মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন মানুষের জন্য কতটা ক্ষতি

বাংলাদেশ এ দেশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য মোবাইল টাওয়ার। এবং তা মানুষের জন্য কতটা ক্ষতি কর তা জানানোর জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন সংস্থা বিটিআরসি। চলুন তাহলে দেখে নিয়া যাক মোবাইল টাওয়ার এর ক্ষতিকর প্রভাব গুলি;

মানুষের ঝুকি কমানোর জন্য বিটিআরসি যথাসম্ভব নিরাপদ যায়গায় টাওয়ার গুলাকে নতুন কোন জায়গাকে বসানোর জন্য দায়িক্ত দিয়েছে কিছু কোম্পানি কে। আর অনেক দিন ধরে এই কাজ গুলা টাওয়ার কোম্পানি নিজেরাই করত। এখন এই কাজ গুলা নতুন চারটি কোম্পানি কে দিয়েছে। বাংলাদেশ এ মোবাইল ফোন এর ব্যবহার সরু হয় নব্বইয়ের দশকে। কিন্ত সেই সময় তেমন বেশি মোবাইল নেটওয়ার্ক যোগাযোগ ছিল না। তাই যেখান এ সেখান এ টাওয়ার স্থাপন করতে কারও কোন রকম বিধি নিষেধ ছিল না।

বাংলাদেশে বর্তমান এ ছয়টি মোবাইল ফোন অপেরাটর কাজ করে যাচ্ছে। মোবাইল ফোন ব্যবহার কারীর সংখ্যা ৯ কোটি ৫৫ লক্ষ্য এর মতো। এই মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ভালো সেবা প্রদান করার জন্য মোবাইল অপেরাটর দের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন তার যোগাযোগ ফোন লাইন। আর এই নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দেয়ার জন্য বসাতে হয় দেশের নানা জায়গায় বসাতে হয় টাওয়ার। বাংলাদেশ এ সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার এর মতো টাওয়ার আছে।

আর এই কারনে টাওয়ার কোম্পানি টাওয়ার স্থাপন করতেছে গ্রামের নানা রকম জায়গায় যেমন,ধানক্ষেত, পরিতাক্ত জমিতে, এছাড়া বড় বড় ছাদে বসানো হচ্ছে টাওয়ার গুলো। এমন কি টাওয়ার স্থাপন করা হচ্ছে বাসা বাড়ি এবং স্কুল এবং কলেজ এর ছাদ এর উপর। নানা রকম রিপোর্ট এ বলা হয়েছে; এই মোবাইল টাওয়ার ব্যবহার করার জন্য মৈামাছি, ব্যাঙ, ছালিক, কাক, বাদুর, চামচিকা,ময়না,টুনটিনি,ময়না ইত্যাদি পাখি গুলো বিলপ্তির পথে।

পশু পাখির আচরন গত পরিবর্তন হচ্ছে এই সব বিকরনের কারনে। এই মোবাইল ফোনে টাওয়ার এর বিকরনের কারনে নেতিবাচক প্রভাব পরছে সমস্ত জীবজগতের উপরে। বিজ্ঞানিরা এই তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরন কে নবতর দুষন বলে আখ্যায়িত করেছেন। মোবাইল ফোন বা যে কোন কমিউনিকেশন রেডিয়েশন নবতর দুষন এর জন্য দায়ি। এই সমস্যা আমরা খুব তারাতারি বুঝতে না পারলে ধিরে ধিরে বুঝতে পারবো।

মোবাইল ফোন রেডিয়েশন এর প্রভাব পরছে অনেক রকম পশু পাখির ওপর। তার মধ্যে ধরা যাক চরই পাখি। যে এলাকায় মোবাইল ফোন টাওয়ার এর রেডিয়েশন খুব বেশি সেই এলাকা থেকে চরই পাখি বিলিন এর পথে। আবার টাওয়ার এর পরিমান যে এলাকায় কম সেই সব যায়গায় চরই পাখির পরিমান বেশি। মোবাইল টাওয়ার এর রেডিয়েশন এর কারনে চরই পাখি প্রজনন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে এমন কি ডিম ফুটে বাচ্চা বের হচ্ছে না চরই পাখি।

তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরন এর কারনে মৈামাছি দিশেহারা হয়ে পরে রাস্তায় ফেরার পথ পাচ্ছে না আর যার ফলে মারা যাচ্ছে মৈামাছি। অনেক মৈামাছি ডিম পাড়ার আসংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। যার ফলে কমে যাচ্ছে মৈামাছি।

মোবাইল ফোন আমাদের জন্য ক্ষতিকর

আমরা প্রতিদিন এর জীবন এ একবার হলেও মোবাইল ফোন বা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে থাকি। কিন্ত এর পাশাপাশি আমরা যে শুধু অপকৃত হচ্ছি তা নয় এর পাশাপাশি অনেক ক্ষতির মুখোমুখি হয়ে দাঁড়াচ্ছি আমরা। আমরা জানি যেকোন ধরনের রেডিয়েশন মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। এমন কি মানুষ যে ঘরের মধ্যে ওয়াইফাই ব্যবহার করে থাকি সেই ওয়াইফাই এর রেডিয়েশন আমাদের শরীরের জন্য বিপদ জনক। 

আমরা যে শুধু টাওয়ার এর রেডিয়েশন দিয়ে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছি তাই না,আমাদের মোবাইল ফোনের ব্যবহার এর মাধ্যমে মোবাইল হান্ডসেট থেকে সরাসরি রেডিয়েসন আমাদের শরীর এ প্রবেশ করতেছে। বাংলাদেশ সহ এ রকম অনেক দেশে অসংখ্য নিম্ন মানের মোবাইল ফোন মানুষ ব্যবহার করে যাচ্ছে। কিন্ত এই কম দামের মোবাইল ফোন থেকে এগুলোর অনেক বেশি আমাদের শরীর এর নানা রকম ক্ষতি করতেছে। কিন্ত আমাদের কার এই বিষয় এ কোন রকম চিন্তা ভাবনা নেই। 

টাওয়ার বা মোবাইল ফোন রেডিয়েশন যা যা ক্ষতি করে

টাওয়ার বা মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন এর কারনে বেশির ভাগ ক্ষতি গ্রস্থ হয় ছোট ছোট বাচ্চারা শিশুরা। রেডিয়েশন বা তড়িৎ চুম্বক বিকিরন সবার জন্য ক্ষতিকর। মানুষের শরীর এ এই সেল্গুলা যেভাবে চলাচল করে আর এই চলাচল এ বাধাগ্রস্থ করে এই এক্সটার রেডিয়েশন। এই পরিনতির কারনে শরীর এ সৃষ্টি হয় কান্সার এর মতো নানা রকম রোগ। তবে শিশু বাচ্চারা বেশি আক্রান্ত হয় বলে প্রমানিত। 

মোবাইল বা টাওয়ার এর রেডিয়েশনে শিশুরা অটিজম বা প্রতিবন্ধি হওয়ার আসঙ্খা বেশি থাকে। এছাড়া নানা রকম রোগ এ আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে বলে বিশেজ্ঞরা বলে থাকেন। রেডিয়েশন এর প্রভাবে মানব দেহের কোষের ক্ষতি হয়ে থাকে। যার ফলে শরীর এ খুব খারাপ আকৃতির টিউমার সৃষ্টি হয়ে থাকে যা পরবর্তীতে কান্সার এ রুপ নেয়। 

মোবাইল ফোন অতিরিক্ত কথা বলার জন্য কানের নিচে নিয়ে কথা বলি এর ফলে ব্রেইন টিউমার হওয়ার আসঙ্খা থাকে। মানব দেহে সব চেয়ে ঝুকি হচ্ছে রেডিয়েশন এর কারনে কানে বা মস্তিস্কে টিউমার। এছাড়া মাথাবাথ্যা, চোখে ঘুম ঘুম ভাব,হৃদরোগ সহ নানা রকম সমস্যা কাজের ব্যাঘাত ঘটে এই মোবাইল টাওয়ার রেডিয়েশন এর কারনে। যেসব বাড়ির ছাদে মোবাইল টাওয়ার আছে স্থাপন আছে সেই এলাকার সবাই অনেক ক্ষতির সম্মুখীন আছে বা ঝুকির মধ্যে এমন কি টাওয়ার এর কাছাকাছি গাছপালা এবং ফলমূল ক্ষতি গ্রস্থ হয়ে থাকে। 

টাওয়ার কোম্পানি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। যার ফলে কমানো যাবে রেডিয়েশন এর মাত্রা। অনেক কর্মকর্তারা বলেছেন টাওয়ার ভাগাভাগির মাধ্যমে এর ক্ষতি কমানো যাবে। তবে একই অপেরাটর ব্যবহার উপযোগী করার জন্য টাওয়ার গুলা অনেক শক্তিশালী করতে হবে। টাওয়ার নিরাপদ যায়গাই স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। তবে তবুও টেনশন এর কোন কারন নাই কেননা টাওয়ার ব্যাবসার লাইসেন্স অনেক কোম্পানি কে দেয়া হয়েছে। যার ফলে পরিবেশ দূষণ অনেক টা কমে যাবে। 

তো এই ছিল আমার কাছে মোবাইল টাওয়ার রেডিয়েশন মানুষের জন্য কতটা ক্ষতিকর নিয়ে পোস্ট। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আর শেয়ার করে অনন্য জন কে দেখার সুযোগ করে দিন। আর হ্যাঁ মোবাইল ফোন অবশ্যই খুব কম ব্যবহার করবেন।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: