এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে শুরু করবেন: সম্পূর্ণ গাইড! 🌟

হাসিবুর
লিখেছেন -

আপনি কি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চান? যদি অনলাইনে আয় করার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সঠিক জায়গাতে আসছেন। আজকে এই নিবন্ধে Affiliate Marketing সম্পর্কে বিস্তারিত যত রকম বিষয় আছে, সব কিছুই তুলে ধরবো।

এ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আশা করি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়, কিভাবে শিখবেন, কিভাবে কাজ করবেন ও অ্যাফিলিয়েট করে কত টাকা ইনকাম করা যাবে? এই সকল বিষয়াদি আপনার আয়ত্তে চলে আসবে। তো চলুন জেনে নেই বিস্তারিত:

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

(toc) #title=(সুচিপত্র)

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

Affiliate Marketing হল মূলত কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর পণ্য অথবা কোন সেবা বিক্রি করে দিয়ে এবং প্রতিটি পণ্য বিক্রি করার বিপরীতে বিক্রয়ের মূল্যের ওপর পারসেন্ট হারে কমিশন গ্রহণ করা।

অর্থাৎ যদি আপনি কোন প্রতিষ্ঠান বা কোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সেবা বিক্রি করে দেন, তাহলে সেই কোম্পানির পণ্য বিক্রয়ের উপর আপনাকে ২% থেকে ৭০% পর্যন্ত কমিশন প্রদান করবে।

যদি আমি আরও সহজ ভাষায় বলি, ধরুন আপনি Amazon.com অথবা অন্যান্য অ্যাফিলিয়েট সাইটে অ্যাকাউন্ট করে সেখান থেকে কোন একটি প্রোডাক্ট যেমন; মোটর সাইকেল বিক্রি করে দিলেন।

যদি মোটর সাইকেলটির দাম হয় ২,০০,০০০/- টাকা হয়ে থাকে আর যদি আপনি সেখান থেকে ৫% হারে কমিশন পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার টাকা ইনকাম হবে। ২০০০০০*৫% = ১০,০০০ টাকা।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি অনলাইন ব্যবসায়িক মডেল যেখানে একটি কোম্পানি তার পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করার জন্য তৃতীয় পক্ষের (অ্যাফিলিয়েট) সাহায্য নেয় এবং প্রতি বিক্রয়, ক্লিক বা সাইন-আপের জন্য সেই অ্যাফিলিয়েটকে কমিশন প্রদান করে। এটি সাধারণত নিম্নলিখিত ধাপগুলির মাধ্যমে কাজ করে:

অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান: প্রথমে, একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে যোগ দিতে হবে। অনেক কোম্পানি নিজস্ব অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম পরিচালনা করে, আবার কিছু তৃতীয় পক্ষের অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যেমন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েটস, শেয়ারএসেল, ক্লিকব্যাংক ইত্যাদি।

আরও জানুন- ছাত্র জীবনে সহজে টাকা আয় করার ১০টি উপায়

প্রচার করার জন্য পণ্য বা পরিষেবা নির্বাচন: যোগদানের পর, আপনি প্রচারের জন্য পণ্য বা পরিষেবা নির্বাচন করবেন। সাধারণত একটি অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক পাওয়া যায় যা আপনি আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য যেকোনো প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করতে পারেন।

প্রচারণা ও কন্টেন্ট তৈরি: পণ্য বা পরিষেবা প্রচারের জন্য মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে, যা আপনার দর্শকদের আকর্ষণ করবে এবং তাদের পণ্যটি কিনতে উদ্বুদ্ধ করবে। এই কন্টেন্ট হতে পারে ব্লগ পোস্ট, রিভিউ, ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইত্যাদি।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রোডাক্ট বা সেবা তিন ধরনের হয়

১. ডিজিটাল প্রোডাক্ট

যে সকল প্রোডাক্ট সাদৃশ্য নয় অর্থাৎ ভার্চুয়াল ভাবে ব্যবহার করতে হয়, সেই সকল প্রোডাক্টই হলো ডিজিটাল প্রোডাক্ট। যেমন, সফটওয়্যার, ই-বুক, ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন, ওয়েব হোস্টিং, অনলাইন ক্লাস, ভিডিও ইত্যাদি। অনলাইন যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকেন তাদের মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ডিজিটাল প্রোডাক্ট। Digital Product বিক্রি করার ক্ষেত্রে আপনি পেয়ে যাবেন ৫% থেকে শুরু করে ৭০% পর্যন্ত কমিশন।

২. ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট

এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট হল সেগুলো যা আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনে ব্যবহার করে থাকি। যেমন, পোশাক, ফার্নিচার, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, খাবার এবং ফলমূল ইত্যাদি। এই ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিয়ে ২% থেকে শুরু করে ২০% পর্যন্ত কমিশন পাওয়া যায়।

ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট নিয়ে যদি আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডেলিভারির কথা মাথায় রাখতে হবে। আপনি যে কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন সে কোম্পানির সঠিকভাবে ডেলিভারি করছে কিনা এ বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।

আরও জানুন- ২০২৪ সালে ঘরে বসে আয় করার ১০টি উপায়

৩. লিড জেনারেশন

এফিলিয়েট করার জন্য আরও একটি জনপ্রিয় প্রোডাক্ট হলো লিড জেনারেশন। মানে আপনাকে শুধুমাত্র পণ্যের মার্কেটিং করতে হবে আর ক্রেতাদের টাকা বা ক্রেডিট খরচ করে কোন প্রোডাক্ট কেনার প্রয়োজন হবে না। কিন্তু তারপরেও আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন। যেমন, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সাইন আপ, ইমেইল সাবস্ক্রিপশন, ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব, অ্যাপ ইনস্টল, ভিডিও ভিউ ইত্যাদি।

অর্থাৎ এমন কিছু কিছু কাজ আছে সেখানে আপনাকে বলা হবে একটি আন্ড্রয়েড অ্যাপ ১০০০ স্মার্টফোনে ইন্সটল করাতে হবে, সেজন্য আপনাকে সেই অ্যাপের লিংক ব্যবহার করে বিভিন্ন মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

যাতে করে সেই অ্যাপের লিংক ক্লিক করে ক্রেতারা সেই অ্যাপটি তাদের স্মার্টফোনে ইন্সটল করে। যখন কেউ আপনার সেই লিংক ক্লিক করে অ্যাপটি ইন্সটল করবে। বিনিময়ে নির্ধারিত টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে। এই পদ্ধতিকে CPA মার্কেটিং ও বলা হয়ে থাকে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শিখবেন

যদি আপনি প্রফেশনাল ভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভালো ভাবে কাজ শিখতে হবে। এজন্য আপনাকে দুটি মাধ্যম অনুসরণ করতে পারেন। মোটকথা আপনি দুইটি পদ্ধতি অনুসরন করে কাজ শিখতে পারেন। প্রথমটি হল ফ্রি এবং দ্বিতীয়টি পেইড কোর্স।

১. বিনামূল্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখুন

বিনামূল্যে শেখার জন্য আপনি ইউটিউবে এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স লিখে সার্চ করুন। সার্চ করার ফলে অনেক ধরনের টিউটরিয়াল ভিডিও বা রিসোর্স আসবে যেগুলো দেখে আপনি সহজেই এফিলিয়েট এর A to Z শিখতে পারবেন।

এছাড়াও গুগলে এফিলিয়েট মার্কেটিং লিখে সার্চ করলে আপনি অনেক রিসোর্স পেয়ে যাবেন যেগুলো দেখে আপনি সহজেই শিখতে পারবেন।

এছাড়াও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফ্রি ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে। যেগুলো সংগ্রহ করে আপনি শিখে নিতে পারবেন। যার ফলে আপনার রির্সাস করার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার টাকাও খরচ হবে না।

২. টাকা খরচ করে এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখুন

এফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার জন্য অবশ্যই আপনাকে দুটি মাধ্যমের যেকোন একটি অনুসরণ করতে হবে তন্মদ্ধে একটি হচ্ছে পেইড মেথড বা টাকা খরচ করে শিখতে হবে।

আপনি যদি কোনও ট্রেনিং সেন্টার অথবা কোন কোর্স কিনে Affiliate Marketing শিখেন তাহলে সেটি সেক্ষেত্রেই তারমধ্যে সীমাবদ্ধতা থাকে এবং অনেক অসম্পূর্ণ থেকে যায়, সে সকল বিষয়গুলো পরবর্তীতে Google অথবা Youtube সার্চ করে আপনাকে নিজ থেকেই শিখে নিতে হবে।

কোন ট্রেনিং সেন্টার অথবা অনলাইনে কোন পেইড কোর্সে যুক্ত হয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বেসিক থেকে এডভান্স লেভেল পর্যন্ত ধারণা লাভ করতে পারেন। তারপরে বাকি কাজগুলো শেখার জন্য আপনার কাছে অনেকটাই সহজতর হয়ে যাবে। এজন্য আপনাকে টাকা খরচ করা লাগতে পারে ৫ হাজার থেকে থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

এফিলিয়েট করে কত টাকা আয় করা যায়

এখন কথা হলো আপনি এতো কষ্ট করে, অনেক সময় ব্যয় করে ফ্রি অথবা পেইড ভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখলেন। তো কথা হচ্ছে আপনি এফিলিয়েট করে কত টাকা আয় করতে পারবেন? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে এফিলিয়েট করে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

যদি আপনার একটি ভালোমানের ওয়েবসাইট থেকে থাকে অথবা আপনার একটি ভালোমানের ইউটিউব চ্যানেল থাকে। আর সেখানে আপনি যদি আপনার এফিলিয়েট প্রোডাক্টের লিংক শেয়ার করেন, তাহলে সেই লিংক থেকে যত বেশি প্রোডাক্ট বিক্রি হবে ততবেশি টাকা আপনার কমিশন হতে থাকবে আর এটির কোনো শেষ সীমানা নাই। তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে একটি স্ট্যান্ডার পেশা বা মুক্ত পেশা।

আরও জানুন- সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম সাইট | বিশ্বস্ত অনলাইন ইনকাম সাইট

অর্থাৎ যদি আপনার একটি ভালোমানের এফিলিয়েট ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল থেকে থাকে, যেখানে যদি ভালো পরিমাণে ভিজিটর বা কাস্টোমার থাকে, তাহলে আপনি যেখানেই অবস্থান করুন না কেন প্রতিদিন ২৪ ঘন্টায় আপনার টাকা আয় হতেই থাকবে। যত বেশি সেল বা বিক্রয় তত বেশি ইনকাম।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন

Affiliate Marketing করার জন্য অবশ্যই আপনার একটি ভালোমানের ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। সেই ওয়েবসাইটে প্রতিটি পণ্যের ভালোমন্দ উভয় বিষয়ে লিখতে হবে এবং প্রাইস কনটেন্ট লিখতে হবে।

যে সমস্ত রিভিউ আর্টিকেলে থাকবে সেগুলো থেকে প্রোডাক্ট বিক্রির আর্টিকেল রয়েছে সেই আর্টিকেলে ভিজিটর পাঠাতে হবে আর সেখান থেকে ভিজিটররা আপনার প্রোডাক্ট ক্রয় করবে।

এছাড়াও যদি আপনার একটি ভালোমানের ইউটিউব চ্যানেল থাকে অথবা ইউটিউব চ্যানেল না থাকে তাহলে আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে নিতে হবে যেখানে আপনার টার্গেটেড ভিজিটররা আসবে।

অর্থাৎ আপনি যেসকল প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন সেই সকল প্রোডাক্ট সম্পর্কিত বিস্তারিত বা রিভিউ ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে এতে করে আপনার এফিলিয়েট প্রোডাক্টটি বিক্রি হবার সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি পাবে।

তাছাড়াও আপনি যদি ভালো ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও আপনি এফিলিয়েট শুরু করতে পারেন। যেমন, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিঙ্কডিন ইত্যাদি বা অন্যান্য যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া।

এফিলিয়েট করে বেশি আয় করার কিছু কার্যকরি উপায়

যদি আপনি Affiliate Marketing করে অনেক বেশি পরিমাণে আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে অনেক বেশি মার্কেটিং এর দিকে নজর দিতে হবে। আপনার প্রোডাক্ট অনেক বেশি কাস্টোমারের কাছে পৌঁছে দেবার মতো সক্ষমতা অর্জন করে নিতে হবে।

আমি নিম্নে কিছু রিসোর্স শেয়ার করলাম যেগুলা অনুসরণ করলে আপনার এফিলিয়েট প্রোডাক্ট বিক্রয়ের পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি অনেক বেশি পরিমাণে আয় করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

১. সঠিক প্রোডাক্ট নির্বাচন করা

এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে সঠিক প্রোডাক্ট নির্বাচন করাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এমন সকল প্রোডাক্ট নির্বাচন করতে হবে যাতে করে সে সকল প্রোডাক্টের উপরে কাষ্টমারদের চাহিদা বেশি থাকে এবং এফিলিয়েট কমিশনের হারও বেশি পরিমানে দেয়।

সেজন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং এ প্রোডাক্ট নির্বাচন করার ক্ষেত্রে বারবার রিসার্স করাটা অত্যন্ত জরুরী। মনে রাখবেন আপনার বেশি রিসার্স আপনার সফলতা অর্জনের মূল হাতিয়ার হবে।

২. সঠিক কোম্পানী বা ইন্ডাষ্ট্রি নির্বাচন

এফিলিয়েট মার্কেটিং- এ কোম্পানি বা ইন্ডাস্ট্রি নির্বাচনের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে। যে কোম্পানির প্রোডাক্ট আপনি বিক্রি করতে ইচ্ছুক সে কোম্পানির প্রোডাক্টের কোয়ালিটি বা গুণগত মান কেমন, ডেলিভারি সিস্টেম ও কাস্টোমার সাপোর্ট কেমন আছে। এই সমস্ত বিষয়গুলো যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনি উক্ত কোম্পানির প্রোডাক্টটি নির্বাচন করে নিতে পারেন।

আরও জানুন- বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ২০২৪ | স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া

আর হ্যাঁ এখানে আরও একটি বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে প্রোডাক্টটির চাহিদা মার্কেটে কেমন আছে। যদি আপনি এমন কোন প্রোডাক্ট নির্বাচন করে থাকেন যেটির কোনো চাহিদা বাজারে নেই এবং কাস্টমারদের কেনার কোনো আগ্রহ নাই সেই সকল প্রোডাক্ট নিয়ে এফিলিয়েট করতে গেলে আপনি সহজেই সফল হতে পারবেন না বা কখনও ভালো কিছু করতে পারবেন না।

৩. আপডেট মার্কেটিং পদ্ধতি অবলম্বন করা

Affiliate Marketing করতে হলে বর্তমান সময়ে ভার্চুয়াল যে সকল আপডেট মার্কেটগুলো আছে সেগুলোতে আপনাকে মার্কেটিং করতে হবে। মনে রাখবেন যতবেশি মার্কেটিং আপনি করতে পারবেন আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে অনেক বেশি।

আর যতবেশি প্রোডাক্ট বিক্রি হবে ততবেশি আপনার ব্যবসার সফলতা চলে আসবে। আপডেট মার্কেটিং গুলোর মধ্যে জনপ্রিয় মার্কেট হচ্ছে, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।

৪. ওয়েবসাইট তৈরি করা ও কোয়ালিটি এসইও করা

এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম একটি তথ্যবহুল ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে হবে। আর ওয়েবসাইটে প্রোডাক্টের বিস্তারিত তথ্য খুব সুন্দরভাবে সঠিক সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে হবে। ভালোমানের ছবি বা কোয়ালিটি সম্পূর্ণ ছবি ব্যবহার করতে হবে যা দেখে কাস্টমার দেখেই প্রোডাক্ট ক্রয় করার জন্য আকৃষ্ট হয়।

ওয়েবসাইটে এমন ভাবে আর্টিকেল দিতে হবে যাতে কাস্টমার খুব সহজেই পড়ে প্রোডাক্ট কেনার জন্য আকৃষ্ট হয়। আর ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার জন্য বিভিন্ন মার্কেটিং SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) করতে হবে। তাহলে খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইটে টার্গেটেড কাস্টমার চলে আসবে এবং আপনার ওয়েবসাইট থেকে তারা প্রোডাক্ট ক্রয় করবে।

৫. ডিজিটাল মার্কেটিং করা

এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য বর্তমান সময়ে প্রচলিত যতগুলি মার্কেটিং সিস্টেম আছে তার মধ্যে অন্যতম মার্কেট হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। যেহেতু আমরা Affiliate Marketing ভার্চুয়ালি করে থাকি তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। ডিজিটাল মার্কেটিং করার বেশকিছু মার্কেটিং সিস্টেমের নাম হচ্ছে, ফেসবুক মার্কেটিং, টুইটার মার্কেটিং, ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, ব্লগ কমেন্ট, গেষ্ট ব্লগিং, প্রশ্নোত্তর, রেডিট অংশগ্রহন করা ইত্যাদি।

৬. সোশ্যাল সিগন্যালের প্রতি খেয়াল রাখা

সোশ্যাল সিগন্যাল বলতে সাধারণত আমরা বুঝি যেসকল সোশ্যাল সাইটে আপনি মার্কেটিং করবেন তার সিগন্যালগুলো সারাক্ষন লক্ষ্য করা। যেমন আপনি যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করছেন, সেই পোস্টে কাস্টমাররা কি কি কমেন্ট করছে বা কাস্টমাররা কি কি জানতে চেয়েছে সে সকল বিষয়ে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং কাস্টমারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাহলে আপনার এফিলিয়েট প্রোডাক্ট বিক্রি অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সেরা কয়েকটি ওয়েবসাইট

বর্তমানে অনেক এফিলিয়েট ওয়েবসাইট আছে সে সকল সাইটের মধ্যে থেকে আমি জনপ্রিয় কয়েকটি কিছু এফিলিয়েট প্রোগ্রাম নিম্নে তুলে ধরলাম:

  • Amazon Affiliate Program
  • ClickBank
  • ShareASale
  • Wirecutter
  • CJ Affiliate
  • PCPartPicker
  • FlexOffers
  • This Is Why I’m Broke
  • Dog Food Advisor
  • Skyscanner
  • https://ruled.me/
  • Minimalist Baker
  • SafeWise
  • HeadphonesAddict
  • RunnerClick
  • Fatherly
  • The Points Guy
  • DatingAdvice.com
  • Daraz
  • Bohubrihi
  • Sohoj
  • BD Shop
  • Shopz
  • Foodpanda
  • 10 Minutes
  • Dianahost
  • Boikhata
  • Shikho
  • bKash

1. Amazon Affiliate Program: এটি মূলত ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট সেল করার জন্য এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এবং এদের বেশকিছু ডিজিটাল প্রোডাক্ট আছে। বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের অন্যতম হচ্ছে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম। অ্যামাজন প্রোগ্রামে অ্যাফিলিয়েটরা ৪% থেকে শুরু করে ১০% পর্যন্ত কমিশন পেয়ে থাকে।

এছাড়াও দেশি বিভিন্ন ই-কমার্স ব্যবসায়ীরাও প্রতিটি প্রোডাক্টের জন্য ৫-১০% কমিশন দিয়ে থাকে অ্যাফিলিয়েটদের। সেখানে বহুব্রীহিতে অ্যাফিলিয়েটরা পাচ্ছেন ২০% কমিশন। ই-লার্নিং ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য প্লাটফর্মের তুলনায়ও এটি অনেক বেশি।

2. Ebay Partner Network: এই সাইটটি মূলত ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট করার জন্য এফিলিয়েট সাইট এবং এদের বেশকিছু ডিজিটাল প্রোডাক্ট আছে।

3. Clickbank: এই সাইটটি মূলত লিড জেনারেশন, ডিজিটাল সার্ভিস সম্পর্কিত এফিলিয়েট প্রোগ্রাম।

উপসংহার

আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে তারপরে কাজ শুরু করবেন। কেননা কোন কিছু না জেনে না বুঝে শুরু করেন তাহলে আপনার সফলতার থেকে ব্যর্থতার হার বৃদ্ধি পাবে। আপনি অনলাইনে ইনকামের জন্য সফলতা লাভ করুন সেই পরামর্শ দিয়ে থাকি আমরা।

ভালোভাবে কাজ শিখুন, বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এবং যেকোনো একটি মাধ্যম আপনি বেছে নিন। তারপরে কাজে নেমে পড়ুন ইনশাআল্লাহ আপনি সফলতা অর্জন করবেন। এই আশা সবসময় কামনা করি আমরা।

ব্লগ ক্যাটাগরি: