শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায়

শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় - শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় ? কিভাবে শিশুর ত্বক ফর্সা করবেন? কেউ কেউ জন্মগতভাবে আবার কেউ কেউ জন্ম হওয়ার পরেও অনেক শিশুর ত্বকে ময়লা হয়ে যায়। আমরা অনেক সন্তানের মা বাবা কিভাবে শিশুর ত্বক ফর্সা করা যায় এসব বিষয়ে জানতে চাই? আজকের এই আর্টিকেলের আলোচনা করা হবে শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায়।

পেজ সূচিপত্রঃ শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায়

ভূমিকাঃ শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায়

আমরা অনেক শিশু জন্ম হওয়ার পর বর্ষা থেকে দিন দিন কালো হয়ে যাচ্ছে। আবার কোন বাচ্চারা জন্মগতভাবে কালো হয়। কিন্তু এদের কালো হওয়ার দাগ খুব তাড়াতাড়ি উঠে যাবে এটা কিন্তু হবে না। আবার বাজারে অনেক ক্রিম বের হইছে। আমরা অনেকেই জেনেশুনে সেইসব ক্রিম কিনে বাচ্চাদের ওপর প্রয়োগ করি। বাজারে কিছু কিছু ক্রিমে ক্ষতিকর উপাদান থাকে। যা আমাদের বাচ্চাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায়

এইসব ক্রিমে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি আছে। তাই আমাদেরকে জেনেশুনে বাচ্চাদের উপর প্রয়োগ করতে হবে। আজকেরে আর্টিকেলে শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় শিশুর ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার প্রাকৃতিক উপায় শিশুর ত্বক উজ্জল ও ফর্সা করার টিপস শিশুর ত্বক উজ্জল ও ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় এইসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা এসব বিষয় বিস্তারিত জানতে আগ্রহ তারা এই পুষ্টি পুরোটা পড়ুন।

শিশুর ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার প্রাকৃতিক উপায়

আমরা সব সন্তানের মায়েরা চাই আমাদের সন্তান সবসময় সুন্দর থাকুক সেটা হোক পোশাকে বা তকে। আমাদের শিশুর ত্বক ফর্সা করা কোনদিনও যায় না কিন্তু উজ্জ্বল করা যায়। অনেকে বলে আমাদের ত্বক ফর্সা কিভাবে করা যায় আসলে আমাদের শিশুর ত্বক ফর্সা করা অসম্ভব আমাদের শিশুর ত্বক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায় তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক শিশুর ত্বক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার প্রাকৃতিক উপায়।

গোসল করানো 

শিশুকে সুন্দর ভাবে গোসল করাতে হবে। খুব বেশি গরম পানি দেও না খুব বেশি ঠান্ডা পানি দেও না গোসল করানো যাবেনা'। খুব বেশি গরম পানি শিশুর ত্বক পুড়িয়ে ফেলে। আবার খুব বেশি ঠান্ডা পানি শিশুর জন্য আরামদায়ক নয়। আমাদেরকে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে শিশুদেরকে গোসল করাতে হবে। আমাদের হাত দিয়ে পানির গরমটা চেক করে নিতে হবে।

মালিশ করা

শিশুর ত্বক মালিশ করাতে শরীরের ত্বক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। তাই আমাদেরকে গোসলের আগে শিশুর ত্বক ভালো করে মালিশ করাতে হবে। গরম করে তেল দিয়ে মালিশ করলে খুব ভালো হয়।

মশ্চারাইজার করা

গোসল করার পর শিশুর ত্বক ময়েশ্চারাইজ না করলে শিশুর ত্বক খসখসে হয়ে যায়। তাই আমাদেরকে প্রতিনিয়ত শিশুর ত্বক ভালো করে ময়েশ্চারাইজ করতে হবে

ফলের রস খাওয়াতে হবে

শিশুর ছয় মাস পর থেকে ভিটামিন যুক্ত ফলের রস যেমন কমলা, লেবু, আপেল, আঙ্গুর, ইত্যাদি ভিটামিন যুক্ত বেশি বেশি করে খাওয়াতে হবে। ফলের রসে শিশুর ত্বক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই আমাদেরকে নিয়মিত ফলের রস খাওয়াতে হবে।

শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করা

আমাদের শিশুর জন্ম হওয়ার পর শরীরে অবাঞ্ছিত কিছু লোম দেখা যায় সেগুলো দূর করার জন্য টিপস ব্যবহার করতে হবে। যেমনঃ একটা পাউরুটি নিয়ে পাউরুটির আবরণ টা তুলে ফেলতে হবে এবং সাদা অংশ নিতে হবে আর দুই চামচ দুধের সর নিয়ে একসাথে ভালো করে পেস্ট করে গোসলের 20 মিনিট আগে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে তাহলে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর হয়ে যাবে।

সাবান ব্যবহার না করা

শিশুর ত্বক পরিষ্কার করার জন্য কখনো সাবান ব্যবহার করবেন না। সাবানে থাকা কেমিক্যাল শিশুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সাবান দিয়ে গোসল করবেন না।

শিশুর ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করার টিপস

আমরা সবাই চাই আমাদের ত্বক উজ্জল ও ফর্সা হোক। আমরা বড়রা ত্বক ফর্সা করার জন্য কত কিনা করে থাকি। তাই আমাদের শিশুরা ত্বক ফর্সা করার টিপসগুলো জানতে হবে। গর্ভবস্থায় থাকাকালীন ফর্সা করার টিপস হলঃ

আরো পড়ুনঃ ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ

জাফরান দুধ

শিশুদের গর্ব  অবস্থায় মহিলাদের জাফরান দুধ খাওয়ালে শিশুর ত্বক ফর্সা হয়। এবং শিশুর সুঠাম দেহের অধিকারী হয়। তাই আমাদের মহিলাদের গর্ভাবস্থায় জাফরান দুধ খাওয়াতে হবে।

ডিম

গর্ভাবস্থায় মহিলাদের ডিমের সাদা অংশ খাওয়ালে শিশুর ত্বক ফর্সা হয় এবং সুঠাম দেহের অধিকারী হয়। তাই আমাদের মহিলাদের গর্ভাবস্থায় ডিম খাওয়াতে হবে।

টমেটো

টমেটো আছে লাইকোপেন। যা ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট এর সাথে যুদ্ধ করে ফলে ক্ষতিকর সূর্য রষ্ণী থেকে আমাদের ত্বককে সুরক্ষিত রাখে । শিশুর ত্বক ফর্সা হয়। তাই মহিলাদের গর্ভ অবস্থায় টমেটো খাওয়া উচিত।

কমলা

কমলা শিশুর ত্বকের উজ্জ্বল করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। ভিটামিন সি থাকে। মহিলারা গর্ভাবস্থায় কমলা খেলে শিশুদের শরীরের গঠন সুন্দর্য হয়। এবং শিশুর ত্বক উজ্জ্বল হয় ।

আশা করি যেসব টিপসগুলো বললাম সে সবগুলা মহিলাদের গর্ভাবস্থায় খাওয়ালে শিশুর ত্বক উজ্জ্বল এবং সুঠাম দেহের অধিকারী হয়।

শিশুর ত্বক উজ্জল ও ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়

শিশুর ত্বকের রংয়ের ব্যাপারটি যদিও বংশগত ব্যাপার। এখন ডিজিটাল যুগ আধুনিক উপায় শিশুর ত্বক ফর্সা করে । বাজারে কিছু কিছু ক্রিম পাওয়া যায়। সেইসব ক্রিম দেও শিশুর ত্বক ফর্সা করা যায়। এখন আমরা কিছু ঘরোয়া উপায়ে বলবো সেগুলোতো শিশুর ত্বক ফর্সা হয় তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক। শিশুর ত্বক উজ্জল ও ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়ঃ

দুধের সর এবং বাদাম

 দুধের সর এবং বাদাম এ দুটি উপাদান শিশুর ত্বক ফর্সা করার জন্য অত্যন্ত উপকারী উপাদান। এ দুটি একসাথে করে গোসল করার 15 মিনিট আগে আগে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। তাহলে শিশুর ত্বক ফর্সা হবে।

বেবি স্ক্রাব

শিশুর ত্বক উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য অনেক স্ক্রাবই পাওয়া যায়। শিশু সংবেদন চামড়ার কথা মাথায় রেখে বেসন, দুধ হলুদ, গোলাপজল দিয়ে বানানো একটি বিশেষ স্ক্রাব। এটা শরীরের ত্বক নরম করে এবং উজ্জ্বল করে।

মশ্চারাইজার করা

গোসল করার পর শিশুর ত্বক ময়েশ্চারাইজ না করলে শিশুর ত্বক খসখসে হয়ে যায়। তাই আমাদেরকে প্রতিনিয়ত শিশুর ত্বক ভালো করে ময়েশ্চারাইজ করতে হবে।

ফলের রস খাওয়াতে হবে

শিশুর ছয় মাস পর থেকে ভিটামিন যুক্ত ফলের রস যেমন কমলা, লেবু, আপেল, আঙ্গুর, ইত্যাদি ভিটামিন যুক্ত বেশি বেশি করে খাওয়াতে হবে। ফলের রসে শিশুর ত্বক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই আমাদেরকে নিয়মিত ফলের রস খাওয়াতে হবে।

মালিশ করা

শিশুর ত্বক মালিশ করাতে শরীরের ত্বক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। তাই আমাদেরকে গোসলের আগে শিশুর ত্বক ভালো করে মালিশ করাতে হবে। গরম করে তেল দিয়ে মালিশ করলে খুব ভালো হয়।

শেষকথাঃ শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায়

শিশুদের ত্বক খুব সেনসিটিভ যা আমাদেরকে দেখে শুনে বুঝে ত্বকের উজ্জ্বলতা বা যত্ন নিতে হবে। এবং উপরোক্ত নিয়মগুলো যা যা দেওয়া আছে সেগুলো মানলে শিশুর ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করা যেতে পারে। আশাকরি উক্ত বিষয় গুলো সম্বন্ধে ভালোমতো আলোচনা করা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়

আজকেরে আর্টিকেলে শিশুদের ত্বক ফর্সা করার উপায় সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যারা বিস্তারিত জানতে পারেননি পুরো পোস্টটি পড়ুন। এবং আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন ধন্যবাদ

পোষ্ট ক্যাটাগরি: