুটি জিনিস LCD এবং LED পেয়ে যাবেন। এই দুটি জিনিস দেখতে এক রকম হলে এদের মাঝে অনেক পার্থক্য আছে।

আজকের আর্টিকেল এ আমরা আপনাকে দেখাবো মনিটর এবং টিভির এর মধ্যে পার্থক্য যা দেখে আপনি জানতে পারবেন টিভি এবং মনিটর এর নানা রকম সুযোগ সুবিধা। টিভি এবং মনিটর এর পার্থক্য দেখার পর আপনার কাছে টিভি এবং মনিটর এক মনে হবে না। তবে কম্পিউটার মনিটর টিভির চেয়ে বেশ এগিয়ে থাকে। চলুন তাহলে দেখে নিয়া যাক;

টিভি বনাম মনিটর পার্থক্য 

আমাদের অনেক এর মধ্যে অনেক চিন্তা থাকে যে আমাদের যে টিভি আছে এটা কি আমরা কম্পিউটার এর মনিটর হিসাবে ব্যবহার করতে পারব। আর এরকম অনেক এ দেখা যায় যে তাদের টিভি কে কম্পিউটার এর মনিটর হিসাবে ব্যবহার করে। কিন্ত এটা করা একদম উচিত না। কেননা কম্পিউটার এর জন্য কম্পিউটার মনিটর বেস্ট আর টিভি এর যায়গায় টিভি বেস্ট। 

আমরা আগের সময় এ দেখতে পেতাম যে টিভি এবং মনিটর দুটি জিনিসই অনেক বড় ছিল। কিন্ত বর্তমানে টিভি এবং মনিটর গুলি হয়ে গেছে জিরো ফিগার এর। যার ফলে আমরা অনেক এই বুঝতে পারি না যে কোনটা টিভি আর কোনটা মনিটর। আর এতে করে মানুষের মাঝে কনফিউসড শুরু হয়ে গেছে যে দুটি জিনিস তো একই এর ফলে আমার বাসায় মনিটর কিনার কি দরকার। 

অত;এব টিভি কিনে আমার বাসার মনিটর হিসাবে ব্যবহার করব। কিন্ত এই দুটি জিনিস এর মাঝে কিন্ত ফান্ডামেন্টাল পার্থক্য আছে এবং প্রত্যেকটা জিনিস এর জন্য আলাদা আলাদা কাজের এর জন্য তৈরি করা হয়েছে। মনিটর এর এক রকম কাজ আছে আর টিভি এর আলাদা কাজ আছে। 

ধরুন আপনার কাছে একটা কম্পিউটার আছে আর আপনি এই কম্পিউটার টি ব্যবহার করছেন ফটো এডিটিং, ভিডিও এডিটিং, অডিও এডিটিং এবং আপনার অফিসিয়াল কাজ এর জন্য এবং আবার যারা গেমিং খেলে থাকেন তাদের জন্য অতএব গেমার দের জন্য। এটা হচ্ছে কম্পিউটার এর কাজ সাধারন কাজ। 

আবার আমরা যদি আছি টিভি সম্পর্কে জানতে। তাহলে টিভি ব্যবহার করা হয় শুধু বিনোদন এর জন্য।বিনোদন ছাড়া টিভি এর মধ্যে আর অন্য কোন কিছু করা যায়। তাই আপনারা কিন্ত এখান এ টিভি এর মনিটর এর মধ্যে অনেক পার্থক্য দেখতে পারছেন। একটা হচ্ছে নানা রকম কাজের জন্য আর একটা শুধু বিনোদন এর জন্য। আপনার সব গুরুপ্তপূর্ণ কাজ করা হয় কম্পিউটার এর মধ্যে। 

মনিটর এর মধ্যে কিন্ত রেসপন্স টাইম খুব কম হয়ে থাকে প্রায় ১ মিলি সেকেন্ড থেকে ৪ মিলিসেকেন্ড। যার ফলে আপনি কোন কি বা কিবোর্ড থেকে কোন কি প্রেস করবেন যার ফলে সাথে সাথে সেটি কম্পিউটার এর মনিটর এ দেখাবে। এতে করে আপনি কম্পিউটার চালিয়ে অনেক মজা পাবেন। কোন রকম বিরক্ত লাগবে না। 

আর টিভি তে রেসপন্স টাইম খুব বেশি পরিমান ে হয়ে থাকে। যার ফলে আপনি কি-বোর্ড থেকে কোন কি প্রেস করলে তা স্ক্রিন এর দেখাতে একটু বেশি সময় লাগে। যার ফলে আপনি চালায়া মজা পাবেন না। একটা কম্পিউটার এর মনিটর এর মধ্যে চালিয়ে যে মজা পাবেন আর আপনি টিভি এর মনিটর এর মাঝে ঠিক তেমন মজা পাবেন না। যার ফলে আপনাকে বিরক্তকর বলে মনে হবে। তাহলে এখানে মনিটর এগিয়ে।

আবার যদি আপনি মনিটর এর মাঝে রিফ্রেশ রেট এর পরিমান অনেক বেশি পরিমান এ থাকে কিন্ত আপনি যদি টিভি এর মাঝে এর রিফ্রেশ রেট আপনি অনেক কম পেয়ে থাকবেন। আবার যদি আপনার মনিটর টি যদি হয় গেমিং মনিটর তাহলে আপনি সেই মনিটর এর মাঝে অনেক বেশি রিফ্রেশ পেয়ে থাকবেন।

ধরুন আপনি কোন গেম খেলছেন ভালো কোয়ালিটির। যেমন ধরুন পাব্জি,পাঞ্জি বর্তমান সময়ে খুব জনপ্রিয় আছে। আপনি সুইচ কি করে ফেলছেন এবং গুলিও করছেন কিন্ত আপনার মনিটর এ এটি একটু দেরিতে দেখাবে যার ফলে আপনাকে এনিমি মেরে চলে যাবে। আর আপনি বুঝতেই পারবেন না যে আপনাকে কখন মেরে চলে গেছে। আপনার মনিটর এর রিফ্রেশ রেট কম হওয়ার কারনে কিন্ত এই সমস্যা হয়ে থাকে।

টিভি আপনি বাজারে বড় সাইজ এ পেয়ে থাকবেন কিন্ত মনিটর বড় সাইজ এ পাওয়া যায় না। মনিটর এর তুলনায় টিভি এর দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে। টিভি তে হাই রেজুলিউশন করা হয় যার ফলে ছবি অনেক ভালো দেখা যায় আর মনিটর শুধু হাই রেজুলিউশন এর ছবি দেখা যায়। মাঝে মধ্যে টিভির মতো মনিটর এ ভালো সউন্ড আছে না।

কারন মনিটর সাধারনত মুভি বা ছবি দেখার জন্য তৈরি করা হয় না যে কারনে ছবি বা মুভি তে ভালো সাউন্ড আছে না। কিন্ত টিভি শুধু মুভি দেখা বা যেকোন প্রোগ্রাম দেখার জন্য তৈরি করা হয় যার ফলে টিভি তে অনেক ভালো সাউন্ড শুনতে পাওয়া যায়। মনিটর এর সাথে পিসি কানেক্ট করা থাকে আর টিভি এর সাথে কানেক্ট করা থাকে ক্যাবল বক্স। 

টিভি তে বিভিন্ন ধরনের পয়েন্ট থেকে থাকে যেমন ; USB,VGA ইত্যাদি কিন্ত মনিটর এর এসব দেয়া থাকে না। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মনিটর গুলা এমন তৈরি করা হচ্ছে যা দিয়ে আপনি টিভি এর কাজ গুলি করতে পারবেন কিন্ত টিভি দিয়ে মনিটর এর কাজ করতে পারবেন না। 

কালার এর পার্থক্য

টিভি এবং মনিটর এর মাঝে পার্থক্য কিন্ত অনেক পরিমান এ বেশি। আমরা যখন মনিটর এর মাঝে কোন ছবি বা পিকচার দেখতে পাই তখন তা দেখতে দেখায় ডার্ক বা কালোর মতো। তবে এই কালার টি কিন্ত অরজিনাল কালার। তবে আমরা যখন এসব পিকচার বা মুভি তা দেখতে অনেক সুন্দর দেখায় অনেক জোস লাগে। বা কালার টি অনেক বেশি ভালো লাগে। 

কিন্ত আপনি যদি কম্পিউটার মনিটর এর কাজ টি টিভি এর মাধ্যমে করেন ,ধরুন আপনি একজন ফটো এডিটিং এবং ভিডিও এডিটিং টিভি এর দারা করেন তাহলে আপনার এসব এডিটিং এর কালার এর মান খুব বেশি ভালো পাবেন না। আপনার কাছে এসব পিকচার বা ভিডিও এডিটিং ভালো লাগবে। 

কিন্ত এসব এডিটিং করা পিকচার বা ভিডিও এডিট পোস্ট করবেন তখন আপনি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন যে আপনার এডিটিং এর কালার খুব বেশি ভালো হয় নাই। আরও ভালো কালার করা উচিত ছিল। তাই আপনার ফটো এডিটর বা ভিডিও এডিটর আছেন তারা অবশ্যই মনিটর ব্যবহার করবেন। আমার কথা যদি আপনার বিশ্বাস না হয় তাহলে আপনারা একই এডিটিং একটা মনিটর এবং টিভি তে করবেন। তাহলে নিজেরাই বুঝতে পারবেন কালার এর মাঝে পার্থক্য। 

তো আমার কাছে মনিটর এবং টিভি এর মধ্যে মেজর পার্থক্য গুলা ছিল এসব আমি আপনাদের কে জানিয়ে দিলাম। এরপর আপনাদের উপর সব আপনারা টিভি কিনবেন না মনিটর কিনবেন। 

টিভি কিনবেন না মনিটর কোনটা 

আমি আপনাদের কে কয়েকটি সাজেশন দিতে চাই। আপনারা যদি আপনাদের কম্পিউটার কে টিভি এর মতো দেখতে চান তাহলে আপনি টিভি ব্যবহার করতে পারেন। যার ফলে আপনি যেকোন মুভি খুব ভালো দেখতে পারবেন বা কালার ভালো দেখতে পারবেন। 

আপনারা যদি কোন কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন ধরুন ফটো এডিটিং, ভিডিও এডিটিং, অফিসিয়াল কাজ এবং আপনাদের যেকোন কাজের জন্য কিনে থাকেন কম্পিউটার যদি ডেক্সটপ কিনে থাকেন তাহলে আপনারা অবশ্যই মনিটর কিনবেন। এতে করে আপনারা কাজ করে অনেক মজা পাবেন। 

যদি কাজের জন্য কম্পিউটার কিনে থাকেন তাহলে আপ্নারা টিভি এর মধ্যে একদম যাবেন না। কম টাকা হোক বা বেশি টাকা হোক যত টাকা হোক আপনার মনিটর কিনেন। আর মনিটর কিনলে ১০ হাজার টাকার উপরে কিনবেন। কেননা ১০ হাজার টাকার নিচে মনিটর গুলি তেমন ভালো হয় না।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: