থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে - থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? আজকের এই আর্টিকেল থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা অনেকেই জানতে চান থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে। এটা কি আসলে জায়েজ নাকি নাজায়েজ। এই উৎসবটি পালন করা যাবে কি যাবে না এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই পোস্টে।

থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

পেজ সূচিপত্রঃ থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

আপনি যদি জানতে চান থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তো চলুন দেরি না করে থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ভূমিকাঃ থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম বলে, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা একদম অবৈধ কাজ। থার্টিফার্স্ট নাইটে একটা খ্রিস্টীয় ধর্মীয় জাতীয় উৎসব। যা আমাদের ইসলাম ধর্মে একদম নাজায়েজ। থার্টি ফার্স্ট নাইট এটা পালন করে বিজাতীয় রা। কিন্তু আমরা অধিকাংশ মুসলিমরা থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করে থাকি।

আরো পড়ুনঃ জুমার দিনের আমল ও ফজিলত

আজকের এই আর্টিকেলে থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে, থার্টি ফার্স্ট নাইট কি, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন কি ইসলামে বৈধ, এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা কি জায়েজ এই সম্পর্কে আজকের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনারা যারা এই সম্পর্কে জানেন না এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। তাহলে আপনাদের থার্টিফার্স্ট নাইট সম্পূর্ণ জ্ঞান ধারণ করতে পারবেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল কথায় যায়।

থার্টি ফার্স্ট নাইট কি

থার্টি ফার্স্ট নাইট কি? থার্টি ফার্স্ট নাইট হল বছরের শেষ মাসে 31 শে ডিসেম্বর 12:01 যে উৎসব পালন করা হয় তাকে থার্টিফার্স্ট নাইট বলা হয়। এই রাতে সবাই বিভিন্ন খারাপ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে। যেগুলো ইসলাম একদমই অবৈধ বলে পরিচালনা করা হয়েছে।

আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম অন্য ধর্মের উৎসব পালন করে সে মুসলিম হতে পারে না। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায় কয়েকশো বছর আগে এই থার্টি ফার্স্ট নাইট খ্রিস্টধর্ম এসব জাতিরা থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে।

এখন আস্তে আস্তে ইসলাম ধর্মের মুসলিম জাতির এসব অবৈধ কাজের সাথে জড়িত হয়ে পরছে। অনেক প্রাচীন যুগে সম্রাট জামসিদ এই উৎসব পালন করতেন। আস্তে আস্তে পর্যায়ক্রমে এই উৎসব কারীরা বেড়ে চলেছে। খ্রিস্টপূর্ব 46 সালে এই নববর্ষ উৎসব পালন করতেন।

থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন কি ইসলামে বৈধ

এখন আমরা এ পোস্টে আলোচনা করব থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন কি ইসলাম বৈধ? আমি যদি বলি থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা ইসলামে একদমই অবৈধ। তাহলে হ্যাঁ থার্টি ফার্স্ট নাইট ইসলামের মুমিনদের জন্য একদমই অবৈধ। কারণ ইসলামের এই খারাপ অবৈধ কাজের সাথে জড়িত থাকতে পারে না।

আর যারা এগুলো জেনেশুনে এই অবৈধ কাজের সাথে লিপ্ত থাকে মুমিন হতে পারে না। আল্লাহ তা'আলা বলেন বিজাতীয় অবৈধ উৎসব পালন করে থাকে তারা কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন মুমিন মুসলিম কখনো বিজাতীয় সংস্কৃতি কে নিজেকে জড়াতে পারে না।

আরো পড়ুনঃ কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম

আর যে জড়ায় তারা কখনো মুসলিম হতে পারে না এবং এটাও বলেন যার খারাপ কাজে খারাপ লাগে এবং ভালো কাজে ভালো লাগে সে কেবল মুসলিম হতে পারে। কিন্তু যার খারাপ কাজে ভালো লাগে এবং ভালো কাজে খারাপ লাগে । সে কখনো মুসলিম জাতি বলে দাবি করতে পারে না। থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা ইসলামে একদমই অবৈধ।

থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে চলুন জেনে নিই। থার্টি ফাস্ট নাইট এ রাতকে কেন্দ্র করে অনেক অবৈধ ও অশ্লীলতা কাজ চলে। এই রাতে অনেক নারীরা এবং পুরুষ জেনাতে লিপ্ত থাকে। অথচ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যারা  কাপড় পরনের নগ্ন অবস্থায় থাকে। এবং পর-পুরুষকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করে। এবং নিজেকেও এসব খারাপ কাজে লিপ্ত থাকে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।

থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা কি জায়েজ

এখন আমরা আলোচনা করব থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা কি জায়েজ। থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা ইসলামে একদমই নাজায়েজ। কারণ থার্টি ফার্স্ট নাইট শব্দ নামক রাত্রিতে অনেক মানুষ খারাপ কাজে লিপ্ত থাকে। এমনকি তারা অশ্লীল কাজে লিপ্ত থাকে।

থার্টিফার্স্ট নাইটে মদ্যপান, ধূমপান, আতশবাজি বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সবাই জড়িত থাকে এবং এগুলোকে ইসলাম একদমই নাজায়েজ বলে, আল্লাহ তায়ালা বলেন সমাজের কিছু নারীরা কাপড় পড়ে তার শরীরের গঠন বোঝা যাবে। অথবা কাপড় পরো তারা নগ্ন অবস্থায় থাকবে যেগুলো নাকি পুরুষদের আকৃষ্ট করে পুরুষ সমাজ কে নষ্ট করে এবং নারী সমাজ নষ্ট হয়।

আল্লাহ তা'আলা বলেন যারা কাপড় পরেও উলঙ্গ থাকে তাদের পরবর্তীতে জাহান্নামের শাস্তি উপভোগ করতে হবে। থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পূর্ণ বিজাতীয় সংস্কৃতি। এটা একটা  খ্রিস্টীয় ধর্মের উদযাপিত উৎসব। আমরা মুসলিমরা এই উৎসব উদযাপিত করে থাকি।

আরো পড়ুনঃ আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ

উৎসবে আমরা অনেক খারাপ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে যেমনঃজেনা, মদ্যপান, ধূমপা্ন, আতশবাজি ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে। যেগুলোকে ইসলাম কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। বিশেষ করে আমাদের যেনা থেকে দূরে থাকতে হবে। পৃথিবীটা ভোগ-বিলাসের জন্য ক্ষণস্থায়ী। পৃথিবী কখনো চিরস্থায়ী হতে পারে না। চিরস্থায়ী জান্নাত যেটা পাওয়ার জন্য আমাদের ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে।

শেষ কথাঃ থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

আমাদেরকে বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে বিরত থাকতে হবে। বিভিন্ন খারাপ কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকতে হবে। বিশেষ করে জেনা থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে। থার্টি ফার্স্ট নাইট এই রাত টাকে ইসলাম মুমিনদের জন্য সংস্কৃতি পালন করা কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। তাই আমাদের এই সংস্কৃতি থেকে বিরত থাকতে হবে।

এমনকি শুধু এই সংস্কৃতি থেকে বিরত থাকতে হবে তা না। প্রায় সব খারাপ কাজ থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে। আজকেরে আর্টিকেলে থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যারা এই সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত আলোচনা জানতে পারেননি তারা এই পোস্টটি পুনরায় পড়ুন। ধন্যবাদ এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: